আধুনিক নগরজীবনের এক গভীর সংকট হলো পার্ক ও খেলার মাঠের অভাব। দ্রুত নগরায়ণ ও অপরিকল্পিত উন্নয়নের ফলে শহরগুলো কংক্রিটের জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। একসময় প্রতিটি পাড়ায় শিশুদের খেলার জায়গা ও বয়স্কদের হাঁটার পার্ক ছিল; এখন সেগুলো হারিয়ে গেছে দখল, অব্যবস্থাপনা ও অবহেলায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, একজন নাগরিকের জন্য ন্যূনতম ৯ বর্গমিটার খোলা জায়গা প্রয়োজন, কিন্তু ঢাকায় তা নেমে এসেছে ব্যক্তি পিছু মাত্র ১ বর্গমিটারেরও নিচে। এতে নাগরিক জীবন যেমন সংকীর্ণ হয়ে পড়ছে, তেমনি বিপন্ন হচ্ছে শিশুদের স্বাভাবিক বিকাশ ও মানসিক স্বাস্থ্য।
ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের এক সমীক্ষা জানায়, শুধু ঢাকাতেই প্রায় আট শ’ মাঠের ঘাটতি রয়েছে। অনেক মাঠ দখল হয়ে গেছে, আবার কিছু সংস্কারের নামে বছরের পর বছর তালাবদ্ধ। রাজউক ও সিটি করপোরেশনের নিয়ম অনুযায়ী আবাসিক এলাকার অন্তত ১০ শতাংশ জায়গা পার্ক বা মাঠের জন্য সংরক্ষিত থাকার কথা থাকলেও সেই বিধি বাস্তবে উপেক্ষিত।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুরা। মাঠ না থাকায় তারা রাস্তায় বা ঘরে বসে সময় কাটায়, আসক্ত হয় মোবাইল ও ভিডিও গেমে। এতে স্থূলতা, ডায়াবেটিস ও মানসিক অস্থিরতা বাড়ছে। মেয়েরা আরও বেশি বঞ্চিতÑনিরাপদ ও আলোকিত মাঠ না থাকায় তারা প্রায়ই খেলার সুযোগ হারায়।
খেলার মাঠ ও পার্ক কেবল বিনোদনের স্থান নয়, এটি শহরের ফুসফুস ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের আশ্রয়স্থল। আমাদের প্রতিজ্ঞা হোক-প্রতিটি শিশু মুক্ত আকাশে খেলবে, প্রতিটি নাগরিক প্রকৃতির সান্নিধ্যে বাঁচবে।
জান্নাতুল ফেরদৌস জেরিন
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
আধুনিক নগরজীবনের এক গভীর সংকট হলো পার্ক ও খেলার মাঠের অভাব। দ্রুত নগরায়ণ ও অপরিকল্পিত উন্নয়নের ফলে শহরগুলো কংক্রিটের জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। একসময় প্রতিটি পাড়ায় শিশুদের খেলার জায়গা ও বয়স্কদের হাঁটার পার্ক ছিল; এখন সেগুলো হারিয়ে গেছে দখল, অব্যবস্থাপনা ও অবহেলায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, একজন নাগরিকের জন্য ন্যূনতম ৯ বর্গমিটার খোলা জায়গা প্রয়োজন, কিন্তু ঢাকায় তা নেমে এসেছে ব্যক্তি পিছু মাত্র ১ বর্গমিটারেরও নিচে। এতে নাগরিক জীবন যেমন সংকীর্ণ হয়ে পড়ছে, তেমনি বিপন্ন হচ্ছে শিশুদের স্বাভাবিক বিকাশ ও মানসিক স্বাস্থ্য।
ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের এক সমীক্ষা জানায়, শুধু ঢাকাতেই প্রায় আট শ’ মাঠের ঘাটতি রয়েছে। অনেক মাঠ দখল হয়ে গেছে, আবার কিছু সংস্কারের নামে বছরের পর বছর তালাবদ্ধ। রাজউক ও সিটি করপোরেশনের নিয়ম অনুযায়ী আবাসিক এলাকার অন্তত ১০ শতাংশ জায়গা পার্ক বা মাঠের জন্য সংরক্ষিত থাকার কথা থাকলেও সেই বিধি বাস্তবে উপেক্ষিত।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুরা। মাঠ না থাকায় তারা রাস্তায় বা ঘরে বসে সময় কাটায়, আসক্ত হয় মোবাইল ও ভিডিও গেমে। এতে স্থূলতা, ডায়াবেটিস ও মানসিক অস্থিরতা বাড়ছে। মেয়েরা আরও বেশি বঞ্চিতÑনিরাপদ ও আলোকিত মাঠ না থাকায় তারা প্রায়ই খেলার সুযোগ হারায়।
খেলার মাঠ ও পার্ক কেবল বিনোদনের স্থান নয়, এটি শহরের ফুসফুস ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের আশ্রয়স্থল। আমাদের প্রতিজ্ঞা হোক-প্রতিটি শিশু মুক্ত আকাশে খেলবে, প্রতিটি নাগরিক প্রকৃতির সান্নিধ্যে বাঁচবে।
জান্নাতুল ফেরদৌস জেরিন