রাজধানী ঢাকা শহরের ১৭টি নীরব এলাকা হাসপাতালের সামনের সড়কের শব্দ দূষণের মাত্রা নির্ণয় করে দেখা গেছে, সেখানে সর্বনিম্ন ৬৯.৭ ডেসিবল এবং সর্বোচ্চ ৮৯.৯ ডেসিবল। যেখানে নীরব এলাকার জন্য শব্দের আদর্শ মান দিনের বেলায় থাকার কথা ৫০ ডেসিবল। অত্যাধুনিক গাড়ির হর্নের শব্দে বধির হওয়ার পথে সাধারণ মানুষ বাদ যাচ্ছে না ছোট্ট শিশুরা। রাস্তায় চলতে ফিরতে অযথা হর্ন বাজায় অনেকে। কেউ আবার হর্ন ধরে রাখেন দীর্ঘক্ষণ।
হর্ন বাজানো যেন ছেলেখেলা। এই খেলা যে অনেকের জীবন মৃত্যুর কাছাকাছি নিয়ে যায়, তা হয়তো হর্ন ব্যবহারকারীরা জানেন ও না। ছোট্ট শিশুরা প্রতিদিন সকাল হলেই স্কুলে ছুটছে। এদিকে স্কুলের সামনে দিয়ে চলা যানবাহন জ্যামে বসে হাইড্রোলিক হর্ন বাজাতে থাকে। এতে যেমন পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে তেমনি শ্রবণ শক্তি হারাচ্ছে শিশুরা। হর্ন বন্ধ হচ্ছে না হাসপাতালের সামনের রাস্তায়ও। অসুস্থ রোগীর কথা ভাবছে না তারা। অ্যাম্বুলেন্সের হর্ন প্রাইভেট গাড়ির হর্ন, বাসের হর্ন বেপরোয়া মোটরসাইকেলের হর্ন যা কারোর শ্রবণ শক্তি নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট। উড়োজাহাজ কিংবা ফাইটার প্লেনের শব্দে ঘুম থেকে আঁতকে উঠছে দুধের শিশুরা বেপরোয়া হর্নের শব্দে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সমুদ্রের প্রাণীরা। অতিরিক্ত শব্দের ভেতর থাকলে হাইপার টেনশন, হৃদরোগ, মাথাব্যথা, স্মরণশক্তি কমা, স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যার মতো কঠিন রোগে ভুগতে হতে পারে। এছাড়া ১২০ ডেসিবল শব্দ আপনার কান নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট। তাই শব্দ দূষণের ভয়াবহতার কথা বিবেচনা করে আমাদের পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। শব্দদূষণ রোধে সবার আগে জরুরি অত্যাধুনিক হাইড্রোলিক হর্নের ব্যবহার বন্ধ করা। এছাড়া স্কুল বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালকে নীরব এলাকা ঘোষণার পাশাপাশি আইনের যথাযথ প্রয়োগ জরুরি। এদিকে রাতে ঘুমানোর সময় উচ্চস্বরে সাউন্ড বক্স বা মাইক বাজানো নিষিদ্ধ করতে হবে। নির্মাণ কাজে যতটা কম শব্দ করা যায়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এছাড়া সামাজিক সচেতনতা, ব্যক্তি সচেতনতা ও সরকারের কঠোর পদক্ষেপ পারে শব্দদূষণ রোধ করতে।
আব্বাসউদ্দিন আহমদ
বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪
রাজধানী ঢাকা শহরের ১৭টি নীরব এলাকা হাসপাতালের সামনের সড়কের শব্দ দূষণের মাত্রা নির্ণয় করে দেখা গেছে, সেখানে সর্বনিম্ন ৬৯.৭ ডেসিবল এবং সর্বোচ্চ ৮৯.৯ ডেসিবল। যেখানে নীরব এলাকার জন্য শব্দের আদর্শ মান দিনের বেলায় থাকার কথা ৫০ ডেসিবল। অত্যাধুনিক গাড়ির হর্নের শব্দে বধির হওয়ার পথে সাধারণ মানুষ বাদ যাচ্ছে না ছোট্ট শিশুরা। রাস্তায় চলতে ফিরতে অযথা হর্ন বাজায় অনেকে। কেউ আবার হর্ন ধরে রাখেন দীর্ঘক্ষণ।
হর্ন বাজানো যেন ছেলেখেলা। এই খেলা যে অনেকের জীবন মৃত্যুর কাছাকাছি নিয়ে যায়, তা হয়তো হর্ন ব্যবহারকারীরা জানেন ও না। ছোট্ট শিশুরা প্রতিদিন সকাল হলেই স্কুলে ছুটছে। এদিকে স্কুলের সামনে দিয়ে চলা যানবাহন জ্যামে বসে হাইড্রোলিক হর্ন বাজাতে থাকে। এতে যেমন পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে তেমনি শ্রবণ শক্তি হারাচ্ছে শিশুরা। হর্ন বন্ধ হচ্ছে না হাসপাতালের সামনের রাস্তায়ও। অসুস্থ রোগীর কথা ভাবছে না তারা। অ্যাম্বুলেন্সের হর্ন প্রাইভেট গাড়ির হর্ন, বাসের হর্ন বেপরোয়া মোটরসাইকেলের হর্ন যা কারোর শ্রবণ শক্তি নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট। উড়োজাহাজ কিংবা ফাইটার প্লেনের শব্দে ঘুম থেকে আঁতকে উঠছে দুধের শিশুরা বেপরোয়া হর্নের শব্দে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সমুদ্রের প্রাণীরা। অতিরিক্ত শব্দের ভেতর থাকলে হাইপার টেনশন, হৃদরোগ, মাথাব্যথা, স্মরণশক্তি কমা, স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যার মতো কঠিন রোগে ভুগতে হতে পারে। এছাড়া ১২০ ডেসিবল শব্দ আপনার কান নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট। তাই শব্দ দূষণের ভয়াবহতার কথা বিবেচনা করে আমাদের পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। শব্দদূষণ রোধে সবার আগে জরুরি অত্যাধুনিক হাইড্রোলিক হর্নের ব্যবহার বন্ধ করা। এছাড়া স্কুল বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালকে নীরব এলাকা ঘোষণার পাশাপাশি আইনের যথাযথ প্রয়োগ জরুরি। এদিকে রাতে ঘুমানোর সময় উচ্চস্বরে সাউন্ড বক্স বা মাইক বাজানো নিষিদ্ধ করতে হবে। নির্মাণ কাজে যতটা কম শব্দ করা যায়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এছাড়া সামাজিক সচেতনতা, ব্যক্তি সচেতনতা ও সরকারের কঠোর পদক্ষেপ পারে শব্দদূষণ রোধ করতে।
আব্বাসউদ্দিন আহমদ