ইউরো ২০২০
স্পেন টাইব্রেকারে সুইজারল্যান্ডকে ৩-১ গোলে পরাজিত করে ইউরো ২০২০ এর সেমিফাইনালে উঠেছে। নির্ধারিত সময়ে দাপট বজায় রেখেও গোল করতে না পারায় তাদেরকে টাইব্রেকার পর্যন্ত লড়াই করতে হয়। অর্ধেকেরও বেশী সময় একজন বেশী নিয়ে খেলেও স্পেন নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা ১-১ গোলে শেষ করে। যে কারণে ম্যাচের ফল নির্ধারন হয় টাইব্রেকারে এবং তাতে জিতে স্পেন চলে যায় সেমিফাইনালে। টাইব্রেকারে ম্পেনের পক্ষে গোল করেন দানি ওলমো, জেরার্ড মরেনো এবং ওইয়ারজাবাল। টাইব্রেকারে স্পেনের পক্ষে প্রথম শটেই ব্যর্থ হন সার্জিও বুসকুয়েটস। তৃতীয় শট নেন রড্রি এবং ব্যর্থ হন। সুইজারল্যান্ডের পক্ষে গোল করেন মারিও গাব্রানোভিচ। এর পর সুইজারল্যান্ডে তিনজন গোল করতে ব্যর্থ হন। তারা হলেন সহার, আকানজি ও ভার্গাস। স্পেন সেমিফইনালে বেলজিয়াম এবং ইংল্যান্ডের মধ্যেকার অপর কোয়ার্টার ফাইনাল বিজয়ীর সাথে খেলবে।
খেলার ৮ মিনিটের মাথায় সৌভাগ্যবশত গোল পেয়ে যায় স্পেন। কর্নার কিক থেকে সুইজারল্যান্ডের ডিফেন্স হয়ে বল পেনাল্টি বক্সের বেশ খানিকটা বাইরে পেয়ে যান জর্দি অ্যালবা। তিনি ভলি মারলে সেটি প্রতিহত করতে গিয়ে জাকারিয়া নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে দেন। ফ্রান্সের বিপক্ষে ৩-১ গোলে পিছিয়ে পড়েও সমতা ফেরানো সুইজারল্যান্ড এ ঘটনায় হতোদ্যম না হয়ে স্পেনের সাথে সমান তালে খেলার চেষ্টা অব্যাহত রাখে। ২৬ মিনিটের মাথায় ব্যবধান দ্বিগুন করার সুযোগ পেয়েছিল স্পেন। কর্নার কিক থেকে গোলমুখে হেডের সুযোগ পেয়েছিলেন সিজার অ্যাজপিলিকুয়েটা। কিন্তু তিনি হেড করার আগেই সেটি ক্লিয়ার করেন আকানজি। প্রথমার্ধে আর কোন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেনি কোন দলই। খেলার ৫৬ মিনিটে একটি সুযোগ পেয়েছিল সুইজারল্যান্ড। কর্নার কিক থেকে চমৎকার একটি হেড নিয়েছিলেন জাকারিয়া। কিন্তু তার দুর্ভাগ্য সেটি পোস্ট ঘেসে বাইরে চলে যায়। ৫৯ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে বল নিয়ন্ত্রনে নিয়ে ভলি মেরেছিলেন স্পেনের ফেরান টোরেস। কিন্তু সেটি ডিফেন্ডারের পিঠে লেগে বাইরে যায়।৬৪ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে দারুন একটি শট নিয়েছিলেন স্টিভেন জুবের। সেটি কর্নারের বিনিময়ে বাচিয়ে স্পেনের গোলরক্ষক উনাই সিমন। পিছিয়ে পড়ার কারণে গোল পরিশোধে সুইজারল্যান্ডে চেষ্টা ছিল অবিরত। যার ফল তারা পায় ৬৮ মিনিটে। স্পেনের দুই ডিফেন্ডার পাউ টোরেস ও লাপোর্তের ভুল বোঝাবুঝির সুযোগে রেমো ফ্রিউলার বল নিয়ে তা পাস দেন শাকিরিকে। প্লেসিং শটে সমতা ফেরান শেরদান শাকিরি। সমতা ফেরার পর স্পেন আবার গোলের চেষ্টা চালায়, অপর দিকে সুইজারল্যান্ড