কোপা আমেরিকা
স্বাগতিক ব্রাজিল ১-০ গোলে পেরুকে পরাজিত করে কোপা আমেরিকার ফাইনালে উঠেছে। মঙ্গলবার সকালে অনুষ্ঠিত সেমিফাইনালে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন লুকাস পাকেটা। গ্রুপ পর্বে দুই দলের লড়াইয়ে ব্রাজিল জিতেছিল ৪-০ গোলে। কিন্তু সেমিফাইনালে তারা সেই পারফরমেন্সের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারেনি। অনেকটা নিষ্প্রভ ফুটবল খেলেছে এ দিন। বরং পেরু কিছুটা হলেও উজ্জীবিত খেলার চেষ্টা করেছে। যদিও দুই দলের খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত নৈপুন্যে এগিয়েছিল ব্রাজিলই। সেমিফাইনাল ম্যাচ যেমন আকর্ষণীয় এবং উপভোগ্য হওয়া উচিত ছিল তা মোটেও হয়নি। ছন্দময় ফুটবল খেলতে পারেনি কোন দলই। উভয় দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে ফাউল করে খেলার প্রবনতাও ছিল। ব্রাজিল প্রথমার্ধে গোল করার পর সেটি ধরে রাখাই যেন তাদের লক্ষ্য হয়ে দাড়ায়। অপর দিকে এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে পেরু চেষ্টা করে ম্যাচে সমতা ফেরাতে। কিন্তু তাদের সে চেষ্টা সফল হয়নি ব্রাজিলের গোলরক্ষক এডারসনের দৃঢ়তায়।
ব্রাজিল ফাইনালে আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়ার মধ্যেকার অপর সেমিফাইনালে বিজয়ী দলের বিপক্ষে খেলবে।
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল ফেবারিট হিসেবে শুরু করে এবং প্রাধান্য বজায় রাখে খেলার শুরুর বাশি বাজার পর থেকেই। ব্রাজিল প্রথম সুযোগ পায় আট মিনিটের মাথায়। নেইমার ঠিক মতো শট নিতে ব্যর্থ হন। ১৩ মিনিটে ক্যাসেমিরোর শট গোলরক্ষক ঠিকমতো ধরে রাখতে ব্যর্থ হলে সেটি চলে গিয়েছিল এভারটনের কাছে। তিনি তার প্রচেষ্টা রুখে দেন র্যামোস। ১৯ মিনিটে আবার ক্যাসেমিরোকে গোল বঞ্চিত করে গোলরক্ষক গ্যালাস। একের পর এক আক্রমণ করে ব্রাজিল সাফল্যের মুখ দেখে ৩৪ মিনিটের মাথায়। ব্রাজিল ৩৪ মিনিটে গোলের সুচনা করে লুকাস পাকেটার মাধ্যমে। নেইমার গোলের সুযোগটি তৈরী করে দেন পেরুর দুইজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোলমুখে চমৎকার এক পাস দেয়ার মাধ্যমে। পাকেটা বল নিয়ন্ত্রনে নিয়ে পরাস্ত করেন পেরুর গোলরক্ষক গ্যালাসেকে। বিরতির আগ পর্যন্ত প্রাধান্য বজায় রাখলেও ব্যবধান আর বাড়াতে পারেনি ব্রাজিল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে গোল পরিশোধের জন্য পেরু মরিয়া হয়ে আক্রমণের চেষ্টা করে এবং ৪৯ মিনিটে একটি সুযোগ সৃষ্টি করে। ত্বরিৎ একটি আক্রমণ থেকে চমৎকার শট মেরেছিলেন পেরুর লাপাডুলা। ব্রাজিলের গোলরক্ষক এডারসন ঝাপিয়ে দুই হাত দিয়ে সেটি বাচিয়ে দেন। ৬০ মিনিটে গার্সিয়ার শট রক্ষা করেন এডারসন। ৬৪ মিনিটে নেইমার পেনাল্টি বক্সে ঢুকেও শট মারেন বাইরে। ৭১ মিনিটে রিচার্লিসন বল নিয়ে পেনাল্টি বক্সে ঢুকেও শট নিতে ব্যর্থ হন। ডিফেন্ডার এর সাথে বল দখলের লড়াইয়ে তিনি পড়ে যান এবং পেনাল্টি দাবী করেন। কিন্তু রেফারি কর্নার কিকের নির্দেশ দেন। ৮১ মিনিটে সৌভাগ্যবশত রক্ষা পায় ব্রাজিল। ফ্রি কিকে পেনাল্টি বক্সে উড়ে আসা বল ফিস্ট করতে এগিয়ে যান এডারসন। কিন্তু তিনি ফিস্ট করার আগেই হেড করেন ক্যালেন্স। তবে বল তিনি পোস্টে রাখতে পারেনি। শেষ দশ মিনিট খেলার জন্য ব্রাজিল মাঠে নামায় এডার মিলিটাও, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র এবং ফ্যাবিনহোকে। কোচের লক্ষ্য এক গোলের অগ্রগামীতা ধরে রেখে ম্যাচ শেষ করা।
কোপা আমেরিকা
মঙ্গলবার, ০৬ জুলাই ২০২১
স্বাগতিক ব্রাজিল ১-০ গোলে পেরুকে পরাজিত করে কোপা আমেরিকার ফাইনালে উঠেছে। মঙ্গলবার সকালে অনুষ্ঠিত সেমিফাইনালে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন লুকাস পাকেটা। গ্রুপ পর্বে দুই দলের লড়াইয়ে ব্রাজিল জিতেছিল ৪-০ গোলে। কিন্তু সেমিফাইনালে তারা সেই পারফরমেন্সের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারেনি। অনেকটা নিষ্প্রভ ফুটবল খেলেছে এ দিন। বরং পেরু কিছুটা হলেও উজ্জীবিত খেলার চেষ্টা করেছে। যদিও দুই দলের খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত নৈপুন্যে এগিয়েছিল ব্রাজিলই। সেমিফাইনাল ম্যাচ যেমন আকর্ষণীয় এবং উপভোগ্য হওয়া উচিত ছিল তা মোটেও হয়নি। ছন্দময় ফুটবল খেলতে পারেনি কোন দলই। উভয় দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে ফাউল করে খেলার প্রবনতাও ছিল। ব্রাজিল প্রথমার্ধে গোল করার পর সেটি ধরে রাখাই যেন তাদের লক্ষ্য হয়ে দাড়ায়। অপর দিকে এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে পেরু চেষ্টা করে ম্যাচে সমতা ফেরাতে। কিন্তু তাদের সে চেষ্টা সফল হয়নি ব্রাজিলের গোলরক্ষক এডারসনের দৃঢ়তায়।
ব্রাজিল ফাইনালে আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়ার মধ্যেকার অপর সেমিফাইনালে বিজয়ী দলের বিপক্ষে খেলবে।
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল ফেবারিট হিসেবে শুরু করে এবং প্রাধান্য বজায় রাখে খেলার শুরুর বাশি বাজার পর থেকেই। ব্রাজিল প্রথম সুযোগ পায় আট মিনিটের মাথায়। নেইমার ঠিক মতো শট নিতে ব্যর্থ হন। ১৩ মিনিটে ক্যাসেমিরোর শট গোলরক্ষক ঠিকমতো ধরে রাখতে ব্যর্থ হলে সেটি চলে গিয়েছিল এভারটনের কাছে। তিনি তার প্রচেষ্টা রুখে দেন র্যামোস। ১৯ মিনিটে আবার ক্যাসেমিরোকে গোল বঞ্চিত করে গোলরক্ষক গ্যালাস। একের পর এক আক্রমণ করে ব্রাজিল সাফল্যের মুখ দেখে ৩৪ মিনিটের মাথায়। ব্রাজিল ৩৪ মিনিটে গোলের সুচনা করে লুকাস পাকেটার মাধ্যমে। নেইমার গোলের সুযোগটি তৈরী করে দেন পেরুর দুইজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোলমুখে চমৎকার এক পাস দেয়ার মাধ্যমে। পাকেটা বল নিয়ন্ত্রনে নিয়ে পরাস্ত করেন পেরুর গোলরক্ষক গ্যালাসেকে। বিরতির আগ পর্যন্ত প্রাধান্য বজায় রাখলেও ব্যবধান আর বাড়াতে পারেনি ব্রাজিল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে গোল পরিশোধের জন্য পেরু মরিয়া হয়ে আক্রমণের চেষ্টা করে এবং ৪৯ মিনিটে একটি সুযোগ সৃষ্টি করে। ত্বরিৎ একটি আক্রমণ থেকে চমৎকার শট মেরেছিলেন পেরুর লাপাডুলা। ব্রাজিলের গোলরক্ষক এডারসন ঝাপিয়ে দুই হাত দিয়ে সেটি বাচিয়ে দেন। ৬০ মিনিটে গার্সিয়ার শট রক্ষা করেন এডারসন। ৬৪ মিনিটে নেইমার পেনাল্টি বক্সে ঢুকেও শট মারেন বাইরে। ৭১ মিনিটে রিচার্লিসন বল নিয়ে পেনাল্টি বক্সে ঢুকেও শট নিতে ব্যর্থ হন। ডিফেন্ডার এর সাথে বল দখলের লড়াইয়ে তিনি পড়ে যান এবং পেনাল্টি দাবী করেন। কিন্তু রেফারি কর্নার কিকের নির্দেশ দেন। ৮১ মিনিটে সৌভাগ্যবশত রক্ষা পায় ব্রাজিল। ফ্রি কিকে পেনাল্টি বক্সে উড়ে আসা বল ফিস্ট করতে এগিয়ে যান এডারসন। কিন্তু তিনি ফিস্ট করার আগেই হেড করেন ক্যালেন্স। তবে বল তিনি পোস্টে রাখতে পারেনি। শেষ দশ মিনিট খেলার জন্য ব্রাজিল মাঠে নামায় এডার মিলিটাও, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র এবং ফ্যাবিনহোকে। কোচের লক্ষ্য এক গোলের অগ্রগামীতা ধরে রেখে ম্যাচ শেষ করা।