alt

সম্পাদকীয়

ছোটদের ঋণ দিতে ব্যাংকের অনীহা দূর হবে কবে

: সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১

বৈশ্বিক মহামারী করোনার প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ছোট উদ্যোক্তারা। সেই ক্ষতি পুষিয়ে দ্রুত ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সরকার গত বছরের এপ্রিলে কুটির, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) খাতে ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে। কিন্তু ঋণপ্রাপ্তিতে উপেক্ষিত থাকছেন ছোট উদ্যোক্তারা। অভিযোগ রয়েছে, সরকারি ব্যাংকগুলোর অসহযোগিতার কারণে অনেক উদ্যোক্তাই ঋণ পাননি। পাঁচ দফা সময় বাড়িয়ে চলতি বছরের মার্চের মধ্যে ঋণ বিতরণ শেষ করতে বলা হয়। কিন্তু এ পর্যন্ত বিতরণ হয়েছে ১৪ হাজার ৪৬২ কোটি টাকা বা ৭২ দশমিক ৩১ শতাংশ। অর্থাৎ এখনও প্রায় ২৮ শতাংশ ঋণই বিতরণ করা হয়নি। সোমবার এ তহবিল থেকে ঋণ বিতরণ শেষ করার সময়সীমা ষষ্ঠবারের মতো বাড়িয়ে জুন পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে।

সরকারের কাজ সরকার যথাসময়ে করেছে। ‘কোভিড-১৯’-এ ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে সরকার মোট ২১টি প্রণোদনা প্যাকেজের মাধ্যমে ঋণ, নগদ অর্থ ও খাদ্য সহায়তার ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যাচ্ছে, আজ পর্যন্ত প্রণোদনার একটি অংশ ছোট উদ্যোক্তাদের কাছে পৌঁছায়নি। উদ্যোক্তারা প্রত্যাশিত হারে প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ পাচ্ছেন না। বিশেষ করে প্রত্যন্ত এলাকার ব্যবসায়ীদের মধ্যে যাদের ব্যবসার লেনদেনের পরিমাণ কম, ঋণও দরকার অল্প টাকার এবং ব্যাংকে কোনো ঋণ নেই, তারা বঞ্চিত হচ্ছেন। বিষয়টি দুর্ভাগ্যজনক। দীর্ঘ এক বছর ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা পুঁজি ভেঙে সংসারের খরচ মিটিয়েছেন। সরকারের সহায়তা ছাড়া তারা আর দাঁড়াতে পারবেন না। অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারবেন না। তাই এদের পাশে দাঁড়াতে হবে এবং দ্রুত সেই কাজটি করতে হবে।

ক্ষুদ্র এবং মাঝারি উদ্যোক্তারা যেন সঠিক সময়ে প্রণোদনার সুবিধাটা পান সেটা নিশ্চিত করতে হবে। উদ্যোক্তাদের উপায়-কৌশলের ব্যবস্থা রাখতে হবে মূল্য সোপান ও সরবরাহ সোপানকে অক্ষত রাখার প্রয়োজনে। এ সোপানগুলো ভেঙে গেলে বা অসংলগ্ন হয়ে গেলে শ্রমিক-কর্মী, কাঁচামাল, প্রযুক্তি ও প্যাকেজিং- সব উপকরণ মজুদ থাকলেও উৎপাদন ব্যাহত হবে।

প্রণোদনার ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে সরকারি ব্যাংকগুলোর অনাগ্রহের কারণ খতিয়ে দেখা দরকার। এক্ষেত্রে কোন সমস্যা থাকলে তা দূর করতে হবে।

প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে ব্যাংকের পাশাপাশি এনজিওর মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এটা ভালো উদ্যোগ। এ উদ্যোগ যেন সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয় সেদিকে সজাগ থাকতে হবে। বিতরণকৃত ঋণের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে ক্ষুদ্র ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে গ্রাহক পর্যায়ে মনিটরিং অব্যাহত রাখতে হবে।

