আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির অধীনে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি মিলিয়ে একসঙ্গে ১৩৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সময় সোমবার মধ্যরাতে আইএমএফের নির্বাহী বোর্ড এই দুটি কিস্তি অনুমোদন করেছে বলে সংস্থার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই মাসের মধ্যেই বাংলাদেশ এই অর্থ হাতে পাবে।
আর্থিক সংকট সামাল দিতে ২০২২ সাল থেকে কয়েক দফা আলোচনার পর আইএমএফের সঙ্গে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি করে বাংলাদেশ। ঋণ কর্মসূচি শুরু হয় ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি। এরপর ২ ফেব্রুয়ারি প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার এবং একই বছরের ডিসেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলার পায় বাংলাদেশ।
২০২৪ সালের জুনে তৃতীয় কিস্তিতে ১১৫ কোটি ডলার ছাড় করে আইএমএফ। এ পর্যন্ত তিন কিস্তিতে বাংলাদেশ পায় ২৩১ কোটি ডলার।
তবে চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড়ের কথা থাকলেও মুদ্রা বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা, বৈদেশিক মুদ্রার নিট রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ এবং রাজস্ব আহরণে পিছিয়ে থাকায় আইএমএফ কিস্তি আটকে দেয়। চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড়ের কথা ছিল ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে।
পরে আইএমএফ ফেব্রুয়ারি এবং মার্চে বোর্ড সভার সময়সূচি দিলেও মার্চে বাংলাদেশ ইস্যুটি উঠেনি। এরপর এপ্রিল মাসে আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় এসে দুই সপ্তাহের সফরে শর্ত পূরণের অগ্রগতি পর্যালোচনা করে, তবে কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে কোনো ঘোষণা দেয়নি।
এপ্রিলের শেষদিকে ওয়াশিংটনে আইএমএফ-বিশ্ব ব্যাংকের বসন্তকালীন বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়, কিন্তু জট কাটেনি। তখন মুদ্রা বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা নিয়ে দর-কষাকষি চলছিল।
মে মাসের শুরুর দিকে ভার্চুয়াল বৈঠকগুলোতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর অংশ নেন। পরপর কয়েক দফা আলোচনার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিনিময় হার পুরোপুরি বাজারনির্ভর করতে রাজি হয়।
এরপর ১৪ মে গভর্নর জানান, আইএমএফ কিস্তি ছাড়ে সম্মত হয়েছে। সেদিন আইএমএফও এক বিবৃতিতে জানায়, দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে এবং জুন মাসেই চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি ছাড় করা হবে।
প্রায় এক মাস ১০ দিন পর আইএমএফের বোর্ড সভায় এই দুই কিস্তি অনুমোদন করা হয়। সংস্থাটি জানিয়েছে, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশ ঋণ কর্মসূচির বাস্তবায়নে সন্তোষজনক অগ্রগতি দেখিয়েছে।
মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির অধীনে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি মিলিয়ে একসঙ্গে ১৩৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সময় সোমবার মধ্যরাতে আইএমএফের নির্বাহী বোর্ড এই দুটি কিস্তি অনুমোদন করেছে বলে সংস্থার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই মাসের মধ্যেই বাংলাদেশ এই অর্থ হাতে পাবে।
আর্থিক সংকট সামাল দিতে ২০২২ সাল থেকে কয়েক দফা আলোচনার পর আইএমএফের সঙ্গে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি করে বাংলাদেশ। ঋণ কর্মসূচি শুরু হয় ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি। এরপর ২ ফেব্রুয়ারি প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার এবং একই বছরের ডিসেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলার পায় বাংলাদেশ।
২০২৪ সালের জুনে তৃতীয় কিস্তিতে ১১৫ কোটি ডলার ছাড় করে আইএমএফ। এ পর্যন্ত তিন কিস্তিতে বাংলাদেশ পায় ২৩১ কোটি ডলার।
তবে চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড়ের কথা থাকলেও মুদ্রা বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা, বৈদেশিক মুদ্রার নিট রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ এবং রাজস্ব আহরণে পিছিয়ে থাকায় আইএমএফ কিস্তি আটকে দেয়। চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড়ের কথা ছিল ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে।
পরে আইএমএফ ফেব্রুয়ারি এবং মার্চে বোর্ড সভার সময়সূচি দিলেও মার্চে বাংলাদেশ ইস্যুটি উঠেনি। এরপর এপ্রিল মাসে আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় এসে দুই সপ্তাহের সফরে শর্ত পূরণের অগ্রগতি পর্যালোচনা করে, তবে কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে কোনো ঘোষণা দেয়নি।
এপ্রিলের শেষদিকে ওয়াশিংটনে আইএমএফ-বিশ্ব ব্যাংকের বসন্তকালীন বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়, কিন্তু জট কাটেনি। তখন মুদ্রা বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা নিয়ে দর-কষাকষি চলছিল।
মে মাসের শুরুর দিকে ভার্চুয়াল বৈঠকগুলোতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর অংশ নেন। পরপর কয়েক দফা আলোচনার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিনিময় হার পুরোপুরি বাজারনির্ভর করতে রাজি হয়।
এরপর ১৪ মে গভর্নর জানান, আইএমএফ কিস্তি ছাড়ে সম্মত হয়েছে। সেদিন আইএমএফও এক বিবৃতিতে জানায়, দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে এবং জুন মাসেই চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি ছাড় করা হবে।
প্রায় এক মাস ১০ দিন পর আইএমএফের বোর্ড সভায় এই দুই কিস্তি অনুমোদন করা হয়। সংস্থাটি জানিয়েছে, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশ ঋণ কর্মসূচির বাস্তবায়নে সন্তোষজনক অগ্রগতি দেখিয়েছে।