alt

আন্তর্জাতিক

বাইডেনের গাজা নীতির প্রতিবাদে আরও এক মার্কিন কর্মকর্তার পদত্যাগ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

টানা প্রায় ছয় মাস ধরে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘাত চলছে। চলমান এই সংঘাতে সরাসরি ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গাজায় আগ্রাসন চালাতে ইসরায়েলে দ্রুততার সঙ্গে অস্ত্রও সরবরাহ করছে দেশটি।

অন্যদিকে গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের বিষয়েও যুক্তরাষ্ট্র নীরব। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গাজা নীতির প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মানবাধিকার কর্মকর্তা।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সদ্য পদত্যাগ করা মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ওই মানবাধিকার কর্মকর্তার নাম অ্যানেল শেলিন। মধ্যপ্রাচ্যের এই বিশ্লেষক মার্কিন সরকারের পক্ষে মানবাধিকার বিষয়ে প্রচারের পাশাপাশি এই সংক্রান্ত দায়িত্বও পালন করতেন।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ইসরায়েল নীতির বিরোধিতায় নিজের পদ ছেড়ে দেওয়া মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সর্বশেষ কর্মী তিনি।

আল জাজিরা বলছে, শেলিন বুধবার ওয়াশিংটন পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তার পদত্যাগের ঘোষণা দেন। মূলত তিনি এমন এক সময়ে বাইডেন প্রশাসন থেকে সরে দাঁড়ালেন যখন গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় চলমান প্রায় ছয় মাসের ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা ৩২ হাজার ৪৯০ জনে পৌঁছেছে এবং অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে দুর্ভিক্ষ আসন্ন বলে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে।

শেলিন মার্কিন এই সংবাদপত্রকে বলেন, ‘আমি সত্যিই আমার কাজ আর করতে পারিনি। মানবাধিকারের পক্ষে কাজ করা অসম্ভব হয়ে উঠেছে।’

শেলিনের পদত্যাগের আগে গত বছরের অক্টোবরে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের আরেক কর্মকর্তা জশ পল পদত্যাগ করেন। বাইডেনের গাজা নীতির প্রতিবাদে পদত্যাগ করা ওই কর্মকর্তা ছিলেন স্টেট ডিপার্টমেন্টের রাজনৈতিক-সামরিক বিষয়ক ব্যুরোর একজন পরিচালক।

এছাড়া একই কারণে গত জানুয়ারিতে পদত্যাগ করেন মার্কিন শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তা তারিক হাবাশ। জ্যেষ্ঠ এই মার্কিন কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিভাগের পরিকল্পনা, মূল্যায়ন ও নীতি উন্নয়নের অফিসের বিশেষ সহকারী পদে ছিলেন।

আল জাজিরার সাথে কথা বলার সময় হাবাশ বলেছেন, অ্যানেল শেলিনের চলে যাওয়ার এই সিদ্ধান্ত সেটিই স্পষ্ট করছে যে, গাজা যুদ্ধের মধ্যে দেশে এবং বিদেশে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কীভাবে হ্রাস পেয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এটা আশ্চর্যজনক নয়, এমন কিছু লোক আছেন যারা স্টেট ডিপার্টমেন্টে মানবাধিকার সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো করার চেষ্টা করলেও তারা মনে করছেন, তারা তাদের কাজ করতে অক্ষম। (শেলিন) হয়তো বুঝতে পেরেছেন, একমাত্র উপায় যে তিনি প্রভাব ফেলতে পারেন তা হলো তার চলে যাওয়া, কারণ প্রায় ছয় মাসে আমরা (মার্কিন) নীতিতে কোনও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখিনি এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমাদের প্রভাব দিন দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।’

আল জাজিরা বলছে, ব্যুরো অব নিয়ার ইস্টার্ন অ্যাফেয়ার্সের অংশ হিসাবে ব্যুরো অব ডেমোক্র্যাসি, লেবার এবং হিউম্যান রাইটস (ডিআরএল)-এর একটি ফেলোশিপের মাধ্যমে স্টেট ডিপার্টমেন্টে যোগদান করেছিলেন অ্যানেল শেলিন। তাকে মানবাধিকারের প্রচার এবং এই ইস্যুতে বার্ষিক প্রতিবেদন সংকলনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তার পিএইচডি ডিগ্রি রয়েছে এবং এর আগে তিনি কুইন্সি ইনস্টিটিউট ফর রেসপন্সিবল স্টেটক্রাফটের গবেষক ছিলেন।

স্টেট ডিপার্টমেন্টে তার দায়িত্বের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলজুড়ে কর্মী এবং সুশীল সমাজের গ্রুপগুলোর সাথে সমন্বয় করাও অন্তর্ভুক্ত ছিল। অ্যানেল শেলিন বলেন, যুদ্ধের অগ্রগতির সাথে সাথে এই গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে মার্কিন বিশ্বাসযোগ্যতা কীভাবে হ্রাস পেয়েছে তা তিনি নিজেই দেখেছেন।

শেলিন এই অঞ্চলজুড়ে যে গোষ্ঠীগুলোর সাথে কাজ করেছেন তাদের সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘যদি তারা জড়িত হতে ইচ্ছুক হয়, তবে তাদের বেশিরভাগই গাজা সম্পর্কে কথা বলতে চায়, তারা (ফিলিস্তিনিরা) চরম দমন-পীড়ন বা কারাবাসের হুমকি মোকাবিলা করছে। তারা প্রথম যে পয়েন্টটি সামনে নিয়ে আসে, তা হলো: এটি কীভাবে ঘটছে?’

আল জাজিরা বলছে, মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে শেলিনের প্রস্থান এমন এক সময়ে হলো যখন বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলের প্রতি সমর্থনের প্রতিশ্রুতি অব্যাহত রেখেছে, এমনকি দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে প্রত্যাশিত স্থল অভিযান সম্পর্কে ইসরায়েলকে সতর্ক করে দেওয়ার সময়ও।

ছবি

নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় শিশুসহ নিহত ১৫

ছবি

যে কারণে ইউক্রেনের রেল ব্যবস্থায় হামলা বাড়িয়েছে রাশিয়া

ছবি

ভারতে লোকসভা নির্বাচনে ২য় দফার ভোটগ্রহণ চলছে, রাহুলের পরীক্ষা আজ

ছবি

ভারী বৃষ্টিপাতের পর তানজানিয়ায় বন্যা-ভূমিধস, নিহত অন্তত ১৫৫

উত্তর কোরিয়া-রাশিয়া অস্ত্র হস্তান্তরের সাথে চীনের জাহাজ নোঙর করে রাখা

ছবি

পশ্চিমবঙ্গের ২০ জায়গায় তাপমাত্রা ছাড়াল ৪০ ডিগ্রি

ছবি

স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, দায়িত্বপালন বন্ধ করলেন সানচেজ

ছবি

মায়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি

ছবি

ইউক্রেনকে আরও ৬২ কোটি ডলার সহায়তার ঘোষণা ব্রিটেনের

ছবি

যুক্তরাষ্ট্র সরে গেলে বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে কে প্রশ্ন বাইডেনের

ছবি

ফের হামলা হলে ইসরায়েলকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া হবে : ইরান

ছবি

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিল জ্যামাইকা

ছবি

বন্যার পর এবার আরব আমিরাতে ঘন কুয়াশার প্রকোপ

ছবি

গাজায় গণকবরে শত শত লাশ, আতঙ্কিত জাতিসংঘ মানবাধিকারপ্রধান

ছবি

জলবায়ু বিপর্যয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এশিয়া

ছবি

মার্কিন কংগ্রেসে ইউক্রেইন, ইসরায়েল সহায়তা বিল পাস

ছবি

গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েলের ভেতর গভীরতম হামলা চালাল হিজবুল্লাহ

ছবি

জলবায়ু পরিবর্তনের মূল আঘাত যাচ্ছে এশিয়ার ওপর দিয়ে: জাতিসংঘ

রুয়ান্ডা বিল পাস: কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ইংলিশ চ্যানেলে ডুবে নিহত ৫

ছবি

পাকিস্তানকে নিষেধাজ্ঞার হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের

ছবি

বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন হয়নি

ছবি

মালয়েশিয়ায় সামরিক মহড়ার সময় ২ হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ, নিহত ১০

ছবি

দফায় দফায় ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো তাইওয়ান

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে সড়ক দুর্ঘটনায় ভারতীয় ২ শিক্ষার্থীর মৃত্যু

ছবি

পাকিস্তান সফরে ইরানি প্রেসিডেন্ট

ছবি

ফের শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল তাইওয়ান

ছবি

ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা প্রধানের পদত্যাগ

ছবি

সরিয়ে নেওয়া হলো হাজার হাজার মানুষকে

ছবি

ফের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া

ছবি

মালদ্বীপের পার্লামেন্ট নির্বাচনে মইজ্জুর দলের বড় জয়

ছবি

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই করবেন নেতানিয়াহু

ছবি

রাফাহতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ১০, বেশিরভাগই শিশু

ছবি

সোমালি দস্যুদের মুক্তিপণ দেওয়ায় ইইউর উদ্বেগ, হুঁশিয়ারি

ছবি

মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে যাত্রীবাহী ফেরিডুবি, নিহত অন্তত ৫৮

ছবি

সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত

ছবি

মায়ানমার-থাই সীমান্তে আবারও বিদ্রোহীদের হামলা

tab

আন্তর্জাতিক

বাইডেনের গাজা নীতির প্রতিবাদে আরও এক মার্কিন কর্মকর্তার পদত্যাগ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

টানা প্রায় ছয় মাস ধরে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘাত চলছে। চলমান এই সংঘাতে সরাসরি ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গাজায় আগ্রাসন চালাতে ইসরায়েলে দ্রুততার সঙ্গে অস্ত্রও সরবরাহ করছে দেশটি।

অন্যদিকে গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের বিষয়েও যুক্তরাষ্ট্র নীরব। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গাজা নীতির প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মানবাধিকার কর্মকর্তা।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সদ্য পদত্যাগ করা মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ওই মানবাধিকার কর্মকর্তার নাম অ্যানেল শেলিন। মধ্যপ্রাচ্যের এই বিশ্লেষক মার্কিন সরকারের পক্ষে মানবাধিকার বিষয়ে প্রচারের পাশাপাশি এই সংক্রান্ত দায়িত্বও পালন করতেন।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ইসরায়েল নীতির বিরোধিতায় নিজের পদ ছেড়ে দেওয়া মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সর্বশেষ কর্মী তিনি।

আল জাজিরা বলছে, শেলিন বুধবার ওয়াশিংটন পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তার পদত্যাগের ঘোষণা দেন। মূলত তিনি এমন এক সময়ে বাইডেন প্রশাসন থেকে সরে দাঁড়ালেন যখন গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় চলমান প্রায় ছয় মাসের ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা ৩২ হাজার ৪৯০ জনে পৌঁছেছে এবং অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে দুর্ভিক্ষ আসন্ন বলে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে।

শেলিন মার্কিন এই সংবাদপত্রকে বলেন, ‘আমি সত্যিই আমার কাজ আর করতে পারিনি। মানবাধিকারের পক্ষে কাজ করা অসম্ভব হয়ে উঠেছে।’

শেলিনের পদত্যাগের আগে গত বছরের অক্টোবরে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের আরেক কর্মকর্তা জশ পল পদত্যাগ করেন। বাইডেনের গাজা নীতির প্রতিবাদে পদত্যাগ করা ওই কর্মকর্তা ছিলেন স্টেট ডিপার্টমেন্টের রাজনৈতিক-সামরিক বিষয়ক ব্যুরোর একজন পরিচালক।

এছাড়া একই কারণে গত জানুয়ারিতে পদত্যাগ করেন মার্কিন শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তা তারিক হাবাশ। জ্যেষ্ঠ এই মার্কিন কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিভাগের পরিকল্পনা, মূল্যায়ন ও নীতি উন্নয়নের অফিসের বিশেষ সহকারী পদে ছিলেন।

আল জাজিরার সাথে কথা বলার সময় হাবাশ বলেছেন, অ্যানেল শেলিনের চলে যাওয়ার এই সিদ্ধান্ত সেটিই স্পষ্ট করছে যে, গাজা যুদ্ধের মধ্যে দেশে এবং বিদেশে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কীভাবে হ্রাস পেয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এটা আশ্চর্যজনক নয়, এমন কিছু লোক আছেন যারা স্টেট ডিপার্টমেন্টে মানবাধিকার সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো করার চেষ্টা করলেও তারা মনে করছেন, তারা তাদের কাজ করতে অক্ষম। (শেলিন) হয়তো বুঝতে পেরেছেন, একমাত্র উপায় যে তিনি প্রভাব ফেলতে পারেন তা হলো তার চলে যাওয়া, কারণ প্রায় ছয় মাসে আমরা (মার্কিন) নীতিতে কোনও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখিনি এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমাদের প্রভাব দিন দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।’

আল জাজিরা বলছে, ব্যুরো অব নিয়ার ইস্টার্ন অ্যাফেয়ার্সের অংশ হিসাবে ব্যুরো অব ডেমোক্র্যাসি, লেবার এবং হিউম্যান রাইটস (ডিআরএল)-এর একটি ফেলোশিপের মাধ্যমে স্টেট ডিপার্টমেন্টে যোগদান করেছিলেন অ্যানেল শেলিন। তাকে মানবাধিকারের প্রচার এবং এই ইস্যুতে বার্ষিক প্রতিবেদন সংকলনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তার পিএইচডি ডিগ্রি রয়েছে এবং এর আগে তিনি কুইন্সি ইনস্টিটিউট ফর রেসপন্সিবল স্টেটক্রাফটের গবেষক ছিলেন।

স্টেট ডিপার্টমেন্টে তার দায়িত্বের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলজুড়ে কর্মী এবং সুশীল সমাজের গ্রুপগুলোর সাথে সমন্বয় করাও অন্তর্ভুক্ত ছিল। অ্যানেল শেলিন বলেন, যুদ্ধের অগ্রগতির সাথে সাথে এই গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে মার্কিন বিশ্বাসযোগ্যতা কীভাবে হ্রাস পেয়েছে তা তিনি নিজেই দেখেছেন।

শেলিন এই অঞ্চলজুড়ে যে গোষ্ঠীগুলোর সাথে কাজ করেছেন তাদের সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘যদি তারা জড়িত হতে ইচ্ছুক হয়, তবে তাদের বেশিরভাগই গাজা সম্পর্কে কথা বলতে চায়, তারা (ফিলিস্তিনিরা) চরম দমন-পীড়ন বা কারাবাসের হুমকি মোকাবিলা করছে। তারা প্রথম যে পয়েন্টটি সামনে নিয়ে আসে, তা হলো: এটি কীভাবে ঘটছে?’

আল জাজিরা বলছে, মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে শেলিনের প্রস্থান এমন এক সময়ে হলো যখন বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলের প্রতি সমর্থনের প্রতিশ্রুতি অব্যাহত রেখেছে, এমনকি দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে প্রত্যাশিত স্থল অভিযান সম্পর্কে ইসরায়েলকে সতর্ক করে দেওয়ার সময়ও।

back to top