উজানের পানি প্রত্যাহার, দখল ও দূষণের কারণে দেশের অনেক নদী এখন মৃতপ্রায়। ফলে পরিবেশ, প্রতিবেশ, অর্থনীতি, জনস্বাস্থ্য ও জীবন-জীবিকা মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে পারে। পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি মিঠাপানি পরিবেষ্টিত শহর ঢাকা-এই বিশাল জলাধার ইতিমধ্যে ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ঢাকায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর উদ্বেগজনক হারে নিচে নেমে যাচ্ছে।
নদীতে পানি না থাকা বা কমে যাওয়ার ফলে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীলতা দিন দিন বাড়ছে। নির্বিচারে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন এবং শুষ্ক মৌসুমে নদী শুকিয়ে যাওয়ায় পানির স্তর ক্রমাগত নিচে নেমে যাচ্ছে। খরা মৌসুমে সেচ ও রাসায়নিক সারনির্ভর ধান চাষ ভূউপরিস্থ ও ভূগর্ভস্থ পানির সংকট আরও তীব্র করছে।
উজানে পানি প্রত্যাহারের পাশাপাশি অপরিকল্পিতভাবে রাস্তাঘাট ও সেতু নির্মাণ নদীর প্রবাহে বড় বাধা সৃষ্টি করছে। যমুনা, মেঘনা, গোমতী ও কর্ণফুলী নদীতে সেতু নির্মাণের কারণে প্রবাহ ব্যাহত হয়ে উজানে চর পড়ছে, ভাটিতে পানির প্রবাহ কমে যাচ্ছে। পদ্মা সেতুও একই ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পানি প্রাপ্তি আরও জটিল হয়ে উঠবে। পানি সাশ্রয় করা আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে নদী, নালা, খাল, বিল, পুকুর, জলাশয়, হাওর, বাওর ইত্যাদি গভীরভাবে খনন করতে হবে। এতে শুধু পানি সংকটের সমাধানই হবে না, মৎস্যসম্পদ বৃদ্ধি এবং বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হবে।
আব্বাসউদ্দিন আহমদ
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
উজানের পানি প্রত্যাহার, দখল ও দূষণের কারণে দেশের অনেক নদী এখন মৃতপ্রায়। ফলে পরিবেশ, প্রতিবেশ, অর্থনীতি, জনস্বাস্থ্য ও জীবন-জীবিকা মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে পারে। পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি মিঠাপানি পরিবেষ্টিত শহর ঢাকা-এই বিশাল জলাধার ইতিমধ্যে ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ঢাকায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর উদ্বেগজনক হারে নিচে নেমে যাচ্ছে।
নদীতে পানি না থাকা বা কমে যাওয়ার ফলে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীলতা দিন দিন বাড়ছে। নির্বিচারে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন এবং শুষ্ক মৌসুমে নদী শুকিয়ে যাওয়ায় পানির স্তর ক্রমাগত নিচে নেমে যাচ্ছে। খরা মৌসুমে সেচ ও রাসায়নিক সারনির্ভর ধান চাষ ভূউপরিস্থ ও ভূগর্ভস্থ পানির সংকট আরও তীব্র করছে।
উজানে পানি প্রত্যাহারের পাশাপাশি অপরিকল্পিতভাবে রাস্তাঘাট ও সেতু নির্মাণ নদীর প্রবাহে বড় বাধা সৃষ্টি করছে। যমুনা, মেঘনা, গোমতী ও কর্ণফুলী নদীতে সেতু নির্মাণের কারণে প্রবাহ ব্যাহত হয়ে উজানে চর পড়ছে, ভাটিতে পানির প্রবাহ কমে যাচ্ছে। পদ্মা সেতুও একই ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পানি প্রাপ্তি আরও জটিল হয়ে উঠবে। পানি সাশ্রয় করা আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে নদী, নালা, খাল, বিল, পুকুর, জলাশয়, হাওর, বাওর ইত্যাদি গভীরভাবে খনন করতে হবে। এতে শুধু পানি সংকটের সমাধানই হবে না, মৎস্যসম্পদ বৃদ্ধি এবং বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হবে।
আব্বাসউদ্দিন আহমদ