প্রতিবছর মৌসুম পরিবর্তনের সাথে সাথে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেতে দেখা যায়। সীমান্তে আমদানি জটিলতা দেখা দিলেই পেঁয়াজের বাজারে হঠাৎ আগুন ধরার উপক্রম হয়ে ওঠে। দৈনন্দিন রান্নার তালিকায় পেঁয়াজের গুরুত্ব অপরিসীম। কয়েক সপ্তাহ আগেও যে পেঁয়াজ বাজারে কেজিপ্রতি ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল, এখন তার দাম ছাড়িয়েছে ১০০-১১৫ টাকা।
সরকারি হিসেবে দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন চাহিদার তুলনায় যথেষ্ট নয়। তাই প্রতিবছর পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। কিন্তু ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি অনুমতি অনেকদিন বন্ধ থাকায় দেশি পেঁয়াজের ওপর অত্যাধিক চাপ বেড়েছে। এছাড়া বাজার ব্যবস্থার অস্বচ্ছতা ও মধ্যস্বত্বভোগী, পাইকারি ও মজুতদারদের একটি শক্তিশালী গোষ্ঠী কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়িয়ে অধিক মুনাফা লাভ করে। আমদানির ঘাটতি বা সীমান্তে জটিলতাকেই তারা অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে। ফলে ভোক্তাকে গুনতে হচ্ছে দ্বিগুণ দাম, আর কৃষক পাচ্ছে না তার ন্যায্য মূল্য।
তাই আমদানি জটিলতা নিরসন করে দ্রুত পেঁয়াজ আমদানি করা, বাজার তদারকি ও ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা এবং মজুতদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এছাড়া, কৃষকদের সরাসরি বিক্রির সুযোগ বাড়াতে আধুনিক সংরক্ষণাগার, কৃষি বাজার ডিজিটালাইজেশন ও স্বচ্ছ আমদানি নীতি প্রণয়ন করা দ্রুত জরুরি।
রাখি আক্তার
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
প্রতিবছর মৌসুম পরিবর্তনের সাথে সাথে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেতে দেখা যায়। সীমান্তে আমদানি জটিলতা দেখা দিলেই পেঁয়াজের বাজারে হঠাৎ আগুন ধরার উপক্রম হয়ে ওঠে। দৈনন্দিন রান্নার তালিকায় পেঁয়াজের গুরুত্ব অপরিসীম। কয়েক সপ্তাহ আগেও যে পেঁয়াজ বাজারে কেজিপ্রতি ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল, এখন তার দাম ছাড়িয়েছে ১০০-১১৫ টাকা।
সরকারি হিসেবে দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন চাহিদার তুলনায় যথেষ্ট নয়। তাই প্রতিবছর পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। কিন্তু ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি অনুমতি অনেকদিন বন্ধ থাকায় দেশি পেঁয়াজের ওপর অত্যাধিক চাপ বেড়েছে। এছাড়া বাজার ব্যবস্থার অস্বচ্ছতা ও মধ্যস্বত্বভোগী, পাইকারি ও মজুতদারদের একটি শক্তিশালী গোষ্ঠী কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়িয়ে অধিক মুনাফা লাভ করে। আমদানির ঘাটতি বা সীমান্তে জটিলতাকেই তারা অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে। ফলে ভোক্তাকে গুনতে হচ্ছে দ্বিগুণ দাম, আর কৃষক পাচ্ছে না তার ন্যায্য মূল্য।
তাই আমদানি জটিলতা নিরসন করে দ্রুত পেঁয়াজ আমদানি করা, বাজার তদারকি ও ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা এবং মজুতদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এছাড়া, কৃষকদের সরাসরি বিক্রির সুযোগ বাড়াতে আধুনিক সংরক্ষণাগার, কৃষি বাজার ডিজিটালাইজেশন ও স্বচ্ছ আমদানি নীতি প্রণয়ন করা দ্রুত জরুরি।
রাখি আক্তার