রাজধানীতে সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি এবং পুলিশের একটি ট্রাকে আগুন দিয়েছে পোশাক শ্রমিকরা। গতকাল সকাল পৌঁনে ১০টার দিকে কচুক্ষেত এলাকার এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছে দুইজন। ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের অপারেটর আবদুস সামাদ আজাদ বলেন, সকাল ৯টা ৫২ মিনিটে তারা আগুনের খবর পান।
‘সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি এবং পুলিশের একটি ট্রাকে আগুনের খবর পেয়ে দুইটি ইউনিট পাঠানো হয়। আগুন নির্বাপণ করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ফিরতি রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।’
ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বকেয়া বেতন ভাতার দাবিতে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কচুক্ষেত এলাকার ডায়নাসহ কয়েকটি গার্মেন্টসের শ্রমিকরা সড়কে নেমে আসেন। তারা মিরপুর ১৪ নম্বর থেকে সেনানিবাসমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। এতে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ এবং সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন।
এ সময় বিক্ষোভকারী শ্রমিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া হয়। তাদেরকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছোড়ে শ্রমিকরা। একপর্যায়ে বেলা পৌঁনে ১০টার দিকে পুলিশ সদস্যদের বহনকারী একটি ট্রাক এবং সেনাবাহিনীর একটি পিকআপে আগুন ধরিয়ে দেয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিভিয়ে ফেলেন।
এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ ঝুমা আক্তার (১৫) ও আলামিনকে (১৭) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হয় বলে জানিয়েছেন সেখানকার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ফারুক। তিনি বলেন, ঝুমার ডান পায়ে এবং আলামিনের কাঁধে গুলি লেগেছে। ‘আহত দুইজনের মধ্যে ঝুমাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে ও আলামিন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।’
আলামিনের বাবা আবদুর রহমান বলেন, ‘আলামিন সেনটেক্স ফ্যাশন গার্মেন্টসের কর্মী। সকাল ৯টার দিকে বকেয়া বেতনের দাবিতে ওদের কারখানায় আন্দোলন শুরু হয়। ‘এ অবস্থা দেখে তাদের ছুটি দিয়ে দেয়। পরে তারা গার্মেন্টস থেকে বের হয়ে আসলে আন্দোলনের মধ্যে পড়ে সে গুলিবিদ্ধ হয়।’
ভাষানটেক থানার ওসি শাহ মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সকাল থেকেই রাস্তায় ছিলাম। গার্মেন্টস শ্রমিকরা হঠাৎ করে তাদের আন্দোলন থেকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে তারা সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।’ পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার মাকসুদুর রহমান বেলা ১১টার দিকে বলেন, ‘এখানে কয়েকটি গার্মেন্টেসের শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করছিল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই তারা রাস্তায় নেমে আসে।
‘তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছোড়ে। এই অবস্থায় তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও শক্তি প্রয়োগ করে। এই গাড়ি দুটি এখানেই ছিল, যতোদূর জেনেছি আমরা- শ্রমিকরাই আগুন দিয়েছে।’ বেলা ১১টার দিকে পুলিশের একটি পিকআপে করে কয়েকজন তরুণকে তুলে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। পুলিশ কর্মকর্তা মাকসুদুর বলেন, ‘এ ঘটনায় কয়েকজন আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কোনো সংশ্লিষ্টতা না থাকলে ছেড়ে দেয়া হবে।’ এদিকে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ১৪ নম্বর থেকে সেনানিবাসমুখী সড়কে যান চলাচল শুরু হয়েছে। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর দুটি রেকার এসে পুড়ে যাওয়া গাড়ি দুটি সরিয়ে নেয়।
শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪
রাজধানীতে সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি এবং পুলিশের একটি ট্রাকে আগুন দিয়েছে পোশাক শ্রমিকরা। গতকাল সকাল পৌঁনে ১০টার দিকে কচুক্ষেত এলাকার এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছে দুইজন। ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের অপারেটর আবদুস সামাদ আজাদ বলেন, সকাল ৯টা ৫২ মিনিটে তারা আগুনের খবর পান।
‘সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি এবং পুলিশের একটি ট্রাকে আগুনের খবর পেয়ে দুইটি ইউনিট পাঠানো হয়। আগুন নির্বাপণ করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ফিরতি রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।’
ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বকেয়া বেতন ভাতার দাবিতে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কচুক্ষেত এলাকার ডায়নাসহ কয়েকটি গার্মেন্টসের শ্রমিকরা সড়কে নেমে আসেন। তারা মিরপুর ১৪ নম্বর থেকে সেনানিবাসমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। এতে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ এবং সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন।
এ সময় বিক্ষোভকারী শ্রমিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া হয়। তাদেরকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছোড়ে শ্রমিকরা। একপর্যায়ে বেলা পৌঁনে ১০টার দিকে পুলিশ সদস্যদের বহনকারী একটি ট্রাক এবং সেনাবাহিনীর একটি পিকআপে আগুন ধরিয়ে দেয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিভিয়ে ফেলেন।
এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ ঝুমা আক্তার (১৫) ও আলামিনকে (১৭) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হয় বলে জানিয়েছেন সেখানকার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ফারুক। তিনি বলেন, ঝুমার ডান পায়ে এবং আলামিনের কাঁধে গুলি লেগেছে। ‘আহত দুইজনের মধ্যে ঝুমাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে ও আলামিন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।’
আলামিনের বাবা আবদুর রহমান বলেন, ‘আলামিন সেনটেক্স ফ্যাশন গার্মেন্টসের কর্মী। সকাল ৯টার দিকে বকেয়া বেতনের দাবিতে ওদের কারখানায় আন্দোলন শুরু হয়। ‘এ অবস্থা দেখে তাদের ছুটি দিয়ে দেয়। পরে তারা গার্মেন্টস থেকে বের হয়ে আসলে আন্দোলনের মধ্যে পড়ে সে গুলিবিদ্ধ হয়।’
ভাষানটেক থানার ওসি শাহ মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সকাল থেকেই রাস্তায় ছিলাম। গার্মেন্টস শ্রমিকরা হঠাৎ করে তাদের আন্দোলন থেকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে তারা সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।’ পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার মাকসুদুর রহমান বেলা ১১টার দিকে বলেন, ‘এখানে কয়েকটি গার্মেন্টেসের শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করছিল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই তারা রাস্তায় নেমে আসে।
‘তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছোড়ে। এই অবস্থায় তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও শক্তি প্রয়োগ করে। এই গাড়ি দুটি এখানেই ছিল, যতোদূর জেনেছি আমরা- শ্রমিকরাই আগুন দিয়েছে।’ বেলা ১১টার দিকে পুলিশের একটি পিকআপে করে কয়েকজন তরুণকে তুলে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। পুলিশ কর্মকর্তা মাকসুদুর বলেন, ‘এ ঘটনায় কয়েকজন আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কোনো সংশ্লিষ্টতা না থাকলে ছেড়ে দেয়া হবে।’ এদিকে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ১৪ নম্বর থেকে সেনানিবাসমুখী সড়কে যান চলাচল শুরু হয়েছে। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর দুটি রেকার এসে পুড়ে যাওয়া গাড়ি দুটি সরিয়ে নেয়।