alt

পাঠকের চিঠি

বাংলার ক্রিকেটের সফলতার গল্প লিখেছেন যুবারা

: বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলার ক্রিকেটে সফলতার গল্প দিয়ে যতটুকু পরিপূর্ণ তার সবটুকু নিজ হাতে লিখেছেন এদেশের যুবারা। বৈশ্বিক আসরে বিশ্বকাপের মােত শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট অর্জন করা কিংবা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শিরোপা জয়ের সোনালি হাসি উপহার দিয়েছেন যুবারা। বাংলাদেশে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী, গেল কয়েক দশকেও জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি বিন্দুমাত্র। ক্রিকেটকে ঘিরে বাংলাদেশের ভক্ত সমর্থকদের মধ্যে যেন উন্মাদনার শেষ নেই, বস্তি থেকে পাঁচ তারকা হোটেলে, টঙের দোকান থেকে বড় বড় অট্টালিকা সর্বত্রই যেন ক্রিকেটীয় আলাপচারিতায় সরগরম। গায়ের মোড়ে মোড়ে, শহরের অলিতে-গলিতে চায়ের কাপে ক্রিকেট নিয়ে তর্ক-বিতর্ক ঝড় চলে।

বাংলার ক্রিকেটে পঞ্চপা-বের হাত ধরে সোনালি যুগ শুরু হলেও সফলতার মাপকাঠিতে তা বরাবরই অম্লান। তাদের ঝুলিতে নেই আন্তর্জাতিক কোনো শিরোপা। বাংলা ক্রিকেটের সূর্যোদয়ের গল্পটা লেখা হয়েছে সাকিব আল হাসানের হাত ধরে। তিনি বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের পতাকাটা উচু করেছেন, দেখিয়েছেন কিভাবে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশ থেকে নেতৃত্ব দেয়া যায় বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা যায়। ও এক যুগ ধরে তিন ফরমেটে বিশ্বসেরা তকমা গায়ে জড়ালেও দেশের হয়ে বয়ে আনতে পারেননি কোনো শিরোপা। ঠিক এখানেই দেশকে অনন্য উচ্চতায় বসিয়েছেন এদেশের যুবারা। বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশ জাতীয় দল যেখানে সর্বোচ্চ কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পেরেছে। সেখানে অনূর্ধ্ব ১৯ দল তিনবার কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার গৌরব অর্জন করেন। সেমিফাইনালে খেলেছেন একবার। ২০২০ সালে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়া সুবর্ণ সুযোগ। চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে ভাসে সমগ্র দেশ।

আঞ্চলিক টুর্নামেন্ট এশিয়া কাপে তিনবার ফাইনাল খেলেও সফলতার মুখ দেখেনি বাংলাদেশ জাতীয় দল। এখানেও প্রাপ্তির হাসি উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশের যুবারা। ব্যাক টু ব্যাক অনুর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। ভারতের দম্ভকে গুঁড়িয়ে দিয়ে এবার সিংহাসনের চূড়ায় নিজেদের অধিষ্ঠিত করেছেন।

জুবায়েদ মোস্তফা

শিক্ষার্থী, লোক প্রশাসন বিভাগ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

মানবতার দেয়াল

মানবতার দেয়াল এক ধরনের সাহায্য মাধ্যম, যার মাধ্যমে অসহায় সহায়সম্বলহীন নিঃস্ব মানুষেরা সেবা পেয়ে থাকে। যেখানে দাতা এবং দান গ্রহীতার পরিচয় অজানা থাকে।

মানবতার দেয়াল মানুষকে মানবিক হতে শেখায়। ব্যবহার উপযোগী জিনিসপত্র নষ্ট হচ্ছে না বরং অন্য কেউ ব্যবহার করে উপকৃত হচ্ছে। একজনের নিকট অপ্রয়োজনীয়, ফেলে রাখা অব্যবহৃত মালামাল, অন্যের নিকট প্রয়োজনীয় হতে পারে। ব্যক্তি কর্তৃক ব্যবহৃত পুরাতন অর্ধপুরাতন সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত হয় মানবতার দেয়ালে। অসহায় মানুষের কথা বিবেচনা করে সামর্থ্যবানরা নিজের পুরাতন কাপড়চোপড়, বই, আসবাবপত্র একটি নিদিষ্ট দেয়ালের সামনে রেখে দেয়। যাদের এই জিনিসগুলো প্রয়োজন তারা সেখান থেকে নিজেদের জন্য সংগ্রহ করতে পারে। আমরা যখন বৈষম্যবিহীন, আর্দশ সমাজ নির্মাণ করতে চাই তখন সমাজের সকল স্তরে নজর দেওয়ার প্রয়োজন হয়। প্রতিটি স্তরের সাথে কানেকশন তৈরি করার প্রয়োজন পড়ে। সামাজিক অসমতা যত দ্রুত কমানো যায়, সমাজে পরস্পরে মনোভাব পরিবর্তন আসা শুরু করে। মানবতার দেয়াল মূলত মানুষকে দান করতে উদ্ভদ্ধ করে এবং স্বেচ্ছাসেবার জন্য অনুপ্রেরণা জাগায়।

আহাম্মদ উল্লাহ

ঢাকা কলেজ।

উন্নত স্বাস্থ্যব্যবস্থা গড়তে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফার্মাসিস্ট

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সকল স্তরের নাগরিকের অন্যতম প্রধান দাবি হয়ে উঠেছে দেশীয় চিকিৎসাসেবার উন্নতি ও মানসম্মত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা। তার প্রেক্ষিতে রোগীদের বাংলাদেশমুখী ও বিদেশ নির্ভরতা কমাতে বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা প্রাইভেট হাসপাতালের মত সরকারি হাসপাতালের আউটডোর সেবা ২৪ ঘন্টা চালু রাখতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন উন্নত বিশ্বের আদলে রেজিস্টার্ড ফার্মাসিস্টের মাধ্যমে ওষুধ তত্ত্বাবধান করতে হবে। আমরা জানি রোগীদের চিকিৎসা ব্যয়ের অনেকটাই চলে যায় ওষুধের ব্যয় মেটাতে। সে কারণে সরকারি হাসপাতালের ফার্মেসীতে রোগীর চাপ তুলনামূলকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এখানে ওষুধের সরবরাহ বৃদ্ধি করতে হবে এবং ফার্মাসিস্টদের পদসংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। আবার সঠিক চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন নির্ভুল রোগ নির্ণয়।

কিন্তু এই কাজটি দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে তেমন হয়না বিধায় মানুষ বাধ্য হয়ে বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও প্রাইভেট হাসপাতালে টেস্ট করাতে বাধ্য হয়। উদাহরণস্বরূপ রক্তের গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা ঈইঈ করতে সরকারিতে যেখানে ১৫০ টাকা খরচ হয় ঠিক সেই টেস্ট প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে করতে ৪০০ টাকা লাগে। কিন্তু বাংলাদেশের অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালগুলোতে সাধারণ কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা সম্ভব হয় না কতৃপক্ষের সদিচ্ছা ও ডঐঙ-এর গাইডলাইন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট না থাকার কারণে। যদি এখানে পর্যাপ্ত মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগ দেয়া যায় তবে রোগীরা সকল প্যাথলজিক্যাল, ইমেজিং, সিটি স্কান এমআরইসহ জটিল ও ব্যয়বহুল টেস্টগুলো করতে পারবে নামমাত্র মূল্যে। কিন্তু গত ১৫ বছর ধরে এই সেক্টরকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করে রাখা হয়েছে।

জনগণের ট্যাক্সের টাকায় কেনা বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার যন্ত্রপাতি বাক্সবন্দী ও অকেজো করে রাখা হয়েছে। যার সুযোগটি নিচ্ছে সরকারি হাসপাতালের আশেপাশে গড়ে ওঠা বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার। কিন্তু সেখানেও টেস্ট বাণিজ্য ও কমিশন বাণিজ্যের প্রভাবে রোগ নির্ণয় নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছে না। বিশেষ করে এক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এক রিপোর্ট আরেক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আরেক রিপোর্টের ফলাফল আসছে। বাধ্য হয়ে রোগীরা দেশীয় চিকিৎসা ব্যবস্থার উপর অনাস্থা জ্ঞাপন করে বিদেশমুখী হচ্ছে। এতে যেমন একদিকে দেশের বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে চলে যাচ্ছে অন্যদিকে দেশের চিকিৎসা সেবার মান তলানিতে পড়ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তোলনের উপায় হলো সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা আমূল পরিবর্তনের উপর জোর দিতে হবে। এখানে ওষুধ কমিশন বন্ধ করতে হবে এবং টেস্ট বাণিজ্য বন্ধ করে সকল পরীক্ষা নিরীক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। বর্তমান সরকারের কাছে অনুরোধ দয়া করে আপনারা চিকিৎসা সেবার অন্যতম প্রাণভোমরা ফার্মাসিস্ট ও মেডিকেল টেকনোলজিস্টকে তাদেরকে প্রাপ্য সম্মানটুকু দিয়ে কাজে লাগান। দেখবেন স্বনির্ভর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়তে এরাই হবে বাংলাদেশের চিকিৎসাসেবা পরিবর্তনে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত।

মোতাছিম বিল্লাহ মুন্না

ফার্মাসিস্ট

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বালিয়াকান্দি, রাজবাড়ী

জলবায়ু পরিবর্তন : বাংলাদেশের বর্তমান সংকট ও অভিযোজনের চ্যালেঞ্জ।

জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমান বিশ্বের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য এই সংকট আরও বেশি তীব্র। ভৌগোলিক অবস্থান, নিম্ন সমুদ্রপৃষ্ঠ এবং অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতার কারণে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে একটি। বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ এই দেশটি প্রতিবছর বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, নদীভাঙন, লবণাক্ততার বিস্তারসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হচ্ছে। এসবের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব, যা মানুষের জীবন, সম্পদ এবং দেশের অর্থনীতির ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে।

বৈশ্বিক তাপমাত্রা ইতোমধ্যে ১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর জন্য মারাত্মক। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো দ্রুত তাপমাত্রা বৃদ্ধি। তাপমাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে বৃষ্টিপাতের ধরণ পরিবর্তিত হচ্ছে, যা বন্যা এবং খরার মতো বিপর্যয় বাড়িয়ে তুলছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা প্রতি বছর প্রায় ৩ মিলিমিটার করে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের লাখো মানুষের জন্য বিপদ ডেকে আনছে। ২০৫০ সালের মধ্যে উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় ১৭% এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যেতে পারে, যার ফলে বাস্তুচ্যুত হবে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে লবণাক্ততা বৃদ্ধি এবং খরার প্রভাব সরাসরি কৃষিক্ষেত্রে পড়ছে। কৃষিজমির অবনতি ভবিষ্যতে বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তায় বড় ধরনের হুমকির মুখে পড়বে। তাপমাত্রার অস্বাভাবিক পরিবর্তনের ফলে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু এবং অন্যান্য রোগের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি। একইসঙ্গে, তাপমাত্রাজনিত অসুস্থতা, যেমন ডিহাইড্রেশন এবং তাপমাত্রা সম্পর্কিত হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ছে। জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে। কৃষিতে মিঠাপানির অভাব এবং লবণাক্ততার কারণে ধান উৎপাদন প্রতি বছরে কমে যাচ্ছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, ২০৫০ সালের মধ্যে ধান উৎপাদন ১০-১৫% পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে। প্রতিবছর প্রায় ৫ লাখ মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাদের বাস্তুচ্যুত হয়। এই পরিস্থিতি গ্রামীণ থেকে শহরে জনসংখ্যা চাপ বাড়িয়ে দেয়, যা নগরায়ণের সমস্যাকে তীব্র করে।

বাংলাদেশ জলবায়ু সহনশীল ভবিষ্যতের জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ঘঅচ) কৌশল গ্রহণ করবে। এই পরিকল্পনা কৃষি, পানি ব্যবস্থাপনা, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঝুঁকি হ্রাস এবং পুনর্বাসনে বিশেষ মনোযোগ দিচ্ছে। এছাড়াও, ২০০৯ সালে গৃহীত বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ স্ট্যাটেজি অ্যান্ড অ্যাকশন প্ল্যান (ইঈঈঝঅচ) জলবায়ু অভিযোজনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি। এছাড়া বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড (ইঈঈঞঋ) গঠন করে নিজস্ব তহবিলের মাধ্যমে জলবায়ু প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এই প্রকল্পে উপকূলীয় বাঁধ নির্মাণ ও উন্নয়ন, বনায়ন কর্মসূচি, সাইক্লোন শেল্টার স্থাপন, এবং জলবায়ু সহনশীল কৃষি প্রযুক্তি উন্নয়নসহ নানা কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। বিভিন্ন বৈশ্বিক ফোরামে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। আন্তর্জাতিকভাবে প্যারিস চুক্তি এবং অন্যান্য জলবায়ু আলোচনায় সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ উন্নত দেশগুলোকে কার্বন নিঃসরণ কমাতে চাপ দিচ্ছে।

বাংলাদেশের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং পর্যাপ্ত অর্থায়নের অভাব উন্নয়নকে ব্যাহত করছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বৈশ্বিক কারণেও বাংলাদেশকে বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়।

তবে, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এবং টেকসই উন্নয়ন কৌশল গ্রহণের মাধ্যমে এই সংকট মোকাবিলা সম্ভব। বাংলাদেশকে প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধি, বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা আরও জোরদার করতে হবে। জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং তরুণ প্রজন্মকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সম্পৃক্ত করাও অত্যন্ত জরুরি।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বাংলাদেশে গভীরভাবে অনুভূত হলেও, এর মোকাবিলায় গৃহীত পদক্ষেপগুলো একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তবে এই লড়াই আরও কার্যকর করতে প্রয়োজন সমন্বিত পরিকল্পনা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার শক্তিশালী ভিত্তি।

স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কার্যকর সহযোগিতা এবং টেকসই উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে এ সংকটের সমাধান সম্ভব। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে এ লড়াই শুধু বাংলাদেশের নয় বরং বৈশ্বিক অগ্রগতির জন্য অপরিহার্য।

মালিহা মেহনাজ

শিক্ষার্থী

শিক্ষা ও গবেষণা ইনিস্টিউট

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

গ্যাস সংকট

ঢাকা শহরের গ্যাস সরবরাহ ব্যবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে একটি গুরুতর সমস্যা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যা দিনে দিনে আরও জটিল হয়ে উঠেছে। সরকার যেসব নিয়ম-কানুন নির্ধারণ করেছে, তার যথাযথ বাস্তবায়ন হচ্ছে না। একে কেন্দ্র করে বহু মানুষের অসুবিধা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষত গ্যাস সংযোগের জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যক লাইনের প্রদান এবং বাড়ির মালিকদের পক্ষ থেকে সেটি নিয়ে অব্যবস্থাপনা গ্যাসের সুষম বিতরণে বড় বাধা সৃষ্টি করছে। সরকারি দিক থেকে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সংযোগের জন্য নির্দিষ্ট বিধিমালা রয়েছে। সাধারণত একটি বাসা বা একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক ইউনিটের জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যক গ্যাস লাইন দেওয়া হয়। এই লাইনগুলো মূলত একটি নির্দিষ্ট বাসা বা কমপ্লেক্সের জন্যই বরাদ্দ থাকে। যাতে ঐ বাসার নির্দিষ্ট পরিমাণ গ্যাসের চাহিদা পূরণ হয়। তবে বাস্তবতা হলো অধিকাংশ সময় বাড়ির মালিকরা এই নির্ধারিত লাইনগুলো দিয়ে পুরো বিল্ডিং বা ভবনের গ্যাস সরবরাহ করে থাকেন। একাধিক ফ্ল্যাট বা ইউনিটের জন্য একটি লাইন ব্যবহার করা হয়। যার ফলে অনেকেই প্রয়োজন অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ পায় না। বাড়ির মালিকেরা এই কাজটি মূলত খরচ কমানোর জন্য বা অতিরিক্ত মুনাফার আশায় করে থাকেন। কারণ গ্যাসের বিল মূলত নির্দিষ্ট লাইন অনুসারে গণনা করা হয়। যখন একাধিক পরিবার একটি লাইনের মাধ্যমে গ্যাস ব্যবহার করেন, তখন গ্যাসের চাপ কমে যায় এবং কিছু পরিবার গ্যাস পায় না বা গ্যাসের চাপ এতটাই কমে যায় যে রান্না বা অন্যান্য গ্যাস ব্যবহারের কাজ করাও সম্ভব হয় না। এই অব্যবস্থাপনা শুধু কিছু পরিবারের ক্ষতির কারণ হচ্ছে না, বরং পুরো বিল্ডিংয়ের বাসিন্দাদের জন্য এটি অস্বস্তির সৃষ্টি করছে। অনেক সময় বাসিন্দারা দিনের পর দিন গ্যাসের অভাবে রান্না করতে পারেন না বা গরম পানি ব্যবহার করতে পারেন না। যারা গ্যাসের লাইন সরবরাহ পায় না, তারা অন্য কোন উৎস থেকে গ্যাস কিনতে বাধ্য হন। যা তাদের আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

গ্যাসের এই অব্যবস্থাপনা দূর করতে সরকার কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে। যেমন:- নির্দিষ্ট সংযোগের উপর কঠোর নজরদারি। সেইসব বাড়ির মালিকদের বিরুদ্ধে সরকারি কর্তৃপক্ষকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে যারা একটি লাইন দিয়ে একাধিক ইউনিটে গ্যাস সরবরাহ করছেন। গ্যাস সরবরাহের চাপ ঠিকভাবে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা এবং প্রয়োজনে চাপ বৃদ্ধি করা। বাসিন্দাদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা, যাতে তারা গ্যাসের সুষম ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারে। নতুন গ্যাস সংযোগ দেওয়ার সময় নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী সংযোগ দেওয়া এবং ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বেশি লাইন প্রদান করা। অসৎ মালিকদের শাস্তির আওতায় আনা। ঢাকা শহরের গ্যাস সরবরাহ ব্যবস্থা এবং ব্যবহার সংক্রান্ত বর্তমান সমস্যা শুধু সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য নয়,বরং পুরো সমাজের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গ্যাস ব্যবহারের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করতে হলে মালিক পক্ষের অব্যবস্থাপনা বন্ধ করতে হবে এবং সরকারের পক্ষ থেকে শক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে।

শহিদুজ্জামান শাকিল

শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ

অতিরিক্ত ভাড়া বন্ধ হোক

পাবনা জেলার অন্তর্গত সুজানগর উপজেলা নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের দীর্ঘদিন যাবৎ নাজিরগঞ্জ ফেরিঘাট থেকে ধাওয়াপাড়া ফেরিঘাট পর্যন্ত ভাড়া বৃদ্ধি জনিত দুর্নীতি বেড়ে গিয়েছে। যেখানে স্পিডবোটের সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়া ৮০ টাকা, নৌকার ভাড়া ৫০ টাকা, টোল ৫ টাকা বাবদ মোট ভাড়া ৫৫ টাকা হয় কিন্তু তারা নেয় ৭০ টাকা। এমনকি যদি আর নৌকা না ছাড়ার সিডিউল থাকে তখন অন্য নৌকায় যাওয়ার জন্য টিকিটের ৭০ টাকা দেওয়ার পরেও ১০/২০ টাকা আলাদাভাবে নৌকার মাঝিকে দিতে হয়। আবার স্পিডবোটের নির্ধারিত ভাড়া ৮৫ টাকা কিন্তু তারা সেখানে ১২০ টাকা নেয়। এমনকি মাঝে মাঝে ১৫০ টাকা পরিমাণও নিয়ে থাকে।

এছাড়াও যাত্রীদের ১০ মিনিটের কথা বলে ১ ঘণ্টার বেশি সময় পরে নৌকা ছাড়ে।

আবার ধাওয়াপাড়া থেকে নৌকা না ছেড়ে স্পিড বোটে আসতে বাধ্য করে তখন স্পিড বোটের ভাড়া নেয় ১৫০ টাকা। যেখানে নাজিরগঞ্জ থেকে ধাওয়াপাড়া যেতে সময় লাগে মাত্র দশ মিনিট। মাত্র দশ মিনিটের পথে অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়টি মোটেও কাম্য নয়। এছাড়াও বিষয়টি অনেক যাত্রীর জন্যই কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। একদিকে সাধারণ যাত্রীদের অতিরিক্ত টাকা প্রদানের হয়রানির শিকার অন্যদিকে নির্ধারিত সময়ে নৌকা না ছাড়ায় প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।

পূর্বে এ ব্যাপারে সাধারণ জনগণ তাদের এ চরম দুর্ভোগের কথা জানালেও এখন পর্যন্ত এর স্থায়ী সমাধান মেলেনি। তাই এই জনদুর্ভোগ কমাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং কার্যকর পদক্ষেপ কামনা করছি।

ইসমা খাতুন।

রায়পুরে সড়কের সংস্কার চাই

লক্ষ্মীপুর জেলার ঐতিহ্যবাহী একটি উপজেলা রায়পুর। অর্থনীতি, রাজনীতি ও সামাজিক ভাবে সুশৃঙ্খল রায়পুরের বেশিরভাগ রাস্তার অবস্থাই বেহাল। বিশেষ করে রায়পুরের পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান রোড। যেটি রায়পুর উপজেলা রোড নামেও পরিচিত। রাস্তাটির অবস্থা খুবই বেহাল। এটি একটি জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। তাই প্রতিদিন হাজারো মানুষের যাতায়াত এই রাস্তাকে ঘিরে। বর্ষার সময় অসহনীয় জনদূর্ভোগের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা এই বিষয়ে কয়েকবার আবেদন জানালেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। সাধারন মানুষ এই দুর্ভোগে অতিষ্ঠ। প্রতিদিন ধুলাবালিকে সাথে নিয়েই চলতে হচ্ছে জনসাধারণকে।

অতি দ্রুত রাস্তাটির সংস্কার করা দরকার। পশ্চিমাঞ্চল বানিজ্যিক ভাবে রায়পুরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। রায়পুরের পশ্চিমাঞ্চলে বেশ কয়েকটি নদী কেন্দ্রীক পর্যটনকেন্দ্র রয়েছে। যেখানে লক্ষীপুর ছাড়াও আশেপাশের জেলা থেকে পর্যটক আসে। রাস্তায় সৃষ্ট দুর্ভোগের ফলে পর্যটকেরা যাওয়ার আগ্রহ কমিয়ে ফেলছে। এ বিষয়ে সড়ক বিভাগ ও রায়পুর পৌর প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করা উচিত। পাশাপাশি রায়পুরের বাকী সড়ক গুলোও দ্রুততার সাথে সংস্কার করা জরুরি। জনগনের সমস্যা দূরীকরণের মাধ্যমেই গড়ে উঠবে আশা-আকাক্সক্ষার ও স্বপ্নের বাংলাদেশ।

সাজ্জাদুল ইসলাম ইয়ামিন

পর্যটকদের নিরাপত্তা

বিজয় দিবসে বা বড়দিনে কোথায় যাবেন? ঢাকায় থাকলে, বোটানিক্যাল গার্ডেন। আর বাইরে যেতে চাইলে, কুয়াকাটা নাকি কক্সবাজার? এবং প্রত্যেকবারের মতো এবারেও হাতে ক্রিসমাস ইভ বা বড়দিনে সমুদ্রে নানা পর্যটকদের কোন দুর্ঘটনার মুখে না পড়তে হয়, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ নিশ্চয়ই নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন করার কথা ভাবছেন। আমাদের মতে, প্রাথমিক ভাবনা অনুযায়ী স্পিডবোট নামানো প্রয়োজন। সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত স্নানের সময় সমুদ্রে টহল দেয়া উচিত স্পিডবোটগুলোকে। বসানো উচিত সিসি ক্যামেরা। সমুদ্র সৈকতের আশেপাশে যে রাস্তা রয়েছে ও সৈকত সরণিতে লাগানো প্রয়োজন ক্যামেরা। ওয়াচ টাওয়ারের মাথাতেও বসানো উচিত নজরদারি ক্যামেরা। সারাক্ষণ ক্যামেরা চলবে এবং ওই টিভিগুলোর ফুটেজ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতির পরিকল্পনাও থাকা উচিত।

সমুদ্রে স্নান করতে গিয়ে ডুবে যাওয়ার মুহূর্তে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কী কী করতে হবে, এ ব্যাপারে একটা মহড়া হতে পারে। সমুদ্রে নতুন স্পিডবোট নামানো হলে পর্যটকরাও খুশি হবে, কেননা স্পিডবোটগুলো থাকলে বা সেগুলো ব্যবহার করার সঙ্গে সঙ্গে, কীভাবে উদ্ধার করতে হবে পানি থেকে পর্যটকদের, এসব নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার খবর শুনলে স্থানীয় হোটেল কর্তৃপক্ষও খুশি হবেন অবশ্যই। সবার ধারণা, এমন নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা গেলে আরও বেশি পর্যটক কুয়াকাটা ও কক্সবাজারে যাওয়ার জন্য নিজেদের উৎসাহিত করতে পারবেন। সমুদ্রে টহল দেয়ার জন্য স্পিডবোট নামানো হলে একদিকে পর্যটকরা যেমন নিরাপত্তা পাবেন, অপরদিকে কক্সবাজারের আকর্ষণ যাবে আরও বেড়ে।

লিয়াকত হোসেন খোকন,

রূপনগর, ঢাকা, বাংলাদেশ।

প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সংগ্রাম

বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ দিতে কোটা পদ্ধতি চালু করেছে, যা প্রশংসনীয়। কিন্তু তাদের চলাচল ও শিক্ষার পরিবেশ এখনও পর্যাপ্ত সহায়ক নয়। বিশেষত, তাদের যাতায়াত ব্যবস্থা এক বড় চ্যালেঞ্জ। অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা ট্রান্সপোর্ট নেই, বাসে বিশেষ সিট থাকলেও সেটি অন্যরা দখল করে থাকে।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শহর থেকে অনেক দূরে হওয়ায় ক্যাম্পাসে যাতায়াতের সময় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সম্মুখীন হতে হয় অমানবিক পরিস্থিতির। সম্প্রতি এমন একটি ঘটনার সাক্ষী হয়েছি, যেখানে এক প্রতিবন্ধী ছাত্র, যার হাত নেই, দাঁড়িয়ে ছিল। কেউই তাকে নিজের আসন ছেড়ে দেয়নি। এটি শুধু মানবিকতার অভাব নয়, বরং আমাদের সামাজিক দায়িত্বের ব্যর্থতা।

এমন পরিস্থিতি রোধে আমাদের সচেতনতা বাড়াতে হবে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনের উদ্যোগে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা বাস বা চলাচলের বিশেষ ব্যবস্থা চালু করা জরুরি। বাসে বিশেষ চিহ্নিত আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি পরিচালনা করা যেতে পারে।

আমাদের ব্যক্তিগতভাবে সচেতন হতে হবে। প্রতিটি প্রতিবন্ধী ব্যক্তি আমাদের মতোই এক সমাজের অংশ। তাদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া এবং প্রয়োজনে সাহায্যের হাত বাড়ানো মানবিকতার মূল দিক। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষার্থী এবং সমাজের সম্মিলিত উদ্যোগই পারে তাদের জন্য একটি সহানুভূতিশীল ও সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে।

মিজানুর রহমান

ইংরেজি বিভাগ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া

বাণিজ্য মুক্ত হোক সান্ধ্যকোর্স

বাংলাদেশের মোট শিক্ষার্থীর একটি বৃহৎ অংশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পায় না। তাই বলে এই বৃহৎ সংখ্যক শিক্ষার্থী এবং কর্মরত জনগণ কে কোনো ভাবেই তাদের কাক্সিক্ষত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করার প্রশ্ন বা যুক্তি আসে না। তবে অনেকেই বলবেন, এক্ষেত্রে দিবাকোর্সের শিক্ষার্থীদের অভাবনীয় ক্ষতি পূরণের দায়িত্ব কে নিবে? হ্যাঁ এক্ষেত্রে অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয় মুঞ্জুরি কমিশনের একটি নায্য আইন প্রতিষ্ঠা করার কোনো বিকল্প নেই। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক যদি সামান্য অর্থের লোভ থেকে নিজেকে সামলাতে না পারেন, সান্ধকোর্সের পার্টটাইম কে ফুলটাইম করে তোলেন কিংবা এখানে সেখানে পড়ান তাহলে সেই শিক্ষক তার মানবিক জীবনে পঙ্গু এবং অকিঞ্চিৎকর মানসিকতায় উপবিষ্ট হবেন। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি শিক্ষকের কাছ থেকে কখনই আশা করা কাম্য নয়।

