alt

পাঠকের চিঠি

সারের সংকট ও কৃষকের দুর্ভোগ

: বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪

রংপুরের পীরগাছায় চাহিদার তুলনায় সার সরবারহ কম বলে জানা গেছে। সঠিক সরবরাহ নিশ্চিত না হওয়া এবং অতিরিক্ত মূল্যে সার বিক্রির ফলে চাষাবাদে ব্যাঘাত ঘটছে, যা কৃষি উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এ নিয়ে গতকাল সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

কৃষকদের অভিযোগ, ডিলার ও খুচরা বিক্রেতারা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে অধিক মুনাফা অর্জন করছেন। অন্যদিকে ডিলাররা দাবি করছেন, সরবরাহ কম থাকায় সংকট তৈরি হয়েছে। তবে এই অবস্থার স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন।

রংপুর ছাড়াও দেশের আরও অনেক স্থানে সারের সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে। গাইবান্ধায় রবি ফসলের চাষাবাদ শুরু করতে ট্রিপল সুপার ফসফেট ও মিউরেট অব পটাশ সারের ঘাটতি ও বেশি দাম কৃষকদের মধ্যে চরম উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকার নির্ধারিত মূল্যে প্রতি কেজি টিএসপি সার ২৭ টাকা এবং পটাশ ২০ টাকা হওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে খুচরা বিক্রেতারা টিএসপি বিক্রি করছেন ৩২ থেকে ৪০ টাকা এবং পটাশ ২২ থেকে ২৫ টাকায়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রবি মৌসুমে গাইবান্ধা জেলায় আলু, গম, সরিষা, ভুট্টা, শাকসবজি এবং অন্যান্য ফসলের জন্য বিপুল পরিমাণ সারের প্রয়োজন। কিন্তু চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় কৃষকদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে।

অভিযোগ ওঠেছে, সরকারি মনিটরিং দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে কিছু অসাধু ডিলার ও বিক্রেতা কৃষকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছেন। অভিযোগ রয়েছে, কিছু বিক্রেতা বাড়তি দাম আদায়ের রশিদও দিচ্ছেন না। কৃষকরা প্রতিবাদ করলে সার বিক্রি বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। এ অবস্থায় কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।

সারের সঠিক সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকারকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা ছাড়া কৃষকের দুর্ভোগ কমবে না। কৃষি উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হলে তার প্রভাব শুধু কৃষকদের ওপর নয়, পুরো দেশের খাদ্য নিরাপত্তার ওপর পড়বে। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই সংকট দ্রুত সমাধান করতে হবে।

সংস্কার আর সময়ের সমীকরণে নির্বাচন

বাণিজ্য মুক্ত হোক সান্ধ্যকোর্স

ছবি

ডে-কেয়ার সেন্টার

ডিজিটাল দাসত্ব : মোবাইল আসক্তির প্রভাব

লোকালয়ে ইটভাটা

ছবি

নিপাহ ভাইরাস : খেজুরের কাঁচা রস পরিহার করুন

ছবি

পাটের বস্তা ব্যবহার অনেকটাই উপক্ষিত

রায়পুরে সড়কের সংস্কার চাই

অতিরিক্ত ভাড়া বন্ধ হোক

গ্যাস সংকট

ছবি

বাংলার ক্রিকেটের সফলতার গল্প লিখেছেন যুবারা

স্বেচ্ছাসেবা : একটি জীবন বোধ

শীতকালীন বায়ুদূষণ ও স্বাস্থ্য সচেতনতা

অবসরের বয়সসীমা বাড়ান

রাস্তা অবরোধ নামক অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে

ছবি

খেলনায় বিষাক্ত ধাতু

জিপিএ-৫ মুখ্য নয়, প্রয়োজন প্রকৃত শিক্ষা

রাষ্ট্রসংস্কারের পূর্বে আত্মসংস্কার প্রয়োজন

আইনশৃৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বেহালদশা

পরিকল্পিতভাবে উপযুক্ত স্থানে গাছ রোপণ করা উচিত

ইজিবাইক ছিনতাই

ছবি

টিসিবির পণ্য : নিম্নআয়ের মানুষের ভোগান্তি

ছবি

উন্নয়নের জন্য কারিগরি শিক্ষা অপরিহার্য

ছবি

ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ বন্ধ করুন

সড়ক দুর্ঘটনা

বায়ুদূষণে দমবন্ধ ঢাকা

হলগুলোর খাবারের মান বাড়ান

নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ হবে কবে

মোরেলগঞ্জ পৌরসভার নাগরিক সেবা উন্নয়নে পদক্ষেপ নিন

ছবি

খেজুরের রস

ট্যাগিং সংস্কৃতির অবসান ঘটুক

আবাসন সংকট দূর করুন

আখাউড়া-আগরতলা ট্রেন চালু হবে কি ?

উচ্চশিক্ষা ও বেকারত্ব

ছবি

অবৈধ ইটভাটা : দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক

tab

পাঠকের চিঠি

সারের সংকট ও কৃষকের দুর্ভোগ

বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪

রংপুরের পীরগাছায় চাহিদার তুলনায় সার সরবারহ কম বলে জানা গেছে। সঠিক সরবরাহ নিশ্চিত না হওয়া এবং অতিরিক্ত মূল্যে সার বিক্রির ফলে চাষাবাদে ব্যাঘাত ঘটছে, যা কৃষি উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এ নিয়ে গতকাল সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

কৃষকদের অভিযোগ, ডিলার ও খুচরা বিক্রেতারা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে অধিক মুনাফা অর্জন করছেন। অন্যদিকে ডিলাররা দাবি করছেন, সরবরাহ কম থাকায় সংকট তৈরি হয়েছে। তবে এই অবস্থার স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন।

রংপুর ছাড়াও দেশের আরও অনেক স্থানে সারের সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে। গাইবান্ধায় রবি ফসলের চাষাবাদ শুরু করতে ট্রিপল সুপার ফসফেট ও মিউরেট অব পটাশ সারের ঘাটতি ও বেশি দাম কৃষকদের মধ্যে চরম উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকার নির্ধারিত মূল্যে প্রতি কেজি টিএসপি সার ২৭ টাকা এবং পটাশ ২০ টাকা হওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে খুচরা বিক্রেতারা টিএসপি বিক্রি করছেন ৩২ থেকে ৪০ টাকা এবং পটাশ ২২ থেকে ২৫ টাকায়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রবি মৌসুমে গাইবান্ধা জেলায় আলু, গম, সরিষা, ভুট্টা, শাকসবজি এবং অন্যান্য ফসলের জন্য বিপুল পরিমাণ সারের প্রয়োজন। কিন্তু চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় কৃষকদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে।

অভিযোগ ওঠেছে, সরকারি মনিটরিং দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে কিছু অসাধু ডিলার ও বিক্রেতা কৃষকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছেন। অভিযোগ রয়েছে, কিছু বিক্রেতা বাড়তি দাম আদায়ের রশিদও দিচ্ছেন না। কৃষকরা প্রতিবাদ করলে সার বিক্রি বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। এ অবস্থায় কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।

সারের সঠিক সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকারকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা ছাড়া কৃষকের দুর্ভোগ কমবে না। কৃষি উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হলে তার প্রভাব শুধু কৃষকদের ওপর নয়, পুরো দেশের খাদ্য নিরাপত্তার ওপর পড়বে। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই সংকট দ্রুত সমাধান করতে হবে।

back to top