আল ইসলামসহ রিমান্ডে ২ জন
রাজধানীর পল্লবীর বাউনিয়া বাঁধ এলাকায় চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মাদক কারবারি দুটি গ্রুপের গোলাগুলিতে আয়েশা আক্তার (২৬) নামে এক নারীর মৃত্যুর ঘটনার পর থেকে এলাকাটিতে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিশেষ করে এ ঘটনার অন্যতম নেপথ্য গ্রেপ্তার আল মামুনের বিষয়ে মুখ না খুলতে সন্ত্রাসীরা এলাকার মানুষকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
আল ইসলামের ভাই জাহাঙ্গীরের হুমকিতে বেশি আতঙ্কিত সবাই। আল ইসলাম গ্রেপ্তারের পর এলাকাবাসীকে উল্লাস না করতেও নির্দেশ দিয়েছেন জাহাঙ্গীর। এদিকে আল মামুন ছাড়াও মো. নাসির নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল গ্রেপ্তার দুইজনকে রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠায় পুলিশ। পরে শুনানি শেষে আদালত তাদের দুইজনেরই দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এরআগে গত বুধবার রাতে নিহতের স্বামী মিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে পল্লবী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন- মমিন, শাবু, সম্রাট, শামিম, জয়নাল, পাতা সোহেল, কালা মোতালেব, ভাগ্নে মামুন, জাহাঙ্গীর, ভেজাল মামুন, আল-ইসলাম, ইউনুস ওরফে ডিস্কু, রুবেল, মজনু, কালন, কামাল ও জয়। মামলা দায়ের হওয়ার পরই সেনাবাহিনীর সহায়তায় আল মামুন ও নাসিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা গেছে, মামলার আসামিরা পল্লবীর শীর্ষ সন্ত্রাসী মফিজুর রহমান মামুনের (ভারতে অবস্থানরত) অস্ত্রধারী ক্যাডার। তাদের মধ্যে ১ নং আসামি মমিন হচ্ছে মামুনের চাচাতো ভাই এবং রুবেলের বোন জামাই। গ্রেপ্তারকৃত ১১ নং আসামি আল ইসলাম ও ৯ নং আসামি আল ইসলামের ভাই জাহাঙ্গীর নেপথ্যে থেকে দখল ও মাদক ব্যবসার আধিপত্যের লড়াই জিইয়ে রেখে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন।
পল্লবী থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে পল্লবী থানাধীন মিরপুর সেকশন-১১ এর বাউনিয়া বাঁধ বি-ব্লকে চিহ্নিত অস্ত্রধারী মাদক ব্যবসায়ী সন্ত্রাসী মমিন, শাবু, সম্রাট, শামিম, জয়নাল, ইদ্রিস, কালা মোতালেব, কামাল, জাহাঙ্গীর, আল ইসলাম, ভেজাল মামুন, জয়, ইউনুস, রুবেলসহ অজ্ঞাতনামা ১৪-১৫ জন এলাকার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ফতের ভাই মামুনের কাছে চাঁদা চায়। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি ও তর্কের মধ্যে থেকে একপর্যায়ে গোলাগুলি হয়। তাতে বাউনিয়া বাঁধ বি-ব্লকের ১৭/১৮ বাসার দ্বিতীয় তলার সিঁড়ির করিডোরে দাঁড়ানো আয়েশা আক্তার গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। ওই বাসার তৃতীয় তলায় একটি রুম ভাড়া নিয়ে ১০ বছর ধরে স্বামীর সঙ্গে বসবাস করে আসছিলেন আয়েশা আক্তার।
থানা সূত্র আরও জানায়, পল্লবীতে চাঁদাবাজি, মাদক কারবার আর দখল মানেই আল ইসলাম। নিরীহ কারও জমি কেনার তথ্য পেলেই হাজির হতো আল ইসলাম ও তার ভাই জাহাঙ্গীরের লোকজন। নগদ চাঁদাবাজিতে সিদ্ধহস্ত দু’ভাই চাঁদা না পেলে হামলা করতেন, কখনও সাঙ্গোপাঙ্গর মাধ্যমে মিথ্যা মামলা দিয়ে করতেন দিনের পর দিন হয়রানি। বাধ্য হয়ে অনেকে জমি ছেড়ে যেতে বাধ্য হতেন। মাদক কারবারে জড়িত আল ইসলামের বিরুদ্ধে রয়েছে হত্যা, হামলা, চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগে অন্তত ডজনখানেক মামলা। ৫ আগস্টের পর পল্লবীর আতঙ্কের নাম হয়েছেন দুই সহোদর।
মিনহাজ নামে স্থানীয় এক বাড়ির মালিক জানান, আল ইসলাম গ্রেপ্তারে এলাকার মানুষের মধ্যে স্বস্তি নামার কথা। কিন্তু বিপরীত বেড়েছে আতঙ্ক। যারা বিভিন্ন সময়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা বা প্রতিবাদ করেছেন, তারা যেন আল ইসলাম গ্রেপ্তারের খবরে উল্লাস না করে সেজন্য গ্রুপের সাঙ্গোপাঙ্গদের দিয়ে হুমকি দেয়া হয়েছে। আগের মতোই সব কিছু চলবে বলে হুমকি দিয়েছে জাহাঙ্গীর। বলেছেন, বাড়াবাড়ি করলে হাত-পা ভেঙে দেবেন। পল্লবী থানার ওসি মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। হত্যাকা-ের ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অন্য জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
আল ইসলামসহ রিমান্ডে ২ জন
শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪
রাজধানীর পল্লবীর বাউনিয়া বাঁধ এলাকায় চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মাদক কারবারি দুটি গ্রুপের গোলাগুলিতে আয়েশা আক্তার (২৬) নামে এক নারীর মৃত্যুর ঘটনার পর থেকে এলাকাটিতে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিশেষ করে এ ঘটনার অন্যতম নেপথ্য গ্রেপ্তার আল মামুনের বিষয়ে মুখ না খুলতে সন্ত্রাসীরা এলাকার মানুষকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
আল ইসলামের ভাই জাহাঙ্গীরের হুমকিতে বেশি আতঙ্কিত সবাই। আল ইসলাম গ্রেপ্তারের পর এলাকাবাসীকে উল্লাস না করতেও নির্দেশ দিয়েছেন জাহাঙ্গীর। এদিকে আল মামুন ছাড়াও মো. নাসির নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল গ্রেপ্তার দুইজনকে রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠায় পুলিশ। পরে শুনানি শেষে আদালত তাদের দুইজনেরই দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এরআগে গত বুধবার রাতে নিহতের স্বামী মিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে পল্লবী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন- মমিন, শাবু, সম্রাট, শামিম, জয়নাল, পাতা সোহেল, কালা মোতালেব, ভাগ্নে মামুন, জাহাঙ্গীর, ভেজাল মামুন, আল-ইসলাম, ইউনুস ওরফে ডিস্কু, রুবেল, মজনু, কালন, কামাল ও জয়। মামলা দায়ের হওয়ার পরই সেনাবাহিনীর সহায়তায় আল মামুন ও নাসিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা গেছে, মামলার আসামিরা পল্লবীর শীর্ষ সন্ত্রাসী মফিজুর রহমান মামুনের (ভারতে অবস্থানরত) অস্ত্রধারী ক্যাডার। তাদের মধ্যে ১ নং আসামি মমিন হচ্ছে মামুনের চাচাতো ভাই এবং রুবেলের বোন জামাই। গ্রেপ্তারকৃত ১১ নং আসামি আল ইসলাম ও ৯ নং আসামি আল ইসলামের ভাই জাহাঙ্গীর নেপথ্যে থেকে দখল ও মাদক ব্যবসার আধিপত্যের লড়াই জিইয়ে রেখে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন।
পল্লবী থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে পল্লবী থানাধীন মিরপুর সেকশন-১১ এর বাউনিয়া বাঁধ বি-ব্লকে চিহ্নিত অস্ত্রধারী মাদক ব্যবসায়ী সন্ত্রাসী মমিন, শাবু, সম্রাট, শামিম, জয়নাল, ইদ্রিস, কালা মোতালেব, কামাল, জাহাঙ্গীর, আল ইসলাম, ভেজাল মামুন, জয়, ইউনুস, রুবেলসহ অজ্ঞাতনামা ১৪-১৫ জন এলাকার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ফতের ভাই মামুনের কাছে চাঁদা চায়। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি ও তর্কের মধ্যে থেকে একপর্যায়ে গোলাগুলি হয়। তাতে বাউনিয়া বাঁধ বি-ব্লকের ১৭/১৮ বাসার দ্বিতীয় তলার সিঁড়ির করিডোরে দাঁড়ানো আয়েশা আক্তার গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। ওই বাসার তৃতীয় তলায় একটি রুম ভাড়া নিয়ে ১০ বছর ধরে স্বামীর সঙ্গে বসবাস করে আসছিলেন আয়েশা আক্তার।
থানা সূত্র আরও জানায়, পল্লবীতে চাঁদাবাজি, মাদক কারবার আর দখল মানেই আল ইসলাম। নিরীহ কারও জমি কেনার তথ্য পেলেই হাজির হতো আল ইসলাম ও তার ভাই জাহাঙ্গীরের লোকজন। নগদ চাঁদাবাজিতে সিদ্ধহস্ত দু’ভাই চাঁদা না পেলে হামলা করতেন, কখনও সাঙ্গোপাঙ্গর মাধ্যমে মিথ্যা মামলা দিয়ে করতেন দিনের পর দিন হয়রানি। বাধ্য হয়ে অনেকে জমি ছেড়ে যেতে বাধ্য হতেন। মাদক কারবারে জড়িত আল ইসলামের বিরুদ্ধে রয়েছে হত্যা, হামলা, চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগে অন্তত ডজনখানেক মামলা। ৫ আগস্টের পর পল্লবীর আতঙ্কের নাম হয়েছেন দুই সহোদর।
মিনহাজ নামে স্থানীয় এক বাড়ির মালিক জানান, আল ইসলাম গ্রেপ্তারে এলাকার মানুষের মধ্যে স্বস্তি নামার কথা। কিন্তু বিপরীত বেড়েছে আতঙ্ক। যারা বিভিন্ন সময়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা বা প্রতিবাদ করেছেন, তারা যেন আল ইসলাম গ্রেপ্তারের খবরে উল্লাস না করে সেজন্য গ্রুপের সাঙ্গোপাঙ্গদের দিয়ে হুমকি দেয়া হয়েছে। আগের মতোই সব কিছু চলবে বলে হুমকি দিয়েছে জাহাঙ্গীর। বলেছেন, বাড়াবাড়ি করলে হাত-পা ভেঙে দেবেন। পল্লবী থানার ওসি মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। হত্যাকা-ের ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অন্য জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।