শিক্ষকরা যাতে কোনো ভাবেই সান্ধ্যকোর্সের অর্থের লোভে ঝুঁকতে না পারে সেক্ষেত্রে একটি রাষ্ট্রীয় নীতিমালা এখন সময়ের দাবি। আর সান্ধ্যকালীন কোর্সের নামে রমরমা বাণিজ্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কঠোর হাতে বন্ধ করা উচিত। এই বাণিজ্য শিক্ষাকে কলুষিত করে, প্রশ্নবিদ্ধ করে। দেশ যখন স্বাধীনতার জোয়ারে ভাসছে তখন কেন টাকা দিয়ে শিক্ষা কিনতে হবে? সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলে শিক্ষা অবশ্যই নামমাত্র মূল্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। সকল শ্রেণীর সব শিক্ষার্থী তাদের কাক্সিক্ষত ডিগ্রি, উচ্চতর পড়াশোনা ও ভাষা শিক্ষা অর্জনের সুযোগ সুবিধা পাবে। কারণ দেশে বহু বিচিত্র বিষয়ের শিক্ষার্থী আছেন তাদের প্রয়োজন ও পেশাদারিত্বের তাগিদে সান্ধ্যকোর্সের একটি ডিগ্রি রাষ্ট্রকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু সান্ধকোর্সে ভর্তির যে বিশাল টাকার অংক তা অনেক শিক্ষার্থীর জন্য স্বপ্নভঙ্গের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাছাড়া সান্ধ্যকোর্স এখন বিশ্বের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি নির্দিষ্ট ইন্সটিটিউট থাকবে সেখানে সান্ধ্যকোর্স চালু থাকবে। যাতে দিবা কোর্সের শিক্ষার্থীদের কোনো ক্ষতি না হয়। সান্ধ্যকোর্স কে বাদ দিয়ে কোনো সিদ্ধান্তই যৌক্তিক হতে পারে না কারণ সান্ধ্যকোর্সের মাধ্যমে চাহিদাবান শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ গড়ে উঠছে।

ইসতিয়াক আহমেদ হৃদয়

শিক্ষার্থী, নওগাঁ সরকারি কলেজ

নকল প্রসাধনীতে স্বাস্থ্যঝুঁকি

মানুষের রূপচর্চার ইতিহাস প্রায় ছয় হাজার বছরের পুরনো। তবে সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য প্রসাধনী ব্যবহারের এই ঐতিহ্য বর্তমানে ভেজাল ও নকল প্রসাধনীর কারণে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী জনপ্রিয় ব্যান্ডের নামে নকল প্রসাধনী তৈরি করে কম দামে বাজারে ছেড়ে দিচ্ছেন। এসব পণ্য ব্যবহারে ত্বকের ক্ষতি, চর্মরোগ এমনকি ক্যান্সারের ঝুঁকিও বেড়ে যাচ্ছে।

গ্রামীণ ও শহরাঞ্চলে নকল প্রসাধনীর ব্যবহার ক্রমশ বাড়ছে। গ্রামের সহজ-সরল মানুষ কম দামে ভালো পণ্য পাওয়ার লোভে বিজ্ঞাপনের ফাঁদে পড়ছে। শহরাঞ্চলেও নকল প্রসাধনীর বাজার বড় আকার ধারণ করেছে।

বাজারে ব্যান্ড ও নন-ব্যান্ড প্রসাধনীর সহজলভ্যতা থাকলেও নকল পণ্যের আধিক্য বেশি। ঢাকার চকবাজার, ইসলামপুর, জিনজিরাসহ বিভিন্ন এলাকায় নকল প্রসাধনী তৈরির কারখানা গড়ে উঠেছে। এসব কারখানায় সস্তা রাসায়নিক দিয়ে তৈরি হচ্ছে শ্যাম্পু, ক্রিম, লিপস্টিক, ফেসওয়াশ এবং চুলের তেল। গ্লিসারিন, লবণ, পাউডার, সুগন্ধি মিশিয়ে তৈরি এসব পণ্য আন্তর্জাতিক মানের বলে বাজারে ছাড়া হয়।

নকল প্রসাধনীতে ব্যবহার করা হয় মার্কারি ও হাইড্রোকুইনোনের মতো ক্ষতিকর রাসায়নিক। এগুলো ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করে, দীর্ঘমেয়াদে চর্মরোগ এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণ প্রসাধনীও দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তবে নকল পণ্য ব্যবহারে ঝুঁকির মাত্রা আরও কয়েকগুণ বেড়ে যায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার তথ্য বলছে, দেশে যে পরিমাণ কসমেটিকসের চাহিদা রয়েছে তার ১৫% পূরণ করছে দেশী কোম্পানি, ১৫% আমদানি পণ্য আর ৭০% নিম্ন মানে ক্ষতিকর উপাদান দিয়ে তৈরি করা নকল প্রসাধনী।

অন্যদিকে চোরাই পথে আনা মানহীন বিদেশি প্রসাধনীও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এসব পণ্য দেশের জলবায়ু ও ত্বকের উপযোগী নয়। এসব ব্যবহারে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এবং চেহারায় স্থায়ী ক্ষতির ঝুঁকি থাকে।

নকল প্রসাধনীর ক্ষতি থেকে বাঁচতে জনগণকে সচেতন হতে হবে। কম দামে প্রলোভনমূলক বিজ্ঞাপনের ফাঁদে পা না দিয়ে মানসম্মত পণ্য কিনতে হবে। পণ্য কেনার সময় বারকোড যাচাই এবং ব্যবহারের পর প্যাকেট বা কৌটা ধ্বংস করা জরুরি।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং বিএসটিআই ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। তবে আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া এই সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। ভেজাল পণ্য দেখলে জনগণকে তাৎক্ষণিকভাবে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

সুস্থ ও নিরাপদ জীবনযাপনের জন্য নকল প্রসাধনী থেকে দূরে থাকা এবং পণ্যের মান যাচাইয়ের অভ্যাস গড়ে তোলা একান্ত প্রয়োজন। জনসচেতনতা ও আইনের প্রয়োগের সমন্বয়ে নকল প্রসাধনী রোধ করা সম্ভব।

ইসরাত ইশা

শিক্ষার্থী মার্কেটিং বিভাগ, রাজশাহী কলেজ

পুকুর ভরাট ও অপরিকল্পিত ব্যবহার

বাংলাদেশে এক সময় পুকুর ছিল গ্রামাঞ্চলের মানুষের পানির অন্যতম উৎস। পুকুরগুলো শুধু পানীয় জল, সেচ ও মাছ চাষের জন্যই ব্যবহৃত হতো না, বরং স্থানীয় পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত। তবে সাম্প্রতিককালে নগরায়ণ, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, এবং অপরিকল্পিত ভূমি ব্যবহারের কারণে পুকুর ভরাটের প্রবণতা বেড়েছে। গ্রামে-শহরে আবাসন, দোকানপাট ও শিল্প স্থাপনের জন্য পুকুরগুলো ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে।

পুকুর ভরাটের ফলে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। জলাভূমি কমে যাওয়ার ফলে পানি ধারণ ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে, যা বন্যা পরিস্থিতি আরও তীব্র করেছে। একই সঙ্গে, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে, ফলে কৃষিকাজ ও দৈনন্দিন জীবনে পানির সংকট তৈরি হচ্ছে। মাছ চাষের সম্ভাবনাও হ্রাস পেয়েছে, যা খাদ্য নিরাপত্তার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

এ অবস্থায়, পুকুর সংরক্ষণে কঠোর আইন প্রয়োগ এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন। পুরনো পুকুরগুলোর পুনরুদ্ধার, নতুন পুকুর খনন, এবং পুকুর সংরক্ষণে প্রণোদনা দেওয়া উচিত। পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা করতে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগগুলো জরুরি।

আবার পুকুর এর সল্পতার জন্য বাংলাদেশের অনেক পুকুরে একসঙ্গে গোসল, মাছ চাষ, কাপড় ধোয়া, এবং গবাদি পশুর গোসল করা হয়। এ ধরনের অপরিকল্পিত এবং বহুমুখী ব্যবহার পুকুরের পানিকে দূষিত করে তুলছে। পুকুরের পানি পরিষ্কার না থাকায় এতে রোগজীবাণুর বিস্তার ঘটে, যা মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

পানির দূষণের ফলে ত্বক রোগ, পেটের পীড়া, টাইফয়েড, এবং পানিবাহিত অন্যান্য রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাছ চাষে ব্যবহার করা রাসায়নিক ও খাবারের অবশিষ্টাংশ পানিতে মিশে দূষণের মাত্রা আরও বাড়িয়ে তোলে। তদুপরি, গবাদি পশুর গোসলের মাধ্যমে বর্জ্য পুকুরে মিশে পানি আরও অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে।

এ সমস্যা সমাধানে পুকুর ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ করা জরুরি। পুকুরের পানি নিয়মিত পরিষ্কার রাখা, মাছ চাষের জন্য আলাদা পুকুর ব্যবহার করা, এবং জনসচেতনতা বাড়ানো দরকার। এ ছাড়া, স্থানীয় প্রশাসন ও জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পুকুর ব্যবহারের সুষ্ঠু নীতি গ্রহণ করা গেলে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য রক্ষায় ইতিবাচক পরিবর্তন সম্ভব।

হালিমা আক্তার হানি, শিক্ষার্থী রাজশাহী কলেজ

অভিভাবকদের প্রতি একটি ছোট্ট নিবেদন

সবে মাত্র বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে শিক্ষার্থীদের। স্কুল- কলেজ ভেদে পরিক্ষা চলমান থাকলেও দুই-এক দিনের মধ্যে শেষ হবে বার্ষিক পরীক্ষা। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা শেষ হলেই পরবর্তী শ্রেণীর পড়া আগে থেকে কমপ্লিট রাখতে অভিভাবকরা আগে থেকেই যুদ্ধে নামিয়ে দেয় সন্তানদের । বিশেষ করে প্রাইমারি এবং মাধ্যমিক লেভেলের পরিক্ষা শেষ হওয়া পর- অভিভাবকরা পরবর্তী শ্রেণীর গণিত, ইংরেজি, বিজ্ঞান বিষয়গুলোতে এগিয়ে রাখতে ডিসেম্বরের বন্ধেও পড়ার জন্য প্রেসার দিয়ে থাকে। সবকিছুর মূলে ভালো রেজাল্ট করতে হবে।

ডিসেম্বরের দিনগুলো শৈশবের জন্য আনন্দঘন দিন।

সারা বছর ধরে পড়াশোনা করার পর একটু হাফ ছেড়ে নিঃশ্বাস নিতে পারে যখন বার্ষিক পরিক্ষা শেষ হয়। ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে ক্লাস করা, স্কুল শেষে প্রাইভেট / কোচিং পড়া, রাত জেগে পড়া কমপ্লিট করে পর দিন আবার স্কুল কলেজ। এই চক্র থেকে সাময়িক মুক্তি মেলে বার্ষিক পরিক্ষা শেষ হলে। গ্রাম অঞ্চলসহ বিশেষ করে শহুরে অভিভাবকরা এই সময়ে সন্তানদের পড়াশোনার পরিবেশ তৈরি করতে চায়। এতে অভিভাবকরা সন্তানের মানসিক বিকাশ নিজের অজান্তেই ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলেন। শিক্ষার্থীরা বিশ্বাস করতে শুরু করে এই (গণিত, ইংরেজি, বিজ্ঞান) বিষয়গুলো কঠিন, আগে থেকে না পড়লে পারা সম্ভব না। মানসিক ভাবে তারা দুর্বল হয়ে যায়। সারাবছর ভীতি কাজ করে। জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের বার্ষিক পরীক্ষার পূর্ব পর্যন্ত ব্যাপক সময়, এ সময়টা সঠিকভাবে কাজে লাগালে পড়াশোনা সঠিকভাবে হবেই তো সেই সাথে অতিরিক্ত জ্ঞান অর্জনেও মনোনিবেশ করা যাবে।

শিক্ষার্থীদের মানসিক সুস্থতা বৃদ্ধি ও বিকাশে অভিভাবকরা বন্ধের এই সময়গুলোতে নানাভাবে ব্যয় করতে পারে। ঘুরতে নিয়ে যাওয়া, বাস্তবমুখী জীবনাচরণ দেখানো-সেখান থেকে তারা জীবন সম্পর্কে মূল্যবান ধারণা যাবে। যেমনঃ শহরের বস্তি বা ছিন্নমূল মানুষের জীবন কাছ থেকে অনুধাবন করানো, কায়িকশ্রমে করে এমন মানুষদের কাজ সম্পর্কে মনোভাবের পরিচয় করিয়ে দেওয়া, স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম শেখানো, জীবনের আসল উদ্দেশ্য কি উদাহরণসহ বুঝিয়ে দিতে পরে ইত্যাদি।

পরিক্ষায় উত্তীর্ণ না কিংবা রেজাল্ট কিছুটা কম আসলে শিক্ষার্থীদের সাথে অশোচনীয় আচরন না করা, এতে শিক্ষার্থী দূর্বল হয়ে যায়। মনের মধ্যে হীনমন্যতা কাজ করে- তাকে দিয়ে কিছুই হবে না।

শৈশব মানুষের মস্তিষ্ক গঠনের আর্দশ সময়। এ সময়টায় মানুষ যা পায়- শিখে, সারা জীবন সেটা আঁকড়ে ধরে। চর্চা করে থাকে। নীতিনৈতিকতা, মূল্যবোধ, আচার-আচরণ, পরোপকার সুলভ মনোভাব গঠনের আর্দশ সময় শৈশবের দিনগুলো।

আহাম্মদ উল্লাহ

শিক্ষার্থী, গণিত বিভাগ, ঢাকা কলেজ।

পাটের বস্তা ব্যবহার অনেকটাই উপক্ষিত

গত ১২ বছরে ও চালের বস্তায় প্লাস্টিকের পরিবর্তে পাটের বস্তা ব্যবহার কার্যকর করা যায়নি। পাট মন্ত্রণালয়ের কার্যকর উদ্যোগ না থাকায় পাটের বস্তা পুরোপুরি ব্যবহার হচ্ছে না। পাটের বস্তা ব্যবহার নিয়ে রাইচ মালিক ও পাইকারি চাল চাল ব্যবসায়ীরা একে অপরের উপর দোষ চাপাচ্ছেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানায়। প্লাস্টিকের চেয়ে পাটের বস্তার দাম অনেক বেশি হওয়ায় ব্যবহারের অনীহা দেখাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। চালের বস্তায় প্লাষ্টিকের পরিবর্তে পাটের তৈরি বস্তা ব্যবহারের জন্য ২০১০ সালে সরকার আইন প্রণয়ন করে। ২০১২ সালে আইন কার্যকর করা হয়।

