alt

পাঠকের চিঠি

নিপাহ ভাইরাস : খেজুরের কাঁচা রস পরিহার করুন

: বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪

শীতকালে বিভিন্ন রোগের আবির্ভাব হয় তারমধ্যে নিপাহ ভাইরাস অন্যতম। শীত আসার সাথে সাথে খেজুর রসের স্বাদ এবং গন্ধে সবার মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। এই সময়ে অনেক মানুষ খেজুর গাছ থেকে রস নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস পান করে। যা থেকে নিপাহ ভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাবনা অনেক বেশি। অনেকেই আবার খেজুর রস দিয়ে সিরাপ, পিঠে বা দুধ তৈরি করার জন্য রাঁধে।

বাংলাদেশে খেজুর রস থেকে তৈরি হওয়া গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, বালুয়া গুড়, মিছহরি গুড় ইত্যাদি অনেক জনপ্রিয়। সাধারণত বাংলাদেশে খেজুর রস সংগ্রহ করা হয় কার্তিক থেকে মাঘ মাস পর্যন্ত অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত। আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি খেজুরের রস সংগ্রহ করা হয় যশোর, কুষ্টিয়া এবং ফরিদপুরে। তবে, খেজুর রস খাওয়ার মাধ্যমে নিপাহ ভাইরাস ছড়ানোর সম্পর্কে আমরা কতটা সচেতন! বেশ কয়েক বছর ধরে খেজুর রস খাওয়ার মাধ্যমে নিপাহ ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডঐঙ) অনুযায়ী, নিপাহ ভাইরাস হলো একটি ‘জুনোটিক ভাইরাস’, যা প্রাণী থেকে মানুষে ছড়ায় এবং পরে অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। নিপাহ ভাইরাস মস্তিষ্কে প্রদাহ সৃষ্টি করে। ফলে জ্বর, মানসিক অস্থিরতা, কিংবা মৃগী হওয়া ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়।

২০০১ সালে মেহেরপুরে বাংলাদেশে প্রথম নিপাহ ভাইরাস শনাক্ত হয়। সে বছর শনাক্ত হয় ১৩ জন এবং তাদের অনেকেই মারা যায়। ২০১২ সালে এই রোগে আক্রান্ত হয় ১৮ জন। সবশেষ গত সাত বছরের মধ্যে ২০১৬ সালে কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি। কিন্তু ২০১৭ সালে তিন জন শনাক্ত হয়। ২০১৮ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ২০ জন শনাক্ত হয়। গত ২৩ বছরে দেশে ৩৩৯ জন নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে, যার মধ্যে ২৪০ জন মারা যায়। তাই নিপাহ ভাইরাস নিয়ে আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

সাধারণত গাছের গর্তে পাত্র ঝুলিয়ে খেজুরের রস সংগ্রহ করা হয়। যেখানে রাতের বেলা বাদুড়রা এসে রস পান করে। বাদুড়রা খেজুর রস পান করার সময় তাদের লালাগ এবং মল রসের সাথে মিশে যায়। যার কারণে কাঁচা খেজুর রস পান করলে মানুষের মধ্যে নিপাহ ভাইরাস ছড়াতে পারে। ফলে ফলে জ্বর, মাথাব্যথা, দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট, কাশি, বমি, ডায়রিয়া এবং বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে, যা মৃত্যুর কারণও হতে পারে।

মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কোন ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে পারে সেটা জানা প্রয়োজন।

নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ হলে উপসর্গহীন থাকতে পারে আবার কারো শুধু সাধারণ জ্বর-কাশি দেখা দিতে পারে। তবে সবচেয়ে জটিল অবস্থা হলো, মস্তিষ্কে সংক্রমণ দেখা দেয়। নিপাহ ভাইরাস শরীরে প্রবেশের পাঁচ থেকে চৌদ্দ দিন পর রোগের লক্ষণ প্রকাশিত হয়। তবে অনেকের মতে ভাইরাসের লক্ষণ প্রকাশ ছাড়াও ৪৫ দিন পর্যন্ত সুপ্ত অবস্থায় ভাইরাসটি শরীরের মধ্যে থাকতে পারে। শুরুতে প্রচ- জ্বর, মাথা ও পেশিতে ব্যথা, কাশি, পেটে ব্যথা, বমিভাব, দুর্বলতা ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। সময়মতো ট্রিটমেন্ট না হলে রোগী মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণা প্রতিবেদন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, খেজুরের রস সংগ্রহ করা নিয়ে কিছু বিষয়ে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যেমন, যারা রস সংগ্রহ করেন, তারা যেন সতর্ক থাকেন। কারণ হাঁড়ির আশপাশে বাদুড়ের লালা লেগে থাকতে পারে। মাস্ক পরতে হবে এবং রস সংগ্রহের পর সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে। গাছ থেকে খেজুরের রস সংগ্রহের হাঁড়ি ঢেকে রাখতে হবে। খেজুরের কাঁচা রস পান না করে তা ফুটিয়ে নিতে হবে। আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করা এবং রোগীর সেবা করার পর সাবান ও পানি দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুতে হবে। এটি নিশ্চিত করতে হবে যে, খেজুর রস সংগ্রহের স্থানটি নিরাপদ এবং পরিষ্কার। এছাড়া, খেজুর রস সেদ্ধ করে পান করা উচিত। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, রস সংগ্রহের পর তা ৭০-৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সেদ্ধ করা উচিত, যাতে ভাইরাসটি মারা যায়।

এখনও পর্যন্ত নিপাহ ভাইরাস প্রতিরোধের কোনো টিকা বা কার্যকর চিকিৎসা নেই। তাই এই রোগ নিয়ে সচেতনতা এবং সাবধানতা অবলম্বন করা খুবই জরুরি। সেক্ষেত্রে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন গ্রহণ করা যেতে। যেমন, আক্রান্ত মানুষ থেকে মানুষেও ছড়াতে পারে এই রোগ। তাই যারা রোগীদের সেবা দিয়েছেন এবং মৃতদের সত্কার করেছেন, তাদের দিকেও লক্ষ রাখতে হবে। রোগীর কাপড় ও অন্যান্য সামগ্রী ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। রোগীর সঙ্গে একই পাত্রে খাওয়া বা একই বিছানায় ঘুমানো যাবে না। যেহেতু নিপাহ ভাইরাস শরীরে প্রবেশের পাঁচ থেকে চৌদ্দ দিন পর রোগের লক্ষণ প্রকাশিত হয়, তাই সে সময়ে যারা খেজুরের রস খেয়েছেন, তাদের সবাইকে পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। সেইসঙ্গে যারা রোগীর সেবা করবে তারা মুখে মাস্ক এবং হাতে গ্লাভস পরে নিতে হবে। আসুন নিপাহ ভাইরাসে আতঙ্ক না হয়ে নিজে সচেতন হই এবং অন্য কেও এই ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন করি।

