চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রবেশদ্বার দেশের গুরুত্বপূর্ণ যাত্রীপ্রবেশপথ। প্রথমবার যাত্রীরা বিমানবন্দরে আসলে সবচেয়ে আগে চোখে পড়ে প্রবেশমুখের পরিবেশ, যা স্থাপনাটির প্রথম ধারণা তৈরি করে। প্রতিটি উপাদানই দেশের ভাবমূর্তি তুলে ধরে। কিন্তু গাড়ি পার্কিংয়ের টিকিট কাউন্টার এখনও টিনঘরে রাখা-ধ অস্থায়ী কাঠামো, যা আধুনিক পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। প্রবেশমুখের চারপাশের আধুনিক ভবন, পরিচ্ছন্ন রাস্তা এবং সুশৃঙ্খল অবকাঠামোর মাঝে এই টিনঘর যেন হঠাৎ চোখে পড়ে। রঙ, আকৃতি বা নির্মাণশৈলী-কোনো দিক থেকেই এটি বিমানবন্দর সৌন্দর্যের সঙ্গে খাপ খায় না।
বিশ্বের উন্নত বিমানবন্দরগুলোতে ক্ষুদ্রতম সেবা পয়েন্টও পরিকল্পিতভাবে নির্মিত হয়। কাচ বা স্টিলের আধুনিক কাঠামো দূর থেকে পেশাদারিত্ব এবং পরিচ্ছন্নতার ছাপ দেয়। চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের টিনঘর ঠিক তার উল্টো চিত্র উপস্থাপন করে। এটি সামগ্রিক সৌন্দর্যকে ক্ষুণ্য করে এবং দেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তিতে অপ্রয়োজনীয় দাগ ফেলে। চট্টগ্রাম বিমানবন্দর উন্নয়নযাত্রায় এগিয়ে চলেছে-নতুন সুবিধা, নতুন পরিকল্পনা, নতুন সম্ভাবনা। সেই ধারাবাহিকতায় টিনঘর সরিয়ে স্থায়ী, সৌন্দর্যপরিপূর্ণ সেবা কেন্দ্র নির্মাণ জরুরি। এতে পরিবেশ হবে আরও মানানসই, যাত্রী অভিজ্ঞতা আরও ইতিবাচক, এবং দেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তিও উজ্জ্বল হবে।
একটি ছোট টিনঘরের জায়গায় পরিকল্পিত কাঠামো গড়ে তোলা-চট্টগ্রাম বিমানবন্দরকে মর্যাদাসম্পন্ন ও সুন্দর দেখানোর পাশাপাশি দেশের পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তিও তুলে ধরার সুযোগ। এখনই প্রয়োজন দায়িত্বশীল উদ্যোগ এবং দ্রুত পরিবর্তনের সঠিক সিদ্ধান্ত।
মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রবেশদ্বার দেশের গুরুত্বপূর্ণ যাত্রীপ্রবেশপথ। প্রথমবার যাত্রীরা বিমানবন্দরে আসলে সবচেয়ে আগে চোখে পড়ে প্রবেশমুখের পরিবেশ, যা স্থাপনাটির প্রথম ধারণা তৈরি করে। প্রতিটি উপাদানই দেশের ভাবমূর্তি তুলে ধরে। কিন্তু গাড়ি পার্কিংয়ের টিকিট কাউন্টার এখনও টিনঘরে রাখা-ধ অস্থায়ী কাঠামো, যা আধুনিক পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। প্রবেশমুখের চারপাশের আধুনিক ভবন, পরিচ্ছন্ন রাস্তা এবং সুশৃঙ্খল অবকাঠামোর মাঝে এই টিনঘর যেন হঠাৎ চোখে পড়ে। রঙ, আকৃতি বা নির্মাণশৈলী-কোনো দিক থেকেই এটি বিমানবন্দর সৌন্দর্যের সঙ্গে খাপ খায় না।
বিশ্বের উন্নত বিমানবন্দরগুলোতে ক্ষুদ্রতম সেবা পয়েন্টও পরিকল্পিতভাবে নির্মিত হয়। কাচ বা স্টিলের আধুনিক কাঠামো দূর থেকে পেশাদারিত্ব এবং পরিচ্ছন্নতার ছাপ দেয়। চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের টিনঘর ঠিক তার উল্টো চিত্র উপস্থাপন করে। এটি সামগ্রিক সৌন্দর্যকে ক্ষুণ্য করে এবং দেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তিতে অপ্রয়োজনীয় দাগ ফেলে। চট্টগ্রাম বিমানবন্দর উন্নয়নযাত্রায় এগিয়ে চলেছে-নতুন সুবিধা, নতুন পরিকল্পনা, নতুন সম্ভাবনা। সেই ধারাবাহিকতায় টিনঘর সরিয়ে স্থায়ী, সৌন্দর্যপরিপূর্ণ সেবা কেন্দ্র নির্মাণ জরুরি। এতে পরিবেশ হবে আরও মানানসই, যাত্রী অভিজ্ঞতা আরও ইতিবাচক, এবং দেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তিও উজ্জ্বল হবে।
একটি ছোট টিনঘরের জায়গায় পরিকল্পিত কাঠামো গড়ে তোলা-চট্টগ্রাম বিমানবন্দরকে মর্যাদাসম্পন্ন ও সুন্দর দেখানোর পাশাপাশি দেশের পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তিও তুলে ধরার সুযোগ। এখনই প্রয়োজন দায়িত্বশীল উদ্যোগ এবং দ্রুত পরিবর্তনের সঠিক সিদ্ধান্ত।
মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