এরপর পাট অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা চালের মোকামে অভিযান শুরু করেন। কিন্তু তখন অভিযোগ উঠে প্লাষ্টিকের বস্তা তৈরীর জন্য অনেক ব্যবসায়ী প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করে কারখানা তৈরী করেছেন হঠাৎ প্লাষ্টিকের বস্তার ব্যবহার বন্ধ করলে বিনিয়োগকারীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এরপর এক যুগের বেশী সময় অতিক্রান্ত হয়েছে। এখন আর কোন অজুহাতকে পাত্তা না দিয়ে আইনের প্রয়োগ কঠোরভাবে করতে হবে। আইনে রয়েছে যদি চালের বস্তায় প্লাষ্টিকের বস্তা ব্যবহার করা হয় তা হলে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১ বছরের জেল প্রদান করা যাবে। দ্বিতীয়বার একই কাজ করলে দ্বিগুণ অর্থ জরিমানা ও দুই বছরের জেল ভোগ করতে হবে।

আব্বাসউদ্দিন আহমদ

ধোপাদিঘীর দক্ষিণ পাড়

সিলেট

ল্যাম্পপোস্ট মেরামত করুন

জয়পুরহাট সদরের বম্বু ইউনিয়নের বৃহৎ গ্রাম ধারকী। প্রায় ১০ হাজার মানুষের বাস এখানে। ধারকী বাজারের পাশেই শতবর্ষী স্কুল মদনমোহনপুর সঃপ্রাঃবিঃ মোড়ে দীর্ঘদিন থেকে একটি বৈদ্যুতিক ল্যাম্পপোস্ট বিকল হয়ে পড়ে আছে। কয়েক বছর আগে স্থাপিত এ আলোর খুঁটি একসময় আলো দিলেও এখন অকেজো। বাজারের পাশের এ মোড়, বেশ কয়েকটি পাড়ার সংযোগকেন্দ্র । ভ্যান, মোটরসাইকেল, অটোরিকশা সহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। তবে সন্ধ্যার পরে একদম ঘুটঘুটে অন্ধকার হয়ে যায়।

শীতকালে একদম ভুতুড়ে পরিবেশ সৃষ্টি করে। ফলে, বাসিন্দাদের সন্ধ্যার পর বাজারে যাতায়াত বা চলাচলে কষ্ট হচ্ছে। অন্ধকারে যানবাহন চলাচলে দূর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে। তাই, বাজারে নতুন ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন সহ অকেজোগুলো মেরামত করা হলে বাসিন্দারা নির্বিঘেœ যাতায়াত করতে পারবে। দ্রুত এ সমস্যা সমাধানে কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

তাওহীদ ইসলাম সজীব

গণপরিবহনে নারীদের হয়রানি : সমাধান কোথায়

দৈনন্দিন যাত্রা পথে গণপরিবহনে নারীদের হয়রানির অভিযোগ নিত্য দিনের। বাংলাদেশে বিশেষ করে নারীরা বাস, ট্রেনের মতো গণপরিবহনে ভ্রমণকালে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ও মানসিক হয়রানির সম্মুখীন হন। এই সমস্যা শুধু নারী সুরক্ষা নয়, সমগ্র সমাজের নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু পরিবহন ব্যবস্থার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির জরিপ অনুযায়ী, মোট ৩৬ শতাংশ কর্মজীবী নারীর ৮০ ভাগই গণপরিবহনে যাতায়াত করেন এবং তারা অধিকাংশ সময়ে হয়রানির মুখোমুখি হন। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা র্ব্যাক পরিচালিত ‘নারীর জন্য যৌন হয়রানি ও দুর্ঘটনামুক্ত সড়ক’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘দেশের গণপরিবহনে যাতায়াতের সময় ৯৪ শতাংশ নারী মৌখিক, শারীরিক বা অন্য কোনোভাবে যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন।’

পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার কারণে নারীদের ব্যক্তিগত মর্যাদা কে অসম্মান, উপেক্ষা করা বর্তমানে অনেকের কাছে তুচ্ছ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। লিঙ্গবৈষম্যের এই মনোভাব নারীদের সম্মানহানির একটি বড় কারণ।

এছাড়া ও নারীদের এসব হয়রানির জন্য দায়ী আইনের যথাযথ কার্যকর প্রয়োগের অভাব। যৌন হয়রানি সংক্রান্ত আইন থাকলেও এর প্রয়োগ অনেক ক্ষেত্রে অকার্যকর। যার ফলে অপরাধীরা প্রায়ই শাস্তি থেকে রেহাই পায়, যা তাদের একই অপরাধে জড়াতে বারবার উৎসাহিত করে।

একটি গবেষণায় (ঢাকা শহরের পরিবহন নিয়ে) দেখা গেছে যে, ২৫-৩৫ বছর বয়সী পুরুষদের দ্বারা এসব হয়রানি বেশি ঘটে। জাতিসংঘের নারী বিষয়ক একটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ১৫-১৯ বছর বয়সী মেয়েরা সবচেয়ে বেশি তাদের লক্ষ্যবস্তু হয়।

পরিবহন কর্তৃপক্ষ ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের অভাব নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ। রাতের বেলা নিরাপত্তাহীন পরিবেশ নারীদের জন্য আরও ঝুঁকিপূর্ণ।

নারীদের জন্য নিরাপদ পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা শুধু তাদের অধিকারই নয়, এটি একটি নিরাপদ এবং সম্মানজনক সমাজ গড়ারও পূর্বশর্ত।

রোকেয়া সুলতানা

ইতিহাস বিভাগ, রাজশাহী কলেজ।

ঢাবিতে আবাসন সমস্যা, অধিক ভোগান্তিতে নারী শিক্ষার্থীরা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার ইতিহাস, ঐতিহ্য নিয়ে প্রায় ১০৩ বছর সময় অতিবাহিত করেছে। দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা ও দখল করে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। তবে অন্য সব ক্ষুদ্র সমস্যার মধ্যে যে সমস্যাটি এর শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে ফেলেছে তা হলো আবাসন সংকট। পুরুষ শিক্ষার্থীদের আবাসনের তেমন সমস্যা না থাকলে ও নারী শিক্ষার্থীরা আছেন মহা সংকটে।

রোকেয়া ও সুফিয়া কামাল হলে বরাদ্দ প্রাপ্ত নারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যে হলে সিট পেলেও বঙ্গমাতা ও শামসুন্নাহার হলের মেয়েদের সিট পেতে প্রায় বছর ঘুরে যায়। তবে এর আগে যদিও বা থাকার সুযোগ পায় তবুও তাদের থাকতে হয় তথাকথিত গনরুমে। যেটা তাদের আবাসন সমস্যা দূর করার জায়গায় তাদের আরও বেশি ভোগান্তিতে ফেলে।এটা দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছেলে মেয়েরা তাদের স্বপ্ন পূরণের উদ্দেশ্য বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ভর্তি হয়। তাদের অধিকাংশেরই পরিবারের আর্থিক অবস্থা ও তেমন ভালো না।তাই সবার স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়টিকে আর ও মানসম্মত ও গ্ৰহণযোগ্য করে তোলার জন্য আবাসন সমস্যার সমাধান করা এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ!

মাহমুদা আক্তার মিম

দর্শন বিভাগ,

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

নিপাহ ভাইরাস : খেজুরের কাঁচা রস পরিহার করুন

শীতকালে বিভিন্ন রোগের আবির্ভাব হয় তারমধ্যে নিপাহ ভাইরাস অন্যতম। শীত আসার সাথে সাথে খেজুর রসের স্বাদ এবং গন্ধে সবার মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। এই সময়ে অনেক মানুষ খেজুর গাছ থেকে রস নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস পান করে। যা থেকে নিপাহ ভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাবনা অনেক বেশি। অনেকেই আবার খেজুর রস দিয়ে সিরাপ, পিঠে বা দুধ তৈরি করার জন্য রাঁধে।

বাংলাদেশে খেজুর রস থেকে তৈরি হওয়া গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, বালুয়া গুড়, মিছহরি গুড় ইত্যাদি অনেক জনপ্রিয়। সাধারণত বাংলাদেশে খেজুর রস সংগ্রহ করা হয় কার্তিক থেকে মাঘ মাস পর্যন্ত অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত। আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি খেজুরের রস সংগ্রহ করা হয় যশোর, কুষ্টিয়া এবং ফরিদপুরে। তবে, খেজুর রস খাওয়ার মাধ্যমে নিপাহ ভাইরাস ছড়ানোর সম্পর্কে আমরা কতটা সচেতন! বেশ কয়েক বছর ধরে খেজুর রস খাওয়ার মাধ্যমে নিপাহ ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডঐঙ) অনুযায়ী, নিপাহ ভাইরাস হলো একটি ‘জুনোটিক ভাইরাস’, যা প্রাণী থেকে মানুষে ছড়ায় এবং পরে অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। নিপাহ ভাইরাস মস্তিষ্কে প্রদাহ সৃষ্টি করে। ফলে জ্বর, মানসিক অস্থিরতা, কিংবা মৃগী হওয়া ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়।

২০০১ সালে মেহেরপুরে বাংলাদেশে প্রথম নিপাহ ভাইরাস শনাক্ত হয়। সে বছর শনাক্ত হয় ১৩ জন এবং তাদের অনেকেই মারা যায়। ২০১২ সালে এই রোগে আক্রান্ত হয় ১৮ জন। সবশেষ গত সাত বছরের মধ্যে ২০১৬ সালে কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি। কিন্তু ২০১৭ সালে তিন জন শনাক্ত হয়। ২০১৮ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ২০ জন শনাক্ত হয়। গত ২৩ বছরে দেশে ৩৩৯ জন নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে, যার মধ্যে ২৪০ জন মারা যায়। তাই নিপাহ ভাইরাস নিয়ে আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

সাধারণত গাছের গর্তে পাত্র ঝুলিয়ে খেজুরের রস সংগ্রহ করা হয়। যেখানে রাতের বেলা বাদুড়রা এসে রস পান করে। বাদুড়রা খেজুর রস পান করার সময় তাদের লালাগ এবং মল রসের সাথে মিশে যায়। যার কারণে কাঁচা খেজুর রস পান করলে মানুষের মধ্যে নিপাহ ভাইরাস ছড়াতে পারে। ফলে ফলে জ্বর, মাথাব্যথা, দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট, কাশি, বমি, ডায়রিয়া এবং বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে, যা মৃত্যুর কারণও হতে পারে।

মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কোন ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে পারে সেটা জানা প্রয়োজন।

নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ হলে উপসর্গহীন থাকতে পারে আবার কারো শুধু সাধারণ জ্বর-কাশি দেখা দিতে পারে। তবে সবচেয়ে জটিল অবস্থা হলো, মস্তিষ্কে সংক্রমণ দেখা দেয়। নিপাহ ভাইরাস শরীরে প্রবেশের পাঁচ থেকে চৌদ্দ দিন পর রোগের লক্ষণ প্রকাশিত হয়। তবে অনেকের মতে ভাইরাসের লক্ষণ প্রকাশ ছাড়াও ৪৫ দিন পর্যন্ত সুপ্ত অবস্থায় ভাইরাসটি শরীরের মধ্যে থাকতে পারে। শুরুতে প্রচ- জ্বর, মাথা ও পেশিতে ব্যথা, কাশি, পেটে ব্যথা, বমিভাব, দুর্বলতা ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। সময়মতো ট্রিটমেন্ট না হলে রোগী মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণা প্রতিবেদন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, খেজুরের রস সংগ্রহ করা নিয়ে কিছু বিষয়ে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যেমন, যারা রস সংগ্রহ করেন, তারা যেন সতর্ক থাকেন। কারণ হাঁড়ির আশপাশে বাদুড়ের লালা লেগে থাকতে পারে। মাস্ক পরতে হবে এবং রস সংগ্রহের পর সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে। গাছ থেকে খেজুরের রস সংগ্রহের হাঁড়ি ঢেকে রাখতে হবে। খেজুরের কাঁচা রস পান না করে তা ফুটিয়ে নিতে হবে। আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করা এবং রোগীর সেবা করার পর সাবান ও পানি দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুতে হবে। এটি নিশ্চিত করতে হবে যে, খেজুর রস সংগ্রহের স্থানটি নিরাপদ এবং পরিষ্কার। এছাড়া, খেজুর রস সেদ্ধ করে পান করা উচিত। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, রস সংগ্রহের পর তা ৭০-৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সেদ্ধ করা উচিত, যাতে ভাইরাসটি মারা যায়।

এখনও পর্যন্ত নিপাহ ভাইরাস প্রতিরোধের কোনো টিকা বা কার্যকর চিকিৎসা নেই। তাই এই রোগ নিয়ে সচেতনতা এবং সাবধানতা অবলম্বন করা খুবই জরুরি। সেক্ষেত্রে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন গ্রহণ করা যেতে। যেমন, আক্রান্ত মানুষ থেকে মানুষেও ছড়াতে পারে এই রোগ। তাই যারা রোগীদের সেবা দিয়েছেন এবং মৃতদের সত্কার করেছেন, তাদের দিকেও লক্ষ রাখতে হবে। রোগীর কাপড় ও অন্যান্য সামগ্রী ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। রোগীর সঙ্গে একই পাত্রে খাওয়া বা একই বিছানায় ঘুমানো যাবে না। যেহেতু নিপাহ ভাইরাস শরীরে প্রবেশের পাঁচ থেকে চৌদ্দ দিন পর রোগের লক্ষণ প্রকাশিত হয়, তাই সে সময়ে যারা খেজুরের রস খেয়েছেন, তাদের সবাইকে পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। সেইসঙ্গে যারা রোগীর সেবা করবে তারা মুখে মাস্ক এবং হাতে গ্লাভস পরে নিতে হবে। আসুন নিপাহ ভাইরাসে আতঙ্ক না হয়ে নিজে সচেতন হই এবং অন্য কেও এই ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন করি।

সাকিবুল হাছান

সমাজবিজ্ঞান বিভাগ

সারের সংকট ও কৃষকের দুর্ভোগ

সংস্কার আর সময়ের সমীকরণে নির্বাচন

বাণিজ্য মুক্ত হোক সান্ধ্যকোর্স

ছবি

ডে-কেয়ার সেন্টার

ডিজিটাল দাসত্ব : মোবাইল আসক্তির প্রভাব

লোকালয়ে ইটভাটা

ছবি

নিপাহ ভাইরাস : খেজুরের কাঁচা রস পরিহার করুন

ছবি

পাটের বস্তা ব্যবহার অনেকটাই উপক্ষিত

রায়পুরে সড়কের সংস্কার চাই

অতিরিক্ত ভাড়া বন্ধ হোক

গ্যাস সংকট

স্বেচ্ছাসেবা : একটি জীবন বোধ

শীতকালীন বায়ুদূষণ ও স্বাস্থ্য সচেতনতা

অবসরের বয়সসীমা বাড়ান

রাস্তা অবরোধ নামক অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে

ছবি

খেলনায় বিষাক্ত ধাতু

জিপিএ-৫ মুখ্য নয়, প্রয়োজন প্রকৃত শিক্ষা

রাষ্ট্রসংস্কারের পূর্বে আত্মসংস্কার প্রয়োজন

আইনশৃৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বেহালদশা

পরিকল্পিতভাবে উপযুক্ত স্থানে গাছ রোপণ করা উচিত

ইজিবাইক ছিনতাই

ছবি

টিসিবির পণ্য : নিম্নআয়ের মানুষের ভোগান্তি

ছবি

উন্নয়নের জন্য কারিগরি শিক্ষা অপরিহার্য

ছবি

ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ বন্ধ করুন

সড়ক দুর্ঘটনা

বায়ুদূষণে দমবন্ধ ঢাকা

হলগুলোর খাবারের মান বাড়ান

নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ হবে কবে

মোরেলগঞ্জ পৌরসভার নাগরিক সেবা উন্নয়নে পদক্ষেপ নিন

ছবি

খেজুরের রস

ট্যাগিং সংস্কৃতির অবসান ঘটুক

আবাসন সংকট দূর করুন

আখাউড়া-আগরতলা ট্রেন চালু হবে কি ?