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

tab

সম্পাদকীয়

ছোটদের ঋণ দিতে ব্যাংকের অনীহা দূর হবে কবে

সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১

বৈশ্বিক মহামারী করোনার প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ছোট উদ্যোক্তারা। সেই ক্ষতি পুষিয়ে দ্রুত ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সরকার গত বছরের এপ্রিলে কুটির, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) খাতে ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে। কিন্তু ঋণপ্রাপ্তিতে উপেক্ষিত থাকছেন ছোট উদ্যোক্তারা। অভিযোগ রয়েছে, সরকারি ব্যাংকগুলোর অসহযোগিতার কারণে অনেক উদ্যোক্তাই ঋণ পাননি। পাঁচ দফা সময় বাড়িয়ে চলতি বছরের মার্চের মধ্যে ঋণ বিতরণ শেষ করতে বলা হয়। কিন্তু এ পর্যন্ত বিতরণ হয়েছে ১৪ হাজার ৪৬২ কোটি টাকা বা ৭২ দশমিক ৩১ শতাংশ। অর্থাৎ এখনও প্রায় ২৮ শতাংশ ঋণই বিতরণ করা হয়নি। সোমবার এ তহবিল থেকে ঋণ বিতরণ শেষ করার সময়সীমা ষষ্ঠবারের মতো বাড়িয়ে জুন পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে।

সরকারের কাজ সরকার যথাসময়ে করেছে। ‘কোভিড-১৯’-এ ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে সরকার মোট ২১টি প্রণোদনা প্যাকেজের মাধ্যমে ঋণ, নগদ অর্থ ও খাদ্য সহায়তার ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যাচ্ছে, আজ পর্যন্ত প্রণোদনার একটি অংশ ছোট উদ্যোক্তাদের কাছে পৌঁছায়নি। উদ্যোক্তারা প্রত্যাশিত হারে প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ পাচ্ছেন না। বিশেষ করে প্রত্যন্ত এলাকার ব্যবসায়ীদের মধ্যে যাদের ব্যবসার লেনদেনের পরিমাণ কম, ঋণও দরকার অল্প টাকার এবং ব্যাংকে কোনো ঋণ নেই, তারা বঞ্চিত হচ্ছেন। বিষয়টি দুর্ভাগ্যজনক। দীর্ঘ এক বছর ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা পুঁজি ভেঙে সংসারের খরচ মিটিয়েছেন। সরকারের সহায়তা ছাড়া তারা আর দাঁড়াতে পারবেন না। অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারবেন না। তাই এদের পাশে দাঁড়াতে হবে এবং দ্রুত সেই কাজটি করতে হবে।

ক্ষুদ্র এবং মাঝারি উদ্যোক্তারা যেন সঠিক সময়ে প্রণোদনার সুবিধাটা পান সেটা নিশ্চিত করতে হবে। উদ্যোক্তাদের উপায়-কৌশলের ব্যবস্থা রাখতে হবে মূল্য সোপান ও সরবরাহ সোপানকে অক্ষত রাখার প্রয়োজনে। এ সোপানগুলো ভেঙে গেলে বা অসংলগ্ন হয়ে গেলে শ্রমিক-কর্মী, কাঁচামাল, প্রযুক্তি ও প্যাকেজিং- সব উপকরণ মজুদ থাকলেও উৎপাদন ব্যাহত হবে।

প্রণোদনার ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে সরকারি ব্যাংকগুলোর অনাগ্রহের কারণ খতিয়ে দেখা দরকার। এক্ষেত্রে কোন সমস্যা থাকলে তা দূর করতে হবে।

প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে ব্যাংকের পাশাপাশি এনজিওর মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এটা ভালো উদ্যোগ। এ উদ্যোগ যেন সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয় সেদিকে সজাগ থাকতে হবে। বিতরণকৃত ঋণের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে ক্ষুদ্র ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে গ্রাহক পর্যায়ে মনিটরিং অব্যাহত রাখতে হবে।

back to top