সাকিবুল হাছান

সমাজবিজ্ঞান বিভাগ

সারের সংকট ও কৃষকের দুর্ভোগ

সংস্কার আর সময়ের সমীকরণে নির্বাচন

বাণিজ্য মুক্ত হোক সান্ধ্যকোর্স

ছবি

ডে-কেয়ার সেন্টার

ডিজিটাল দাসত্ব : মোবাইল আসক্তির প্রভাব

লোকালয়ে ইটভাটা

ছবি

পাটের বস্তা ব্যবহার অনেকটাই উপক্ষিত

রায়পুরে সড়কের সংস্কার চাই

অতিরিক্ত ভাড়া বন্ধ হোক

গ্যাস সংকট

ছবি

বাংলার ক্রিকেটের সফলতার গল্প লিখেছেন যুবারা

স্বেচ্ছাসেবা : একটি জীবন বোধ

শীতকালীন বায়ুদূষণ ও স্বাস্থ্য সচেতনতা

অবসরের বয়সসীমা বাড়ান

রাস্তা অবরোধ নামক অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে

ছবি

খেলনায় বিষাক্ত ধাতু

জিপিএ-৫ মুখ্য নয়, প্রয়োজন প্রকৃত শিক্ষা

রাষ্ট্রসংস্কারের পূর্বে আত্মসংস্কার প্রয়োজন

আইনশৃৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বেহালদশা

পরিকল্পিতভাবে উপযুক্ত স্থানে গাছ রোপণ করা উচিত

ইজিবাইক ছিনতাই

ছবি

টিসিবির পণ্য : নিম্নআয়ের মানুষের ভোগান্তি

ছবি

উন্নয়নের জন্য কারিগরি শিক্ষা অপরিহার্য

ছবি

ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ বন্ধ করুন

সড়ক দুর্ঘটনা

বায়ুদূষণে দমবন্ধ ঢাকা

হলগুলোর খাবারের মান বাড়ান

নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ হবে কবে

মোরেলগঞ্জ পৌরসভার নাগরিক সেবা উন্নয়নে পদক্ষেপ নিন

ছবি

খেজুরের রস

ট্যাগিং সংস্কৃতির অবসান ঘটুক

আবাসন সংকট দূর করুন

আখাউড়া-আগরতলা ট্রেন চালু হবে কি ?

উচ্চশিক্ষা ও বেকারত্ব

ছবি

অবৈধ ইটভাটা : দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক

tab

পাঠকের চিঠি

নিপাহ ভাইরাস : খেজুরের কাঁচা রস পরিহার করুন

বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪

শীতকালে বিভিন্ন রোগের আবির্ভাব হয় তারমধ্যে নিপাহ ভাইরাস অন্যতম। শীত আসার সাথে সাথে খেজুর রসের স্বাদ এবং গন্ধে সবার মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। এই সময়ে অনেক মানুষ খেজুর গাছ থেকে রস নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস পান করে। যা থেকে নিপাহ ভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাবনা অনেক বেশি। অনেকেই আবার খেজুর রস দিয়ে সিরাপ, পিঠে বা দুধ তৈরি করার জন্য রাঁধে।

বাংলাদেশে খেজুর রস থেকে তৈরি হওয়া গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, বালুয়া গুড়, মিছহরি গুড় ইত্যাদি অনেক জনপ্রিয়। সাধারণত বাংলাদেশে খেজুর রস সংগ্রহ করা হয় কার্তিক থেকে মাঘ মাস পর্যন্ত অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত। আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি খেজুরের রস সংগ্রহ করা হয় যশোর, কুষ্টিয়া এবং ফরিদপুরে। তবে, খেজুর রস খাওয়ার মাধ্যমে নিপাহ ভাইরাস ছড়ানোর সম্পর্কে আমরা কতটা সচেতন! বেশ কয়েক বছর ধরে খেজুর রস খাওয়ার মাধ্যমে নিপাহ ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডঐঙ) অনুযায়ী, নিপাহ ভাইরাস হলো একটি ‘জুনোটিক ভাইরাস’, যা প্রাণী থেকে মানুষে ছড়ায় এবং পরে অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। নিপাহ ভাইরাস মস্তিষ্কে প্রদাহ সৃষ্টি করে। ফলে জ্বর, মানসিক অস্থিরতা, কিংবা মৃগী হওয়া ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়।

২০০১ সালে মেহেরপুরে বাংলাদেশে প্রথম নিপাহ ভাইরাস শনাক্ত হয়। সে বছর শনাক্ত হয় ১৩ জন এবং তাদের অনেকেই মারা যায়। ২০১২ সালে এই রোগে আক্রান্ত হয় ১৮ জন। সবশেষ গত সাত বছরের মধ্যে ২০১৬ সালে কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি। কিন্তু ২০১৭ সালে তিন জন শনাক্ত হয়। ২০১৮ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ২০ জন শনাক্ত হয়। গত ২৩ বছরে দেশে ৩৩৯ জন নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে, যার মধ্যে ২৪০ জন মারা যায়। তাই নিপাহ ভাইরাস নিয়ে আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

