alt

সম্পাদকীয়

বরেন্দ্র অঞ্চলে পুরনো নলকূপগুলো সংস্কার করুন

: শুক্রবার, ১৬ এপ্রিল ২০২১

রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) নিয়ন্ত্রণাধীন ১৫ হাজার ৫১৭টি গভীর নলকূপের একটি বড় অংশের বয়স ২৫ থেকে ৪০ বছর পেরিয়েছে। সংস্কার ছাড়া এসব নলকূপের প্রায় ৪৩ শতাংশের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

দুশ্চিন্তার বিষয় হচ্ছে, বরেন্দ্র অঞ্চলে পানির গভীরতা অনেক নিচে নেমে গেছে। বহু সাধারণ নলকূপ ও সেচের গভীর নলকূপে এখন আর পানি খুব একটা পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক গভীর নলকূপ বন্ধ হয়ে গেছে। যার কারণে ২০১৩ সালের পর থেকেই এ অঞ্চলে গভীর নলকূপ বসানোর অনুমোদন দিচ্ছে না কৃষি মন্ত্রণালয়। আবার সেচের কাজে ভূ-উপরিভাগের পানি ব্যবহারের সুযোগও যথেষ্ট পরিমাণে সৃষ্টি করা হয়নি। এতে খাবার পানি সংকটের পাশাপাশি কৃষিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এমনকি ভূগর্ভস্থ পানি না পাওয়ায় অনেক এলাকায় আবাদি জমি খালি ফেলে রাখতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষক।

গভীর নলকূপগুলো যদি নষ্ট হয়ে যায় কিংবা সেচের জন্য অকার্যকর হয়ে যায় তাহলে সে অঞ্চলের শস্য উৎপাদন নিশ্চিতভাবেই বাধাপ্রাপ্ত হবে। প্রশ্ন হলো, পুরোনো নলকূপগুলো এতদিনেও কেন সংস্কার করা হয়নি? এক্ষেত্রে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার অভিযোগ আছে। জানা গেছে, নলকূপ সংস্কারের ব্যাপারে বারবার আবেদন-নিবেদনের পরও প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ মেলেনি। এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখা উচিত। যাদের গাফিলতির কারণে সমস্যার জট তৈরি হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

বিশ্বের অনেক দেশেই আবহাওয়া, জলবায়ু, পানির প্রাপ্যতা প্রভৃতি বিবেচনায় নিয়ে ফসল আবাদে বৈচিত্র্য আনা হয়েছে। আমাদের এখানেও ফসল উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ঢেলে সাজাতে হবে। সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো, টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। ভূগর্ভস্থ পানি যেহেতু অফুরন্ত নয়, তাই এর ব্যবহারে সচেতন হতে হবে। উত্তর বঙ্গসহ অন্যান্য অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানি রক্ষা করতে হলে পানি কম প্রয়োজন হয় এমন ধরনের খাদ্যশস্য আবাদের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। বৃষ্টি ও ভূপৃষ্ঠের পানি সংরক্ষণ করে সেচে ব্যবহার করা গেলে পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটবে।

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

রায়গঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাবতে হবে

জলাশয় দূষণের জন্য দায়ী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

বহরবুনিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণে আর কত বিলম্ব

মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিন

সিলেট ‘ইইডি’ কার্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

পাহাড় কাটা বন্ধ করুন

স্বাধীনতার ৫৪ বছর : মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা কতটা পূরণ হলো

চিকিৎসক সংকট দূর করুন

আজ সেই কালরাত্রি : গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে প্রচেষ্টা চালাতে হবে

সাতক্ষীরা হাসপাতালের ডায়ালাসিস মেশিন সংকট দূর করুন

পানি সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা জরুরি

আর কত অপেক্ষার পর বিধবা ছালেহার ভাগ্যে ঘর মিলবে

tab

সম্পাদকীয়

বরেন্দ্র অঞ্চলে পুরনো নলকূপগুলো সংস্কার করুন

শুক্রবার, ১৬ এপ্রিল ২০২১

রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) নিয়ন্ত্রণাধীন ১৫ হাজার ৫১৭টি গভীর নলকূপের একটি বড় অংশের বয়স ২৫ থেকে ৪০ বছর পেরিয়েছে। সংস্কার ছাড়া এসব নলকূপের প্রায় ৪৩ শতাংশের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

দুশ্চিন্তার বিষয় হচ্ছে, বরেন্দ্র অঞ্চলে পানির গভীরতা অনেক নিচে নেমে গেছে। বহু সাধারণ নলকূপ ও সেচের গভীর নলকূপে এখন আর পানি খুব একটা পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক গভীর নলকূপ বন্ধ হয়ে গেছে। যার কারণে ২০১৩ সালের পর থেকেই এ অঞ্চলে গভীর নলকূপ বসানোর অনুমোদন দিচ্ছে না কৃষি মন্ত্রণালয়। আবার সেচের কাজে ভূ-উপরিভাগের পানি ব্যবহারের সুযোগও যথেষ্ট পরিমাণে সৃষ্টি করা হয়নি। এতে খাবার পানি সংকটের পাশাপাশি কৃষিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এমনকি ভূগর্ভস্থ পানি না পাওয়ায় অনেক এলাকায় আবাদি জমি খালি ফেলে রাখতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষক।

গভীর নলকূপগুলো যদি নষ্ট হয়ে যায় কিংবা সেচের জন্য অকার্যকর হয়ে যায় তাহলে সে অঞ্চলের শস্য উৎপাদন নিশ্চিতভাবেই বাধাপ্রাপ্ত হবে। প্রশ্ন হলো, পুরোনো নলকূপগুলো এতদিনেও কেন সংস্কার করা হয়নি? এক্ষেত্রে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার অভিযোগ আছে। জানা গেছে, নলকূপ সংস্কারের ব্যাপারে বারবার আবেদন-নিবেদনের পরও প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ মেলেনি। এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখা উচিত। যাদের গাফিলতির কারণে সমস্যার জট তৈরি হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

বিশ্বের অনেক দেশেই আবহাওয়া, জলবায়ু, পানির প্রাপ্যতা প্রভৃতি বিবেচনায় নিয়ে ফসল আবাদে বৈচিত্র্য আনা হয়েছে। আমাদের এখানেও ফসল উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ঢেলে সাজাতে হবে। সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো, টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। ভূগর্ভস্থ পানি যেহেতু অফুরন্ত নয়, তাই এর ব্যবহারে সচেতন হতে হবে। উত্তর বঙ্গসহ অন্যান্য অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানি রক্ষা করতে হলে পানি কম প্রয়োজন হয় এমন ধরনের খাদ্যশস্য আবাদের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। বৃষ্টি ও ভূপৃষ্ঠের পানি সংরক্ষণ করে সেচে ব্যবহার করা গেলে পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটবে।

back to top