নদী হলো বাংলাদেশের প্রাণরেখা। যেমন মানুষের শরীরে রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেলে জীবন থেমে যায়, তেমনি নদী শুকিয়ে গেলে থেমে যায় বাংলাদেশের প্রাণ। নদীই এই দেশের জন্ম, নদীই এর অস্তিত্ব। পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র এই চার নদীর বুকে ভেসে গড়ে উঠেছে এই সবুজ-শ্যামল জনপদ। নদী শুধু পানি নয়, নদী আমাদের সংস্কৃতি, ইতিহাস, সাহিত্য ও জীবনের স্পন্দন।অথচ এই নদীই আজ দখল, দূষণ আর অব্যবস্থাপনার শিকার হয়ে মৃত্যুর দিকে এগোচ্ছে। নদীর বুক ভরাট হয়ে যাচ্ছে মানুষের লোভে, নদীর শ্বাসরোধ হচ্ছে ময়লা-আবর্জনায়, কারখানার বর্জ্যে। একসময় যে নদীর পাড়ে শিশুরা খেলতো, জেলেরা মাছ ধরতো, কৃষকরা ফসল তুলতো আজ সেখানে উঠছে দালান, ঘাট, গুদাম আর বাজার।
বাংলাদেশে প্রায় সব বড় নদীই কোনো না কোনোভাবে দখলের শিকার। রাজধানী ঢাকার পাশের বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ নদী সবগুলোই দখল ও দূষণে জর্জরিত। দেশের অসংখ্য নদীখাত অবৈধভাবে দখল করা হয়েছে। অনেক জায়গায় প্রভাবশালী ব্যক্তি ও শিল্পকারখানা নদীর জমি ভরাট করে ভবন, ঘাট ও গুদাম নির্মাণ করেছে। অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে নদীগুলোকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। নদী কেবল প্রাকৃতিক সম্পদ নয় এটি বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও সভ্যতার প্রতীক। নদী বাঁচানো মানে দেশের প্রাণ বাঁচানো। রাষ্ট্রের দায়িত্ব কেবল নদী উদ্ধারের অভিযান চালানো নয়, বরং নদীকে জীবন্ত সত্তা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে তাকে আইনি ও প্রশাসনিক সুরক্ষা দেওয়া।রাষ্ট্র যদি আন্তরিকভাবে নদী রক্ষায় কাজ করে দখলদারদের শাস্তি দেয়, আইন প্রয়োগে কঠোর হয় এবং জনগণকে সম্পৃক্ত করে তাহলে বাংলাদেশের নদীগুলো আবারও তাদের পুরনো সৌন্দর্যও ও গতিপ্রবাহ ফিরে পেতে পারবে
ফারিহা জামান নাবিলা
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
নদী হলো বাংলাদেশের প্রাণরেখা। যেমন মানুষের শরীরে রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেলে জীবন থেমে যায়, তেমনি নদী শুকিয়ে গেলে থেমে যায় বাংলাদেশের প্রাণ। নদীই এই দেশের জন্ম, নদীই এর অস্তিত্ব। পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র এই চার নদীর বুকে ভেসে গড়ে উঠেছে এই সবুজ-শ্যামল জনপদ। নদী শুধু পানি নয়, নদী আমাদের সংস্কৃতি, ইতিহাস, সাহিত্য ও জীবনের স্পন্দন।অথচ এই নদীই আজ দখল, দূষণ আর অব্যবস্থাপনার শিকার হয়ে মৃত্যুর দিকে এগোচ্ছে। নদীর বুক ভরাট হয়ে যাচ্ছে মানুষের লোভে, নদীর শ্বাসরোধ হচ্ছে ময়লা-আবর্জনায়, কারখানার বর্জ্যে। একসময় যে নদীর পাড়ে শিশুরা খেলতো, জেলেরা মাছ ধরতো, কৃষকরা ফসল তুলতো আজ সেখানে উঠছে দালান, ঘাট, গুদাম আর বাজার।
বাংলাদেশে প্রায় সব বড় নদীই কোনো না কোনোভাবে দখলের শিকার। রাজধানী ঢাকার পাশের বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ নদী সবগুলোই দখল ও দূষণে জর্জরিত। দেশের অসংখ্য নদীখাত অবৈধভাবে দখল করা হয়েছে। অনেক জায়গায় প্রভাবশালী ব্যক্তি ও শিল্পকারখানা নদীর জমি ভরাট করে ভবন, ঘাট ও গুদাম নির্মাণ করেছে। অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে নদীগুলোকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। নদী কেবল প্রাকৃতিক সম্পদ নয় এটি বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও সভ্যতার প্রতীক। নদী বাঁচানো মানে দেশের প্রাণ বাঁচানো। রাষ্ট্রের দায়িত্ব কেবল নদী উদ্ধারের অভিযান চালানো নয়, বরং নদীকে জীবন্ত সত্তা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে তাকে আইনি ও প্রশাসনিক সুরক্ষা দেওয়া।রাষ্ট্র যদি আন্তরিকভাবে নদী রক্ষায় কাজ করে দখলদারদের শাস্তি দেয়, আইন প্রয়োগে কঠোর হয় এবং জনগণকে সম্পৃক্ত করে তাহলে বাংলাদেশের নদীগুলো আবারও তাদের পুরনো সৌন্দর্যও ও গতিপ্রবাহ ফিরে পেতে পারবে
ফারিহা জামান নাবিলা