alt

অর্থ-বাণিজ্য

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রন আনতে বাংলাদেশের পদক্ষেপগুলো সঠিক : আইএমএফ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রন আনতে বাংলাদেশের পদক্ষেপগুলো সঠিক সিন্ধান্ত বলে জানিয়েছেন অন্তর্জাাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। তবে বাজারে এর কোন ধরণের পরিবর্তন দেখছেনা বলে জানিয়েছেন সংস্থাটি ।

গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা এমটাই জানান।

বাংলাদেশে ব্যাংকের এ কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে সকাল ১১টায় আইএমএফের সাথে একটি মিটিং হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রন আনতে পদক্ষেপগুলো জানতে চেয়েছে। আমরা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রন আার পদক্ষেপগুলো জানার পর তারা সাথে সাথে বলেছেন মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রন আনতে বাংলাদেশ ব্যাংক সঠিক সিন্ধান্ত নিয়েছে।

সেই ব্যাংক কর্মকর্তা আরও বলেন, আমরা আইএমএফকে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রন আনতে মুনাফার হার বাড়ানোসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছে। এছাড়া আইএমএফও আমাদের বেশ কিছু আন্তর্জাতিক পরামর্শ দিয়েছে।

তবে তিনি বলেন, আইএমএফের সাথে আলোচনা শুরু হবে কেবলমাত্র। তারা অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ইত্যাদি সংস্থার সঙ্গে আগামী ৮ মে পর্যন্ত বৈঠক করবে।

গত বুধবার দশ সদস্যের এই দল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণে তৃতীয় কিস্তির অর্থ ছাড়ের আগে বিভিন্ন শর্ত পূরণের অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে প্রতিষ্ঠানটির একটি দল ঢাকায় এসেছে।

গত বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক ও মন্ত্রণালয়ে মিটিং করেছে এই সংস্থাটি। বৈঠকে উপস্থিত বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আর্থিক খাত সংস্কার, খেলাপি ঋণ, সুদের হার বাস্তবায়ন, মুদ্রানীতি, মূল্যস্ফীতি, বিদেশি বাণিজ্যের ভারসাম্য ও আউটলুক, মুদ্রা বাজার ও তারল্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা করেছে আইএমএফ।

তিনি আরও বলেন, এখন সংস্থাটি আমাদের কাছ থেকে বিশ্লেষণ করার জন্য তথ্যগুলো সংগ্রহ করছে। এরপর হয়তো বিভিন্ন ধরণের পরামর্শ দিবে। খেলাপি ঋণ কমানোর পাশাপাশি দেশে স্মার্ট সুদের হার বাস্তবায়নের ফলে অর্থনীতিতে কি ধরণের প্রভাব পড়েছে সে বিষয়েও তথ্য চেয়েছে। এছাড়া বিদেশি বাণিজ্যের স্থিতিশীলতা, রিজার্ভ সংরক্ষণ, মুদ্রানীতি কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে সে সব বিষয়েও তথ্য চাওয়া হয়েছে। এছাড়া খেলাপি ঋণ কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংক কি ধরণের পদক্ষেপ নিয়েছে, সে বিষয়ে জানতে চেয়েছে সংস্থাটি। এছাড়া আরও বেশ কিছু বিষয়েও তারা জানতে চেয়েছে ।

বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ বা রিজার্ভ, ব্যাংক খাতের ও রাজস্ব সংস্কারের বিষয়ই এই পর্যলোচনায় প্রধান্য পাবে বলে জানিয়েছে কর্মকতারা।

এর আগে ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে সাড়ে তিন বছরের মেয়াদে ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ কার্যক্রমের বিপরীতে আইএমএফ অনেক শর্ত দেয়। রিজার্ভ ছাড়া প্রায় সব শর্ত পূরণ করে দুই দফায় দুই কিস্তির অর্থ পেয়েছেও বাংলাদেশ। এবার তৃতীয় কিস্তির পালা-দুই মাস পর অর্থাৎ আগামী জুনে যা পাওয়ার কথা। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণের শর্ত কতখানি কী পূরণ হলো, তার মূল্যায়নের ভিত্তিতে এই কিস্তি ছাড় করা হবে। অর্থ বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আইএমএফের প্রথম কিস্তি পাওয়ার পর বাংলাদেশ দ্বিতীয় কিস্তি পায় গত ডিসেম্বরে। দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়ার আগে সময়ভিত্তিক লক্ষ্যমাত্রা পুরোপুরি অর্জন করতে পারেনি বাংলাদেশ। বিশেষ করে গত জুন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংরক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। তবে রিজার্ভ সংরক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা কমাতে আইএমএফের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে যে অব্যাহতি চেয়েছিল বাংলাদেশ, সংস্থাটি তা অনুমোদন করে। সে অনুযায়ী ডিসেম্বর শেষে রিজার্ভ সংরক্ষণের নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়। গত ডিসেম্বর শেষে নিট রিজার্ভ থাকার কথা ছিল ২৬ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার-কমিয়ে তা ১৭ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার করা হয়। তবে ডিসেম্বর পর্যন্ত নিট রিজার্ভ ছিল ১৬ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার।

