প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা কেবল একটি পেশা নয়, এটি জাতি গঠনের ভিত্তি। একটি তরুণ মনকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করার, তাদের সামাজিক, মানসিক ও বুদ্ধিভিত্তিক বিকাশে পথ দেখানোর এই গুরুদায়িত্ব বহন করেন প্রাথমিক শিক্ষকরা। শিশুদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার এবং তাদের প্রারম্ভিক জ্ঞান ও নৈতিকতার ভিত্তি স্থাপন করার যে বিশেষ সন্তুষ্টি এই পেশায় রয়েছে, তা নিঃসন্দেহে অনেক শিক্ষককে প্রতিনিয়ত অনুপ্রাণিত করে। বস্তুত, প্রাথমিক শিক্ষকরাই হলেন জাতির মেরুদণ্ড, যারা কেবল পাঠ্যপুস্তকের জ্ঞান নয়, জীবন ও নৈতিকতাও শেখান।
কিন্তু এই সম্মানজনক ও গুরুত্বপূর্ণ পেশার বাস্তব চিত্রটি আজ বড়ই বৈষম্যমূলক ও অসন্তোষজনক। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে কম বেতন, কাজের অতিরিক্ত চাপ এবং পেশাগত সুযোগ-সুবিধার অভাব নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বর্তমানে এই বৈষম্য নিরসনের দাবিতেই তাঁরা রাজপথে নেমে এসেছেন আন্দোলনে। সহকারী শিক্ষকদের প্রধান ও যৌক্তিক অসন্তোষ হলো বেতন বৈষম্য। বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ স্পষ্টতই এই বৈষম্যের চিত্র তুলে ধরেছেন।
শিক্ষার মানোন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আলোকিত করার স্বার্থেই প্রাথমিক শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধি, পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা প্রদান এবং তাদের মর্যাদা ও পেশাগত মূল্যায়ন অত্যন্ত জরুরি। শিক্ষকের মর্যাদা নিশ্চিত হলেই কেবল আমরা উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে দেশের পিছিয়ে থাকাকে কাটিয়ে উঠতে পারবো।
ছাদিয়া আফরিন স্বর্ণা
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা কেবল একটি পেশা নয়, এটি জাতি গঠনের ভিত্তি। একটি তরুণ মনকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করার, তাদের সামাজিক, মানসিক ও বুদ্ধিভিত্তিক বিকাশে পথ দেখানোর এই গুরুদায়িত্ব বহন করেন প্রাথমিক শিক্ষকরা। শিশুদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার এবং তাদের প্রারম্ভিক জ্ঞান ও নৈতিকতার ভিত্তি স্থাপন করার যে বিশেষ সন্তুষ্টি এই পেশায় রয়েছে, তা নিঃসন্দেহে অনেক শিক্ষককে প্রতিনিয়ত অনুপ্রাণিত করে। বস্তুত, প্রাথমিক শিক্ষকরাই হলেন জাতির মেরুদণ্ড, যারা কেবল পাঠ্যপুস্তকের জ্ঞান নয়, জীবন ও নৈতিকতাও শেখান।
কিন্তু এই সম্মানজনক ও গুরুত্বপূর্ণ পেশার বাস্তব চিত্রটি আজ বড়ই বৈষম্যমূলক ও অসন্তোষজনক। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে কম বেতন, কাজের অতিরিক্ত চাপ এবং পেশাগত সুযোগ-সুবিধার অভাব নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বর্তমানে এই বৈষম্য নিরসনের দাবিতেই তাঁরা রাজপথে নেমে এসেছেন আন্দোলনে। সহকারী শিক্ষকদের প্রধান ও যৌক্তিক অসন্তোষ হলো বেতন বৈষম্য। বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ স্পষ্টতই এই বৈষম্যের চিত্র তুলে ধরেছেন।
শিক্ষার মানোন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আলোকিত করার স্বার্থেই প্রাথমিক শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধি, পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা প্রদান এবং তাদের মর্যাদা ও পেশাগত মূল্যায়ন অত্যন্ত জরুরি। শিক্ষকের মর্যাদা নিশ্চিত হলেই কেবল আমরা উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে দেশের পিছিয়ে থাকাকে কাটিয়ে উঠতে পারবো।
ছাদিয়া আফরিন স্বর্ণা