alt

অর্থ-বাণিজ্য

তৈরি পোশাক খাতে শ্রম ও কর্মপরিবেশ নেই

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : শনিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২১

বাংলাদেশে তৈরি পোশাক খাতে ৭০ শতাংশ কারখানায় সুশাসন ও মানবাধিকার চর্চা হয় না। অধিকাংশ কারখানায় শ্রম ও কর্মপরিবেশ নিশ্চিতের ক্ষেত্রে আইনি দিকগুলো উপেক্ষিত। গতকাল অনলাইনে ‘জাতিসংঘের নীতিকাঠামোর আলোকে পোশাক খাতে শ্রম ও কর্মপরিবেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। আলোচনায় এ গবেষণাপত্র উপস্থাপন করে সিপিডির সম্মানীয় ফেলো খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এসব কথা বলেন।

গোলাম মোয়াজ্জেম আরও বলেন, ‘কারখানায় শ্রমিকদের মৌখিক ও শারীরিকভাবে হেনস্তার ১৭ শতাংশ ক্ষেত্রেই সুপারভাইজার ও লাইন ম্যানেজাররা দায়ী। ২৫ শতাংশ ক্ষেত্রে সহকর্মীরাই হেনস্তা করেন।’ এ সময় বক্তারা পোশাক খাতে শ্রম ও কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠার তাগিদ দেন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সাবেক শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক, শ্রম সচিব মো. এহছানে এলাহী, তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান, শ্রমিকনেতা বাবুল আক্তার প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন সিপিডির বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান।

শ্রমিকনেতা বাবুল আক্তার বলেন, ‘পোশাকশিল্পের মালিকেরা ট্রেড ইউনিয়ন মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত নন। তারা ট্রেড ইউনিয়নকে অ্যালার্জি মনে করেন। পোশাকশিল্পের অনেক মালিক গণমাধ্যম কিংবা সভা-সমাবেশে ট্রেড ইউনিয়নের পক্ষে অবস্থান নেন। তবে তারা ট্রেড ইউনিয়নকে ভয় পান। পোশাকশিল্পের মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে দূরত্ব রয়েছে। কারখানার অনেক মালিক দায়িত্ব-কর্তব্য বোঝেন না। অনেকে আবার তা এড়িয়ে যান। শ্রমিকদের মধ্যে অনেকে দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে অবগত নন। আবার শ্রমিক সংগঠনেরও ঘাটতি রয়েছে।’

বাবুল আক্তারের কথার সূত্র ধরে নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘ট্রেড ইউনিয়ন নিয়ে পোশাকশিল্পের মালিকদের মধ্যে ভীতি কাজ করে। তবে দায়িত্বশীল ট্রেড ইউনিয়ন গঠনকে আমরা স্বাগত জানাই, যদিও দেশে দায়িত্বশীল ট্রেড ইউনিয়ন আছে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে।’

মুজিবুল হক বলেন, ‘আমাদের দেশে মালিক ও শ্রমিকপক্ষের মধ্যে দূরত্ব রয়েছে। উভয়পক্ষের সচেতনতা বৃদ্ধি ও সংলাপের মাধ্যমে এই দূরত্ব ঘোচানো সম্ভব।’ তিনি আরও বলেন, কারখানার অনেক মালিক মনে করেন, ট্রেড ইউনিয়ন হলে বেতন বাড়াতে হবে। মালিকদের বোঝা উচিত, ট্রেড ইউনিয়ন ক্ষতিকর নয়।’

মো. এহছানে এলাহী বলেন, ‘কর্মক্ষেত্রে প্রবেশে সর্বনিম্ন বয়স কত হবে তা নির্ধারণের শেষ পর্যায়ে আছি আমরা। শ্রম বিধিমালা সংশোধনও শিগগিরই শেষ হবে।’

ছবি

একটি ফলই ঘুরিয়ে দিয়েছে রাজশাহী অঞ্চলের অর্থনীতির মোড়

ছবি

আগামী সপ্তাহে দেশের বাজারে আসছে ওয়ানপ্লাস নর্ড সিই৪ লাইট ফাইভজি

ছবি

দেশের বাজারে মনস্টার ‘এম’ সিরিজের নতুন স্মার্টফোন স্যামসাং গ্যালাক্সি এম১৪ এলটিই

ছবি

মানাবে ওয়াটার পার্কে যাতায়াতে উবার যাত্রীদের জন্য বিশেষ ছাড়

ছবি

প্রিয়শপ পরিদর্শন করলেন জিএফআর ফান্ডের প্রতিনিধি

ছবি

বাজারে ৬০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারির নতুন স্মার্টফোন ভিভো ওয়াই২৮

ছবি

রিয়েলমি ফ্যানদের চীন ভ্রমনের সুযোগ

ছবি

ড্যাফোডিল রেসপন্স সেন্টার উদ্বোধন

ছবি

প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে গুরুত্ব পাবে বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাত: নসরুল হামিদ

ছবি

উৎস কর প্রত্যাহারের দাবি নওগাঁয় রাইস মিল মালিকদের

ছবি

আইএসও সনদ পেল সেলেক্সট্রা লিমিটেড

ছবি

প্রত্যয় স্কিম বাতিলে শিক্ষকদের আন্দোলন অযৌক্তিক: অর্থমন্ত্রী

ছবি

ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ এখন ১৬ বিলিয়ন ডলার

ছবি

আসছে ভিভো’র ৬ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারির স্মার্টফোন

ছবি

আন্তর্জাতিক মানের মোবাইল সেবা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর: জুনাইদ আহমেদ পলক