চলতি পঞ্জিকা বর্ষের মার্চ মাসেও নিট রিজার্ভ সংরক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি বাংলাদেশ। মার্চ শেষে প্রকৃত রিজার্ভ থাকার কথা ১৯ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার, কিন্তু বাস্তবে তা ছিল প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলার। গত বছরের জুনে ২৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও নিট রিজার্ভ ছিল ১৯ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার অবশ্য আশাবাদী, তৃতীয় কিস্তির অর্থ পাওয়া যাবে। ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বসন্তকালীন বৈঠক শেষে ১৬ এপ্রিল গভর্নর সাংবাদিকদের বলেন, ৯০ শতাংশ শর্ত পূরণ হওয়ায় পরের কিস্তির অর্থ পেতে অসুবিধা হবে না।

আইএমএফের মতে, নিট রিজার্ভই হচ্ছে প্রকৃত বা ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ। আইএমএফের শর্ত মেনে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে এই নিট রিজার্ভ সংরক্ষণে বাংলাদেশ ব্যাংকের বাধ্যবাধকতা আছে।

তবে নিট রিজার্ভ সংরক্ষণে ব্যর্থতার পাশাপাশি রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রাও পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ। এখনো আছে মুদ্রার একাধিক বিনিময় হার। মাঝখানে ব্যাংক একীভূতকরণের কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এমন পরিস্থিতিতে দেশের বিদেশি বাণিজ্যের স্থিতিশীলতা, রিজার্ভ সংরক্ষণ ও খেলাপি ঋণ কমানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক কি ধরণের পদক্ষেপ নিয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে আইএমএফ। পাশাপাশি বাজার ভিত্তিক মুদ্রা বিনিময় হার ও সুদের হার বাস্তবায়নে কি কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়েও জানতে চেয়েছে সংস্থাটি।

ছবি

প্রায় ৬ মাস পর পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল ভারত

ছবি

চামড়াখাতে ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার ৭৭৬ টাকার প্রস্তাব সিপিডি’র

ছবি

বাজার মূলধন বাড়লো ৬ হাজার কোটি টাকা

ছবি

পেঁয়াজ- সবজিতে অস্বস্তি, কমেছে ব্রয়লার-ডিমের দাম

ছবি

তড়িঘড়ি করে একীভূত করা ঠিক হবে না: ফরাসউদ্দিন

ছবি

ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছাল

ছবি

আইএসডিবি থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা পাচ্ছে হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন

ছবি

বিটিএমএ’র সেক্রেটারী জেনারেল হলেন জাকির হোসেন

ছবি

ঝুঁকিপূর্ণ ঋণের পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রকাশের পরামর্শ আইএমএফের

নিয়ম মেনে সময় নিয়েই হবে ব্যাংক একীভূতকরণ : এবিবি চেয়ারম্যান

ছবি

দু’টি বিদেশি এয়ারলাইন্সের কার্যক্রম শুরু হচ্ছে মে মাসে

ছবি

আবারও বিএসইসি চেয়ারম্যান হলেন শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম

ছবি

টানা পতনে বাজার মূলধন কমলো সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা

ছবি

সবজির বাজার অপরিবর্তিত, তবে কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম

ছবি

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের নির্বিঘ্ন প্রবেশাধিকার দাবি ডিআরইউর

ছবি

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা স্বেচ্ছাচারিতামূলক আচরণ: টিআইবি

ছবি

বাংলাদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, চীন পাঁচ ও ভারত নয়ে

