ভারতের বন্দর ও বিমানবন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানির যে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা ছিল, সেটি বাতিলের পেছনে শুধু অবকাঠামোগত সমস্যা নয়, বাংলাদেশের ভেতরে কিছু ঘটনারও প্রভাব রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে নয়াদিল্লি।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমাদের বন্দর ও বিমানবন্দরগুলোতে যানজটের কারণে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে সেই সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগে বাংলাদেশে কী কী ঘটেছে, সেগুলোর প্রতিও আমি আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই।”
তবে জয়সওয়াল সরাসরি কোনো নির্দিষ্ট ঘটনার কথা উল্লেখ করেননি।
ভারতীয় দৈনিক দ্য হিন্দু-তে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, এই মন্তব্য তিনি করেন যখন এক সাংবাদিক দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কের সাম্প্রতিক টানাপড়েন নিয়ে প্রশ্ন করেন।
এর আগে ইনডিয়ান এক্সপ্রেস জানায়, ভারতের ‘সেভেন সিস্টার্স’ অঞ্চলকে ঘিরে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের এক মন্তব্য এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে চীনের প্রভাব বিস্তারে বাংলাদেশের ‘পরোক্ষ সমর্থনের’ ইঙ্গিত থেকেই ভারতের এই সিদ্ধান্ত এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত ২৮ মার্চ বেইজিংয়ে চীনা বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে দেওয়া এক বক্তব্যে ইউনূস বলেন, “ভারতের সাতটি রাজ্য—যাদের সেভেন সিস্টার্স বলা হয়—তারা সমুদ্র থেকে বিচ্ছিন্ন। সমুদ্রে তাদের প্রবেশের একমাত্র পথ বাংলাদেশ।”
এর ঠিক পরেই, ৮ এপ্রিল, ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডিরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস (সিবিআইসি) সার্কুলারের মাধ্যমে ঘোষণা দেয়, তারা ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যাহার করছে। এর ফলে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ ভারতের বিভিন্ন বন্দর দিয়ে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য পণ্য তৃতীয় দেশে রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
তবে সিবিআইসি জানায়, এই সিদ্ধান্ত নেপাল বা ভুটানগামী বাংলাদেশি পণ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।
ভারতের সিদ্ধান্তের পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশও ব্যবস্থা নেয়। ১৬ এপ্রিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা ও বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির অনুমোদন বাতিল করে।
বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ভারতীয় মুখপাত্র কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে দ্য হিন্দু-তে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ‘এক সরকারি কর্মকর্তা’র উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, “নয়া দিল্লি মনে করে, পাকিস্তান থেকে সুতা আমদানির পথ খুলে দিতেই বাংলাদেশ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
ভারতের বন্দর ও বিমানবন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানির যে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা ছিল, সেটি বাতিলের পেছনে শুধু অবকাঠামোগত সমস্যা নয়, বাংলাদেশের ভেতরে কিছু ঘটনারও প্রভাব রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে নয়াদিল্লি।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমাদের বন্দর ও বিমানবন্দরগুলোতে যানজটের কারণে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে সেই সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগে বাংলাদেশে কী কী ঘটেছে, সেগুলোর প্রতিও আমি আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই।”
তবে জয়সওয়াল সরাসরি কোনো নির্দিষ্ট ঘটনার কথা উল্লেখ করেননি।
ভারতীয় দৈনিক দ্য হিন্দু-তে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, এই মন্তব্য তিনি করেন যখন এক সাংবাদিক দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কের সাম্প্রতিক টানাপড়েন নিয়ে প্রশ্ন করেন।
এর আগে ইনডিয়ান এক্সপ্রেস জানায়, ভারতের ‘সেভেন সিস্টার্স’ অঞ্চলকে ঘিরে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের এক মন্তব্য এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে চীনের প্রভাব বিস্তারে বাংলাদেশের ‘পরোক্ষ সমর্থনের’ ইঙ্গিত থেকেই ভারতের এই সিদ্ধান্ত এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত ২৮ মার্চ বেইজিংয়ে চীনা বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে দেওয়া এক বক্তব্যে ইউনূস বলেন, “ভারতের সাতটি রাজ্য—যাদের সেভেন সিস্টার্স বলা হয়—তারা সমুদ্র থেকে বিচ্ছিন্ন। সমুদ্রে তাদের প্রবেশের একমাত্র পথ বাংলাদেশ।”
এর ঠিক পরেই, ৮ এপ্রিল, ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডিরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস (সিবিআইসি) সার্কুলারের মাধ্যমে ঘোষণা দেয়, তারা ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যাহার করছে। এর ফলে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ ভারতের বিভিন্ন বন্দর দিয়ে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য পণ্য তৃতীয় দেশে রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
তবে সিবিআইসি জানায়, এই সিদ্ধান্ত নেপাল বা ভুটানগামী বাংলাদেশি পণ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।
ভারতের সিদ্ধান্তের পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশও ব্যবস্থা নেয়। ১৬ এপ্রিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা ও বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির অনুমোদন বাতিল করে।
বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ভারতীয় মুখপাত্র কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে দ্য হিন্দু-তে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ‘এক সরকারি কর্মকর্তা’র উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, “নয়া দিল্লি মনে করে, পাকিস্তান থেকে সুতা আমদানির পথ খুলে দিতেই বাংলাদেশ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”