উচ্চশিক্ষা ও বেকারত্ব

ছবি

অবৈধ ইটভাটা : দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক

tab

পাঠকের চিঠি

বাংলার ক্রিকেটের সফলতার গল্প লিখেছেন যুবারা

বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলার ক্রিকেটে সফলতার গল্প দিয়ে যতটুকু পরিপূর্ণ তার সবটুকু নিজ হাতে লিখেছেন এদেশের যুবারা। বৈশ্বিক আসরে বিশ্বকাপের মােত শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট অর্জন করা কিংবা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শিরোপা জয়ের সোনালি হাসি উপহার দিয়েছেন যুবারা। বাংলাদেশে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী, গেল কয়েক দশকেও জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি বিন্দুমাত্র। ক্রিকেটকে ঘিরে বাংলাদেশের ভক্ত সমর্থকদের মধ্যে যেন উন্মাদনার শেষ নেই, বস্তি থেকে পাঁচ তারকা হোটেলে, টঙের দোকান থেকে বড় বড় অট্টালিকা সর্বত্রই যেন ক্রিকেটীয় আলাপচারিতায় সরগরম। গায়ের মোড়ে মোড়ে, শহরের অলিতে-গলিতে চায়ের কাপে ক্রিকেট নিয়ে তর্ক-বিতর্ক ঝড় চলে।

বাংলার ক্রিকেটে পঞ্চপা-বের হাত ধরে সোনালি যুগ শুরু হলেও সফলতার মাপকাঠিতে তা বরাবরই অম্লান। তাদের ঝুলিতে নেই আন্তর্জাতিক কোনো শিরোপা। বাংলা ক্রিকেটের সূর্যোদয়ের গল্পটা লেখা হয়েছে সাকিব আল হাসানের হাত ধরে। তিনি বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের পতাকাটা উচু করেছেন, দেখিয়েছেন কিভাবে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশ থেকে নেতৃত্ব দেয়া যায় বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা যায়। ও এক যুগ ধরে তিন ফরমেটে বিশ্বসেরা তকমা গায়ে জড়ালেও দেশের হয়ে বয়ে আনতে পারেননি কোনো শিরোপা। ঠিক এখানেই দেশকে অনন্য উচ্চতায় বসিয়েছেন এদেশের যুবারা। বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশ জাতীয় দল যেখানে সর্বোচ্চ কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পেরেছে। সেখানে অনূর্ধ্ব ১৯ দল তিনবার কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার গৌরব অর্জন করেন। সেমিফাইনালে খেলেছেন একবার। ২০২০ সালে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়া সুবর্ণ সুযোগ। চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে ভাসে সমগ্র দেশ।

আঞ্চলিক টুর্নামেন্ট এশিয়া কাপে তিনবার ফাইনাল খেলেও সফলতার মুখ দেখেনি বাংলাদেশ জাতীয় দল। এখানেও প্রাপ্তির হাসি উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশের যুবারা। ব্যাক টু ব্যাক অনুর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। ভারতের দম্ভকে গুঁড়িয়ে দিয়ে এবার সিংহাসনের চূড়ায় নিজেদের অধিষ্ঠিত করেছেন।

জুবায়েদ মোস্তফা

শিক্ষার্থী, লোক প্রশাসন বিভাগ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

মানবতার দেয়াল

মানবতার দেয়াল এক ধরনের সাহায্য মাধ্যম, যার মাধ্যমে অসহায় সহায়সম্বলহীন নিঃস্ব মানুষেরা সেবা পেয়ে থাকে। যেখানে দাতা এবং দান গ্রহীতার পরিচয় অজানা থাকে।

মানবতার দেয়াল মানুষকে মানবিক হতে শেখায়। ব্যবহার উপযোগী জিনিসপত্র নষ্ট হচ্ছে না বরং অন্য কেউ ব্যবহার করে উপকৃত হচ্ছে। একজনের নিকট অপ্রয়োজনীয়, ফেলে রাখা অব্যবহৃত মালামাল, অন্যের নিকট প্রয়োজনীয় হতে পারে। ব্যক্তি কর্তৃক ব্যবহৃত পুরাতন অর্ধপুরাতন সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত হয় মানবতার দেয়ালে। অসহায় মানুষের কথা বিবেচনা করে সামর্থ্যবানরা নিজের পুরাতন কাপড়চোপড়, বই, আসবাবপত্র একটি নিদিষ্ট দেয়ালের সামনে রেখে দেয়। যাদের এই জিনিসগুলো প্রয়োজন তারা সেখান থেকে নিজেদের জন্য সংগ্রহ করতে পারে। আমরা যখন বৈষম্যবিহীন, আর্দশ সমাজ নির্মাণ করতে চাই তখন সমাজের সকল স্তরে নজর দেওয়ার প্রয়োজন হয়। প্রতিটি স্তরের সাথে কানেকশন তৈরি করার প্রয়োজন পড়ে। সামাজিক অসমতা যত দ্রুত কমানো যায়, সমাজে পরস্পরে মনোভাব পরিবর্তন আসা শুরু করে। মানবতার দেয়াল মূলত মানুষকে দান করতে উদ্ভদ্ধ করে এবং স্বেচ্ছাসেবার জন্য অনুপ্রেরণা জাগায়।

আহাম্মদ উল্লাহ

ঢাকা কলেজ।

উন্নত স্বাস্থ্যব্যবস্থা গড়তে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফার্মাসিস্ট

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সকল স্তরের নাগরিকের অন্যতম প্রধান দাবি হয়ে উঠেছে দেশীয় চিকিৎসাসেবার উন্নতি ও মানসম্মত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা। তার প্রেক্ষিতে রোগীদের বাংলাদেশমুখী ও বিদেশ নির্ভরতা কমাতে বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা প্রাইভেট হাসপাতালের মত সরকারি হাসপাতালের আউটডোর সেবা ২৪ ঘন্টা চালু রাখতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন উন্নত বিশ্বের আদলে রেজিস্টার্ড ফার্মাসিস্টের মাধ্যমে ওষুধ তত্ত্বাবধান করতে হবে। আমরা জানি রোগীদের চিকিৎসা ব্যয়ের অনেকটাই চলে যায় ওষুধের ব্যয় মেটাতে। সে কারণে সরকারি হাসপাতালের ফার্মেসীতে রোগীর চাপ তুলনামূলকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এখানে ওষুধের সরবরাহ বৃদ্ধি করতে হবে এবং ফার্মাসিস্টদের পদসংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। আবার সঠিক চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন নির্ভুল রোগ নির্ণয়।

কিন্তু এই কাজটি দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে তেমন হয়না বিধায় মানুষ বাধ্য হয়ে বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও প্রাইভেট হাসপাতালে টেস্ট করাতে বাধ্য হয়। উদাহরণস্বরূপ রক্তের গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা ঈইঈ করতে সরকারিতে যেখানে ১৫০ টাকা খরচ হয় ঠিক সেই টেস্ট প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে করতে ৪০০ টাকা লাগে। কিন্তু বাংলাদেশের অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালগুলোতে সাধারণ কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা সম্ভব হয় না কতৃপক্ষের সদিচ্ছা ও ডঐঙ-এর গাইডলাইন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট না থাকার কারণে। যদি এখানে পর্যাপ্ত মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগ দেয়া যায় তবে রোগীরা সকল প্যাথলজিক্যাল, ইমেজিং, সিটি স্কান এমআরইসহ জটিল ও ব্যয়বহুল টেস্টগুলো করতে পারবে নামমাত্র মূল্যে। কিন্তু গত ১৫ বছর ধরে এই সেক্টরকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করে রাখা হয়েছে।

জনগণের ট্যাক্সের টাকায় কেনা বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার যন্ত্রপাতি বাক্সবন্দী ও অকেজো করে রাখা হয়েছে। যার সুযোগটি নিচ্ছে সরকারি হাসপাতালের আশেপাশে গড়ে ওঠা বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার। কিন্তু সেখানেও টেস্ট বাণিজ্য ও কমিশন বাণিজ্যের প্রভাবে রোগ নির্ণয় নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছে না। বিশেষ করে এক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এক রিপোর্ট আরেক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আরেক রিপোর্টের ফলাফল আসছে। বাধ্য হয়ে রোগীরা দেশীয় চিকিৎসা ব্যবস্থার উপর অনাস্থা জ্ঞাপন করে বিদেশমুখী হচ্ছে। এতে যেমন একদিকে দেশের বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে চলে যাচ্ছে অন্যদিকে দেশের চিকিৎসা সেবার মান তলানিতে পড়ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তোলনের উপায় হলো সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা আমূল পরিবর্তনের উপর জোর দিতে হবে। এখানে ওষুধ কমিশন বন্ধ করতে হবে এবং টেস্ট বাণিজ্য বন্ধ করে সকল পরীক্ষা নিরীক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। বর্তমান সরকারের কাছে অনুরোধ দয়া করে আপনারা চিকিৎসা সেবার অন্যতম প্রাণভোমরা ফার্মাসিস্ট ও মেডিকেল টেকনোলজিস্টকে তাদেরকে প্রাপ্য সম্মানটুকু দিয়ে কাজে লাগান। দেখবেন স্বনির্ভর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়তে এরাই হবে বাংলাদেশের চিকিৎসাসেবা পরিবর্তনে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত।

মোতাছিম বিল্লাহ মুন্না

ফার্মাসিস্ট

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বালিয়াকান্দি, রাজবাড়ী

জলবায়ু পরিবর্তন : বাংলাদেশের বর্তমান সংকট ও অভিযোজনের চ্যালেঞ্জ।

জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমান বিশ্বের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য এই সংকট আরও বেশি তীব্র। ভৌগোলিক অবস্থান, নিম্ন সমুদ্রপৃষ্ঠ এবং অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতার কারণে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে একটি। বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ এই দেশটি প্রতিবছর বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, নদীভাঙন, লবণাক্ততার বিস্তারসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হচ্ছে। এসবের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব, যা মানুষের জীবন, সম্পদ এবং দেশের অর্থনীতির ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে।

বৈশ্বিক তাপমাত্রা ইতোমধ্যে ১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর জন্য মারাত্মক। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো দ্রুত তাপমাত্রা বৃদ্ধি। তাপমাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে বৃষ্টিপাতের ধরণ পরিবর্তিত হচ্ছে, যা বন্যা এবং খরার মতো বিপর্যয় বাড়িয়ে তুলছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা প্রতি বছর প্রায় ৩ মিলিমিটার করে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের লাখো মানুষের জন্য বিপদ ডেকে আনছে। ২০৫০ সালের মধ্যে উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় ১৭% এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যেতে পারে, যার ফলে বাস্তুচ্যুত হবে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে লবণাক্ততা বৃদ্ধি এবং খরার প্রভাব সরাসরি কৃষিক্ষেত্রে পড়ছে। কৃষিজমির অবনতি ভবিষ্যতে বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তায় বড় ধরনের হুমকির মুখে পড়বে। তাপমাত্রার অস্বাভাবিক পরিবর্তনের ফলে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু এবং অন্যান্য রোগের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি। একইসঙ্গে, তাপমাত্রাজনিত অসুস্থতা, যেমন ডিহাইড্রেশন এবং তাপমাত্রা সম্পর্কিত হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ছে। জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে। কৃষিতে মিঠাপানির অভাব এবং লবণাক্ততার কারণে ধান উৎপাদন প্রতি বছরে কমে যাচ্ছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, ২০৫০ সালের মধ্যে ধান উৎপাদন ১০-১৫% পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে। প্রতিবছর প্রায় ৫ লাখ মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাদের বাস্তুচ্যুত হয়। এই পরিস্থিতি গ্রামীণ থেকে শহরে জনসংখ্যা চাপ বাড়িয়ে দেয়, যা নগরায়ণের সমস্যাকে তীব্র করে।

বাংলাদেশ জলবায়ু সহনশীল ভবিষ্যতের জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ঘঅচ) কৌশল গ্রহণ করবে। এই পরিকল্পনা কৃষি, পানি ব্যবস্থাপনা, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঝুঁকি হ্রাস এবং পুনর্বাসনে বিশেষ মনোযোগ দিচ্ছে। এছাড়াও, ২০০৯ সালে গৃহীত বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ স্ট্যাটেজি অ্যান্ড অ্যাকশন প্ল্যান (ইঈঈঝঅচ) জলবায়ু অভিযোজনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি। এছাড়া বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড (ইঈঈঞঋ) গঠন করে নিজস্ব তহবিলের মাধ্যমে জলবায়ু প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এই প্রকল্পে উপকূলীয় বাঁধ নির্মাণ ও উন্নয়ন, বনায়ন কর্মসূচি, সাইক্লোন শেল্টার স্থাপন, এবং জলবায়ু সহনশীল কৃষি প্রযুক্তি উন্নয়নসহ নানা কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। বিভিন্ন বৈশ্বিক ফোরামে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। আন্তর্জাতিকভাবে প্যারিস চুক্তি এবং অন্যান্য জলবায়ু আলোচনায় সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ উন্নত দেশগুলোকে কার্বন নিঃসরণ কমাতে চাপ দিচ্ছে।

বাংলাদেশের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং পর্যাপ্ত অর্থায়নের অভাব উন্নয়নকে ব্যাহত করছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বৈশ্বিক কারণেও বাংলাদেশকে বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়।