ছবি

বিআইসিএমের উদ্যোগে হবে পুঁজিবাজার সম্মেলন

ছবি

যমুনা ব্যাংক ও ডেল্টা লাইফের মধ্যে চুক্তি

ছবি

সোনার দাম আরও কমলো

ছবি

ডিএমডি হিসেবে পদোন্নতি পেলেন মোঃ নুরুল ইসলাম মজুমদার

ছবি

রিজার্ভ কমায় উদ্বেগ ও আতঙ্ক বাড়ছে

ছবি

তড়িঘড়ি ব্যাংক একীভূতকরণ খেলাপিদের দায়মুক্তির নতুন মুখোশ: টিআইবি

ছবি

হঠাৎ ঝলকের পর আবার পতন, বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ

ছবি

শেয়ারবাজারে টানা দরপতনের প্রতিবাদে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ

ছবি

পদত্যাগ করেছেন পদ্মা ব্যাংকের এমডি তারেক রিয়াজ

ঈদের পর শেয়ারবাজার কিছুটা ভালো হতে শুরু করেছে

ছবি

দিনাজপুরে বাঁশ ফুলের চাল তৈরি

ছবি

অভিনেতা ওয়ালিউল হক রুমি মারা গেছেন

ছবি

বিআইপিডি’র অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করছে : এফএফআইএল

ছবি

চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেলেও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সরকার বদ্ধপরিকর

ছবি

রাজধানীতে ঈদের পরও চড়া সবজির বাজার

ছবি

সয়াবিন তেলের লিটার প্রতি দাম বাড়ল ৪ টাকা

ছবি

সূচকের পতনে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন

ছবি

ব্যাংক এশিয়া কিনবে পাকিস্তানি ব্যাংক আলফালাহর বাংলাদেশ অংশ

ছবি

এ বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫.৭%: আইএমএফ

tab

অর্থ-বাণিজ্য

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রন আনতে বাংলাদেশের পদক্ষেপগুলো সঠিক : আইএমএফ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রন আনতে বাংলাদেশের পদক্ষেপগুলো সঠিক সিন্ধান্ত বলে জানিয়েছেন অন্তর্জাাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। তবে বাজারে এর কোন ধরণের পরিবর্তন দেখছেনা বলে জানিয়েছেন সংস্থাটি ।

গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা এমটাই জানান।

বাংলাদেশে ব্যাংকের এ কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে সকাল ১১টায় আইএমএফের সাথে একটি মিটিং হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রন আনতে পদক্ষেপগুলো জানতে চেয়েছে। আমরা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রন আার পদক্ষেপগুলো জানার পর তারা সাথে সাথে বলেছেন মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রন আনতে বাংলাদেশ ব্যাংক সঠিক সিন্ধান্ত নিয়েছে।

সেই ব্যাংক কর্মকর্তা আরও বলেন, আমরা আইএমএফকে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রন আনতে মুনাফার হার বাড়ানোসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছে। এছাড়া আইএমএফও আমাদের বেশ কিছু আন্তর্জাতিক পরামর্শ দিয়েছে।

তবে তিনি বলেন, আইএমএফের সাথে আলোচনা শুরু হবে কেবলমাত্র। তারা অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ইত্যাদি সংস্থার সঙ্গে আগামী ৮ মে পর্যন্ত বৈঠক করবে।

গত বুধবার দশ সদস্যের এই দল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণে তৃতীয় কিস্তির অর্থ ছাড়ের আগে বিভিন্ন শর্ত পূরণের অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে প্রতিষ্ঠানটির একটি দল ঢাকায় এসেছে।

গত বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক ও মন্ত্রণালয়ে মিটিং করেছে এই সংস্থাটি। বৈঠকে উপস্থিত বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আর্থিক খাত সংস্কার, খেলাপি ঋণ, সুদের হার বাস্তবায়ন, মুদ্রানীতি, মূল্যস্ফীতি, বিদেশি বাণিজ্যের ভারসাম্য ও আউটলুক, মুদ্রা বাজার ও তারল্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা করেছে আইএমএফ।

