alt

বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করা সময়ের দাবি

: মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের ভারসাম্যই একটি পরিপূর্ণ জীবনের মূল ভিত্তি। কিন্তু এখনো আমাদের সমাজে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয় না। এই উপেক্ষা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়, যেখানে তরুণ শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ দিন দিন ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সূচনায় অনেক শিক্ষার্থী নতুন পরিবেশে খাপ খাওয়াতে গিয়ে একাকিত্বে ভোগেন।

ক্লাস, প্রেজেন্টেশন, এক্সাম, ল্যাব এসবের পাশাপাশি পারিবারিক চাপ, আর্থিক অনিশ্চয়তা, আবাসন সমস্যা, খাবারের সমস্যা, পরীক্ষায় আশানুরূপ ফল না পাওয়া, ব্যক্তিগত সম্পর্কের জটিলতা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা ইত্যাদি তাদের মনের ওপর এক অদৃশ্য বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। অনেক প্রতিষ্ঠানেই চিকিৎসাকেন্দ্র থাকলেও সেখানে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বা কাউন্সেলিং সুবিধা নেই। ফলে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগতভাবে বাইরে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়, যা সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল। সমাজে মানসিক অসুস্থতা নিয়ে বিদ্যমান কুসংস্কার এবং ‘পাগল’ তকমার ভয়ে অনেকেই নিজের সমস্যা গোপন রাখেন।

এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত শিক্ষার্থীদের মানসিক নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া। ক্যাম্পাসে একটি স্থায়ী মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা এখন সময়ের দাবি। সেখানে প্রশিক্ষিত কাউন্সেলর ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত সহায়তা পেলে অনেক দুঃখজনক ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। আজকের তরুণরাই আগামীর নেতৃত্ব দেবে। তাই তাদের মানসিক দৃঢ়তা রক্ষা করা শুধু মানবিক দায়িত্ব নয়, বরং একটি জাতির ভবিষ্যৎ সুরক্ষার অন্যতম উপায়।

মহিমা খান

ছবি

অনিয়ন্ত্রিত বালু উত্তোলনে বাড়ছে নদীভাঙন

খেলার মাঠ নেই, হারিয়ে যাচ্ছে শৈশব ও শহরের প্রাণ

নদীমাতৃক দেশ এখন নদীহীন হওয়ার পথে

বাল্যবিবাহ রোধে দরকার সচেতনতা ও সহায়তা

বৈষম্যের স্বীকার প্রাথমিক শিক্ষক

ছবি

নরোত্তমপুর কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ, ভোগান্তিতে গ্রামীণ জনগণ

ছবি

একের পর এক কারখানা বন্ধ, টালমাটাল অর্থনীতি

রেলওয়ের টিকেট বুকিং একাউন্টে নম্বর পরিবর্তন

বাইক থেকে ইজিবাইক : নগর জীবনে গতি, ঝুঁকি ও বাস্তবতা

নদী বাঁচাতে হবে, জীবন বাঁচাতে হবে

ছবি

পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করুন

পারিবারিক বন্ধনের ভাঙন

উপকূলে সুপেয় পানির জন্য হাহাকার

নারী শ্রমিকের সুরক্ষা

বৃষ্টিতে অদৃশ্য ড্রেনের প্রাণঘাতী ফাঁদ

শিক্ষার্থীদের হাফভাড়া ন্যায্যতার দাবি

ফেনীর দেওয়ানগঞ্জে ময়লার পাহাড়

তাদের গল্প থেমে গেছে, কারণ আমরা আর শুনি না

দুবলার চরের রাসমেলা হতে পারে পর্যটকদের জন্য এক বিস্ময়ভ্রমণ

ছবি

খাদ্য অপচয় রোধে সচেতনতা এখন জরুরি

ছবি

জিপিএ ৫: পরিশ্রমের প্রতিবিম্ব, তবে ভবিষ্যৎ গড়ার মানদণ্ড নয়

ছবি

কোথায় হারালো বাবুই পাখি ও তাদের বাসা

ছবি

সাইবার বুলিয়িং-এর বাস্তবতা

প্রাণীর প্রতি সহমর্মিতা

র‌্যাগিং: শিক্ষাঙ্গনের ছায়ায় বেড়ে ওঠা এক অমানবিকতার সংস্কৃতি

বর্জ্য অব্যবস্থাপনায় হুমকির মুখে নগরের ভবিষ্যত

ঢাকায় তাল-নারকেল-সুপারির সবুজ সম্ভাবনা

শকুন বাঁচানো মানে ভবিষ্যৎ বাঁচানো

ছবি

এআই যুগে নিরাপত্তার সংকট : প্রযুক্তির অন্ধকার দিক

রাজধানীর নগর জীবন : ঝুঁকি, দূষণ ও মানুষের নিরাপত্তা

সরকারি স্বাস্থ্যসেবা : গ্রামীণ রোগীর পাশে আছে কি?

ছবি

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি : সাধারণ মানুষের নৈরাশ্যের কারণ

জিপিএ-৫ এবং শিক্ষার প্রকৃত মান

প্রবাসী শ্রমিকদের মর্যাদা ফিরিয়ে আনা জরুরি

ছবি

এইচএসসি ফল : শিক্ষার বাস্তব চিত্র

ছবি

গার্মেন্টস শ্রমিকের মানবিক অধিকার নিশ্চিতকরণ জরুরি

tab

বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করা সময়ের দাবি

মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের ভারসাম্যই একটি পরিপূর্ণ জীবনের মূল ভিত্তি। কিন্তু এখনো আমাদের সমাজে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয় না। এই উপেক্ষা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়, যেখানে তরুণ শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ দিন দিন ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সূচনায় অনেক শিক্ষার্থী নতুন পরিবেশে খাপ খাওয়াতে গিয়ে একাকিত্বে ভোগেন।

ক্লাস, প্রেজেন্টেশন, এক্সাম, ল্যাব এসবের পাশাপাশি পারিবারিক চাপ, আর্থিক অনিশ্চয়তা, আবাসন সমস্যা, খাবারের সমস্যা, পরীক্ষায় আশানুরূপ ফল না পাওয়া, ব্যক্তিগত সম্পর্কের জটিলতা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা ইত্যাদি তাদের মনের ওপর এক অদৃশ্য বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। অনেক প্রতিষ্ঠানেই চিকিৎসাকেন্দ্র থাকলেও সেখানে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বা কাউন্সেলিং সুবিধা নেই। ফলে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগতভাবে বাইরে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়, যা সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল। সমাজে মানসিক অসুস্থতা নিয়ে বিদ্যমান কুসংস্কার এবং ‘পাগল’ তকমার ভয়ে অনেকেই নিজের সমস্যা গোপন রাখেন।

এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত শিক্ষার্থীদের মানসিক নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া। ক্যাম্পাসে একটি স্থায়ী মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা এখন সময়ের দাবি। সেখানে প্রশিক্ষিত কাউন্সেলর ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত সহায়তা পেলে অনেক দুঃখজনক ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। আজকের তরুণরাই আগামীর নেতৃত্ব দেবে। তাই তাদের মানসিক দৃঢ়তা রক্ষা করা শুধু মানবিক দায়িত্ব নয়, বরং একটি জাতির ভবিষ্যৎ সুরক্ষার অন্যতম উপায়।

মহিমা খান

back to top