তবে, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এবং টেকসই উন্নয়ন কৌশল গ্রহণের মাধ্যমে এই সংকট মোকাবিলা সম্ভব। বাংলাদেশকে প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধি, বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা আরও জোরদার করতে হবে। জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং তরুণ প্রজন্মকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সম্পৃক্ত করাও অত্যন্ত জরুরি।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বাংলাদেশে গভীরভাবে অনুভূত হলেও, এর মোকাবিলায় গৃহীত পদক্ষেপগুলো একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তবে এই লড়াই আরও কার্যকর করতে প্রয়োজন সমন্বিত পরিকল্পনা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার শক্তিশালী ভিত্তি।

স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কার্যকর সহযোগিতা এবং টেকসই উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে এ সংকটের সমাধান সম্ভব। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে এ লড়াই শুধু বাংলাদেশের নয় বরং বৈশ্বিক অগ্রগতির জন্য অপরিহার্য।

মালিহা মেহনাজ

শিক্ষার্থী

শিক্ষা ও গবেষণা ইনিস্টিউট

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

গ্যাস সংকট

ঢাকা শহরের গ্যাস সরবরাহ ব্যবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে একটি গুরুতর সমস্যা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যা দিনে দিনে আরও জটিল হয়ে উঠেছে। সরকার যেসব নিয়ম-কানুন নির্ধারণ করেছে, তার যথাযথ বাস্তবায়ন হচ্ছে না। একে কেন্দ্র করে বহু মানুষের অসুবিধা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষত গ্যাস সংযোগের জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যক লাইনের প্রদান এবং বাড়ির মালিকদের পক্ষ থেকে সেটি নিয়ে অব্যবস্থাপনা গ্যাসের সুষম বিতরণে বড় বাধা সৃষ্টি করছে। সরকারি দিক থেকে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সংযোগের জন্য নির্দিষ্ট বিধিমালা রয়েছে। সাধারণত একটি বাসা বা একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক ইউনিটের জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যক গ্যাস লাইন দেওয়া হয়। এই লাইনগুলো মূলত একটি নির্দিষ্ট বাসা বা কমপ্লেক্সের জন্যই বরাদ্দ থাকে। যাতে ঐ বাসার নির্দিষ্ট পরিমাণ গ্যাসের চাহিদা পূরণ হয়। তবে বাস্তবতা হলো অধিকাংশ সময় বাড়ির মালিকরা এই নির্ধারিত লাইনগুলো দিয়ে পুরো বিল্ডিং বা ভবনের গ্যাস সরবরাহ করে থাকেন। একাধিক ফ্ল্যাট বা ইউনিটের জন্য একটি লাইন ব্যবহার করা হয়। যার ফলে অনেকেই প্রয়োজন অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ পায় না। বাড়ির মালিকেরা এই কাজটি মূলত খরচ কমানোর জন্য বা অতিরিক্ত মুনাফার আশায় করে থাকেন। কারণ গ্যাসের বিল মূলত নির্দিষ্ট লাইন অনুসারে গণনা করা হয়। যখন একাধিক পরিবার একটি লাইনের মাধ্যমে গ্যাস ব্যবহার করেন, তখন গ্যাসের চাপ কমে যায় এবং কিছু পরিবার গ্যাস পায় না বা গ্যাসের চাপ এতটাই কমে যায় যে রান্না বা অন্যান্য গ্যাস ব্যবহারের কাজ করাও সম্ভব হয় না। এই অব্যবস্থাপনা শুধু কিছু পরিবারের ক্ষতির কারণ হচ্ছে না, বরং পুরো বিল্ডিংয়ের বাসিন্দাদের জন্য এটি অস্বস্তির সৃষ্টি করছে। অনেক সময় বাসিন্দারা দিনের পর দিন গ্যাসের অভাবে রান্না করতে পারেন না বা গরম পানি ব্যবহার করতে পারেন না। যারা গ্যাসের লাইন সরবরাহ পায় না, তারা অন্য কোন উৎস থেকে গ্যাস কিনতে বাধ্য হন। যা তাদের আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

গ্যাসের এই অব্যবস্থাপনা দূর করতে সরকার কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে। যেমন:- নির্দিষ্ট সংযোগের উপর কঠোর নজরদারি। সেইসব বাড়ির মালিকদের বিরুদ্ধে সরকারি কর্তৃপক্ষকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে যারা একটি লাইন দিয়ে একাধিক ইউনিটে গ্যাস সরবরাহ করছেন। গ্যাস সরবরাহের চাপ ঠিকভাবে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা এবং প্রয়োজনে চাপ বৃদ্ধি করা। বাসিন্দাদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা, যাতে তারা গ্যাসের সুষম ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারে। নতুন গ্যাস সংযোগ দেওয়ার সময় নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী সংযোগ দেওয়া এবং ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বেশি লাইন প্রদান করা। অসৎ মালিকদের শাস্তির আওতায় আনা। ঢাকা শহরের গ্যাস সরবরাহ ব্যবস্থা এবং ব্যবহার সংক্রান্ত বর্তমান সমস্যা শুধু সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য নয়,বরং পুরো সমাজের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গ্যাস ব্যবহারের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করতে হলে মালিক পক্ষের অব্যবস্থাপনা বন্ধ করতে হবে এবং সরকারের পক্ষ থেকে শক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে।

শহিদুজ্জামান শাকিল

শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ

অতিরিক্ত ভাড়া বন্ধ হোক

পাবনা জেলার অন্তর্গত সুজানগর উপজেলা নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের দীর্ঘদিন যাবৎ নাজিরগঞ্জ ফেরিঘাট থেকে ধাওয়াপাড়া ফেরিঘাট পর্যন্ত ভাড়া বৃদ্ধি জনিত দুর্নীতি বেড়ে গিয়েছে। যেখানে স্পিডবোটের সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়া ৮০ টাকা, নৌকার ভাড়া ৫০ টাকা, টোল ৫ টাকা বাবদ মোট ভাড়া ৫৫ টাকা হয় কিন্তু তারা নেয় ৭০ টাকা। এমনকি যদি আর নৌকা না ছাড়ার সিডিউল থাকে তখন অন্য নৌকায় যাওয়ার জন্য টিকিটের ৭০ টাকা দেওয়ার পরেও ১০/২০ টাকা আলাদাভাবে নৌকার মাঝিকে দিতে হয়। আবার স্পিডবোটের নির্ধারিত ভাড়া ৮৫ টাকা কিন্তু তারা সেখানে ১২০ টাকা নেয়। এমনকি মাঝে মাঝে ১৫০ টাকা পরিমাণও নিয়ে থাকে।

এছাড়াও যাত্রীদের ১০ মিনিটের কথা বলে ১ ঘণ্টার বেশি সময় পরে নৌকা ছাড়ে।

আবার ধাওয়াপাড়া থেকে নৌকা না ছেড়ে স্পিড বোটে আসতে বাধ্য করে তখন স্পিড বোটের ভাড়া নেয় ১৫০ টাকা। যেখানে নাজিরগঞ্জ থেকে ধাওয়াপাড়া যেতে সময় লাগে মাত্র দশ মিনিট। মাত্র দশ মিনিটের পথে অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়টি মোটেও কাম্য নয়। এছাড়াও বিষয়টি অনেক যাত্রীর জন্যই কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। একদিকে সাধারণ যাত্রীদের অতিরিক্ত টাকা প্রদানের হয়রানির শিকার অন্যদিকে নির্ধারিত সময়ে নৌকা না ছাড়ায় প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।

পূর্বে এ ব্যাপারে সাধারণ জনগণ তাদের এ চরম দুর্ভোগের কথা জানালেও এখন পর্যন্ত এর স্থায়ী সমাধান মেলেনি। তাই এই জনদুর্ভোগ কমাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং কার্যকর পদক্ষেপ কামনা করছি।

ইসমা খাতুন।

রায়পুরে সড়কের সংস্কার চাই

লক্ষ্মীপুর জেলার ঐতিহ্যবাহী একটি উপজেলা রায়পুর। অর্থনীতি, রাজনীতি ও সামাজিক ভাবে সুশৃঙ্খল রায়পুরের বেশিরভাগ রাস্তার অবস্থাই বেহাল। বিশেষ করে রায়পুরের পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান রোড। যেটি রায়পুর উপজেলা রোড নামেও পরিচিত। রাস্তাটির অবস্থা খুবই বেহাল। এটি একটি জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। তাই প্রতিদিন হাজারো মানুষের যাতায়াত এই রাস্তাকে ঘিরে। বর্ষার সময় অসহনীয় জনদূর্ভোগের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা এই বিষয়ে কয়েকবার আবেদন জানালেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। সাধারন মানুষ এই দুর্ভোগে অতিষ্ঠ। প্রতিদিন ধুলাবালিকে সাথে নিয়েই চলতে হচ্ছে জনসাধারণকে।

অতি দ্রুত রাস্তাটির সংস্কার করা দরকার। পশ্চিমাঞ্চল বানিজ্যিক ভাবে রায়পুরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। রায়পুরের পশ্চিমাঞ্চলে বেশ কয়েকটি নদী কেন্দ্রীক পর্যটনকেন্দ্র রয়েছে। যেখানে লক্ষীপুর ছাড়াও আশেপাশের জেলা থেকে পর্যটক আসে। রাস্তায় সৃষ্ট দুর্ভোগের ফলে পর্যটকেরা যাওয়ার আগ্রহ কমিয়ে ফেলছে। এ বিষয়ে সড়ক বিভাগ ও রায়পুর পৌর প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করা উচিত। পাশাপাশি রায়পুরের বাকী সড়ক গুলোও দ্রুততার সাথে সংস্কার করা জরুরি। জনগনের সমস্যা দূরীকরণের মাধ্যমেই গড়ে উঠবে আশা-আকাক্সক্ষার ও স্বপ্নের বাংলাদেশ।

সাজ্জাদুল ইসলাম ইয়ামিন

পর্যটকদের নিরাপত্তা

বিজয় দিবসে বা বড়দিনে কোথায় যাবেন? ঢাকায় থাকলে, বোটানিক্যাল গার্ডেন। আর বাইরে যেতে চাইলে, কুয়াকাটা নাকি কক্সবাজার? এবং প্রত্যেকবারের মতো এবারেও হাতে ক্রিসমাস ইভ বা বড়দিনে সমুদ্রে নানা পর্যটকদের কোন দুর্ঘটনার মুখে না পড়তে হয়, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ নিশ্চয়ই নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন করার কথা ভাবছেন। আমাদের মতে, প্রাথমিক ভাবনা অনুযায়ী স্পিডবোট নামানো প্রয়োজন। সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত স্নানের সময় সমুদ্রে টহল দেয়া উচিত স্পিডবোটগুলোকে। বসানো উচিত সিসি ক্যামেরা। সমুদ্র সৈকতের আশেপাশে যে রাস্তা রয়েছে ও সৈকত সরণিতে লাগানো প্রয়োজন ক্যামেরা। ওয়াচ টাওয়ারের মাথাতেও বসানো উচিত নজরদারি ক্যামেরা। সারাক্ষণ ক্যামেরা চলবে এবং ওই টিভিগুলোর ফুটেজ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতির পরিকল্পনাও থাকা উচিত।

সমুদ্রে স্নান করতে গিয়ে ডুবে যাওয়ার মুহূর্তে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কী কী করতে হবে, এ ব্যাপারে একটা মহড়া হতে পারে। সমুদ্রে নতুন স্পিডবোট নামানো হলে পর্যটকরাও খুশি হবে, কেননা স্পিডবোটগুলো থাকলে বা সেগুলো ব্যবহার করার সঙ্গে সঙ্গে, কীভাবে উদ্ধার করতে হবে পানি থেকে পর্যটকদের, এসব নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার খবর শুনলে স্থানীয় হোটেল কর্তৃপক্ষও খুশি হবেন অবশ্যই। সবার ধারণা, এমন নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা গেলে আরও বেশি পর্যটক কুয়াকাটা ও কক্সবাজারে যাওয়ার জন্য নিজেদের উৎসাহিত করতে পারবেন। সমুদ্রে টহল দেয়ার জন্য স্পিডবোট নামানো হলে একদিকে পর্যটকরা যেমন নিরাপত্তা পাবেন, অপরদিকে কক্সবাজারের আকর্ষণ যাবে আরও বেড়ে।

লিয়াকত হোসেন খোকন,

রূপনগর, ঢাকা, বাংলাদেশ।

প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সংগ্রাম

বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ দিতে কোটা পদ্ধতি চালু করেছে, যা প্রশংসনীয়। কিন্তু তাদের চলাচল ও শিক্ষার পরিবেশ এখনও পর্যাপ্ত সহায়ক নয়। বিশেষত, তাদের যাতায়াত ব্যবস্থা এক বড় চ্যালেঞ্জ। অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা ট্রান্সপোর্ট নেই, বাসে বিশেষ সিট থাকলেও সেটি অন্যরা দখল করে থাকে।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শহর থেকে অনেক দূরে হওয়ায় ক্যাম্পাসে যাতায়াতের সময় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সম্মুখীন হতে হয় অমানবিক পরিস্থিতির। সম্প্রতি এমন একটি ঘটনার সাক্ষী হয়েছি, যেখানে এক প্রতিবন্ধী ছাত্র, যার হাত নেই, দাঁড়িয়ে ছিল। কেউই তাকে নিজের আসন ছেড়ে দেয়নি। এটি শুধু মানবিকতার অভাব নয়, বরং আমাদের সামাজিক দায়িত্বের ব্যর্থতা।

এমন পরিস্থিতি রোধে আমাদের সচেতনতা বাড়াতে হবে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনের উদ্যোগে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা বাস বা চলাচলের বিশেষ ব্যবস্থা চালু করা জরুরি। বাসে বিশেষ চিহ্নিত আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি পরিচালনা করা যেতে পারে।

আমাদের ব্যক্তিগতভাবে সচেতন হতে হবে। প্রতিটি প্রতিবন্ধী ব্যক্তি আমাদের মতোই এক সমাজের অংশ। তাদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া এবং প্রয়োজনে সাহায্যের হাত বাড়ানো মানবিকতার মূল দিক। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষার্থী এবং সমাজের সম্মিলিত উদ্যোগই পারে তাদের জন্য একটি সহানুভূতিশীল ও সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে।

মিজানুর রহমান

ইংরেজি বিভাগ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া

বাণিজ্য মুক্ত হোক সান্ধ্যকোর্স

বাংলাদেশের মোট শিক্ষার্থীর একটি বৃহৎ অংশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পায় না। তাই বলে এই বৃহৎ সংখ্যক শিক্ষার্থী এবং কর্মরত জনগণ কে কোনো ভাবেই তাদের কাক্সিক্ষত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করার প্রশ্ন বা যুক্তি আসে না। তবে অনেকেই বলবেন, এক্ষেত্রে দিবাকোর্সের শিক্ষার্থীদের অভাবনীয় ক্ষতি পূরণের দায়িত্ব কে নিবে? হ্যাঁ এক্ষেত্রে অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয় মুঞ্জুরি কমিশনের একটি নায্য আইন প্রতিষ্ঠা করার কোনো বিকল্প নেই। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক যদি সামান্য অর্থের লোভ থেকে নিজেকে সামলাতে না পারেন, সান্ধকোর্সের পার্টটাইম কে ফুলটাইম করে তোলেন কিংবা এখানে সেখানে পড়ান তাহলে সেই শিক্ষক তার মানবিক জীবনে পঙ্গু এবং অকিঞ্চিৎকর মানসিকতায় উপবিষ্ট হবেন। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি শিক্ষকের কাছ থেকে কখনই আশা করা কাম্য নয়।

