মেহেরপুরে মানব পাচার মামলায় জাহিদুল মেম্বার ওরফে জাহিদুল হক নামের একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে মেহেরপুরের নারী ও শিশু ট্রাইবুনালের বিচারক তহিদুল ইসলাম অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করা হয় বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) এ কে এম আসাদুজ্জামান জানান।
দণ্ডিত জাহিদুল মেম্বার ওরফে জাহিদুল হক চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলার উত্তর উজিলপুর গ্রামের বাসিন্দা। যাবজ্জীবনের পাশাপাশি তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা; অনাদায়ে আরও দুই বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে এই রায়ে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরির সুবাদে রেবা খাতুন সঙ্গে জাহিদুল মেম্বার ওরফে জাহিদুল হকের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে জাহিদুল রেবাকে ৫০ হাজার টাকায় জর্ডানে ভালো চাকরিতে পাঠানোর প্রস্তাব দেন। সরল বিশ্বাসে রেবা খাতুন জাহিদুলের হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন।
পরে ২০১৪ সালের ১০ অক্টোবর রেবা খাতুনকে জর্ডানে পাঠানোর উদ্দেশে ঢাকার একটি স্থানে নিয়ে গিয়ে চার দিন পর তাকে রেখে জাহিদুল চলে যান। পরে রেবাকে জর্দানে পাঠানো নিয়ে টাল বাহানা করেন।
এক পর্যায়ে রেবা খাতুন টাকা ফেরত চাইলে জাহিদুল তা দিতে অস্বীকার করেন। এই ঘটনায় রেবাকে পাচারের অভিযোগে তার ভাবি গাজু খাতুন জাহিদুল হকের বিরুদ্ধে মেহেরপুর সদর থানায় মানব পাচার আইনে মামলা করেন।
মামলাটি মেহেরপুর সদর থানার তৎকালীন এসআই দুলু মিয়া ও এসআই ফারুক হোসেন তদন্ত করেন।
তদন্ত শেষে জাহিদুলের বিরুদ্ধে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ এর ৬, ৭ ও ৮ ধারায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, “আসামি পলাতক থাকায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত জাহিদুলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার জারির নির্দেশ দেন।”
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
মেহেরপুরে মানব পাচার মামলায় জাহিদুল মেম্বার ওরফে জাহিদুল হক নামের একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে মেহেরপুরের নারী ও শিশু ট্রাইবুনালের বিচারক তহিদুল ইসলাম অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করা হয় বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) এ কে এম আসাদুজ্জামান জানান।
দণ্ডিত জাহিদুল মেম্বার ওরফে জাহিদুল হক চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলার উত্তর উজিলপুর গ্রামের বাসিন্দা। যাবজ্জীবনের পাশাপাশি তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা; অনাদায়ে আরও দুই বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে এই রায়ে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরির সুবাদে রেবা খাতুন সঙ্গে জাহিদুল মেম্বার ওরফে জাহিদুল হকের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে জাহিদুল রেবাকে ৫০ হাজার টাকায় জর্ডানে ভালো চাকরিতে পাঠানোর প্রস্তাব দেন। সরল বিশ্বাসে রেবা খাতুন জাহিদুলের হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন।
পরে ২০১৪ সালের ১০ অক্টোবর রেবা খাতুনকে জর্ডানে পাঠানোর উদ্দেশে ঢাকার একটি স্থানে নিয়ে গিয়ে চার দিন পর তাকে রেখে জাহিদুল চলে যান। পরে রেবাকে জর্দানে পাঠানো নিয়ে টাল বাহানা করেন।
এক পর্যায়ে রেবা খাতুন টাকা ফেরত চাইলে জাহিদুল তা দিতে অস্বীকার করেন। এই ঘটনায় রেবাকে পাচারের অভিযোগে তার ভাবি গাজু খাতুন জাহিদুল হকের বিরুদ্ধে মেহেরপুর সদর থানায় মানব পাচার আইনে মামলা করেন।
মামলাটি মেহেরপুর সদর থানার তৎকালীন এসআই দুলু মিয়া ও এসআই ফারুক হোসেন তদন্ত করেন।
তদন্ত শেষে জাহিদুলের বিরুদ্ধে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ এর ৬, ৭ ও ৮ ধারায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, “আসামি পলাতক থাকায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত জাহিদুলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার জারির নির্দেশ দেন।”