alt

পাঠকের চিঠি

শব্দদূষণ রোধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে

: বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪

রাজধানী ঢাকা শহরের ১৭টি নীরব এলাকা হাসপাতালের সামনের সড়কের শব্দ দূষণের মাত্রা নির্ণয় করে দেখা গেছে, সেখানে সর্বনিম্ন ৬৯.৭ ডেসিবল এবং সর্বোচ্চ ৮৯.৯ ডেসিবল। যেখানে নীরব এলাকার জন্য শব্দের আদর্শ মান দিনের বেলায় থাকার কথা ৫০ ডেসিবল। অত্যাধুনিক গাড়ির হর্নের শব্দে বধির হওয়ার পথে সাধারণ মানুষ বাদ যাচ্ছে না ছোট্ট শিশুরা। রাস্তায় চলতে ফিরতে অযথা হর্ন বাজায় অনেকে। কেউ আবার হর্ন ধরে রাখেন দীর্ঘক্ষণ।

হর্ন বাজানো যেন ছেলেখেলা। এই খেলা যে অনেকের জীবন মৃত্যুর কাছাকাছি নিয়ে যায়, তা হয়তো হর্ন ব্যবহারকারীরা জানেন ও না। ছোট্ট শিশুরা প্রতিদিন সকাল হলেই স্কুলে ছুটছে। এদিকে স্কুলের সামনে দিয়ে চলা যানবাহন জ্যামে বসে হাইড্রোলিক হর্ন বাজাতে থাকে। এতে যেমন পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে তেমনি শ্রবণ শক্তি হারাচ্ছে শিশুরা। হর্ন বন্ধ হচ্ছে না হাসপাতালের সামনের রাস্তায়ও। অসুস্থ রোগীর কথা ভাবছে না তারা। অ্যাম্বুলেন্সের হর্ন প্রাইভেট গাড়ির হর্ন, বাসের হর্ন বেপরোয়া মোটরসাইকেলের হর্ন যা কারোর শ্রবণ শক্তি নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট। উড়োজাহাজ কিংবা ফাইটার প্লেনের শব্দে ঘুম থেকে আঁতকে উঠছে দুধের শিশুরা বেপরোয়া হর্নের শব্দে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সমুদ্রের প্রাণীরা। অতিরিক্ত শব্দের ভেতর থাকলে হাইপার টেনশন, হৃদরোগ, মাথাব্যথা, স্মরণশক্তি কমা, স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যার মতো কঠিন রোগে ভুগতে হতে পারে। এছাড়া ১২০ ডেসিবল শব্দ আপনার কান নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট। তাই শব্দ দূষণের ভয়াবহতার কথা বিবেচনা করে আমাদের পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। শব্দদূষণ রোধে সবার আগে জরুরি অত্যাধুনিক হাইড্রোলিক হর্নের ব্যবহার বন্ধ করা। এছাড়া স্কুল বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালকে নীরব এলাকা ঘোষণার পাশাপাশি আইনের যথাযথ প্রয়োগ জরুরি। এদিকে রাতে ঘুমানোর সময় উচ্চস্বরে সাউন্ড বক্স বা মাইক বাজানো নিষিদ্ধ করতে হবে। নির্মাণ কাজে যতটা কম শব্দ করা যায়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এছাড়া সামাজিক সচেতনতা, ব্যক্তি সচেতনতা ও সরকারের কঠোর পদক্ষেপ পারে শব্দদূষণ রোধ করতে।

আব্বাসউদ্দিন আহমদ

মানুষ ফুল হয়ে ফুটবে!

বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ান

উত্তর-মধ্যাঞ্চলে বন্যায় ত্রাণ সহয়তা প্রসঙ্গে

সিলেটকে বন্যামুক্ত রাখতে প্রকল্প বাস্তবায়ন করুন

ছবি

পলিথিন : পরিবেশের জন্য অশনি সংকেত

তাপপ্রবাহ : পরিবেশের বিরূপ প্রতিক্রিয়া

ছবি

সবজির অস্বাভাবিক দাম

পেকুয়ায় চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

ছবি

শিক্ষার্থীর মানসিক স্বাস্থ্য

উত্তরাঞ্চলে বন্যা

রাস্তায় নির্মাণ সামগ্রী কেন?

