প্রেনিউর ল্যাব ইয়ুথ অ্যান্ড ইনোভেশন ট্রাস্ট এবং ফ্র্রিডরিখ নওমান ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডম বাংলাদেশ (এফএনএফ বাংলাদেশ) ৪ সেপ্টেম্বর গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব এবং সাংবাদিকদের সাথে একটি গোলটেবিল আয়োজন করে। প্রতিষ্ঠান দুইটি যৌথভাবে একটি ভার্চুয়াল মিডিয়া সামিট করতে যাচ্ছে যার নাম “ফিউচার অফ মিডিয়া”। এই ভার্চুয়াল গোলটেবিলটি ছিল তারই একটি অংশ। গোলটেবিলে মূলবক্তারা ছিলেন এএফপি বার্তা সংস্থার ব্যুরো প্রধান শফিকুল আলম; যুক্তরাষ্ট্রের ইউসি বার্কলে এর প্রতিনিধি নাজমুল আহাসান; কলোরাডো বোল্ডার বিশ^বিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক মুশফিক ওয়াদুদ; দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডসের স্টাফ রিপোর্টার জাহিদুল ইসলাম; ডেইলি আওয়ার টাইমস এর নির্বাহী সম্পাদক মিসেস তাসমিয়া নুহিয়া আল আমিন; আজকের পত্রিকার সাংবাদিক রবিউল আলম; টেক্সস টেক ইউনিভার্সিটির টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্ট (মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন) মেহেদী হাসান; ডেইলি স্টার এর সাংবাদিক আরাফাত রাহমান; কলামিস্ট এবং দৈনিক মানবজমিনের প্রাক্তন প্রতিবেদক শাহাদাত স্বাধীন; আজকের পত্রিকা কূটনৈতিক প্রতিবেদক এবং সিনিয়র রিপোর্টার তাসনিম মহসিন মিশু; নিউ এজের সিনিয়র রিপোর্টার আহমদ ফয়েজ; দৈনিক ইত্তেফাকের বৈশিষ্ট্য সমন্বয়কারী আহসান জুবায়ের এবং গোলটেবিলের মডারেটর ছিলেন ব্র্যাক বিশ^বিদ্যালয়ের স্কুল অফ ল এর সিনিয়র প্রভাষক মো. সাইমুম রেজা তালুকদার।
এই গোলটেবিলের মূল আলোচ্য বিষয় সাংবাদিকতার ভবিষ্যৎ এবং সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জ। গোলটেবিলে শফিকুল আলম বলেন, ইন্টারনেটের কারণে ছাপা মাধ্যমের প্রচলন অনেকটা হ্রাস পেয়েছে। কিন্তু তারপরও আমরা আমাদের দেশে কোনো মানসম্মত ওয়েব মিডিয়া তৈরি করতে পারিনি। এই খাতের দেখাশোনা করা আরো প্রয়োজন। নাজমুল আহসানের মতে, আমাদের দেশে স্বল্প সংখ্যক সংবাদপত্র আছে যা আসলে লাভজনক। তাহলে নতুন সংবাদপত্র এত ঘন ঘন চালু হচ্ছে কেন? পশ্চিমা দেশগুলোতে লোকেরা স্থানীয় সংবাদপত্রগুলোকে স্বাগত জানায় যা আমাদের দেশে দেখা যায় না। সুতরাং আমাদের দেশের পরিস্থিতি অনুযায়ী আমাদের সমাধান ভিন্ন হওয়া উচিত। মুশফিক ওয়াদুদ বলেন, আমরা অনেকেই মনে করি সাংবাদিকতা খাত দিন দিন মরে যাচ্ছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই সেক্টরটি অন্য সব সেক্টরের মত বদলে যাচ্ছে যেমন ব্যাংকিং সেক্টর এবং অন্যান্য। যদি সাংবাদিকতা এই পরিবর্তনগুলোর সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে তাহলে সাংবাদিকতা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে। জাহিদুল ইসলামের অভিমত ছিল, যে কোনো দেশে সাংবাদিকতার ভবিষ্যৎ নির্ভর করে সেই দেশের সাংবাদিকদের স্বাধীনতার ওপর। যখনই মানুষ টেলিভিশন, সংবাদপত্র বা মূলধারার মিডিয়া থেকে কোন খবর পায়, তারা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে তা যাচাই করতে চায়। এভাবে গণমাধ্যম তাদের নিজস্ব সত্তা হারায় কারণ তারা নিজেদেরকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য যুক্ত করে এবং এটি সাংবাদিকতার স্বাধীনতার ক্ষতি করে। মিস তাসমিয়া নুহিয়া আল আমিনের মতে, সাংবাদিকতার দৃষ্টিকোণ থেকে, আমাদের নেতিবাচক সংস্কৃতি বা নেতিবাচক সংবাদ বিশ্লেষণ ধারণা থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। রবিউল আলম বলেন, আমাদের পাশর্^বর্তী দেশগুলোতে সাংবাদিকতার বেশ চাহিদা রয়েছে যা আমাদের নিজের দেশে দেখা যায় না এবং এর প্রধান কারণ বলা যেতে পারে রাজস্বের পরিমাণ যা হওয়া উচিত, তার চেয়ে কম। এই কারণে তরুণ প্রজন্ম হতাশ এবং বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে যে আসলে তাদের নিজেদের সাংবাদিকতায় যুক্ত করা উচিত কি না। মেহেদী হাসান বলেন, বর্তমান সংবাদপত্র তরুণ প্রজন্মকে আকৃষ্ট করতে পারছে না। উদাহরণ স্বরূপ যখন কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় সিনেমার সমালোচনা দেখছে, তখন সে সংবাদপত্রের সমালোচনায় আর আকৃষ্ট হবে না। তাই আমাদের ভাবা উচিত কিভাবে সংবাদপত্রের প্রতি তরুণদের আকৃষ্ট করা যায়। আরাফাত রহমানের মতে, বর্তমান সাংবাদিকতা বেশিরভাগই চ্যালেঞ্জিং। তার মতে এর প্রধান কারণ গণমাধ্যমের প্রতি বিশ^াসের অভাব। বর্তমান সময়ে মানুষ মিডিয়াকে অবিশ^াস করতে শুরু করেছে। এটা এখন সাংবাদিকতার জন্য সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং বিষয়। শাহাদাত স্বাধীন বলেন, সাংবাদিকতার অধিকার ভবিষ্যতে আরও ভাল অবস্থানে থাকবে বলে তিনি মনে করেন। সংবাদপত্রের পুরনো গ্রাহকরা বেশিরভাগই তাদের পুরনো এবং ঐতিহ্যবাহী সংবাদপত্রে আগ্রহী। সুতরাং, নতুন সংবাদপত্রগুলো কোথাও না কোথাও গিয়ে মানুষকে আকর্ষণ করতে অক্ষম হচ্ছে।
গোলটেবিলটি ছিল ২ ঘণ্টা দীর্ঘ এবং গোলটেবিলটিতে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা সংক্রান্ত বেশিরভাগ সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ এবং তাদের সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল। এই ধরণের আলোচনা আরো বেশি করে করা উচিত যাতে মিডিয়া এবং সাংবাদিকতার ভবিষ্যত রক্ষা করা যায়। গোলটেবিল এ উভয় সিনিয়র এবং জুনিয়র গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা তাদের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী তাদের মতামত এবং ধারণা উপস্থাপন করেন। এটি সাংবাদিকতার ভবিষ্যত সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে অনেক সাহায্য করবে।
রোববার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রেনিউর ল্যাব ইয়ুথ অ্যান্ড ইনোভেশন ট্রাস্ট এবং ফ্র্রিডরিখ নওমান ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডম বাংলাদেশ (এফএনএফ বাংলাদেশ) ৪ সেপ্টেম্বর গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব এবং সাংবাদিকদের সাথে একটি গোলটেবিল আয়োজন করে। প্রতিষ্ঠান দুইটি যৌথভাবে একটি ভার্চুয়াল মিডিয়া সামিট করতে যাচ্ছে যার নাম “ফিউচার অফ মিডিয়া”। এই ভার্চুয়াল গোলটেবিলটি ছিল তারই একটি অংশ। গোলটেবিলে মূলবক্তারা ছিলেন এএফপি বার্তা সংস্থার ব্যুরো প্রধান শফিকুল আলম; যুক্তরাষ্ট্রের ইউসি বার্কলে এর প্রতিনিধি নাজমুল আহাসান; কলোরাডো বোল্ডার বিশ^বিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক মুশফিক ওয়াদুদ; দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডসের স্টাফ রিপোর্টার জাহিদুল ইসলাম; ডেইলি আওয়ার টাইমস এর নির্বাহী সম্পাদক মিসেস তাসমিয়া নুহিয়া আল আমিন; আজকের পত্রিকার সাংবাদিক রবিউল আলম; টেক্সস টেক ইউনিভার্সিটির টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্ট (মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন) মেহেদী হাসান; ডেইলি স্টার এর সাংবাদিক আরাফাত রাহমান; কলামিস্ট এবং দৈনিক মানবজমিনের প্রাক্তন প্রতিবেদক শাহাদাত স্বাধীন; আজকের পত্রিকা কূটনৈতিক প্রতিবেদক এবং সিনিয়র রিপোর্টার তাসনিম মহসিন মিশু; নিউ এজের সিনিয়র রিপোর্টার আহমদ ফয়েজ; দৈনিক ইত্তেফাকের বৈশিষ্ট্য সমন্বয়কারী আহসান জুবায়ের এবং গোলটেবিলের মডারেটর ছিলেন ব্র্যাক বিশ^বিদ্যালয়ের স্কুল অফ ল এর সিনিয়র প্রভাষক মো. সাইমুম রেজা তালুকদার।