শিক্ষকরা যাতে কোনো ভাবেই সান্ধ্যকোর্সের অর্থের লোভে ঝুঁকতে না পারে সেক্ষেত্রে একটি রাষ্ট্রীয় নীতিমালা এখন সময়ের দাবি। আর সান্ধ্যকালীন কোর্সের নামে রমরমা বাণিজ্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কঠোর হাতে বন্ধ করা উচিত। এই বাণিজ্য শিক্ষাকে কলুষিত করে, প্রশ্নবিদ্ধ করে। দেশ যখন স্বাধীনতার জোয়ারে ভাসছে তখন কেন টাকা দিয়ে শিক্ষা কিনতে হবে? সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলে শিক্ষা অবশ্যই নামমাত্র মূল্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। সকল শ্রেণীর সব শিক্ষার্থী তাদের কাক্সিক্ষত ডিগ্রি, উচ্চতর পড়াশোনা ও ভাষা শিক্ষা অর্জনের সুযোগ সুবিধা পাবে। কারণ দেশে বহু বিচিত্র বিষয়ের শিক্ষার্থী আছেন তাদের প্রয়োজন ও পেশাদারিত্বের তাগিদে সান্ধ্যকোর্সের একটি ডিগ্রি রাষ্ট্রকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু সান্ধকোর্সে ভর্তির যে বিশাল টাকার অংক তা অনেক শিক্ষার্থীর জন্য স্বপ্নভঙ্গের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাছাড়া সান্ধ্যকোর্স এখন বিশ্বের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি নির্দিষ্ট ইন্সটিটিউট থাকবে সেখানে সান্ধ্যকোর্স চালু থাকবে। যাতে দিবা কোর্সের শিক্ষার্থীদের কোনো ক্ষতি না হয়। সান্ধ্যকোর্স কে বাদ দিয়ে কোনো সিদ্ধান্তই যৌক্তিক হতে পারে না কারণ সান্ধ্যকোর্সের মাধ্যমে চাহিদাবান শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ গড়ে উঠছে।

ইসতিয়াক আহমেদ হৃদয়

শিক্ষার্থী, নওগাঁ সরকারি কলেজ

নকল প্রসাধনীতে স্বাস্থ্যঝুঁকি

মানুষের রূপচর্চার ইতিহাস প্রায় ছয় হাজার বছরের পুরনো। তবে সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য প্রসাধনী ব্যবহারের এই ঐতিহ্য বর্তমানে ভেজাল ও নকল প্রসাধনীর কারণে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী জনপ্রিয় ব্যান্ডের নামে নকল প্রসাধনী তৈরি করে কম দামে বাজারে ছেড়ে দিচ্ছেন। এসব পণ্য ব্যবহারে ত্বকের ক্ষতি, চর্মরোগ এমনকি ক্যান্সারের ঝুঁকিও বেড়ে যাচ্ছে।

গ্রামীণ ও শহরাঞ্চলে নকল প্রসাধনীর ব্যবহার ক্রমশ বাড়ছে। গ্রামের সহজ-সরল মানুষ কম দামে ভালো পণ্য পাওয়ার লোভে বিজ্ঞাপনের ফাঁদে পড়ছে। শহরাঞ্চলেও নকল প্রসাধনীর বাজার বড় আকার ধারণ করেছে।

বাজারে ব্যান্ড ও নন-ব্যান্ড প্রসাধনীর সহজলভ্যতা থাকলেও নকল পণ্যের আধিক্য বেশি। ঢাকার চকবাজার, ইসলামপুর, জিনজিরাসহ বিভিন্ন এলাকায় নকল প্রসাধনী তৈরির কারখানা গড়ে উঠেছে। এসব কারখানায় সস্তা রাসায়নিক দিয়ে তৈরি হচ্ছে শ্যাম্পু, ক্রিম, লিপস্টিক, ফেসওয়াশ এবং চুলের তেল। গ্লিসারিন, লবণ, পাউডার, সুগন্ধি মিশিয়ে তৈরি এসব পণ্য আন্তর্জাতিক মানের বলে বাজারে ছাড়া হয়।

নকল প্রসাধনীতে ব্যবহার করা হয় মার্কারি ও হাইড্রোকুইনোনের মতো ক্ষতিকর রাসায়নিক। এগুলো ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করে, দীর্ঘমেয়াদে চর্মরোগ এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণ প্রসাধনীও দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তবে নকল পণ্য ব্যবহারে ঝুঁকির মাত্রা আরও কয়েকগুণ বেড়ে যায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার তথ্য বলছে, দেশে যে পরিমাণ কসমেটিকসের চাহিদা রয়েছে তার ১৫% পূরণ করছে দেশী কোম্পানি, ১৫% আমদানি পণ্য আর ৭০% নিম্ন মানে ক্ষতিকর উপাদান দিয়ে তৈরি করা নকল প্রসাধনী।

অন্যদিকে চোরাই পথে আনা মানহীন বিদেশি প্রসাধনীও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এসব পণ্য দেশের জলবায়ু ও ত্বকের উপযোগী নয়। এসব ব্যবহারে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এবং চেহারায় স্থায়ী ক্ষতির ঝুঁকি থাকে।

নকল প্রসাধনীর ক্ষতি থেকে বাঁচতে জনগণকে সচেতন হতে হবে। কম দামে প্রলোভনমূলক বিজ্ঞাপনের ফাঁদে পা না দিয়ে মানসম্মত পণ্য কিনতে হবে। পণ্য কেনার সময় বারকোড যাচাই এবং ব্যবহারের পর প্যাকেট বা কৌটা ধ্বংস করা জরুরি।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং বিএসটিআই ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। তবে আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া এই সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। ভেজাল পণ্য দেখলে জনগণকে তাৎক্ষণিকভাবে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

সুস্থ ও নিরাপদ জীবনযাপনের জন্য নকল প্রসাধনী থেকে দূরে থাকা এবং পণ্যের মান যাচাইয়ের অভ্যাস গড়ে তোলা একান্ত প্রয়োজন। জনসচেতনতা ও আইনের প্রয়োগের সমন্বয়ে নকল প্রসাধনী রোধ করা সম্ভব।

ইসরাত ইশা

শিক্ষার্থী মার্কেটিং বিভাগ, রাজশাহী কলেজ

পুকুর ভরাট ও অপরিকল্পিত ব্যবহার

বাংলাদেশে এক সময় পুকুর ছিল গ্রামাঞ্চলের মানুষের পানির অন্যতম উৎস। পুকুরগুলো শুধু পানীয় জল, সেচ ও মাছ চাষের জন্যই ব্যবহৃত হতো না, বরং স্থানীয় পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত। তবে সাম্প্রতিককালে নগরায়ণ, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, এবং অপরিকল্পিত ভূমি ব্যবহারের কারণে পুকুর ভরাটের প্রবণতা বেড়েছে। গ্রামে-শহরে আবাসন, দোকানপাট ও শিল্প স্থাপনের জন্য পুকুরগুলো ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে।

পুকুর ভরাটের ফলে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। জলাভূমি কমে যাওয়ার ফলে পানি ধারণ ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে, যা বন্যা পরিস্থিতি আরও তীব্র করেছে। একই সঙ্গে, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে, ফলে কৃষিকাজ ও দৈনন্দিন জীবনে পানির সংকট তৈরি হচ্ছে। মাছ চাষের সম্ভাবনাও হ্রাস পেয়েছে, যা খাদ্য নিরাপত্তার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

এ অবস্থায়, পুকুর সংরক্ষণে কঠোর আইন প্রয়োগ এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন। পুরনো পুকুরগুলোর পুনরুদ্ধার, নতুন পুকুর খনন, এবং পুকুর সংরক্ষণে প্রণোদনা দেওয়া উচিত। পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা করতে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগগুলো জরুরি।

আবার পুকুর এর সল্পতার জন্য বাংলাদেশের অনেক পুকুরে একসঙ্গে গোসল, মাছ চাষ, কাপড় ধোয়া, এবং গবাদি পশুর গোসল করা হয়। এ ধরনের অপরিকল্পিত এবং বহুমুখী ব্যবহার পুকুরের পানিকে দূষিত করে তুলছে। পুকুরের পানি পরিষ্কার না থাকায় এতে রোগজীবাণুর বিস্তার ঘটে, যা মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

পানির দূষণের ফলে ত্বক রোগ, পেটের পীড়া, টাইফয়েড, এবং পানিবাহিত অন্যান্য রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাছ চাষে ব্যবহার করা রাসায়নিক ও খাবারের অবশিষ্টাংশ পানিতে মিশে দূষণের মাত্রা আরও বাড়িয়ে তোলে। তদুপরি, গবাদি পশুর গোসলের মাধ্যমে বর্জ্য পুকুরে মিশে পানি আরও অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে।

এ সমস্যা সমাধানে পুকুর ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ করা জরুরি। পুকুরের পানি নিয়মিত পরিষ্কার রাখা, মাছ চাষের জন্য আলাদা পুকুর ব্যবহার করা, এবং জনসচেতনতা বাড়ানো দরকার। এ ছাড়া, স্থানীয় প্রশাসন ও জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পুকুর ব্যবহারের সুষ্ঠু নীতি গ্রহণ করা গেলে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য রক্ষায় ইতিবাচক পরিবর্তন সম্ভব।

হালিমা আক্তার হানি, শিক্ষার্থী রাজশাহী কলেজ

অভিভাবকদের প্রতি একটি ছোট্ট নিবেদন

সবে মাত্র বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে শিক্ষার্থীদের। স্কুল- কলেজ ভেদে পরিক্ষা চলমান থাকলেও দুই-এক দিনের মধ্যে শেষ হবে বার্ষিক পরীক্ষা। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা শেষ হলেই পরবর্তী শ্রেণীর পড়া আগে থেকে কমপ্লিট রাখতে অভিভাবকরা আগে থেকেই যুদ্ধে নামিয়ে দেয় সন্তানদের । বিশেষ করে প্রাইমারি এবং মাধ্যমিক লেভেলের পরিক্ষা শেষ হওয়া পর- অভিভাবকরা পরবর্তী শ্রেণীর গণিত, ইংরেজি, বিজ্ঞান বিষয়গুলোতে এগিয়ে রাখতে ডিসেম্বরের বন্ধেও পড়ার জন্য প্রেসার দিয়ে থাকে। সবকিছুর মূলে ভালো রেজাল্ট করতে হবে।

ডিসেম্বরের দিনগুলো শৈশবের জন্য আনন্দঘন দিন।

সারা বছর ধরে পড়াশোনা করার পর একটু হাফ ছেড়ে নিঃশ্বাস নিতে পারে যখন বার্ষিক পরিক্ষা শেষ হয়। ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে ক্লাস করা, স্কুল শেষে প্রাইভেট / কোচিং পড়া, রাত জেগে পড়া কমপ্লিট করে পর দিন আবার স্কুল কলেজ। এই চক্র থেকে সাময়িক মুক্তি মেলে বার্ষিক পরিক্ষা শেষ হলে। গ্রাম অঞ্চলসহ বিশেষ করে শহুরে অভিভাবকরা এই সময়ে সন্তানদের পড়াশোনার পরিবেশ তৈরি করতে চায়। এতে অভিভাবকরা সন্তানের মানসিক বিকাশ নিজের অজান্তেই ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলেন। শিক্ষার্থীরা বিশ্বাস করতে শুরু করে এই (গণিত, ইংরেজি, বিজ্ঞান) বিষয়গুলো কঠিন, আগে থেকে না পড়লে পারা সম্ভব না। মানসিক ভাবে তারা দুর্বল হয়ে যায়। সারাবছর ভীতি কাজ করে। জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের বার্ষিক পরীক্ষার পূর্ব পর্যন্ত ব্যাপক সময়, এ সময়টা সঠিকভাবে কাজে লাগালে পড়াশোনা সঠিকভাবে হবেই তো সেই সাথে অতিরিক্ত জ্ঞান অর্জনেও মনোনিবেশ করা যাবে।

শিক্ষার্থীদের মানসিক সুস্থতা বৃদ্ধি ও বিকাশে অভিভাবকরা বন্ধের এই সময়গুলোতে নানাভাবে ব্যয় করতে পারে। ঘুরতে নিয়ে যাওয়া, বাস্তবমুখী জীবনাচরণ দেখানো-সেখান থেকে তারা জীবন সম্পর্কে মূল্যবান ধারণা যাবে। যেমনঃ শহরের বস্তি বা ছিন্নমূল মানুষের জীবন কাছ থেকে অনুধাবন করানো, কায়িকশ্রমে করে এমন মানুষদের কাজ সম্পর্কে মনোভাবের পরিচয় করিয়ে দেওয়া, স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম শেখানো, জীবনের আসল উদ্দেশ্য কি উদাহরণসহ বুঝিয়ে দিতে পরে ইত্যাদি।

পরিক্ষায় উত্তীর্ণ না কিংবা রেজাল্ট কিছুটা কম আসলে শিক্ষার্থীদের সাথে অশোচনীয় আচরন না করা, এতে শিক্ষার্থী দূর্বল হয়ে যায়। মনের মধ্যে হীনমন্যতা কাজ করে- তাকে দিয়ে কিছুই হবে না।

শৈশব মানুষের মস্তিষ্ক গঠনের আর্দশ সময়। এ সময়টায় মানুষ যা পায়- শিখে, সারা জীবন সেটা আঁকড়ে ধরে। চর্চা করে থাকে। নীতিনৈতিকতা, মূল্যবোধ, আচার-আচরণ, পরোপকার সুলভ মনোভাব গঠনের আর্দশ সময় শৈশবের দিনগুলো।

