টানা সাত কার্যদিবস দরপতনের পর মঙ্গলবার,(১১ নভেম্বর ২০২৫) দেশের শেয়ারবাজারে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলেছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পাশাপাশি সবকটি মূল্যসূচক বেড়েছে। তবে লেনদেন কমে পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে চলে এসেছে।
অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) দাম বাড়ার তুলনায় দাম কমার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট রয়েছে। ফলে বাজারটিতে প্রধান মূল্যসূচক কিছুটা কমেছে। এর মাধ্যমে সিএসইতে টানা আট কার্যদিবস মূল্য সূচক কমলো। তবে বাজারটিতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে। কিন্তু লেনদেনের এক ঘণ্টার মাথায় দাম কমার তালিকায় চলে আসে বেশি প্রতিষ্ঠান। এতে সূচকও ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই বাজার ঘুরে দাঁড়ায় এবং লেনদেনের শেষ পর্যন্ত দাম বাড়ার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠান থাকে। ফলে মূল্যসূচক বেড়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১৮৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪৪টির। আর ৬২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৯৩টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে ৮২টির দাম কমেছে এবং ৩৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মাঝারি মানের বা ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেওয়া ৪৫টি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে ১৯টির দাম কমেছে এবং ১৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়ার কারণে ‘জেড’ গ্রুপে স্থান হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৪৫টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪৩টির এবং ১০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আর ৩৫টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে একটির দাম বেড়েছে। বিপরীতে ২৩টির দাম কমেছে এবং ১১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১২ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৮৭২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৬ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৬ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯১৭ পয়েন্টে উঠে এসেছে।
সবকটি মূল্যসূচক কমলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৩৯ কোটি ৭৫ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩৫৬ কোটি ৩৩ টাকা। এ হিসেবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ১৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে গত ২৩ জুনের পর ডিএসইতে সব থেকে কম লেনদেন হলো।
এই লেনদেনে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে সামিট এলায়েন্স পোর্টের শেয়ার। কোম্পানিটির ২০ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ৪ লাখ টাকার। ১৪ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ, রানার অটোমোবাইল, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ, মনোস্পুল পেপার এবং শাহজিবাজার পাওয়ার। অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৪ পয়েন্ট।
বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৪৪ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৩টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৮টির এবং ১৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ২৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
টানা সাত কার্যদিবস দরপতনের পর মঙ্গলবার,(১১ নভেম্বর ২০২৫) দেশের শেয়ারবাজারে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলেছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পাশাপাশি সবকটি মূল্যসূচক বেড়েছে। তবে লেনদেন কমে পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে চলে এসেছে।
অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) দাম বাড়ার তুলনায় দাম কমার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট রয়েছে। ফলে বাজারটিতে প্রধান মূল্যসূচক কিছুটা কমেছে। এর মাধ্যমে সিএসইতে টানা আট কার্যদিবস মূল্য সূচক কমলো। তবে বাজারটিতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে। কিন্তু লেনদেনের এক ঘণ্টার মাথায় দাম কমার তালিকায় চলে আসে বেশি প্রতিষ্ঠান। এতে সূচকও ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই বাজার ঘুরে দাঁড়ায় এবং লেনদেনের শেষ পর্যন্ত দাম বাড়ার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠান থাকে। ফলে মূল্যসূচক বেড়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১৮৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪৪টির। আর ৬২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৯৩টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে ৮২টির দাম কমেছে এবং ৩৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মাঝারি মানের বা ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেওয়া ৪৫টি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে ১৯টির দাম কমেছে এবং ১৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়ার কারণে ‘জেড’ গ্রুপে স্থান হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৪৫টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪৩টির এবং ১০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আর ৩৫টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে একটির দাম বেড়েছে। বিপরীতে ২৩টির দাম কমেছে এবং ১১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১২ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৮৭২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৬ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৬ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯১৭ পয়েন্টে উঠে এসেছে।
সবকটি মূল্যসূচক কমলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৩৯ কোটি ৭৫ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩৫৬ কোটি ৩৩ টাকা। এ হিসেবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ১৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে গত ২৩ জুনের পর ডিএসইতে সব থেকে কম লেনদেন হলো।
এই লেনদেনে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে সামিট এলায়েন্স পোর্টের শেয়ার। কোম্পানিটির ২০ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ৪ লাখ টাকার। ১৪ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ, রানার অটোমোবাইল, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ, মনোস্পুল পেপার এবং শাহজিবাজার পাওয়ার। অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৪ পয়েন্ট।
বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৪৪ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৩টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৮টির এবং ১৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ২৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা।