alt

সম্পাদকীয়

জাটকা ধরা বন্ধ করতে হবে

: শুক্রবার, ১৬ এপ্রিল ২০২১

জাটকা শিকারীদের থামানো যাচ্ছে না কিছুতেই। জাটকা সংরক্ষণের জন্য দেশের ৬টি জেলার ৫টি ইলিশ অভয়াশ্রমে গত ১ মার্চ থেকে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। কিন্তু প্রায় প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও জাটকা উদ্ধার করা হচ্ছে।

গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ঢাকার সোয়ারিঘাট ও নারায়ণগঞ্জে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৩ হাজার ৮০০ কেজি জাটকাসহ একটি স্পিডবোট জব্দ করেছে। জাটকা নিধন বন্ধে কোথাও কোথাও পুলিশের সঙ্গে জেলেদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে। গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে এমনই এক সংষর্ষের ঘটনায চাঁদপুরে একজন জেলে মারাও গেছে।

জেলেরা জানে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে জেল-জরিমানা হতে পারে। জেল-জরিমানার ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও তারা জাটকা কেন শিকার করছে সেটা একটা প্রশ্ন। গণমাধ্যমে যেসব প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় তাতে মোটা দাগে দুটি কারণকে চিহ্নিত করা যায়। প্রথমত: নিষেধাজ্ঞা চলাকালে সংশ্লিষ্ট জেলেদের যে চাল বরাদ্দ দেয়া হয় তা অপ্রতুল। দ্বিতীয়ত: স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কিছু অসাধু লোক জেলেদের অন্যায় উৎসাহ বা মদত দেন।

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে সংশ্লিষ্ট জেলেদের জন্য দুই মাসে ৮০ কেজি করে চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। শুধু চাল দিয়ে যে একজন জেলে তার পরিবারের ভরণপোষণ নিশ্চিত করতে পারবে না সেটা বোঝার জন্য বিশেষজ্ঞ হওয়া জরুরি নয়। আবার চাল বিতরণে নানা অনিয়ম-দুর্নীতিও হয়। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের জীবিকা নিশ্চিত করা না গেলে জাটকা ধরা থেকে তাদের নিবৃত্ত করা কঠিন হবে। চাল বরাদ্দ দেয়ার পাশাপাশি তাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যায় কি নাÑসেটা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করতে হবে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশসনের মধ্যে যারা জাটকা ধরায় অন্যায় মদত দেয় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। জেলের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যেই জাটকা ধরছে তা কিনছে কারা সেটা একটা প্রশ্ন। এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী যেমন জাটকা কিনে বাড়তি মুনাফা করছে, তেমন সাধারণ মানুষও তা কিনছে। কেবল জেলেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে না। যারা জাটকা কেনাবেচা করে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

tab

সম্পাদকীয়

জাটকা ধরা বন্ধ করতে হবে

শুক্রবার, ১৬ এপ্রিল ২০২১

জাটকা শিকারীদের থামানো যাচ্ছে না কিছুতেই। জাটকা সংরক্ষণের জন্য দেশের ৬টি জেলার ৫টি ইলিশ অভয়াশ্রমে গত ১ মার্চ থেকে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। কিন্তু প্রায় প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও জাটকা উদ্ধার করা হচ্ছে।

গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ঢাকার সোয়ারিঘাট ও নারায়ণগঞ্জে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৩ হাজার ৮০০ কেজি জাটকাসহ একটি স্পিডবোট জব্দ করেছে। জাটকা নিধন বন্ধে কোথাও কোথাও পুলিশের সঙ্গে জেলেদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে। গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে এমনই এক সংষর্ষের ঘটনায চাঁদপুরে একজন জেলে মারাও গেছে।

জেলেরা জানে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে জেল-জরিমানা হতে পারে। জেল-জরিমানার ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও তারা জাটকা কেন শিকার করছে সেটা একটা প্রশ্ন। গণমাধ্যমে যেসব প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় তাতে মোটা দাগে দুটি কারণকে চিহ্নিত করা যায়। প্রথমত: নিষেধাজ্ঞা চলাকালে সংশ্লিষ্ট জেলেদের যে চাল বরাদ্দ দেয়া হয় তা অপ্রতুল। দ্বিতীয়ত: স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কিছু অসাধু লোক জেলেদের অন্যায় উৎসাহ বা মদত দেন।

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে সংশ্লিষ্ট জেলেদের জন্য দুই মাসে ৮০ কেজি করে চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। শুধু চাল দিয়ে যে একজন জেলে তার পরিবারের ভরণপোষণ নিশ্চিত করতে পারবে না সেটা বোঝার জন্য বিশেষজ্ঞ হওয়া জরুরি নয়। আবার চাল বিতরণে নানা অনিয়ম-দুর্নীতিও হয়। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের জীবিকা নিশ্চিত করা না গেলে জাটকা ধরা থেকে তাদের নিবৃত্ত করা কঠিন হবে। চাল বরাদ্দ দেয়ার পাশাপাশি তাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যায় কি নাÑসেটা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করতে হবে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশসনের মধ্যে যারা জাটকা ধরায় অন্যায় মদত দেয় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। জেলের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যেই জাটকা ধরছে তা কিনছে কারা সেটা একটা প্রশ্ন। এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী যেমন জাটকা কিনে বাড়তি মুনাফা করছে, তেমন সাধারণ মানুষও তা কিনছে। কেবল জেলেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে না। যারা জাটকা কেনাবেচা করে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top