এই গোলটেবিলের মূল আলোচ্য বিষয় সাংবাদিকতার ভবিষ্যৎ এবং সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জ। গোলটেবিলে শফিকুল আলম বলেন, ইন্টারনেটের কারণে ছাপা মাধ্যমের প্রচলন অনেকটা হ্রাস পেয়েছে। কিন্তু তারপরও আমরা আমাদের দেশে কোনো মানসম্মত ওয়েব মিডিয়া তৈরি করতে পারিনি। এই খাতের দেখাশোনা করা আরো প্রয়োজন। নাজমুল আহসানের মতে, আমাদের দেশে স্বল্প সংখ্যক সংবাদপত্র আছে যা আসলে লাভজনক। তাহলে নতুন সংবাদপত্র এত ঘন ঘন চালু হচ্ছে কেন? পশ্চিমা দেশগুলোতে লোকেরা স্থানীয় সংবাদপত্রগুলোকে স্বাগত জানায় যা আমাদের দেশে দেখা যায় না। সুতরাং আমাদের দেশের পরিস্থিতি অনুযায়ী আমাদের সমাধান ভিন্ন হওয়া উচিত। মুশফিক ওয়াদুদ বলেন, আমরা অনেকেই মনে করি সাংবাদিকতা খাত দিন দিন মরে যাচ্ছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই সেক্টরটি অন্য সব সেক্টরের মত বদলে যাচ্ছে যেমন ব্যাংকিং সেক্টর এবং অন্যান্য। যদি সাংবাদিকতা এই পরিবর্তনগুলোর সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে তাহলে সাংবাদিকতা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে। জাহিদুল ইসলামের অভিমত ছিল, যে কোনো দেশে সাংবাদিকতার ভবিষ্যৎ নির্ভর করে সেই দেশের সাংবাদিকদের স্বাধীনতার ওপর। যখনই মানুষ টেলিভিশন, সংবাদপত্র বা মূলধারার মিডিয়া থেকে কোন খবর পায়, তারা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে তা যাচাই করতে চায়। এভাবে গণমাধ্যম তাদের নিজস্ব সত্তা হারায় কারণ তারা নিজেদেরকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য যুক্ত করে এবং এটি সাংবাদিকতার স্বাধীনতার ক্ষতি করে। মিস তাসমিয়া নুহিয়া আল আমিনের মতে, সাংবাদিকতার দৃষ্টিকোণ থেকে, আমাদের নেতিবাচক সংস্কৃতি বা নেতিবাচক সংবাদ বিশ্লেষণ ধারণা থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। রবিউল আলম বলেন, আমাদের পাশর্^বর্তী দেশগুলোতে সাংবাদিকতার বেশ চাহিদা রয়েছে যা আমাদের নিজের দেশে দেখা যায় না এবং এর প্রধান কারণ বলা যেতে পারে রাজস্বের পরিমাণ যা হওয়া উচিত, তার চেয়ে কম। এই কারণে তরুণ প্রজন্ম হতাশ এবং বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে যে আসলে তাদের নিজেদের সাংবাদিকতায় যুক্ত করা উচিত কি না। মেহেদী হাসান বলেন, বর্তমান সংবাদপত্র তরুণ প্রজন্মকে আকৃষ্ট করতে পারছে না। উদাহরণ স্বরূপ যখন কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় সিনেমার সমালোচনা দেখছে, তখন সে সংবাদপত্রের সমালোচনায় আর আকৃষ্ট হবে না। তাই আমাদের ভাবা উচিত কিভাবে সংবাদপত্রের প্রতি তরুণদের আকৃষ্ট করা যায়। আরাফাত রহমানের মতে, বর্তমান সাংবাদিকতা বেশিরভাগই চ্যালেঞ্জিং। তার মতে এর প্রধান কারণ গণমাধ্যমের প্রতি বিশ^াসের অভাব। বর্তমান সময়ে মানুষ মিডিয়াকে অবিশ^াস করতে শুরু করেছে। এটা এখন সাংবাদিকতার জন্য সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং বিষয়। শাহাদাত স্বাধীন বলেন, সাংবাদিকতার অধিকার ভবিষ্যতে আরও ভাল অবস্থানে থাকবে বলে তিনি মনে করেন। সংবাদপত্রের পুরনো গ্রাহকরা বেশিরভাগই তাদের পুরনো এবং ঐতিহ্যবাহী সংবাদপত্রে আগ্রহী। সুতরাং, নতুন সংবাদপত্রগুলো কোথাও না কোথাও গিয়ে মানুষকে আকর্ষণ করতে অক্ষম হচ্ছে।
গোলটেবিলটি ছিল ২ ঘণ্টা দীর্ঘ এবং গোলটেবিলটিতে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা সংক্রান্ত বেশিরভাগ সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ এবং তাদের সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল। এই ধরণের আলোচনা আরো বেশি করে করা উচিত যাতে মিডিয়া এবং সাংবাদিকতার ভবিষ্যত রক্ষা করা যায়। গোলটেবিল এ উভয় সিনিয়র এবং জুনিয়র গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা তাদের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী তাদের মতামত এবং ধারণা উপস্থাপন করেন। এটি সাংবাদিকতার ভবিষ্যত সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে অনেক সাহায্য করবে।