ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার ১১ নং বৈরচুনা ইউনিয়নে দিন দিন পরিবেশ দূষণ বেড়েই চলেছে। সাড়ে চার কিলোমিটারের মধ্যে মোট পাঁচটি ইটভাটা চালু রয়েছে। উদ্বেগজনক বিষয় হচ্ছে, এসব ইটভাটা লোকালয় এবং কৃষিজমির উপর নির্মিত যেগুলোর আশেপাশে রয়েছে বেশ কয়েকটি গ্রাম, প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, ইউনিয়ন পরিষদ, বাজার, মা ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ার প্রভাবে কৃষকের জমির ফসল মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
কৃষিজমির উপরিভাগের উর্বর মাটি (টপ সয়েল) ইটের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় জমিগুলো অনাবাদী হয়ে পড়ছে। এলাকাবাসী শ্বাসতন্ত্রজনিত রোগসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। শিশু ও বৃদ্ধদের মধ্যে এসব রোগের প্রকোপ বেশি। বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ২.৫ হাজার কোটি পোড়া মাটির ইট তৈরি করা হয়, যে জন্য ৩৮০০ হেক্টর কৃষি জমির কেটে নেয়া হয়। শুধু তাই নয় এইসব মাটি পোড়ানোর জন্য ৫০ লক্ষ টন কয়লা এবং ৩০ লক্ষ টন কাঠ ব্যাবহার করা হয়। যার ফলে বিপুল পরিমাণ প্রাকৃতিক সম্পদ নষ্ট হচ্ছে। পরিবেশ সংরক্ষু আইন, ২০১০ এবং ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৩ অনুযায়ী লোকালয়, কৃষিজমি, বনাঞ্চল এবং জলাভূমিতে ইটভাটা স্থাপন নিষিদ্ধ।
তবে দেশের প্রায় সব ইটভাটা এসব আইন অমান্য করে পরিচালিত হচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের মতে, দেশের ৭ হাজার ৮৬টি ইটভাটার মধ্যে ৪ হাজার ৫০৫টির পরিবেশ ছাড়পত্র নেই। ইটভাটা মালিক আইনের তোয়াক্কা না করে সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে ইচ্ছে মতো তাদের অবৈধ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। সমস্যা সমাধানে সরকারি তদারকি বাড়ানোর পাশাপাশি পরিবেশ আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। পরিবেশ অধিদপ্তর, বন বিভাগ এবং স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বিত উদ্যোগে অবৈধ ইটভাটা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
মিজানুর রহমান
বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার ১১ নং বৈরচুনা ইউনিয়নে দিন দিন পরিবেশ দূষণ বেড়েই চলেছে। সাড়ে চার কিলোমিটারের মধ্যে মোট পাঁচটি ইটভাটা চালু রয়েছে। উদ্বেগজনক বিষয় হচ্ছে, এসব ইটভাটা লোকালয় এবং কৃষিজমির উপর নির্মিত যেগুলোর আশেপাশে রয়েছে বেশ কয়েকটি গ্রাম, প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, ইউনিয়ন পরিষদ, বাজার, মা ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ার প্রভাবে কৃষকের জমির ফসল মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
কৃষিজমির উপরিভাগের উর্বর মাটি (টপ সয়েল) ইটের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় জমিগুলো অনাবাদী হয়ে পড়ছে। এলাকাবাসী শ্বাসতন্ত্রজনিত রোগসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। শিশু ও বৃদ্ধদের মধ্যে এসব রোগের প্রকোপ বেশি। বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ২.৫ হাজার কোটি পোড়া মাটির ইট তৈরি করা হয়, যে জন্য ৩৮০০ হেক্টর কৃষি জমির কেটে নেয়া হয়। শুধু তাই নয় এইসব মাটি পোড়ানোর জন্য ৫০ লক্ষ টন কয়লা এবং ৩০ লক্ষ টন কাঠ ব্যাবহার করা হয়। যার ফলে বিপুল পরিমাণ প্রাকৃতিক সম্পদ নষ্ট হচ্ছে। পরিবেশ সংরক্ষু আইন, ২০১০ এবং ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৩ অনুযায়ী লোকালয়, কৃষিজমি, বনাঞ্চল এবং জলাভূমিতে ইটভাটা স্থাপন নিষিদ্ধ।
তবে দেশের প্রায় সব ইটভাটা এসব আইন অমান্য করে পরিচালিত হচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের মতে, দেশের ৭ হাজার ৮৬টি ইটভাটার মধ্যে ৪ হাজার ৫০৫টির পরিবেশ ছাড়পত্র নেই। ইটভাটা মালিক আইনের তোয়াক্কা না করে সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে ইচ্ছে মতো তাদের অবৈধ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। সমস্যা সমাধানে সরকারি তদারকি বাড়ানোর পাশাপাশি পরিবেশ আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। পরিবেশ অধিদপ্তর, বন বিভাগ এবং স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বিত উদ্যোগে অবৈধ ইটভাটা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
মিজানুর রহমান