সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে অনুভূত ভূমিকম্পগুলো আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে নতুন করে ভাবনার খোরাক জুগিয়েছে। ভৌগোলিক অবস্থান ও টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলের কাছাকাছি থাকার কারণে বাংলাদেশ প্রবল ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে। বিশেষ করে অপরিকল্পিত নগরায়ন এবং জলাশয় ভরাট করে নরম মাটির ওপর বহুতল ভবন নির্মাণের ফলে ঢাকা ও চট্টগ্রামের মতো মেগাসিটিগুলো ভয়াবহ বিপদের মুখে। ভূমিকম্পের সময় মাটির তরলীকরণ বা লিকুইফেকশনের ঝুঁকি এ ক্ষেত্রে বহুগুণ বেশি। রিখটার স্কেলে বড় মাত্রার কোনো কম্পন হলে এই শহরগুলোর পরিণতি কল্পনা করাও কঠিন।
যেহেতু ভূমিকম্পের সেই অর্থে কোনো আগাম পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব নয়, তাই এর ক্ষয়ক্ষতি কমাতে টেকসই নগর নিশ্চিত করা এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শিক্ষার প্রসার ঘটানো এখন সময়ের দাবি। একটি শহর তখনই টেকসই হয় যখন তা নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে। আর এই সক্ষমতা অর্জনের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক বিশেষায়িত জ্ঞান অপরিহার্য। এটি কেবল তাত্ত্বিক বিষয় নয়, বরং বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনার এক সমন্বয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ের শিক্ষার্থীরা জানেন কীভাবে মাটির গঠন পরীক্ষা করতে হয় এবং হ্যাজার্ড ম্যাপ তৈরি করে এলাকার বিপদাপন্নতা যাচাই করতে হয়।
প্রকৃতি বারবার আমাদের সতর্ক করছে। এখনই যদি আমরা সচেতন না হই এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে বিনিয়োগ না করি, তবে ভবিষ্যতে চড়া মূল্য দিতে হবে। একটি দুর্যোগ সহনশীল ও নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে জ্ঞানভিত্তিক প্রস্তুতি ও জনসচেতনতার কোনো বিকল্প নেই।
আল শাহারিয়া
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে অনুভূত ভূমিকম্পগুলো আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে নতুন করে ভাবনার খোরাক জুগিয়েছে। ভৌগোলিক অবস্থান ও টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলের কাছাকাছি থাকার কারণে বাংলাদেশ প্রবল ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে। বিশেষ করে অপরিকল্পিত নগরায়ন এবং জলাশয় ভরাট করে নরম মাটির ওপর বহুতল ভবন নির্মাণের ফলে ঢাকা ও চট্টগ্রামের মতো মেগাসিটিগুলো ভয়াবহ বিপদের মুখে। ভূমিকম্পের সময় মাটির তরলীকরণ বা লিকুইফেকশনের ঝুঁকি এ ক্ষেত্রে বহুগুণ বেশি। রিখটার স্কেলে বড় মাত্রার কোনো কম্পন হলে এই শহরগুলোর পরিণতি কল্পনা করাও কঠিন।
যেহেতু ভূমিকম্পের সেই অর্থে কোনো আগাম পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব নয়, তাই এর ক্ষয়ক্ষতি কমাতে টেকসই নগর নিশ্চিত করা এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শিক্ষার প্রসার ঘটানো এখন সময়ের দাবি। একটি শহর তখনই টেকসই হয় যখন তা নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে। আর এই সক্ষমতা অর্জনের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক বিশেষায়িত জ্ঞান অপরিহার্য। এটি কেবল তাত্ত্বিক বিষয় নয়, বরং বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনার এক সমন্বয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ের শিক্ষার্থীরা জানেন কীভাবে মাটির গঠন পরীক্ষা করতে হয় এবং হ্যাজার্ড ম্যাপ তৈরি করে এলাকার বিপদাপন্নতা যাচাই করতে হয়।
প্রকৃতি বারবার আমাদের সতর্ক করছে। এখনই যদি আমরা সচেতন না হই এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে বিনিয়োগ না করি, তবে ভবিষ্যতে চড়া মূল্য দিতে হবে। একটি দুর্যোগ সহনশীল ও নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে জ্ঞানভিত্তিক প্রস্তুতি ও জনসচেতনতার কোনো বিকল্প নেই।
আল শাহারিয়া