ঢাকার মিরপুর ১৪ নম্বর এলাকায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। একটি পোশাক কারখানার কর্মকর্তা ও শ্রমিকের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলা বিরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্ট এই অস্থিরতার জেরে এলাকায় ব্যাপক ভাঙচুর ও সহিংসতা ঘটে।
আজ সকালে ‘কাজ না করলে বেতন নয়’ (নো ওয়ার্ক নো পে) নোটিশ দেখে ক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা সড়কে নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন। দ্রুতই প্রতিবেশী কারখানাগুলোর শ্রমিকেরা তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন। একপর্যায়ে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়ান শ্রমিকেরা, যা প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলে। সংঘর্ষের সময় শ্রমিকরা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর দুটি গাড়ি পুড়িয়ে দেন এবং পুলিশ ফাঁড়ি ভাঙচুর করেন।
বিক্ষোভের শুরু হয়েছিল মিরপুর ১৪ নম্বরের পুরান কচুক্ষেত এলাকার মৌসুমী অ্যান্ড ভূঁইয়া প্লাজায় অবস্থিত ‘ক্রিয়েটিভ ডিজাইনারস লিমিটেড’ (সিডিএল) নামের পোশাক কারখানা থেকে। কারখানাটির এক শ্রমিক শরীফ তার ওপর হামলার অভিযোগ তোলেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিকে কারখানার সামনে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করার দাবি জানান। কর্তৃপক্ষ অভিযোগ আমলে নিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বহিষ্কার করলেও, শরীফের দাবিতে কোনো সাড়া দেয়নি। ফলে গত কয়েকদিন ধরে কাজ বন্ধ ছিল।
গত রাতে কারখানার মালামাল রপ্তানি করতে গেলে শ্রমিকেরা তা আটকে দেয়। এরপর আজ সকালে কারখানায় ‘নো ওয়ার্ক নো পে’ নোটিশ টাঙানো হয়, যা দেখেই শ্রমিকরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। আশপাশের অন্যান্য কারখানার শ্রমিকেরা তাদের সঙ্গে যোগ দিলে বিক্ষোভ দ্রুত পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাস ও গুলি ব্যবহার করে। এই সংঘর্ষে দুই শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হন। আহত শ্রমিকদের মধ্যে আল আমিনের কাঁধে ও পিঠে এবং ঝুমা আক্তারের ডান পায়ের গোড়ালিতে গুলি লেগেছে। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে একাধিকবার ধাওয়া দেওয়া হয়। শ্রমিকরা পাল্টা প্রতিরোধে ছাদ থেকে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকেন। এরই মধ্যে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর দুটি পিকআপ ভ্যান পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিস দ্রুত এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
সিডিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ তারেক সরকার জানান, “এই আন্দোলনের পেছনে বেতন-ভাতার কোনো সম্পর্ক নেই। মূলত একজন শ্রমিককে শাস্তি দেওয়ার দাবি থেকেই এ ধরনের সহিংসতার সূত্রপাত।”
দুপুর নাগাদ যৌথ বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং যান চলাচল পুনরায় শুরু হয়।
শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪
ঢাকার মিরপুর ১৪ নম্বর এলাকায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। একটি পোশাক কারখানার কর্মকর্তা ও শ্রমিকের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলা বিরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্ট এই অস্থিরতার জেরে এলাকায় ব্যাপক ভাঙচুর ও সহিংসতা ঘটে।
আজ সকালে ‘কাজ না করলে বেতন নয়’ (নো ওয়ার্ক নো পে) নোটিশ দেখে ক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা সড়কে নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন। দ্রুতই প্রতিবেশী কারখানাগুলোর শ্রমিকেরা তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন। একপর্যায়ে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়ান শ্রমিকেরা, যা প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলে। সংঘর্ষের সময় শ্রমিকরা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর দুটি গাড়ি পুড়িয়ে দেন এবং পুলিশ ফাঁড়ি ভাঙচুর করেন।
বিক্ষোভের শুরু হয়েছিল মিরপুর ১৪ নম্বরের পুরান কচুক্ষেত এলাকার মৌসুমী অ্যান্ড ভূঁইয়া প্লাজায় অবস্থিত ‘ক্রিয়েটিভ ডিজাইনারস লিমিটেড’ (সিডিএল) নামের পোশাক কারখানা থেকে। কারখানাটির এক শ্রমিক শরীফ তার ওপর হামলার অভিযোগ তোলেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিকে কারখানার সামনে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করার দাবি জানান। কর্তৃপক্ষ অভিযোগ আমলে নিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বহিষ্কার করলেও, শরীফের দাবিতে কোনো সাড়া দেয়নি। ফলে গত কয়েকদিন ধরে কাজ বন্ধ ছিল।
গত রাতে কারখানার মালামাল রপ্তানি করতে গেলে শ্রমিকেরা তা আটকে দেয়। এরপর আজ সকালে কারখানায় ‘নো ওয়ার্ক নো পে’ নোটিশ টাঙানো হয়, যা দেখেই শ্রমিকরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। আশপাশের অন্যান্য কারখানার শ্রমিকেরা তাদের সঙ্গে যোগ দিলে বিক্ষোভ দ্রুত পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাস ও গুলি ব্যবহার করে। এই সংঘর্ষে দুই শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হন। আহত শ্রমিকদের মধ্যে আল আমিনের কাঁধে ও পিঠে এবং ঝুমা আক্তারের ডান পায়ের গোড়ালিতে গুলি লেগেছে। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে একাধিকবার ধাওয়া দেওয়া হয়। শ্রমিকরা পাল্টা প্রতিরোধে ছাদ থেকে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকেন। এরই মধ্যে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর দুটি পিকআপ ভ্যান পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিস দ্রুত এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
সিডিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ তারেক সরকার জানান, “এই আন্দোলনের পেছনে বেতন-ভাতার কোনো সম্পর্ক নেই। মূলত একজন শ্রমিককে শাস্তি দেওয়ার দাবি থেকেই এ ধরনের সহিংসতার সূত্রপাত।”
দুপুর নাগাদ যৌথ বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং যান চলাচল পুনরায় শুরু হয়।