হয়ে ওঠে আত্মবিশ^াসী। ফলে খেলা বেশ জমে ওঠে। ৭৮ মিনিটে রেমোকে রেফারি লাল কার্ড দেখালে দশ জনের দলে পরিনত হয় সুইজারল্যান্ড। বল দখলের জন্য রেমো ফ্রিউলার ট্যাকল করলে তা পা লাগে টোরেসের পায়ে। রেফারি সরাসরি লাল কার্ড দেখান। এর পর পরই শাকিরিকে তুলে মাঠে নামানো হয় ডিব্রিজিল শোকে। এছাড়া তুলে নেয়া হয় অপর স্ট্রাইকার সেফেরোভিচকেও। সুইজারল্যান্ড বাধ্য হয়েই রক্ষণাত্মক কৌশল বেছে নেয়। ফলে আক্রমণের সংখ্যা বাড়তে থাকে স্পেনের। দুই একবার চেষ্টা করে সুইজারল্যান্ডও। কিন্তু আর কোন গোল না হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
অতিরিক্ত সময়ের তৃতীয় মিনিটে জেরার্ড মরেনো দারুন একটি সুযোগের অপচয় করেন। গোল মুখে বল পেয়েও তিনি সেটি পোস্টে রাখতে ব্যর্থ হন। ৯৫ মিনিটে অ্যালবার শট হাত লাগিয়ে কর্নারের বিনিময়ে বাচান গোলরক্ষক সোমার। অতিরিক্ত সময়ে স্পেন একের পর এক সুযোগ সৃষ্টি করতে থাকে। ১০০ মিনিটে টোরেসের শট পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক অবস্থায় বাচিয়ে দেন গোলরক্ষক। সুইজারল্যান্ডের গোলরক্ষক সোমার হয়ে ওঠেন স্পেনের জন্য এক দুঃস্বপ্ন। সুইজারল্যান্ড তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য অর্জন করে ম্যাচটিকে টাইব্রেকারে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
ইউরো ২০২০
শনিবার, ০৩ জুলাই ২০২১
স্পেন টাইব্রেকারে সুইজারল্যান্ডকে ৩-১ গোলে পরাজিত করে ইউরো ২০২০ এর সেমিফাইনালে উঠেছে। নির্ধারিত সময়ে দাপট বজায় রেখেও গোল করতে না পারায় তাদেরকে টাইব্রেকার পর্যন্ত লড়াই করতে হয়। অর্ধেকেরও বেশী সময় একজন বেশী নিয়ে খেলেও স্পেন নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা ১-১ গোলে শেষ করে। যে কারণে ম্যাচের ফল নির্ধারন হয় টাইব্রেকারে এবং তাতে জিতে স্পেন চলে যায় সেমিফাইনালে। টাইব্রেকারে ম্পেনের পক্ষে গোল করেন দানি ওলমো, জেরার্ড মরেনো এবং ওইয়ারজাবাল। টাইব্রেকারে স্পেনের পক্ষে প্রথম শটেই ব্যর্থ হন সার্জিও বুসকুয়েটস। তৃতীয় শট নেন রড্রি এবং ব্যর্থ হন। সুইজারল্যান্ডের পক্ষে গোল করেন মারিও গাব্রানোভিচ। এর পর সুইজারল্যান্ডে তিনজন গোল করতে ব্যর্থ হন। তারা হলেন সহার, আকানজি ও ভার্গাস। স্পেন সেমিফইনালে বেলজিয়াম এবং ইংল্যান্ডের মধ্যেকার অপর কোয়ার্টার ফাইনাল বিজয়ীর সাথে খেলবে।
