বিজয় দিবসের প্রাক্কালে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস তার ভাষণে আগামী নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচির একটি রূপরেখা তুলে ধরেছেন। তার বক্তব্য অনুযায়ী, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে ২০২৫ সালের শেষ থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে। তবে এটি নির্ভর করবে কতটুকু রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার করা যায় তার ওপর।
প্রধান উপদেষ্টার এই ঘোষণা নির্বাচন নিয়ে দেশবাসীর দীর্ঘদিনের একটি প্রশ্নের উত্তর পেতে সাহায্য করবে। তবে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো এই সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার এবং ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা।
পাচ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর রাজনীতিতে এখন সক্রিয়ে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি দ্রুত নির্বাচন চাইছে। আবার কেউ কেউ বলছে, প্রয়োজনীয় সব সংস্কার শেষে এবং পতিত সরকারের বিচার সম্পন্ন করে তারপর নির্বাচন দিতে হবে।
দেশে অনেক ক্ষেত্রেই সংস্কার প্রয়োজন। কিন্তু এটা চলমান প্রক্রিয়া। কাজেই জরুরি কিছু সংস্কার করে নির্বাচন দেয়াই শ্রেয়। কিছু ক্ষেত্রে সংস্কার সাধনের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকার কয়েকটি কমিশন গঠন করেছে। এরমধ্যে সংবিধান সংস্কার ও নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কার নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বেশি। আমরা বলতে চাই, যে ক্ষেত্রেই সংস্কার করা হোক না কেন সেটা হতে হবে ঐকমত্যের ভিত্তিতে। কেন সংস্কার প্রয়োজন সেই প্রশ্নেরও সদুত্তর থাকতে হবে। সংস্কারের মূলে থাকতে হবে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা। গণতন্ত্র চাইলে নির্বাচিত সরকার দরকার। এখনও দেশ খুব একটা স্বাভাবিক নয়। জনশৃঙ্খলায় সমস্যা আছে। নির্বাচনের পথে যাত্রা করাই ভালো।
দেশে নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার প্রয়োজন। সেই সংস্কার করতে বেশি সময় লাগবার কথা নয়। নির্বাচনী সংস্কার কী হবে সে ব্যাপারে ঐকমত্য থাকতে হবে। দেশে নির্বাচনের ক্ষেত্রে কিছু প্রশ্ন আছে। গত ৫৩ বছরেও এমন একটি পদ্ধতি ঠিক করা গেল না যেটা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। সব নির্বাচন নিয়েই পরাজিত রাজনৈতিক দলগুলো প্রশ্ন তোলে। দেশের নির্বাচনের ইতিহাসে মোটামুটি গ্রহণযোগ্য যেসব নির্বাচন সেগুলো নিয়েও প্রশ্ন তুলতে দেখা গেছে। এই অবস্থা থেকে বেরোতে হবে। এমন একটা নির্বাচনী ব্যবস্থা দাঁড় করাতে হবে যাতে করে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন না ওঠে।
কেউ কেউ বলছেন, আগের সরকারের বিচার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন করা যাবে না। আমরা বলতে চাই, কারও বিচার করা নিদিষ্ট কিছু প্রক্রিয়ার ব্যাপার। প্রশ্ন হচ্ছে, বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে যদি দশ বছর লাগে ততদিন কি জাতি অপেক্ষা করবে। আমরা বলতে চাই, সবকিছু পাশাপাশি চলা দরকার। একটার জন্য আরেকটাকে বসিয়ে রাখার মানে নেই।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের জন্য কিছু মৌলিক শর্ত পূরণ করা জরুরি। তবে এজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরি ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। প্রধান উপদেষ্টা যে ‘জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন’ প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন, তা এই উদ্দেশ্য পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই।
বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪
বিজয় দিবসের প্রাক্কালে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস তার ভাষণে আগামী নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচির একটি রূপরেখা তুলে ধরেছেন। তার বক্তব্য অনুযায়ী, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে ২০২৫ সালের শেষ থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে। তবে এটি নির্ভর করবে কতটুকু রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার করা যায় তার ওপর।
প্রধান উপদেষ্টার এই ঘোষণা নির্বাচন নিয়ে দেশবাসীর দীর্ঘদিনের একটি প্রশ্নের উত্তর পেতে সাহায্য করবে। তবে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো এই সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার এবং ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা।
পাচ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর রাজনীতিতে এখন সক্রিয়ে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি দ্রুত নির্বাচন চাইছে। আবার কেউ কেউ বলছে, প্রয়োজনীয় সব সংস্কার শেষে এবং পতিত সরকারের বিচার সম্পন্ন করে তারপর নির্বাচন দিতে হবে।
দেশে অনেক ক্ষেত্রেই সংস্কার প্রয়োজন। কিন্তু এটা চলমান প্রক্রিয়া। কাজেই জরুরি কিছু সংস্কার করে নির্বাচন দেয়াই শ্রেয়। কিছু ক্ষেত্রে সংস্কার সাধনের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকার কয়েকটি কমিশন গঠন করেছে। এরমধ্যে সংবিধান সংস্কার ও নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কার নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বেশি। আমরা বলতে চাই, যে ক্ষেত্রেই সংস্কার করা হোক না কেন সেটা হতে হবে ঐকমত্যের ভিত্তিতে। কেন সংস্কার প্রয়োজন সেই প্রশ্নেরও সদুত্তর থাকতে হবে। সংস্কারের মূলে থাকতে হবে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা। গণতন্ত্র চাইলে নির্বাচিত সরকার দরকার। এখনও দেশ খুব একটা স্বাভাবিক নয়। জনশৃঙ্খলায় সমস্যা আছে। নির্বাচনের পথে যাত্রা করাই ভালো।
দেশে নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার প্রয়োজন। সেই সংস্কার করতে বেশি সময় লাগবার কথা নয়। নির্বাচনী সংস্কার কী হবে সে ব্যাপারে ঐকমত্য থাকতে হবে। দেশে নির্বাচনের ক্ষেত্রে কিছু প্রশ্ন আছে। গত ৫৩ বছরেও এমন একটি পদ্ধতি ঠিক করা গেল না যেটা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। সব নির্বাচন নিয়েই পরাজিত রাজনৈতিক দলগুলো প্রশ্ন তোলে। দেশের নির্বাচনের ইতিহাসে মোটামুটি গ্রহণযোগ্য যেসব নির্বাচন সেগুলো নিয়েও প্রশ্ন তুলতে দেখা গেছে। এই অবস্থা থেকে বেরোতে হবে। এমন একটা নির্বাচনী ব্যবস্থা দাঁড় করাতে হবে যাতে করে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন না ওঠে।
কেউ কেউ বলছেন, আগের সরকারের বিচার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন করা যাবে না। আমরা বলতে চাই, কারও বিচার করা নিদিষ্ট কিছু প্রক্রিয়ার ব্যাপার। প্রশ্ন হচ্ছে, বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে যদি দশ বছর লাগে ততদিন কি জাতি অপেক্ষা করবে। আমরা বলতে চাই, সবকিছু পাশাপাশি চলা দরকার। একটার জন্য আরেকটাকে বসিয়ে রাখার মানে নেই।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের জন্য কিছু মৌলিক শর্ত পূরণ করা জরুরি। তবে এজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরি ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। প্রধান উপদেষ্টা যে ‘জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন’ প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন, তা এই উদ্দেশ্য পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই।