alt

সম্পাদকীয়

বাঁশখালী ট্র্যাজেডি : সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নিন

: রোববার, ১৮ এপ্রিল ২০২১

গতকাল শনিবার চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত ও পুলিশসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য পরস্পরকে দায়ী করছে পুলিশ ও শ্রমিকরা। শ্রমিকরা বলছে, বকেয়া বেতন, ইফতার ও নামাজের সময় কর্মবিরতি, বোনাস, কর্মঘণ্টা কমানোসহ ১০ দফা দাবিতে তারা কয়েক দিন ধরে আন্দোলন করছিল। গতকাল শনিবার আন্দোলনের একপর্যায়ে পুলিশ বিনাউসকানিতে তাদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করেছে।

চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আনোয়ার হোসেন বলেন, বিক্ষোভের এক পর্যায়ে শ্রমিকরা পুলিশের ওপর হামলা চালালে পুলিশ গুলি চালাতে বাধ্য হয়। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপের কর্তাব্যক্তিরা অভিযোগ করে বলছেন, বিক্ষোভের পেছনে ‘উসকানি’ রয়েছে। ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের কমিটি করেছে জেলা প্রশাসন।

দাবি আদায়ে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর গুলিবর্ষণ করার মতো পরিস্থিতি আদৌ উদ্ভব হয়েছিল কিনা- সেই প্রশ্ন উঠেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অবস্থানরত পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছুড়েছে। গাড়ি পোড়ানোর অভিযোগ?ও তারা করেছে। কেউ ইটপাটকেল ছুড়লে তার জবাবে পুলিশ এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে পারে কিনা- সেই প্রশ্ন উঠেছে। চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক গণমাধ্যমকে বলেছেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অবস্থানরত চীনা নাগরিকদের জীবন ও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সম্পদ রক্ষায় পুলিশের যা ব্যবস্থা নেয়ার, তা তারা নিয়েছে। এখানে কর্মরত ভিনদেশি নাগরিকদের ও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তা দেবে পুলিশ, সেটা না হয় বোঝা গেল। প্রশ্ন হচ্ছে নাগরিকদের জানমাল রক্ষায় তারা কী করেছে। হতাহতের ঘটনা এড়িয়ে চীনা নাগরিকদের রক্ষা করা বা আত্মরক্ষা করা যেত কিনা- সেটা একটা প্রশ্ন। পুলিশ প্রবিধান ১৯৪৩-এর বিধান অনুযায়ী, গুলি চালানোর মতো কোনো পরিস্থিতির উদ্ভব হলে বারবার সাবধান করতে হয়। ছত্রভঙ্গ করার উদ্দেশ্যে ফাঁকা গুলি করা আর এলোপাতাড়ি গুলি করে মানুষ মারা এক কথা নয়।

পুলিশের বিরুদ্ধে শ্রমিকরা এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ার যে অভিযোগ করেছে তার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া জরুরি। এক্ষেত্রে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি উঠেছে। বিচার বিভাগীয় কমিটি গঠন করা গেলে তদন্ত নিয়ে বিতর্ক এড়ানো সম্ভব হবে বলে আমরা মনে করি। কেবল তদন্ত করলেই হবে না, তদন্ত অনুযায়ী কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য দায়ীদের কঠোর জবাবদিহিতা আদায় করতে হবে। উক্ত বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে কেন্দ্র করে এর আগেও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে বারবার এমন অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা কেন ঘটছে সেটা জানা দরকার।

জানা গেছে, উক্ত ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে তিন লাখ এবং আহত প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। প্রশ্ন হচ্ছে শ্রমিক হতাহতের ঘটনা ঘটার আগে তারা কেন বেতন-ভাতা পরিশোধ করল না। অবিলম্বে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করতে হবে। তাদের যৌক্তিক দাবিগুলো সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করে দেখতে হবে।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

tab

সম্পাদকীয়

বাঁশখালী ট্র্যাজেডি : সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নিন

রোববার, ১৮ এপ্রিল ২০২১

গতকাল শনিবার চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত ও পুলিশসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য পরস্পরকে দায়ী করছে পুলিশ ও শ্রমিকরা। শ্রমিকরা বলছে, বকেয়া বেতন, ইফতার ও নামাজের সময় কর্মবিরতি, বোনাস, কর্মঘণ্টা কমানোসহ ১০ দফা দাবিতে তারা কয়েক দিন ধরে আন্দোলন করছিল। গতকাল শনিবার আন্দোলনের একপর্যায়ে পুলিশ বিনাউসকানিতে তাদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করেছে।

চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আনোয়ার হোসেন বলেন, বিক্ষোভের এক পর্যায়ে শ্রমিকরা পুলিশের ওপর হামলা চালালে পুলিশ গুলি চালাতে বাধ্য হয়। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপের কর্তাব্যক্তিরা অভিযোগ করে বলছেন, বিক্ষোভের পেছনে ‘উসকানি’ রয়েছে। ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের কমিটি করেছে জেলা প্রশাসন।

দাবি আদায়ে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর গুলিবর্ষণ করার মতো পরিস্থিতি আদৌ উদ্ভব হয়েছিল কিনা- সেই প্রশ্ন উঠেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অবস্থানরত পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছুড়েছে। গাড়ি পোড়ানোর অভিযোগ?ও তারা করেছে। কেউ ইটপাটকেল ছুড়লে তার জবাবে পুলিশ এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে পারে কিনা- সেই প্রশ্ন উঠেছে। চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক গণমাধ্যমকে বলেছেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অবস্থানরত চীনা নাগরিকদের জীবন ও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সম্পদ রক্ষায় পুলিশের যা ব্যবস্থা নেয়ার, তা তারা নিয়েছে। এখানে কর্মরত ভিনদেশি নাগরিকদের ও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তা দেবে পুলিশ, সেটা না হয় বোঝা গেল। প্রশ্ন হচ্ছে নাগরিকদের জানমাল রক্ষায় তারা কী করেছে। হতাহতের ঘটনা এড়িয়ে চীনা নাগরিকদের রক্ষা করা বা আত্মরক্ষা করা যেত কিনা- সেটা একটা প্রশ্ন। পুলিশ প্রবিধান ১৯৪৩-এর বিধান অনুযায়ী, গুলি চালানোর মতো কোনো পরিস্থিতির উদ্ভব হলে বারবার সাবধান করতে হয়। ছত্রভঙ্গ করার উদ্দেশ্যে ফাঁকা গুলি করা আর এলোপাতাড়ি গুলি করে মানুষ মারা এক কথা নয়।

পুলিশের বিরুদ্ধে শ্রমিকরা এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ার যে অভিযোগ করেছে তার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া জরুরি। এক্ষেত্রে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি উঠেছে। বিচার বিভাগীয় কমিটি গঠন করা গেলে তদন্ত নিয়ে বিতর্ক এড়ানো সম্ভব হবে বলে আমরা মনে করি। কেবল তদন্ত করলেই হবে না, তদন্ত অনুযায়ী কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য দায়ীদের কঠোর জবাবদিহিতা আদায় করতে হবে। উক্ত বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে কেন্দ্র করে এর আগেও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে বারবার এমন অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা কেন ঘটছে সেটা জানা দরকার।

জানা গেছে, উক্ত ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে তিন লাখ এবং আহত প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। প্রশ্ন হচ্ছে শ্রমিক হতাহতের ঘটনা ঘটার আগে তারা কেন বেতন-ভাতা পরিশোধ করল না। অবিলম্বে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করতে হবে। তাদের যৌক্তিক দাবিগুলো সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করে দেখতে হবে।

back to top