খেলার ৮ মিনিটের মাথায় সৌভাগ্যবশত গোল পেয়ে যায় স্পেন। কর্নার কিক থেকে সুইজারল্যান্ডের ডিফেন্স হয়ে বল পেনাল্টি বক্সের বেশ খানিকটা বাইরে পেয়ে যান জর্দি অ্যালবা। তিনি ভলি মারলে সেটি প্রতিহত করতে গিয়ে জাকারিয়া নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে দেন। ফ্রান্সের বিপক্ষে ৩-১ গোলে পিছিয়ে পড়েও সমতা ফেরানো সুইজারল্যান্ড এ ঘটনায় হতোদ্যম না হয়ে স্পেনের সাথে সমান তালে খেলার চেষ্টা অব্যাহত রাখে। ২৬ মিনিটের মাথায় ব্যবধান দ্বিগুন করার সুযোগ পেয়েছিল স্পেন। কর্নার কিক থেকে গোলমুখে হেডের সুযোগ পেয়েছিলেন সিজার অ্যাজপিলিকুয়েটা। কিন্তু তিনি হেড করার আগেই সেটি ক্লিয়ার করেন আকানজি। প্রথমার্ধে আর কোন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেনি কোন দলই। খেলার ৫৬ মিনিটে একটি সুযোগ পেয়েছিল সুইজারল্যান্ড। কর্নার কিক থেকে চমৎকার একটি হেড নিয়েছিলেন জাকারিয়া। কিন্তু তার দুর্ভাগ্য সেটি পোস্ট ঘেসে বাইরে চলে যায়। ৫৯ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে বল নিয়ন্ত্রনে নিয়ে ভলি মেরেছিলেন স্পেনের ফেরান টোরেস। কিন্তু সেটি ডিফেন্ডারের পিঠে লেগে বাইরে যায়।৬৪ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে দারুন একটি শট নিয়েছিলেন স্টিভেন জুবের। সেটি কর্নারের বিনিময়ে বাচিয়ে স্পেনের গোলরক্ষক উনাই সিমন। পিছিয়ে পড়ার কারণে গোল পরিশোধে সুইজারল্যান্ডে চেষ্টা ছিল অবিরত। যার ফল তারা পায় ৬৮ মিনিটে। স্পেনের দুই ডিফেন্ডার পাউ টোরেস ও লাপোর্তের ভুল বোঝাবুঝির সুযোগে রেমো ফ্রিউলার বল নিয়ে তা পাস দেন শাকিরিকে। প্লেসিং শটে সমতা ফেরান শেরদান শাকিরি। সমতা ফেরার পর স্পেন আবার গোলের চেষ্টা চালায়, অপর দিকে সুইজারল্যান্ড হয়ে ওঠে আত্মবিশ^াসী। ফলে খেলা বেশ জমে ওঠে। ৭৮ মিনিটে রেমোকে রেফারি লাল কার্ড দেখালে দশ জনের দলে পরিনত হয় সুইজারল্যান্ড। বল দখলের জন্য রেমো ফ্রিউলার ট্যাকল করলে তা পা লাগে টোরেসের পায়ে। রেফারি সরাসরি লাল কার্ড দেখান। এর পর পরই শাকিরিকে তুলে মাঠে নামানো হয় ডিব্রিজিল শোকে। এছাড়া তুলে নেয়া হয় অপর স্ট্রাইকার সেফেরোভিচকেও। সুইজারল্যান্ড বাধ্য হয়েই রক্ষণাত্মক কৌশল বেছে নেয়। ফলে আক্রমণের সংখ্যা বাড়তে থাকে স্পেনের। দুই একবার চেষ্টা করে সুইজারল্যান্ডও। কিন্তু আর কোন গোল না হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
অতিরিক্ত সময়ের তৃতীয় মিনিটে জেরার্ড মরেনো দারুন একটি সুযোগের অপচয় করেন। গোল মুখে বল পেয়েও তিনি সেটি পোস্টে রাখতে ব্যর্থ হন। ৯৫ মিনিটে অ্যালবার শট হাত লাগিয়ে কর্নারের বিনিময়ে বাচান গোলরক্ষক সোমার। অতিরিক্ত সময়ে স্পেন একের পর এক সুযোগ সৃষ্টি করতে থাকে। ১০০ মিনিটে টোরেসের শট পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক অবস্থায় বাচিয়ে দেন গোলরক্ষক। সুইজারল্যান্ডের গোলরক্ষক সোমার হয়ে ওঠেন স্পেনের জন্য এক দুঃস্বপ্ন। সুইজারল্যান্ড তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য অর্জন করে ম্যাচটিকে টাইব্রেকারে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়।