ছবি

ঢাকায় জিপি এক্সিলারেটরের ‘জেলায় জেলায় স্মার্ট উদ্যোক্তা’ বুটক্যাম্প

ছবি

এশিয়ান পেইন্টস কালার নেক্সট-২০২৪ উদ্বোধন

ছবি

আইসিসিবির ২৯তম বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত

ছবি

জ্বালানি খাত ‘সঠিক নীতিতে চলছে না’ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা

ছবি

বড় পরিবর্তন ছাড়াই ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পাস

ছবি

নতুন অর্থবছরের বাজেট পাস,আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা

ছবি

এনবিআরের কর্মকর্তা ফয়সালকে বগুড়ায় বদলি

ছবি

সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পাস

ছবি

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পাস আজ

ছবি

লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে বড় দরপতন

ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩১৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকার বাজেট

ছবি

পদ্মা সেতুর নদী শাসনে ব্যয় বাড়লো আরও প্রায় ২৫০ কোটি টাকা

ছবি

থাকছে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ

ছবি

বাজার মূলধনে যোগ হলো সাড়ে ১৭ হাজার কোটি টাকা

ছবি

বাক্কো ও এ্যাসেট প্রকল্পের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি

ছবি

‘গ্লোবাল অ্যান্ড বাংলাদেশ আউটলুক অ্যান্ড রিস্ক’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত

ছবি

জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অটোমেশন কার্যক্রম অগ্রাধিকার দিয়ে বাস্তবায়ন করতে হবে: জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী

ছবি

যাত্রীদের কথা চিন্তা করেই চালু করা হয়েছে শাটল বাস সেবা

ছবি

টেকনোর শট অন ক্যামন কনটেস্টে প্রাইজমানি ও লন্ডন ট্যুরের সুযোগ

ছবি

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে জাতীয় লজিস্টিক নীতি হবে অন্যতম চালিকাশক্তি: তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া

ছবি

নতুন করে ৬০ জন ফ্রিল্যান্সারকে উদ্যোক্তা হবার প্রশিক্ষণ দিয়েছে বাক্কো

tab

অর্থ-বাণিজ্য

তৈরি পোশাক খাতে শ্রম ও কর্মপরিবেশ নেই

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

শনিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২১

বাংলাদেশে তৈরি পোশাক খাতে ৭০ শতাংশ কারখানায় সুশাসন ও মানবাধিকার চর্চা হয় না। অধিকাংশ কারখানায় শ্রম ও কর্মপরিবেশ নিশ্চিতের ক্ষেত্রে আইনি দিকগুলো উপেক্ষিত। গতকাল অনলাইনে ‘জাতিসংঘের নীতিকাঠামোর আলোকে পোশাক খাতে শ্রম ও কর্মপরিবেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। আলোচনায় এ গবেষণাপত্র উপস্থাপন করে সিপিডির সম্মানীয় ফেলো খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এসব কথা বলেন।

গোলাম মোয়াজ্জেম আরও বলেন, ‘কারখানায় শ্রমিকদের মৌখিক ও শারীরিকভাবে হেনস্তার ১৭ শতাংশ ক্ষেত্রেই সুপারভাইজার ও লাইন ম্যানেজাররা দায়ী। ২৫ শতাংশ ক্ষেত্রে সহকর্মীরাই হেনস্তা করেন।’ এ সময় বক্তারা পোশাক খাতে শ্রম ও কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠার তাগিদ দেন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সাবেক শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক, শ্রম সচিব মো. এহছানে এলাহী, তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান, শ্রমিকনেতা বাবুল আক্তার প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন সিপিডির বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান।

শ্রমিকনেতা বাবুল আক্তার বলেন, ‘পোশাকশিল্পের মালিকেরা ট্রেড ইউনিয়ন মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত নন। তারা ট্রেড ইউনিয়নকে অ্যালার্জি মনে করেন। পোশাকশিল্পের অনেক মালিক গণমাধ্যম কিংবা সভা-সমাবেশে ট্রেড ইউনিয়নের পক্ষে অবস্থান নেন। তবে তারা ট্রেড ইউনিয়নকে ভয় পান। পোশাকশিল্পের মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে দূরত্ব রয়েছে। কারখানার অনেক মালিক দায়িত্ব-কর্তব্য বোঝেন না। অনেকে আবার তা এড়িয়ে যান। শ্রমিকদের মধ্যে অনেকে দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে অবগত নন। আবার শ্রমিক সংগঠনেরও ঘাটতি রয়েছে।’

বাবুল আক্তারের কথার সূত্র ধরে নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘ট্রেড ইউনিয়ন নিয়ে পোশাকশিল্পের মালিকদের মধ্যে ভীতি কাজ করে। তবে দায়িত্বশীল ট্রেড ইউনিয়ন গঠনকে আমরা স্বাগত জানাই, যদিও দেশে দায়িত্বশীল ট্রেড ইউনিয়ন আছে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে।’

মুজিবুল হক বলেন, ‘আমাদের দেশে মালিক ও শ্রমিকপক্ষের মধ্যে দূরত্ব রয়েছে। উভয়পক্ষের সচেতনতা বৃদ্ধি ও সংলাপের মাধ্যমে এই দূরত্ব ঘোচানো সম্ভব।’ তিনি আরও বলেন, কারখানার অনেক মালিক মনে করেন, ট্রেড ইউনিয়ন হলে বেতন বাড়াতে হবে। মালিকদের বোঝা উচিত, ট্রেড ইউনিয়ন ক্ষতিকর নয়।’

মো. এহছানে এলাহী বলেন, ‘কর্মক্ষেত্রে প্রবেশে সর্বনিম্ন বয়স কত হবে তা নির্ধারণের শেষ পর্যায়ে আছি আমরা। শ্রম বিধিমালা সংশোধনও শিগগিরই শেষ হবে।’

back to top