ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ভার্চুয়াল কারেন্সির বাজার এখনো বৈধতা পায়নি বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে। এরপরও চলছে এই মুদ্রায় লেনদেন আর বিনিয়োগ। সম্প্রতি মধ্য আমেরিকার দেশ এল সালভাদর ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েনকে বৈধতা দিয়েও পড়েছেন বিপাকে।
অনেক দেশই আবার ভার্চুয়াল মুদ্রার বাজারে আধিপত্য বিস্তার করা বিটকয়েনকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। এবার এই ক্রিপ্টোকারেন্সিকে অবৈধ ঘোষণা করল চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সম্প্রতি দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, ক্রিপ্টোকারেন্সিতে সব ধরনের লেনদেন অবৈধ। বিটকয়েনকে তো নিষিদ্ধই করেছে চীন। চীনের এই ঘোষণার পর বিটকয়েনের দাম ২০০০ ডলার কমে গেছে।
ক্রিপ্টোকারেন্সির সবচেয়ে বড় বাজার চীন। এ ঘোষণায় দেশটিতে ডিজিটাল বাণিজ্যের এ মাধ্যমটির কার্যত অবসান ঘটল। পিপসল ব্যাংক অব চায়না বলছে, ভার্চুয়াল কারেন্সিতে সব ধরনের ব্যবসায়িক লেনদেনও অবৈধ। মানুষের সম্পদকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে এই ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজার। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিটকয়েন ও অন্যান্য ভার্চুয়াল মুদ্রার ব্যবহার ব্যাপকহারে বেড়েছে, যা অর্থনৈতিক ও আর্থিক শৃঙ্খলা ব্যাহত করছে। বাড়ছে মুদ্রা পাচার, অবৈধ তহবিল সংগ্রহ, জালিয়াতি, পিরামিড স্কিমসহ অন্যান্য অপরাধমূলক অবৈধ অর্থনৈতিক কার্যক্রম।
এর আগে চীনা কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন নীতিমালার কারণে গত বছর বিটকয়েনের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সির বৈশ্বিক দর ব্যাপকভাবে ওঠানামা করেছে। অপরাধমূলক কার্যক্রমে এ বিনিময় মাধ্যমের ব্যবহার ঘিরে সন্দেহ ও মুদ্রাপাচার রোধেই নীতিমালা কঠোর করেন চীনা নিয়ন্ত্রকরা। এরপর শুক্রবার একেবারেই নিষিদ্ধ করার কথা জানায় পিবিওসি। কেন্দ্রিয় ব্যাংকটির এক অনলাইন বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে অপরাধ দমন আইনের আওতায় তদন্ত করা হবে।
নোটিশে ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনাবেচা, টোকেন বিক্রি এবং এর ভার্চুয়াল অন্যান্য বিকল্পের মাধ্যমে লেনদেন বা তহবিল সংগ্রহকে অবৈধ বলা হয়েছে। সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঘোষণার পর প্রায় ৫ দশমিক ৫ শতাংশ দর হারিয়ে ৪২ হাজার ২৩২ ডলারে নেমে আসে বিটকয়েনের মূল্য। এর আধাঘণ্টা পর দরে স্থিতিশীলতা আসলেও, ৫ শতাংশ কম দামেই লেনদেন হয়েছে।
ভার্চুয়াল লেনদেন জনগণের সম্পদের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে বলে উল্লেখ করে চীনের আর্থিক খাতের প্রধান নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
২০১৯ সাল থেকে চীনে ক্রিপ্টোকারেন্সি তৈরি বা বাণিজ্য অবৈধ হলেও চলতি বছর এর ওপর দমন আরও বাড়ে। এ সময় ক্রিপ্টোকারেন্সি গ্রহণের মাধ্যমে লেনদেন বন্ধ রাখতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেয় বেইজিং। বন্ধ করা হয় চীনে ক্রিপ্টো মাইনারদের বিশাল নেটওয়ার্ক।
শনিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ভার্চুয়াল কারেন্সির বাজার এখনো বৈধতা পায়নি বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে। এরপরও চলছে এই মুদ্রায় লেনদেন আর বিনিয়োগ। সম্প্রতি মধ্য আমেরিকার দেশ এল সালভাদর ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েনকে বৈধতা দিয়েও পড়েছেন বিপাকে।
অনেক দেশই আবার ভার্চুয়াল মুদ্রার বাজারে আধিপত্য বিস্তার করা বিটকয়েনকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। এবার এই ক্রিপ্টোকারেন্সিকে অবৈধ ঘোষণা করল চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সম্প্রতি দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, ক্রিপ্টোকারেন্সিতে সব ধরনের লেনদেন অবৈধ। বিটকয়েনকে তো নিষিদ্ধই করেছে চীন। চীনের এই ঘোষণার পর বিটকয়েনের দাম ২০০০ ডলার কমে গেছে।
ক্রিপ্টোকারেন্সির সবচেয়ে বড় বাজার চীন। এ ঘোষণায় দেশটিতে ডিজিটাল বাণিজ্যের এ মাধ্যমটির কার্যত অবসান ঘটল। পিপসল ব্যাংক অব চায়না বলছে, ভার্চুয়াল কারেন্সিতে সব ধরনের ব্যবসায়িক লেনদেনও অবৈধ। মানুষের সম্পদকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে এই ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজার। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিটকয়েন ও অন্যান্য ভার্চুয়াল মুদ্রার ব্যবহার ব্যাপকহারে বেড়েছে, যা অর্থনৈতিক ও আর্থিক শৃঙ্খলা ব্যাহত করছে। বাড়ছে মুদ্রা পাচার, অবৈধ তহবিল সংগ্রহ, জালিয়াতি, পিরামিড স্কিমসহ অন্যান্য অপরাধমূলক অবৈধ অর্থনৈতিক কার্যক্রম।
এর আগে চীনা কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন নীতিমালার কারণে গত বছর বিটকয়েনের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সির বৈশ্বিক দর ব্যাপকভাবে ওঠানামা করেছে। অপরাধমূলক কার্যক্রমে এ বিনিময় মাধ্যমের ব্যবহার ঘিরে সন্দেহ ও মুদ্রাপাচার রোধেই নীতিমালা কঠোর করেন চীনা নিয়ন্ত্রকরা। এরপর শুক্রবার একেবারেই নিষিদ্ধ করার কথা জানায় পিবিওসি। কেন্দ্রিয় ব্যাংকটির এক অনলাইন বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে অপরাধ দমন আইনের আওতায় তদন্ত করা হবে।
নোটিশে ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনাবেচা, টোকেন বিক্রি এবং এর ভার্চুয়াল অন্যান্য বিকল্পের মাধ্যমে লেনদেন বা তহবিল সংগ্রহকে অবৈধ বলা হয়েছে। সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঘোষণার পর প্রায় ৫ দশমিক ৫ শতাংশ দর হারিয়ে ৪২ হাজার ২৩২ ডলারে নেমে আসে বিটকয়েনের মূল্য। এর আধাঘণ্টা পর দরে স্থিতিশীলতা আসলেও, ৫ শতাংশ কম দামেই লেনদেন হয়েছে।
ভার্চুয়াল লেনদেন জনগণের সম্পদের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে বলে উল্লেখ করে চীনের আর্থিক খাতের প্রধান নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
২০১৯ সাল থেকে চীনে ক্রিপ্টোকারেন্সি তৈরি বা বাণিজ্য অবৈধ হলেও চলতি বছর এর ওপর দমন আরও বাড়ে। এ সময় ক্রিপ্টোকারেন্সি গ্রহণের মাধ্যমে লেনদেন বন্ধ রাখতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেয় বেইজিং। বন্ধ করা হয় চীনে ক্রিপ্টো মাইনারদের বিশাল নেটওয়ার্ক।