শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের ভারসাম্যই একটি পরিপূর্ণ জীবনের মূল ভিত্তি। কিন্তু এখনো আমাদের সমাজে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয় না। এই উপেক্ষা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়, যেখানে তরুণ শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ দিন দিন ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সূচনায় অনেক শিক্ষার্থী নতুন পরিবেশে খাপ খাওয়াতে গিয়ে একাকিত্বে ভোগেন।
ক্লাস, প্রেজেন্টেশন, এক্সাম, ল্যাব এসবের পাশাপাশি পারিবারিক চাপ, আর্থিক অনিশ্চয়তা, আবাসন সমস্যা, খাবারের সমস্যা, পরীক্ষায় আশানুরূপ ফল না পাওয়া, ব্যক্তিগত সম্পর্কের জটিলতা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা ইত্যাদি তাদের মনের ওপর এক অদৃশ্য বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। অনেক প্রতিষ্ঠানেই চিকিৎসাকেন্দ্র থাকলেও সেখানে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বা কাউন্সেলিং সুবিধা নেই। ফলে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগতভাবে বাইরে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়, যা সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল। সমাজে মানসিক অসুস্থতা নিয়ে বিদ্যমান কুসংস্কার এবং ‘পাগল’ তকমার ভয়ে অনেকেই নিজের সমস্যা গোপন রাখেন।
এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত শিক্ষার্থীদের মানসিক নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া। ক্যাম্পাসে একটি স্থায়ী মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা এখন সময়ের দাবি। সেখানে প্রশিক্ষিত কাউন্সেলর ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত সহায়তা পেলে অনেক দুঃখজনক ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। আজকের তরুণরাই আগামীর নেতৃত্ব দেবে। তাই তাদের মানসিক দৃঢ়তা রক্ষা করা শুধু মানবিক দায়িত্ব নয়, বরং একটি জাতির ভবিষ্যৎ সুরক্ষার অন্যতম উপায়।
মহিমা খান
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের ভারসাম্যই একটি পরিপূর্ণ জীবনের মূল ভিত্তি। কিন্তু এখনো আমাদের সমাজে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয় না। এই উপেক্ষা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়, যেখানে তরুণ শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ দিন দিন ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সূচনায় অনেক শিক্ষার্থী নতুন পরিবেশে খাপ খাওয়াতে গিয়ে একাকিত্বে ভোগেন।
ক্লাস, প্রেজেন্টেশন, এক্সাম, ল্যাব এসবের পাশাপাশি পারিবারিক চাপ, আর্থিক অনিশ্চয়তা, আবাসন সমস্যা, খাবারের সমস্যা, পরীক্ষায় আশানুরূপ ফল না পাওয়া, ব্যক্তিগত সম্পর্কের জটিলতা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা ইত্যাদি তাদের মনের ওপর এক অদৃশ্য বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। অনেক প্রতিষ্ঠানেই চিকিৎসাকেন্দ্র থাকলেও সেখানে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বা কাউন্সেলিং সুবিধা নেই। ফলে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগতভাবে বাইরে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়, যা সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল। সমাজে মানসিক অসুস্থতা নিয়ে বিদ্যমান কুসংস্কার এবং ‘পাগল’ তকমার ভয়ে অনেকেই নিজের সমস্যা গোপন রাখেন।
এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত শিক্ষার্থীদের মানসিক নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া। ক্যাম্পাসে একটি স্থায়ী মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা এখন সময়ের দাবি। সেখানে প্রশিক্ষিত কাউন্সেলর ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত সহায়তা পেলে অনেক দুঃখজনক ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। আজকের তরুণরাই আগামীর নেতৃত্ব দেবে। তাই তাদের মানসিক দৃঢ়তা রক্ষা করা শুধু মানবিক দায়িত্ব নয়, বরং একটি জাতির ভবিষ্যৎ সুরক্ষার অন্যতম উপায়।
মহিমা খান