বাংলাদেশ একটি মধ্যম আয়ের গণতান্ত্রিক দেশ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যেখানে অর্থনৈতিক উন্নতি ও জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার মূল্যায়নে কাজ করে যাচ্ছে সেখানে বাংলাদেশ পড়ে আছে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায়। বিশ্বের বড় বড় দেশ যেখানে দুর্নীতিকে কোন প্রশ্রয় দিচ্ছে না সেখানে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে অনেক দেশকে ছাড়িয়ে। মাঝে মাঝে এমনও শোনা যায় একজনের অবৈধ টাকার সম্পদ বিলিয়ে দিলে হবে হাজার মানুষের কয়েক বছরের আহার। কারো কারো আবার কয়েকশো কোটি টাকা ঋণ যা শোধ করা লাগে না কোনদিন। কেউ অবৈধভাবে দেশে করছে আয়, বানাচ্ছে বাডড়, বউ-বাচ্চা রাখছে বিদেশে, দেশের খোঁজ নাই। তাহলে কি এটা গণতান্ত্রিক এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠিত একটি দেশ?
সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে গেলে সব থেকে বেশি যে বিষয়গুলো প্রতিরোধ করা জরুরি তা হচ্ছে ব্যাপক দুর্নীতি, স্বচ্ছতার ও জবাবদিহিতা অভাব, স্বজনপ্রীতি, আইনের শাসনের অনুপস্থিতি, বিচার বিভাগের প্রকৃত স্বাধীনতার অভাব, রাজনৈতিক মূল্যবোধের অভাব, বিজ্ঞ ও যোগ্য নেতার অভাব, অপরাজনীতির প্রভাব, রাজনৈতিক অস্তিরতা, অকার্যকর পার্লামেন্ট, অকার্যকর স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা, সামাজিক অসাম্য, নাগরিকদের অসচেতনতা ইত্যাদি। এর মধ্যে কোন কিছু কি বাংলাদেশে অপ্রয়োগ আছে? না থাকলে তাহলে কিভাবে এটা গণতান্ত্রিক দেশে আখ্যায়িত করা হয়? জানি কেউ দিতে পারবে না তার জবাব। আজ দেশে প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে মানুষ দুর্নীতি শিকার। দেশে জবাবদিহিতামূলক শাসন ব্যবস্থার অভাব।
এখন সময় এসেছে মানুষকে বদলানোর। দেশে সুশাসন পুনরুদ্ধার খুবই জরুরি যেখানে থাকবে জবাবদিহিমূলক শাসনব্যবস্থা ও সরকার ও জনগণের সম্পর্ক হবে বন্ধুত্বমূলক।
সোহান হোসেন
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।
বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪
বাংলাদেশ একটি মধ্যম আয়ের গণতান্ত্রিক দেশ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যেখানে অর্থনৈতিক উন্নতি ও জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার মূল্যায়নে কাজ করে যাচ্ছে সেখানে বাংলাদেশ পড়ে আছে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায়। বিশ্বের বড় বড় দেশ যেখানে দুর্নীতিকে কোন প্রশ্রয় দিচ্ছে না সেখানে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে অনেক দেশকে ছাড়িয়ে। মাঝে মাঝে এমনও শোনা যায় একজনের অবৈধ টাকার সম্পদ বিলিয়ে দিলে হবে হাজার মানুষের কয়েক বছরের আহার। কারো কারো আবার কয়েকশো কোটি টাকা ঋণ যা শোধ করা লাগে না কোনদিন। কেউ অবৈধভাবে দেশে করছে আয়, বানাচ্ছে বাডড়, বউ-বাচ্চা রাখছে বিদেশে, দেশের খোঁজ নাই। তাহলে কি এটা গণতান্ত্রিক এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠিত একটি দেশ?
সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে গেলে সব থেকে বেশি যে বিষয়গুলো প্রতিরোধ করা জরুরি তা হচ্ছে ব্যাপক দুর্নীতি, স্বচ্ছতার ও জবাবদিহিতা অভাব, স্বজনপ্রীতি, আইনের শাসনের অনুপস্থিতি, বিচার বিভাগের প্রকৃত স্বাধীনতার অভাব, রাজনৈতিক মূল্যবোধের অভাব, বিজ্ঞ ও যোগ্য নেতার অভাব, অপরাজনীতির প্রভাব, রাজনৈতিক অস্তিরতা, অকার্যকর পার্লামেন্ট, অকার্যকর স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা, সামাজিক অসাম্য, নাগরিকদের অসচেতনতা ইত্যাদি। এর মধ্যে কোন কিছু কি বাংলাদেশে অপ্রয়োগ আছে? না থাকলে তাহলে কিভাবে এটা গণতান্ত্রিক দেশে আখ্যায়িত করা হয়? জানি কেউ দিতে পারবে না তার জবাব। আজ দেশে প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে মানুষ দুর্নীতি শিকার। দেশে জবাবদিহিতামূলক শাসন ব্যবস্থার অভাব।
এখন সময় এসেছে মানুষকে বদলানোর। দেশে সুশাসন পুনরুদ্ধার খুবই জরুরি যেখানে থাকবে জবাবদিহিমূলক শাসনব্যবস্থা ও সরকার ও জনগণের সম্পর্ক হবে বন্ধুত্বমূলক।
সোহান হোসেন
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।