আজকের পৃথিবী প্রবাহিত হচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তির ছোঁয়ায়। প্রযুক্তির উন্নতি আমাদের জীবনকে অনেকটাই সহজ এবং গতিশীল করেছে। তবে, এর সঙ্গে এক নতুন ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে যার নাম মোবাইল আসক্তি। মোবাইল ফোন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। কিন্তু যখন এই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাত্রা সীমা ছাড়িয়ে যায়, তখন এটি আমাদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। এবার আসা যাক মোবাইল আসক্তির কারণ, সমস্যা আর সমাধান নির্ণয়ে।
মোবাইল আসক্তি আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে বিপর্যস্ত করে দিতে পারে। প্রথমত, এটি আমাদের সামাজিক জীবনকে প্রভাবিত করে। ফোনের প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরতা আমাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে দূরত্ব তৈরি করে এবং বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে প্রাকৃতিক সম্পর্কের জায়গায় ভার্চুয়াল সম্পর্ক গড়ে তোলে। ফলে, একাকীত্ব এবং মানসিক অবসাদ সৃষ্টি হতে পারে।
আরেকটি সমস্যা হলো শারীরিক স্বাস্থ্যের অবনতি। মোবাইল ফোনে দীর্ঘ সময় বসে থাকার কারণে চোখের সমস্যা, মেরুদ- ও মাথাব্যথা হতে পারে। পাশাপাশি, রাতে ফোন ব্যবহার করলে ঘুমের সমস্যা তৈরি হতে পারে, যা আমাদের মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ বাড়ায়।
মোবাইল আসক্তি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে প্রথমত আমাদের সচেতনতা বাড়াতে হবে। আমাদের বুঝতে হবে, প্রযুক্তি আমাদের জীবনের সুবিধার জন্য, কিন্তু এটি যখন আমাদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে, তখন তা ক্ষতিকর হয়ে ওঠে।
মোবাইল আসক্তি আজকের ডিজিটাল সমাজের এক অতি প্রচলিত সমস্যা। তবে সচেতনতা এবং সঠিক পদক্ষেপের মাধ্যমে এই আসক্তির প্রভাব কমিয়ে আনা সম্ভব। মোবাইল আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অপরিহার্য হলেও, এর অতিরিক্ত ব্যবহার থেকে বিরত থাকলে আমরা মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে পারব। আমাদের কর্তব্য হলো প্রযুক্তির প্রতি নির্ভরশীলতার সীমা চিহ্নিত করা এবং একটি ভারসাম্যপূর্ণ জীবনযাপন করা।
আফসানা আক্তার সূচী
শিক্ষার্থী, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪
আজকের পৃথিবী প্রবাহিত হচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তির ছোঁয়ায়। প্রযুক্তির উন্নতি আমাদের জীবনকে অনেকটাই সহজ এবং গতিশীল করেছে। তবে, এর সঙ্গে এক নতুন ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে যার নাম মোবাইল আসক্তি। মোবাইল ফোন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। কিন্তু যখন এই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাত্রা সীমা ছাড়িয়ে যায়, তখন এটি আমাদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। এবার আসা যাক মোবাইল আসক্তির কারণ, সমস্যা আর সমাধান নির্ণয়ে।
মোবাইল আসক্তি আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে বিপর্যস্ত করে দিতে পারে। প্রথমত, এটি আমাদের সামাজিক জীবনকে প্রভাবিত করে। ফোনের প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরতা আমাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে দূরত্ব তৈরি করে এবং বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে প্রাকৃতিক সম্পর্কের জায়গায় ভার্চুয়াল সম্পর্ক গড়ে তোলে। ফলে, একাকীত্ব এবং মানসিক অবসাদ সৃষ্টি হতে পারে।
আরেকটি সমস্যা হলো শারীরিক স্বাস্থ্যের অবনতি। মোবাইল ফোনে দীর্ঘ সময় বসে থাকার কারণে চোখের সমস্যা, মেরুদ- ও মাথাব্যথা হতে পারে। পাশাপাশি, রাতে ফোন ব্যবহার করলে ঘুমের সমস্যা তৈরি হতে পারে, যা আমাদের মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ বাড়ায়।
মোবাইল আসক্তি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে প্রথমত আমাদের সচেতনতা বাড়াতে হবে। আমাদের বুঝতে হবে, প্রযুক্তি আমাদের জীবনের সুবিধার জন্য, কিন্তু এটি যখন আমাদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে, তখন তা ক্ষতিকর হয়ে ওঠে।
মোবাইল আসক্তি আজকের ডিজিটাল সমাজের এক অতি প্রচলিত সমস্যা। তবে সচেতনতা এবং সঠিক পদক্ষেপের মাধ্যমে এই আসক্তির প্রভাব কমিয়ে আনা সম্ভব। মোবাইল আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অপরিহার্য হলেও, এর অতিরিক্ত ব্যবহার থেকে বিরত থাকলে আমরা মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে পারব। আমাদের কর্তব্য হলো প্রযুক্তির প্রতি নির্ভরশীলতার সীমা চিহ্নিত করা এবং একটি ভারসাম্যপূর্ণ জীবনযাপন করা।
আফসানা আক্তার সূচী
শিক্ষার্থী, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।