alt

পাঠকের চিঠি

দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা জরুরি

: বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪

বাংলাদেশ একটি মধ্যম আয়ের গণতান্ত্রিক দেশ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যেখানে অর্থনৈতিক উন্নতি ও জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার মূল্যায়নে কাজ করে যাচ্ছে সেখানে বাংলাদেশ পড়ে আছে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায়। বিশ্বের বড় বড় দেশ যেখানে দুর্নীতিকে কোন প্রশ্রয় দিচ্ছে না সেখানে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে অনেক দেশকে ছাড়িয়ে। মাঝে মাঝে এমনও শোনা যায় একজনের অবৈধ টাকার সম্পদ বিলিয়ে দিলে হবে হাজার মানুষের কয়েক বছরের আহার। কারো কারো আবার কয়েকশো কোটি টাকা ঋণ যা শোধ করা লাগে না কোনদিন। কেউ অবৈধভাবে দেশে করছে আয়, বানাচ্ছে বাডড়, বউ-বাচ্চা রাখছে বিদেশে, দেশের খোঁজ নাই। তাহলে কি এটা গণতান্ত্রিক এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠিত একটি দেশ?

সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে গেলে সব থেকে বেশি যে বিষয়গুলো প্রতিরোধ করা জরুরি তা হচ্ছে ব্যাপক দুর্নীতি, স্বচ্ছতার ও জবাবদিহিতা অভাব, স্বজনপ্রীতি, আইনের শাসনের অনুপস্থিতি, বিচার বিভাগের প্রকৃত স্বাধীনতার অভাব, রাজনৈতিক মূল্যবোধের অভাব, বিজ্ঞ ও যোগ্য নেতার অভাব, অপরাজনীতির প্রভাব, রাজনৈতিক অস্তিরতা, অকার্যকর পার্লামেন্ট, অকার্যকর স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা, সামাজিক অসাম্য, নাগরিকদের অসচেতনতা ইত্যাদি। এর মধ্যে কোন কিছু কি বাংলাদেশে অপ্রয়োগ আছে? না থাকলে তাহলে কিভাবে এটা গণতান্ত্রিক দেশে আখ্যায়িত করা হয়? জানি কেউ দিতে পারবে না তার জবাব। আজ দেশে প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে মানুষ দুর্নীতি শিকার। দেশে জবাবদিহিতামূলক শাসন ব্যবস্থার অভাব।

এখন সময় এসেছে মানুষকে বদলানোর। দেশে সুশাসন পুনরুদ্ধার খুবই জরুরি যেখানে থাকবে জবাবদিহিমূলক শাসনব্যবস্থা ও সরকার ও জনগণের সম্পর্ক হবে বন্ধুত্বমূলক।