ছবি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজট

নতুন ব্রিজ চাই

স্পিডব্রেকার ও ট্রাফিক পুলিশ চাই

ছবি

ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির ভবিষ্যৎ

অননুমোদিত মিনারেল ওয়াটার

নারী উদ্যোক্তাদের পাশে দাঁড়ান

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা

দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা জরুরি

প্রক্রিয়াজাত খাবারে শিশুর বিপদ

ছবি

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেষ্ট হোন

ছবি

কৃষি এগিয়ে নিতে বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নিতে হবে

ছবি

ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক সমস্যার সমাধান চাই

ছবি

মধ্যপ্রাচ্য সংকট

লক্ষ্মীপুরে রেলপথ চাই

ছবি

তৈলারদ্বীপ সেতুর টোল প্রসঙ্গে

সরকারি চাকরির বয়স প্রসঙ্গে

পরোক্ষ ধূমপান

ছবি

বিশ্ববিদ্যালয় : জ্ঞানের সূতিকাগার নাকি হত্যাপুরী

বেকারত্বের বেড়াজালে শিক্ষিত তরুণ সমাজ

ছবি

শরতে কাশফুলের সৌন্দর্যে প্রকৃতির নতুন রূপ

ছবি

ব্যাংক লেনদেন ও অফিস সময় প্রসঙ্গে

ডেঙ্গুর আবাসস্থল ধ্বংস করা হোক

ছবি

কেমন আছে জাতীয় ফুল শাপলা

ছবি

ই-টিকিট বাধ্যতামূলক করুন

ক্যাম্পাসে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য সুপরিকল্পিত টয়লেট চাই

tab

পাঠকের চিঠি

শব্দদূষণ রোধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে

বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪

রাজধানী ঢাকা শহরের ১৭টি নীরব এলাকা হাসপাতালের সামনের সড়কের শব্দ দূষণের মাত্রা নির্ণয় করে দেখা গেছে, সেখানে সর্বনিম্ন ৬৯.৭ ডেসিবল এবং সর্বোচ্চ ৮৯.৯ ডেসিবল। যেখানে নীরব এলাকার জন্য শব্দের আদর্শ মান দিনের বেলায় থাকার কথা ৫০ ডেসিবল। অত্যাধুনিক গাড়ির হর্নের শব্দে বধির হওয়ার পথে সাধারণ মানুষ বাদ যাচ্ছে না ছোট্ট শিশুরা। রাস্তায় চলতে ফিরতে অযথা হর্ন বাজায় অনেকে। কেউ আবার হর্ন ধরে রাখেন দীর্ঘক্ষণ।

হর্ন বাজানো যেন ছেলেখেলা। এই খেলা যে অনেকের জীবন মৃত্যুর কাছাকাছি নিয়ে যায়, তা হয়তো হর্ন ব্যবহারকারীরা জানেন ও না। ছোট্ট শিশুরা প্রতিদিন সকাল হলেই স্কুলে ছুটছে। এদিকে স্কুলের সামনে দিয়ে চলা যানবাহন জ্যামে বসে হাইড্রোলিক হর্ন বাজাতে থাকে। এতে যেমন পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে তেমনি শ্রবণ শক্তি হারাচ্ছে শিশুরা। হর্ন বন্ধ হচ্ছে না হাসপাতালের সামনের রাস্তায়ও। অসুস্থ রোগীর কথা ভাবছে না তারা। অ্যাম্বুলেন্সের হর্ন প্রাইভেট গাড়ির হর্ন, বাসের হর্ন বেপরোয়া মোটরসাইকেলের হর্ন যা কারোর শ্রবণ শক্তি নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট। উড়োজাহাজ কিংবা ফাইটার প্লেনের শব্দে ঘুম থেকে আঁতকে উঠছে দুধের শিশুরা বেপরোয়া হর্নের শব্দে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সমুদ্রের প্রাণীরা। অতিরিক্ত শব্দের ভেতর থাকলে হাইপার টেনশন, হৃদরোগ, মাথাব্যথা, স্মরণশক্তি কমা, স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যার মতো কঠিন রোগে ভুগতে হতে পারে। এছাড়া ১২০ ডেসিবল শব্দ আপনার কান নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট। তাই শব্দ দূষণের ভয়াবহতার কথা বিবেচনা করে আমাদের পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। শব্দদূষণ রোধে সবার আগে জরুরি অত্যাধুনিক হাইড্রোলিক হর্নের ব্যবহার বন্ধ করা। এছাড়া স্কুল বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালকে নীরব এলাকা ঘোষণার পাশাপাশি আইনের যথাযথ প্রয়োগ জরুরি। এদিকে রাতে ঘুমানোর সময় উচ্চস্বরে সাউন্ড বক্স বা মাইক বাজানো নিষিদ্ধ করতে হবে। নির্মাণ কাজে যতটা কম শব্দ করা যায়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এছাড়া সামাজিক সচেতনতা, ব্যক্তি সচেতনতা ও সরকারের কঠোর পদক্ষেপ পারে শব্দদূষণ রোধ করতে।

আব্বাসউদ্দিন আহমদ

back to top