রাজধানীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও সহিংসতার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ঢাকা ট্রিবিউনের ফটোসাংবাদিক মেহেদি হাসান সাগরকে। তবে নামের মিল থাকায় প্রকৃত আসামির পরিবর্তে ভুল করে তাকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তার সহকর্মীরা।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গোয়েন্দা পুলিশ রাজধানীর কাকরাইল থেকে মেহেদিকে আটক করে। পুলিশ জানিয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজিব হল ছাত্রলীগ শাখার তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মেহেদি হাসান সাগর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার ঘটনায় শাহবাগ থানায় দায়ের করা একটি মামলার আসামি। তবে তার সহকর্মীদের দাবি, প্রকৃত আসামি হলেন ঢাবির মুজিব হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদি হাসান সাগর, ফটোসাংবাদিক সাগর নন।
ঢাকা ট্রিবিউন এবং অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) এর হয়ে কাজ করা মেহেদির সহকর্মীরা জানান, সাগর দীর্ঘদিন ধরে ফটোসাংবাদিক হিসেবে কাজ করছেন এবং তার পেশাগত দায়বদ্ধতায় তিনি আন্দোলনের পুরোটা সময় ক্যামেরা হাতে সক্রিয় ছিলেন। জুলাই-অগাস্টে হওয়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমে ফটো ও ভিডিও সংক্রান্ত সংবাদ পরিবেশন করছিলেন তিনি। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের ঢাকার এক সাংবাদিক জানান, মেহেদি তাদের সঙ্গে খণ্ডকালীন কর্মী হিসেবে কাজ করেন এবং আন্দোলনের সময় এপি-র টেলিভিশনের জন্য ভিডিও ফুটেজও সরবরাহ করেছিলেন।
ঢাকা ট্রিবিউনের সিনিয়র সহকর্মী জীবন আহমেদ ফেসবুকে লিখেছেন, “জুলাই মাসে যে ছেলে ক্যামেরা হাতে ছোটাছুটি করত, আজ সেই ছেলেটি হত্যা মামলার আসামি!” তার এই মন্তব্যে মেহেদির সহকর্মীরা বিরক্তি প্রকাশ করে দ্রুত তার মুক্তি দাবি করেছেন।
ডিএমপির জনসংযোগ বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, মেহেদির নামে শাহবাগ থানায় মামলা রয়েছে। তবে তার সহকর্মীদের দাবি নিয়ে পুলিশ বিষয়টি যাচাই-বাছাই করছে। জনসংযোগ বিভাগের পক্ষ থেকে একটি বার্তায় জানানো হয়, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজিব হল ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মেহেদি হাসান সাগরকে রাজধানীর কাকরাইল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
তবে সহকর্মীদের দাবি, প্রকৃত আসামি হলেন ঢাবির মুজিব হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। ফটোসাংবাদিক সাগর এই আন্দোলনের সময় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের জন্য রিপোর্টিং এবং ছবি তুলে খবর প্রচার করছিলেন, যা তাকে প্রকৃত আসামি হওয়া থেকে বাদ দেয়।
ঢাকা ট্রিবিউনসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকরা একত্রিত হয়ে এই ভুল গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানান এবং অনতিবিলম্বে মেহেদির মুক্তি দাবি করেন। নিউ ইয়র্কভিত্তিক সংবাদ সংস্থা এপির ঢাকা অফিসের একটি সূত্র জানায়, মেহেদি জুলাই-অগাস্টে তাদের সঙ্গে স্ট্রিংগার হিসেবে কাজ করেছিলেন এবং এপির টেলিভিশন প্ল্যাটফর্মে তার ছবি ও ভিডিও ব্যবহার করা হয়।
সহকর্মীদের দাবির প্রেক্ষিতে পুলিশ জানায়, ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চলছে এবং যথাযথ প্রমাণের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪
রাজধানীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও সহিংসতার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ঢাকা ট্রিবিউনের ফটোসাংবাদিক মেহেদি হাসান সাগরকে। তবে নামের মিল থাকায় প্রকৃত আসামির পরিবর্তে ভুল করে তাকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তার সহকর্মীরা।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গোয়েন্দা পুলিশ রাজধানীর কাকরাইল থেকে মেহেদিকে আটক করে। পুলিশ জানিয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজিব হল ছাত্রলীগ শাখার তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মেহেদি হাসান সাগর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার ঘটনায় শাহবাগ থানায় দায়ের করা একটি মামলার আসামি। তবে তার সহকর্মীদের দাবি, প্রকৃত আসামি হলেন ঢাবির মুজিব হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদি হাসান সাগর, ফটোসাংবাদিক সাগর নন।
ঢাকা ট্রিবিউন এবং অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) এর হয়ে কাজ করা মেহেদির সহকর্মীরা জানান, সাগর দীর্ঘদিন ধরে ফটোসাংবাদিক হিসেবে কাজ করছেন এবং তার পেশাগত দায়বদ্ধতায় তিনি আন্দোলনের পুরোটা সময় ক্যামেরা হাতে সক্রিয় ছিলেন। জুলাই-অগাস্টে হওয়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমে ফটো ও ভিডিও সংক্রান্ত সংবাদ পরিবেশন করছিলেন তিনি। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের ঢাকার এক সাংবাদিক জানান, মেহেদি তাদের সঙ্গে খণ্ডকালীন কর্মী হিসেবে কাজ করেন এবং আন্দোলনের সময় এপি-র টেলিভিশনের জন্য ভিডিও ফুটেজও সরবরাহ করেছিলেন।
ঢাকা ট্রিবিউনের সিনিয়র সহকর্মী জীবন আহমেদ ফেসবুকে লিখেছেন, “জুলাই মাসে যে ছেলে ক্যামেরা হাতে ছোটাছুটি করত, আজ সেই ছেলেটি হত্যা মামলার আসামি!” তার এই মন্তব্যে মেহেদির সহকর্মীরা বিরক্তি প্রকাশ করে দ্রুত তার মুক্তি দাবি করেছেন।
ডিএমপির জনসংযোগ বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, মেহেদির নামে শাহবাগ থানায় মামলা রয়েছে। তবে তার সহকর্মীদের দাবি নিয়ে পুলিশ বিষয়টি যাচাই-বাছাই করছে। জনসংযোগ বিভাগের পক্ষ থেকে একটি বার্তায় জানানো হয়, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজিব হল ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মেহেদি হাসান সাগরকে রাজধানীর কাকরাইল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
তবে সহকর্মীদের দাবি, প্রকৃত আসামি হলেন ঢাবির মুজিব হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। ফটোসাংবাদিক সাগর এই আন্দোলনের সময় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের জন্য রিপোর্টিং এবং ছবি তুলে খবর প্রচার করছিলেন, যা তাকে প্রকৃত আসামি হওয়া থেকে বাদ দেয়।
ঢাকা ট্রিবিউনসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকরা একত্রিত হয়ে এই ভুল গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানান এবং অনতিবিলম্বে মেহেদির মুক্তি দাবি করেন। নিউ ইয়র্কভিত্তিক সংবাদ সংস্থা এপির ঢাকা অফিসের একটি সূত্র জানায়, মেহেদি জুলাই-অগাস্টে তাদের সঙ্গে স্ট্রিংগার হিসেবে কাজ করেছিলেন এবং এপির টেলিভিশন প্ল্যাটফর্মে তার ছবি ও ভিডিও ব্যবহার করা হয়।
সহকর্মীদের দাবির প্রেক্ষিতে পুলিশ জানায়, ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চলছে এবং যথাযথ প্রমাণের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।