সোহান হোসেন

শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।

সারের সংকট ও কৃষকের দুর্ভোগ

সংস্কার আর সময়ের সমীকরণে নির্বাচন

বাণিজ্য মুক্ত হোক সান্ধ্যকোর্স

ছবি

ডে-কেয়ার সেন্টার

ডিজিটাল দাসত্ব : মোবাইল আসক্তির প্রভাব

লোকালয়ে ইটভাটা

ছবি

নিপাহ ভাইরাস : খেজুরের কাঁচা রস পরিহার করুন

ছবি

পাটের বস্তা ব্যবহার অনেকটাই উপক্ষিত

রায়পুরে সড়কের সংস্কার চাই

অতিরিক্ত ভাড়া বন্ধ হোক

গ্যাস সংকট

ছবি

বাংলার ক্রিকেটের সফলতার গল্প লিখেছেন যুবারা

স্বেচ্ছাসেবা : একটি জীবন বোধ

শীতকালীন বায়ুদূষণ ও স্বাস্থ্য সচেতনতা

অবসরের বয়সসীমা বাড়ান

রাস্তা অবরোধ নামক অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে

ছবি

খেলনায় বিষাক্ত ধাতু

জিপিএ-৫ মুখ্য নয়, প্রয়োজন প্রকৃত শিক্ষা

রাষ্ট্রসংস্কারের পূর্বে আত্মসংস্কার প্রয়োজন

আইনশৃৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বেহালদশা

পরিকল্পিতভাবে উপযুক্ত স্থানে গাছ রোপণ করা উচিত

ইজিবাইক ছিনতাই

ছবি

টিসিবির পণ্য : নিম্নআয়ের মানুষের ভোগান্তি

ছবি

উন্নয়নের জন্য কারিগরি শিক্ষা অপরিহার্য

ছবি

ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ বন্ধ করুন

সড়ক দুর্ঘটনা

বায়ুদূষণে দমবন্ধ ঢাকা

হলগুলোর খাবারের মান বাড়ান

নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ হবে কবে

মোরেলগঞ্জ পৌরসভার নাগরিক সেবা উন্নয়নে পদক্ষেপ নিন

ছবি

খেজুরের রস

ট্যাগিং সংস্কৃতির অবসান ঘটুক

আবাসন সংকট দূর করুন

আখাউড়া-আগরতলা ট্রেন চালু হবে কি ?

উচ্চশিক্ষা ও বেকারত্ব

tab

পাঠকের চিঠি

দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা জরুরি

বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪

বাংলাদেশ একটি মধ্যম আয়ের গণতান্ত্রিক দেশ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যেখানে অর্থনৈতিক উন্নতি ও জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার মূল্যায়নে কাজ করে যাচ্ছে সেখানে বাংলাদেশ পড়ে আছে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায়। বিশ্বের বড় বড় দেশ যেখানে দুর্নীতিকে কোন প্রশ্রয় দিচ্ছে না সেখানে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে অনেক দেশকে ছাড়িয়ে। মাঝে মাঝে এমনও শোনা যায় একজনের অবৈধ টাকার সম্পদ বিলিয়ে দিলে হবে হাজার মানুষের কয়েক বছরের আহার। কারো কারো আবার কয়েকশো কোটি টাকা ঋণ যা শোধ করা লাগে না কোনদিন। কেউ অবৈধভাবে দেশে করছে আয়, বানাচ্ছে বাডড়, বউ-বাচ্চা রাখছে বিদেশে, দেশের খোঁজ নাই। তাহলে কি এটা গণতান্ত্রিক এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠিত একটি দেশ?

সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে গেলে সব থেকে বেশি যে বিষয়গুলো প্রতিরোধ করা জরুরি তা হচ্ছে ব্যাপক দুর্নীতি, স্বচ্ছতার ও জবাবদিহিতা অভাব, স্বজনপ্রীতি, আইনের শাসনের অনুপস্থিতি, বিচার বিভাগের প্রকৃত স্বাধীনতার অভাব, রাজনৈতিক মূল্যবোধের অভাব, বিজ্ঞ ও যোগ্য নেতার অভাব, অপরাজনীতির প্রভাব, রাজনৈতিক অস্তিরতা, অকার্যকর পার্লামেন্ট, অকার্যকর স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা, সামাজিক অসাম্য, নাগরিকদের অসচেতনতা ইত্যাদি। এর মধ্যে কোন কিছু কি বাংলাদেশে অপ্রয়োগ আছে? না থাকলে তাহলে কিভাবে এটা গণতান্ত্রিক দেশে আখ্যায়িত করা হয়? জানি কেউ দিতে পারবে না তার জবাব। আজ দেশে প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে মানুষ দুর্নীতি শিকার। দেশে জবাবদিহিতামূলক শাসন ব্যবস্থার অভাব।

এখন সময় এসেছে মানুষকে বদলানোর। দেশে সুশাসন পুনরুদ্ধার খুবই জরুরি যেখানে থাকবে জবাবদিহিমূলক শাসনব্যবস্থা ও সরকার ও জনগণের সম্পর্ক হবে বন্ধুত্বমূলক।

সোহান হোসেন

শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।

back to top