সাধারণত গাছের গর্তে পাত্র ঝুলিয়ে খেজুরের রস সংগ্রহ করা হয়। যেখানে রাতের বেলা বাদুড়রা এসে রস পান করে। বাদুড়রা খেজুর রস পান করার সময় তাদের লালাগ এবং মল রসের সাথে মিশে যায়। যার কারণে কাঁচা খেজুর রস পান করলে মানুষের মধ্যে নিপাহ ভাইরাস ছড়াতে পারে। ফলে ফলে জ্বর, মাথাব্যথা, দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট, কাশি, বমি, ডায়রিয়া এবং বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে, যা মৃত্যুর কারণও হতে পারে।

মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কোন ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে পারে সেটা জানা প্রয়োজন।

নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ হলে উপসর্গহীন থাকতে পারে আবার কারো শুধু সাধারণ জ্বর-কাশি দেখা দিতে পারে। তবে সবচেয়ে জটিল অবস্থা হলো, মস্তিষ্কে সংক্রমণ দেখা দেয়। নিপাহ ভাইরাস শরীরে প্রবেশের পাঁচ থেকে চৌদ্দ দিন পর রোগের লক্ষণ প্রকাশিত হয়। তবে অনেকের মতে ভাইরাসের লক্ষণ প্রকাশ ছাড়াও ৪৫ দিন পর্যন্ত সুপ্ত অবস্থায় ভাইরাসটি শরীরের মধ্যে থাকতে পারে। শুরুতে প্রচ- জ্বর, মাথা ও পেশিতে ব্যথা, কাশি, পেটে ব্যথা, বমিভাব, দুর্বলতা ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। সময়মতো ট্রিটমেন্ট না হলে রোগী মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণা প্রতিবেদন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, খেজুরের রস সংগ্রহ করা নিয়ে কিছু বিষয়ে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যেমন, যারা রস সংগ্রহ করেন, তারা যেন সতর্ক থাকেন। কারণ হাঁড়ির আশপাশে বাদুড়ের লালা লেগে থাকতে পারে। মাস্ক পরতে হবে এবং রস সংগ্রহের পর সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে। গাছ থেকে খেজুরের রস সংগ্রহের হাঁড়ি ঢেকে রাখতে হবে। খেজুরের কাঁচা রস পান না করে তা ফুটিয়ে নিতে হবে। আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করা এবং রোগীর সেবা করার পর সাবান ও পানি দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুতে হবে। এটি নিশ্চিত করতে হবে যে, খেজুর রস সংগ্রহের স্থানটি নিরাপদ এবং পরিষ্কার। এছাড়া, খেজুর রস সেদ্ধ করে পান করা উচিত। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, রস সংগ্রহের পর তা ৭০-৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সেদ্ধ করা উচিত, যাতে ভাইরাসটি মারা যায়।

এখনও পর্যন্ত নিপাহ ভাইরাস প্রতিরোধের কোনো টিকা বা কার্যকর চিকিৎসা নেই। তাই এই রোগ নিয়ে সচেতনতা এবং সাবধানতা অবলম্বন করা খুবই জরুরি। সেক্ষেত্রে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন গ্রহণ করা যেতে। যেমন, আক্রান্ত মানুষ থেকে মানুষেও ছড়াতে পারে এই রোগ। তাই যারা রোগীদের সেবা দিয়েছেন এবং মৃতদের সত্কার করেছেন, তাদের দিকেও লক্ষ রাখতে হবে। রোগীর কাপড় ও অন্যান্য সামগ্রী ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। রোগীর সঙ্গে একই পাত্রে খাওয়া বা একই বিছানায় ঘুমানো যাবে না। যেহেতু নিপাহ ভাইরাস শরীরে প্রবেশের পাঁচ থেকে চৌদ্দ দিন পর রোগের লক্ষণ প্রকাশিত হয়, তাই সে সময়ে যারা খেজুরের রস খেয়েছেন, তাদের সবাইকে পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। সেইসঙ্গে যারা রোগীর সেবা করবে তারা মুখে মাস্ক এবং হাতে গ্লাভস পরে নিতে হবে। আসুন নিপাহ ভাইরাসে আতঙ্ক না হয়ে নিজে সচেতন হই এবং অন্য কেও এই ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন করি।

সাকিবুল হাছান

সমাজবিজ্ঞান বিভাগ

back to top