তিনি আরও বলেন, এখন সংস্থাটি আমাদের কাছ থেকে বিশ্লেষণ করার জন্য তথ্যগুলো সংগ্রহ করছে। এরপর হয়তো বিভিন্ন ধরণের পরামর্শ দিবে। খেলাপি ঋণ কমানোর পাশাপাশি দেশে স্মার্ট সুদের হার বাস্তবায়নের ফলে অর্থনীতিতে কি ধরণের প্রভাব পড়েছে সে বিষয়েও তথ্য চেয়েছে। এছাড়া বিদেশি বাণিজ্যের স্থিতিশীলতা, রিজার্ভ সংরক্ষণ, মুদ্রানীতি কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে সে সব বিষয়েও তথ্য চাওয়া হয়েছে। এছাড়া খেলাপি ঋণ কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংক কি ধরণের পদক্ষেপ নিয়েছে, সে বিষয়ে জানতে চেয়েছে সংস্থাটি। এছাড়া আরও বেশ কিছু বিষয়েও তারা জানতে চেয়েছে ।

বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ বা রিজার্ভ, ব্যাংক খাতের ও রাজস্ব সংস্কারের বিষয়ই এই পর্যলোচনায় প্রধান্য পাবে বলে জানিয়েছে কর্মকতারা।

এর আগে ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে সাড়ে তিন বছরের মেয়াদে ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ কার্যক্রমের বিপরীতে আইএমএফ অনেক শর্ত দেয়। রিজার্ভ ছাড়া প্রায় সব শর্ত পূরণ করে দুই দফায় দুই কিস্তির অর্থ পেয়েছেও বাংলাদেশ। এবার তৃতীয় কিস্তির পালা-দুই মাস পর অর্থাৎ আগামী জুনে যা পাওয়ার কথা। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণের শর্ত কতখানি কী পূরণ হলো, তার মূল্যায়নের ভিত্তিতে এই কিস্তি ছাড় করা হবে। অর্থ বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আইএমএফের প্রথম কিস্তি পাওয়ার পর বাংলাদেশ দ্বিতীয় কিস্তি পায় গত ডিসেম্বরে। দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়ার আগে সময়ভিত্তিক লক্ষ্যমাত্রা পুরোপুরি অর্জন করতে পারেনি বাংলাদেশ। বিশেষ করে গত জুন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংরক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। তবে রিজার্ভ সংরক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা কমাতে আইএমএফের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে যে অব্যাহতি চেয়েছিল বাংলাদেশ, সংস্থাটি তা অনুমোদন করে। সে অনুযায়ী ডিসেম্বর শেষে রিজার্ভ সংরক্ষণের নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়। গত ডিসেম্বর শেষে নিট রিজার্ভ থাকার কথা ছিল ২৬ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার-কমিয়ে তা ১৭ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার করা হয়। তবে ডিসেম্বর পর্যন্ত নিট রিজার্ভ ছিল ১৬ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার।

চলতি পঞ্জিকা বর্ষের মার্চ মাসেও নিট রিজার্ভ সংরক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি বাংলাদেশ। মার্চ শেষে প্রকৃত রিজার্ভ থাকার কথা ১৯ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার, কিন্তু বাস্তবে তা ছিল প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলার। গত বছরের জুনে ২৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও নিট রিজার্ভ ছিল ১৯ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার অবশ্য আশাবাদী, তৃতীয় কিস্তির অর্থ পাওয়া যাবে। ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বসন্তকালীন বৈঠক শেষে ১৬ এপ্রিল গভর্নর সাংবাদিকদের বলেন, ৯০ শতাংশ শর্ত পূরণ হওয়ায় পরের কিস্তির অর্থ পেতে অসুবিধা হবে না।

আইএমএফের মতে, নিট রিজার্ভই হচ্ছে প্রকৃত বা ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ। আইএমএফের শর্ত মেনে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে এই নিট রিজার্ভ সংরক্ষণে বাংলাদেশ ব্যাংকের বাধ্যবাধকতা আছে।

তবে নিট রিজার্ভ সংরক্ষণে ব্যর্থতার পাশাপাশি রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রাও পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ। এখনো আছে মুদ্রার একাধিক বিনিময় হার। মাঝখানে ব্যাংক একীভূতকরণের কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এমন পরিস্থিতিতে দেশের বিদেশি বাণিজ্যের স্থিতিশীলতা, রিজার্ভ সংরক্ষণ ও খেলাপি ঋণ কমানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক কি ধরণের পদক্ষেপ নিয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে আইএমএফ। পাশাপাশি বাজার ভিত্তিক মুদ্রা বিনিময় হার ও সুদের হার বাস্তবায়নে কি কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়েও জানতে চেয়েছে সংস্থাটি।

back to top