আহাম্মদ উল্লাহ

শিক্ষার্থী, গণিত বিভাগ, ঢাকা কলেজ।

পাটের বস্তা ব্যবহার অনেকটাই উপক্ষিত

গত ১২ বছরে ও চালের বস্তায় প্লাস্টিকের পরিবর্তে পাটের বস্তা ব্যবহার কার্যকর করা যায়নি। পাট মন্ত্রণালয়ের কার্যকর উদ্যোগ না থাকায় পাটের বস্তা পুরোপুরি ব্যবহার হচ্ছে না। পাটের বস্তা ব্যবহার নিয়ে রাইচ মালিক ও পাইকারি চাল চাল ব্যবসায়ীরা একে অপরের উপর দোষ চাপাচ্ছেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানায়। প্লাস্টিকের চেয়ে পাটের বস্তার দাম অনেক বেশি হওয়ায় ব্যবহারের অনীহা দেখাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। চালের বস্তায় প্লাষ্টিকের পরিবর্তে পাটের তৈরি বস্তা ব্যবহারের জন্য ২০১০ সালে সরকার আইন প্রণয়ন করে। ২০১২ সালে আইন কার্যকর করা হয়।

এরপর পাট অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা চালের মোকামে অভিযান শুরু করেন। কিন্তু তখন অভিযোগ উঠে প্লাষ্টিকের বস্তা তৈরীর জন্য অনেক ব্যবসায়ী প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করে কারখানা তৈরী করেছেন হঠাৎ প্লাষ্টিকের বস্তার ব্যবহার বন্ধ করলে বিনিয়োগকারীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এরপর এক যুগের বেশী সময় অতিক্রান্ত হয়েছে। এখন আর কোন অজুহাতকে পাত্তা না দিয়ে আইনের প্রয়োগ কঠোরভাবে করতে হবে। আইনে রয়েছে যদি চালের বস্তায় প্লাষ্টিকের বস্তা ব্যবহার করা হয় তা হলে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১ বছরের জেল প্রদান করা যাবে। দ্বিতীয়বার একই কাজ করলে দ্বিগুণ অর্থ জরিমানা ও দুই বছরের জেল ভোগ করতে হবে।

আব্বাসউদ্দিন আহমদ

ধোপাদিঘীর দক্ষিণ পাড়

সিলেট

ল্যাম্পপোস্ট মেরামত করুন

জয়পুরহাট সদরের বম্বু ইউনিয়নের বৃহৎ গ্রাম ধারকী। প্রায় ১০ হাজার মানুষের বাস এখানে। ধারকী বাজারের পাশেই শতবর্ষী স্কুল মদনমোহনপুর সঃপ্রাঃবিঃ মোড়ে দীর্ঘদিন থেকে একটি বৈদ্যুতিক ল্যাম্পপোস্ট বিকল হয়ে পড়ে আছে। কয়েক বছর আগে স্থাপিত এ আলোর খুঁটি একসময় আলো দিলেও এখন অকেজো। বাজারের পাশের এ মোড়, বেশ কয়েকটি পাড়ার সংযোগকেন্দ্র । ভ্যান, মোটরসাইকেল, অটোরিকশা সহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। তবে সন্ধ্যার পরে একদম ঘুটঘুটে অন্ধকার হয়ে যায়।

শীতকালে একদম ভুতুড়ে পরিবেশ সৃষ্টি করে। ফলে, বাসিন্দাদের সন্ধ্যার পর বাজারে যাতায়াত বা চলাচলে কষ্ট হচ্ছে। অন্ধকারে যানবাহন চলাচলে দূর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে। তাই, বাজারে নতুন ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন সহ অকেজোগুলো মেরামত করা হলে বাসিন্দারা নির্বিঘেœ যাতায়াত করতে পারবে। দ্রুত এ সমস্যা সমাধানে কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

তাওহীদ ইসলাম সজীব

গণপরিবহনে নারীদের হয়রানি : সমাধান কোথায়

দৈনন্দিন যাত্রা পথে গণপরিবহনে নারীদের হয়রানির অভিযোগ নিত্য দিনের। বাংলাদেশে বিশেষ করে নারীরা বাস, ট্রেনের মতো গণপরিবহনে ভ্রমণকালে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ও মানসিক হয়রানির সম্মুখীন হন। এই সমস্যা শুধু নারী সুরক্ষা নয়, সমগ্র সমাজের নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু পরিবহন ব্যবস্থার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির জরিপ অনুযায়ী, মোট ৩৬ শতাংশ কর্মজীবী নারীর ৮০ ভাগই গণপরিবহনে যাতায়াত করেন এবং তারা অধিকাংশ সময়ে হয়রানির মুখোমুখি হন। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা র্ব্যাক পরিচালিত ‘নারীর জন্য যৌন হয়রানি ও দুর্ঘটনামুক্ত সড়ক’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘দেশের গণপরিবহনে যাতায়াতের সময় ৯৪ শতাংশ নারী মৌখিক, শারীরিক বা অন্য কোনোভাবে যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন।’

পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার কারণে নারীদের ব্যক্তিগত মর্যাদা কে অসম্মান, উপেক্ষা করা বর্তমানে অনেকের কাছে তুচ্ছ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। লিঙ্গবৈষম্যের এই মনোভাব নারীদের সম্মানহানির একটি বড় কারণ।

এছাড়া ও নারীদের এসব হয়রানির জন্য দায়ী আইনের যথাযথ কার্যকর প্রয়োগের অভাব। যৌন হয়রানি সংক্রান্ত আইন থাকলেও এর প্রয়োগ অনেক ক্ষেত্রে অকার্যকর। যার ফলে অপরাধীরা প্রায়ই শাস্তি থেকে রেহাই পায়, যা তাদের একই অপরাধে জড়াতে বারবার উৎসাহিত করে।

একটি গবেষণায় (ঢাকা শহরের পরিবহন নিয়ে) দেখা গেছে যে, ২৫-৩৫ বছর বয়সী পুরুষদের দ্বারা এসব হয়রানি বেশি ঘটে। জাতিসংঘের নারী বিষয়ক একটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ১৫-১৯ বছর বয়সী মেয়েরা সবচেয়ে বেশি তাদের লক্ষ্যবস্তু হয়।

পরিবহন কর্তৃপক্ষ ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের অভাব নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ। রাতের বেলা নিরাপত্তাহীন পরিবেশ নারীদের জন্য আরও ঝুঁকিপূর্ণ।

নারীদের জন্য নিরাপদ পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা শুধু তাদের অধিকারই নয়, এটি একটি নিরাপদ এবং সম্মানজনক সমাজ গড়ারও পূর্বশর্ত।

রোকেয়া সুলতানা

ইতিহাস বিভাগ, রাজশাহী কলেজ।

ঢাবিতে আবাসন সমস্যা, অধিক ভোগান্তিতে নারী শিক্ষার্থীরা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার ইতিহাস, ঐতিহ্য নিয়ে প্রায় ১০৩ বছর সময় অতিবাহিত করেছে। দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা ও দখল করে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। তবে অন্য সব ক্ষুদ্র সমস্যার মধ্যে যে সমস্যাটি এর শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে ফেলেছে তা হলো আবাসন সংকট। পুরুষ শিক্ষার্থীদের আবাসনের তেমন সমস্যা না থাকলে ও নারী শিক্ষার্থীরা আছেন মহা সংকটে।

রোকেয়া ও সুফিয়া কামাল হলে বরাদ্দ প্রাপ্ত নারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যে হলে সিট পেলেও বঙ্গমাতা ও শামসুন্নাহার হলের মেয়েদের সিট পেতে প্রায় বছর ঘুরে যায়। তবে এর আগে যদিও বা থাকার সুযোগ পায় তবুও তাদের থাকতে হয় তথাকথিত গনরুমে। যেটা তাদের আবাসন সমস্যা দূর করার জায়গায় তাদের আরও বেশি ভোগান্তিতে ফেলে।এটা দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছেলে মেয়েরা তাদের স্বপ্ন পূরণের উদ্দেশ্য বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ভর্তি হয়। তাদের অধিকাংশেরই পরিবারের আর্থিক অবস্থা ও তেমন ভালো না।তাই সবার স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়টিকে আর ও মানসম্মত ও গ্ৰহণযোগ্য করে তোলার জন্য আবাসন সমস্যার সমাধান করা এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ!

মাহমুদা আক্তার মিম

দর্শন বিভাগ,

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

নিপাহ ভাইরাস : খেজুরের কাঁচা রস পরিহার করুন

শীতকালে বিভিন্ন রোগের আবির্ভাব হয় তারমধ্যে নিপাহ ভাইরাস অন্যতম। শীত আসার সাথে সাথে খেজুর রসের স্বাদ এবং গন্ধে সবার মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। এই সময়ে অনেক মানুষ খেজুর গাছ থেকে রস নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস পান করে। যা থেকে নিপাহ ভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাবনা অনেক বেশি। অনেকেই আবার খেজুর রস দিয়ে সিরাপ, পিঠে বা দুধ তৈরি করার জন্য রাঁধে।

বাংলাদেশে খেজুর রস থেকে তৈরি হওয়া গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, বালুয়া গুড়, মিছহরি গুড় ইত্যাদি অনেক জনপ্রিয়। সাধারণত বাংলাদেশে খেজুর রস সংগ্রহ করা হয় কার্তিক থেকে মাঘ মাস পর্যন্ত অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত। আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি খেজুরের রস সংগ্রহ করা হয় যশোর, কুষ্টিয়া এবং ফরিদপুরে। তবে, খেজুর রস খাওয়ার মাধ্যমে নিপাহ ভাইরাস ছড়ানোর সম্পর্কে আমরা কতটা সচেতন! বেশ কয়েক বছর ধরে খেজুর রস খাওয়ার মাধ্যমে নিপাহ ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডঐঙ) অনুযায়ী, নিপাহ ভাইরাস হলো একটি ‘জুনোটিক ভাইরাস’, যা প্রাণী থেকে মানুষে ছড়ায় এবং পরে অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। নিপাহ ভাইরাস মস্তিষ্কে প্রদাহ সৃষ্টি করে। ফলে জ্বর, মানসিক অস্থিরতা, কিংবা মৃগী হওয়া ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়।

২০০১ সালে মেহেরপুরে বাংলাদেশে প্রথম নিপাহ ভাইরাস শনাক্ত হয়। সে বছর শনাক্ত হয় ১৩ জন এবং তাদের অনেকেই মারা যায়। ২০১২ সালে এই রোগে আক্রান্ত হয় ১৮ জন। সবশেষ গত সাত বছরের মধ্যে ২০১৬ সালে কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি। কিন্তু ২০১৭ সালে তিন জন শনাক্ত হয়। ২০১৮ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ২০ জন শনাক্ত হয়। গত ২৩ বছরে দেশে ৩৩৯ জন নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে, যার মধ্যে ২৪০ জন মারা যায়। তাই নিপাহ ভাইরাস নিয়ে আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

সাধারণত গাছের গর্তে পাত্র ঝুলিয়ে খেজুরের রস সংগ্রহ করা হয়। যেখানে রাতের বেলা বাদুড়রা এসে রস পান করে। বাদুড়রা খেজুর রস পান করার সময় তাদের লালাগ এবং মল রসের সাথে মিশে যায়। যার কারণে কাঁচা খেজুর রস পান করলে মানুষের মধ্যে নিপাহ ভাইরাস ছড়াতে পারে। ফলে ফলে জ্বর, মাথাব্যথা, দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট, কাশি, বমি, ডায়রিয়া এবং বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে, যা মৃত্যুর কারণও হতে পারে।

মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কোন ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে পারে সেটা জানা প্রয়োজন।

নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ হলে উপসর্গহীন থাকতে পারে আবার কারো শুধু সাধারণ জ্বর-কাশি দেখা দিতে পারে। তবে সবচেয়ে জটিল অবস্থা হলো, মস্তিষ্কে সংক্রমণ দেখা দেয়। নিপাহ ভাইরাস শরীরে প্রবেশের পাঁচ থেকে চৌদ্দ দিন পর রোগের লক্ষণ প্রকাশিত হয়। তবে অনেকের মতে ভাইরাসের লক্ষণ প্রকাশ ছাড়াও ৪৫ দিন পর্যন্ত সুপ্ত অবস্থায় ভাইরাসটি শরীরের মধ্যে থাকতে পারে। শুরুতে প্রচ- জ্বর, মাথা ও পেশিতে ব্যথা, কাশি, পেটে ব্যথা, বমিভাব, দুর্বলতা ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। সময়মতো ট্রিটমেন্ট না হলে রোগী মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণা প্রতিবেদন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, খেজুরের রস সংগ্রহ করা নিয়ে কিছু বিষয়ে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যেমন, যারা রস সংগ্রহ করেন, তারা যেন সতর্ক থাকেন। কারণ হাঁড়ির আশপাশে বাদুড়ের লালা লেগে থাকতে পারে। মাস্ক পরতে হবে এবং রস সংগ্রহের পর সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে। গাছ থেকে খেজুরের রস সংগ্রহের হাঁড়ি ঢেকে রাখতে হবে। খেজুরের কাঁচা রস পান না করে তা ফুটিয়ে নিতে হবে। আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করা এবং রোগীর সেবা করার পর সাবান ও পানি দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুতে হবে। এটি নিশ্চিত করতে হবে যে, খেজুর রস সংগ্রহের স্থানটি নিরাপদ এবং পরিষ্কার। এছাড়া, খেজুর রস সেদ্ধ করে পান করা উচিত। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, রস সংগ্রহের পর তা ৭০-৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সেদ্ধ করা উচিত, যাতে ভাইরাসটি মারা যায়।

এখনও পর্যন্ত নিপাহ ভাইরাস প্রতিরোধের কোনো টিকা বা কার্যকর চিকিৎসা নেই। তাই এই রোগ নিয়ে সচেতনতা এবং সাবধানতা অবলম্বন করা খুবই জরুরি। সেক্ষেত্রে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন গ্রহণ করা যেতে। যেমন, আক্রান্ত মানুষ থেকে মানুষেও ছড়াতে পারে এই রোগ। তাই যারা রোগীদের সেবা দিয়েছেন এবং মৃতদের সত্কার করেছেন, তাদের দিকেও লক্ষ রাখতে হবে। রোগীর কাপড় ও অন্যান্য সামগ্রী ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। রোগীর সঙ্গে একই পাত্রে খাওয়া বা একই বিছানায় ঘুমানো যাবে না। যেহেতু নিপাহ ভাইরাস শরীরে প্রবেশের পাঁচ থেকে চৌদ্দ দিন পর রোগের লক্ষণ প্রকাশিত হয়, তাই সে সময়ে যারা খেজুরের রস খেয়েছেন, তাদের সবাইকে পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। সেইসঙ্গে যারা রোগীর সেবা করবে তারা মুখে মাস্ক এবং হাতে গ্লাভস পরে নিতে হবে। আসুন নিপাহ ভাইরাসে আতঙ্ক না হয়ে নিজে সচেতন হই এবং অন্য কেও এই ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন করি।

সাকিবুল হাছান

সমাজবিজ্ঞান বিভাগ

back to top