কৃষি হলো একটি দেশের প্রাণ। কৃষি দিয়ে যদি দেশের খাদ্যের নির্ভরতা করা যায় তাহলে রাষ্ট্রকে কোন ধরনের সংকটের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় না। তাই অনেক রাষ্ট্র আছে ভর্তুকি দিয়ে হলেও তাদের কৃষি বাঁচিয়ে রাখে। সৌদিতে গ্রিন হাউজ পদ্ধতিতে শসা চাষ করে সেখানে ব্যাপক ভর্তুকি দিয়ে থাকে তাদের রাষ্ট্র। জাপান অর্থনৈতিক ভাবে উন্নত একটি দেশ।
সেখানে এক কেজি চাল উৎপাদন করতে খরচ পড়ে ৪ শত টাকা। অন্য দেশ থেকে চাল আমদানি করতে পারে ৬০ থেকে ৭০ টাকায় দরে। কিন্তু তারপরও সে দেশের সরকার বাহির দেশ থেকে আমদানী না কওে কৃষকদের থেকে ৪ শত টাকা দরে চাল কিনে কৃষককে ভর্তুতি দিয়ে থাকেন। তার কারণ হলো- দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় জাপানকে চারদিকে দিয়ে ঘিরে রেখেছিল প্রতিপক্ষ শত্রুরা। তখন তাদেও মারাত্মক খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছিল। তাদের গাছের পাতা খেয়ে পর্যন্ত বেঁচে থাকতে হয়েছিল। সে কথা জাপানীরা ভুলে যায়নি।
তাই তারা যে কোন মূল্যে কৃষিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে সাম্প্রতিক দুর্যোগে আমাদের কৃষি খাতের ব্যাপক ক্ষতি সাধন ঘটেছে। তাইতো দেশের কৃষিকে ঢেলে সাঁজাতে সরকার ব্যাপক ভাবে কৃষি ঋণ বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তার কারণ প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেশের ব্যাপক কৃষি অঞ্চল ক্ষতির মুখে পড়েছে। তাদের ঘুরে দাঁড়াতেই সরকার আগের অর্থবছর থেকে চলতি অর্থবছরের কৃষি ঋণ বিতরণে বরাদ্দ বেশি রেখেছেন। যাতে ঋণ পেয়ে কৃষক আবার ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হন। এ বছর ৩৭ হাজার ১৫৩ কোটি টাতার কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে। গত বছর যা ছিল ৩৫ হাজার কোটি টাকা। আগের বছরের চেয়ে ৬ শতাংশ বেশি।
কিন্তু বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। দেশের সরকারি কৃষি ও কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ছাড়াও অনেক তফশিলী ব্যাংকও এবছর কৃষি বরাদ্দের টাকা বিতরণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের দ্বারস্থ হয়েছেন। কিন্তু বিগত বছর গুলোতে সরকার স্বল্প সুদে যে কৃষি ঋণ বিতরন করেছেন তা বেসরকারি ব্যাংকের বিতরণ কার্যক্রমে যথেষ্ট ঘাটতি এবং অবহেলিত ছিল। সরকারি কৃষি ব্যাংক যদিও ঋণ বিতরণ করে থাকে তারপরও ঋণের বিতরণ এবং ধরন বাস্তবতার সঙ্গে মেলে না।
অলিউর রহমান ফিরোজ
মিরাপাড়া, রিকাবীবাজার, মুন্সীগঞ্জ
বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪
কৃষি হলো একটি দেশের প্রাণ। কৃষি দিয়ে যদি দেশের খাদ্যের নির্ভরতা করা যায় তাহলে রাষ্ট্রকে কোন ধরনের সংকটের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় না। তাই অনেক রাষ্ট্র আছে ভর্তুকি দিয়ে হলেও তাদের কৃষি বাঁচিয়ে রাখে। সৌদিতে গ্রিন হাউজ পদ্ধতিতে শসা চাষ করে সেখানে ব্যাপক ভর্তুকি দিয়ে থাকে তাদের রাষ্ট্র। জাপান অর্থনৈতিক ভাবে উন্নত একটি দেশ।
সেখানে এক কেজি চাল উৎপাদন করতে খরচ পড়ে ৪ শত টাকা। অন্য দেশ থেকে চাল আমদানি করতে পারে ৬০ থেকে ৭০ টাকায় দরে। কিন্তু তারপরও সে দেশের সরকার বাহির দেশ থেকে আমদানী না কওে কৃষকদের থেকে ৪ শত টাকা দরে চাল কিনে কৃষককে ভর্তুতি দিয়ে থাকেন। তার কারণ হলো- দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় জাপানকে চারদিকে দিয়ে ঘিরে রেখেছিল প্রতিপক্ষ শত্রুরা। তখন তাদেও মারাত্মক খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছিল। তাদের গাছের পাতা খেয়ে পর্যন্ত বেঁচে থাকতে হয়েছিল। সে কথা জাপানীরা ভুলে যায়নি।
তাই তারা যে কোন মূল্যে কৃষিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে সাম্প্রতিক দুর্যোগে আমাদের কৃষি খাতের ব্যাপক ক্ষতি সাধন ঘটেছে। তাইতো দেশের কৃষিকে ঢেলে সাঁজাতে সরকার ব্যাপক ভাবে কৃষি ঋণ বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তার কারণ প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেশের ব্যাপক কৃষি অঞ্চল ক্ষতির মুখে পড়েছে। তাদের ঘুরে দাঁড়াতেই সরকার আগের অর্থবছর থেকে চলতি অর্থবছরের কৃষি ঋণ বিতরণে বরাদ্দ বেশি রেখেছেন। যাতে ঋণ পেয়ে কৃষক আবার ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হন। এ বছর ৩৭ হাজার ১৫৩ কোটি টাতার কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে। গত বছর যা ছিল ৩৫ হাজার কোটি টাকা। আগের বছরের চেয়ে ৬ শতাংশ বেশি।
কিন্তু বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। দেশের সরকারি কৃষি ও কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ছাড়াও অনেক তফশিলী ব্যাংকও এবছর কৃষি বরাদ্দের টাকা বিতরণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের দ্বারস্থ হয়েছেন। কিন্তু বিগত বছর গুলোতে সরকার স্বল্প সুদে যে কৃষি ঋণ বিতরন করেছেন তা বেসরকারি ব্যাংকের বিতরণ কার্যক্রমে যথেষ্ট ঘাটতি এবং অবহেলিত ছিল। সরকারি কৃষি ব্যাংক যদিও ঋণ বিতরণ করে থাকে তারপরও ঋণের বিতরণ এবং ধরন বাস্তবতার সঙ্গে মেলে না।
অলিউর রহমান ফিরোজ
মিরাপাড়া, রিকাবীবাজার, মুন্সীগঞ্জ