alt

সম্পাদকীয়

বজ্রপাত প্রতিরোধে লাইটনিং অ্যারেস্টার স্থাপন করুন

: রোববার, ০২ মে ২০২১

বজ্রপাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায়ই মানুষ মারা যাচ্ছে, আহত হচ্ছে। গতকাল শনিবার বজ্রপাতে কক্সবাজারে মারা গেছে একজন। একইদিন নীলফামারীতে মারা গেছে একজন ও আহত হয়েছে তিন জন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এক হিসাব অনুযায়ী, ২০১১ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বজ্রপাতে দেশে মারা গেছে ১৪শ’ মানুষ। কত মানুষ আহত হয়েছে, গবাদি পশু মারা গেছে কতগুলো, কত গাছ ধ্বংস হয়েছে সেসব হিসাব জানা যায় না।

দুর্যোগ বিশেষজ্ঞ ও আবহাওয়াবিদরা বলছেন, মূলত বায়ুদূষণ বাড়ার কারণে দেশে বজ্রপাত বাড়ছে। নদী বা জলাভূমি শুকিয়ে যাওয়া, বনভূমি ধ্বংস করাও বজ্রপাত বাড়ার কারণ। বজ্রপাত বাড়া মানে মানুষের হতাহত হওয়ার ঝুঁকি বাড়া। বজ্রপাতের ক্রমবর্ধমান বিপদ সম্পর্কে সরকারও সজাগ। ২০১৬ সালে বজ্রপাতকে দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। বজ্রপাত প্রতিরোধে এক কোটি তালগাছ লাগানোর কথা রয়েছে। লাইটনিং অ্যারেস্টার যন্ত্র বসানোর কথাও ছিল। এর অগ্রগতি সম্পর্কে জানা যায় না।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় তালগাছ লাগাচ্ছে। এটা একটি ভালো উদ্যোগ। তবে তালগাছগুলোকে বজ্রপাত প্রতিরোধের মতো সক্ষম বা বড় হতে কমবেশি ১০ বছর সময় লাগবে বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন। এজন্য তারা জরুরি ভিত্তিতে লাইটনিং অ্যারেস্টার বসানোর ওপর জোর দিচ্ছেন। আমরা চাইব, দ্রুত লাইটনিং অ্যারেস্টার যন্ত্র বসানোর ব্যবস্থা করা হবে। হাওরাঞ্চলসহ যেসব এলাকায় বেশি বজ্রপাত হয় সেসব এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করতে হবে।

তালগাছ লাগানো হলেও এর স্থান নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে। বজ্রপাতে সাধারণত চাষাবাদের কাজে নিয়োজিত কৃষক মাঠে বা জলাধারের পাশে অবস্থানরত মানুষ মারা যায়। কিন্তু তালগাছগুলো লাগানো হয়েছে মূলত রাস্তার পাশে। এতে ব্রজপাত রোধের উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। বজ্রপাতপ্রবণ স্থানে তালগাছ লাগানো জরুরি।

বজ্রপাত সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোও জরুরি। কখন বজ্রপাতের আশঙ্কা থাকে, বজ্রাপাতের সময় কী সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, কোথায় আশ্রয় নিতে হবে সেসব বিষয়ে মানুষকে বিশেষ করে বজ্রপাতপ্রবণ এলাকার বাসিন্দাদের ব্যাপক হারে জানাতে হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

tab

সম্পাদকীয়

বজ্রপাত প্রতিরোধে লাইটনিং অ্যারেস্টার স্থাপন করুন

রোববার, ০২ মে ২০২১

বজ্রপাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায়ই মানুষ মারা যাচ্ছে, আহত হচ্ছে। গতকাল শনিবার বজ্রপাতে কক্সবাজারে মারা গেছে একজন। একইদিন নীলফামারীতে মারা গেছে একজন ও আহত হয়েছে তিন জন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এক হিসাব অনুযায়ী, ২০১১ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বজ্রপাতে দেশে মারা গেছে ১৪শ’ মানুষ। কত মানুষ আহত হয়েছে, গবাদি পশু মারা গেছে কতগুলো, কত গাছ ধ্বংস হয়েছে সেসব হিসাব জানা যায় না।

দুর্যোগ বিশেষজ্ঞ ও আবহাওয়াবিদরা বলছেন, মূলত বায়ুদূষণ বাড়ার কারণে দেশে বজ্রপাত বাড়ছে। নদী বা জলাভূমি শুকিয়ে যাওয়া, বনভূমি ধ্বংস করাও বজ্রপাত বাড়ার কারণ। বজ্রপাত বাড়া মানে মানুষের হতাহত হওয়ার ঝুঁকি বাড়া। বজ্রপাতের ক্রমবর্ধমান বিপদ সম্পর্কে সরকারও সজাগ। ২০১৬ সালে বজ্রপাতকে দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। বজ্রপাত প্রতিরোধে এক কোটি তালগাছ লাগানোর কথা রয়েছে। লাইটনিং অ্যারেস্টার যন্ত্র বসানোর কথাও ছিল। এর অগ্রগতি সম্পর্কে জানা যায় না।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় তালগাছ লাগাচ্ছে। এটা একটি ভালো উদ্যোগ। তবে তালগাছগুলোকে বজ্রপাত প্রতিরোধের মতো সক্ষম বা বড় হতে কমবেশি ১০ বছর সময় লাগবে বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন। এজন্য তারা জরুরি ভিত্তিতে লাইটনিং অ্যারেস্টার বসানোর ওপর জোর দিচ্ছেন। আমরা চাইব, দ্রুত লাইটনিং অ্যারেস্টার যন্ত্র বসানোর ব্যবস্থা করা হবে। হাওরাঞ্চলসহ যেসব এলাকায় বেশি বজ্রপাত হয় সেসব এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করতে হবে।

তালগাছ লাগানো হলেও এর স্থান নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে। বজ্রপাতে সাধারণত চাষাবাদের কাজে নিয়োজিত কৃষক মাঠে বা জলাধারের পাশে অবস্থানরত মানুষ মারা যায়। কিন্তু তালগাছগুলো লাগানো হয়েছে মূলত রাস্তার পাশে। এতে ব্রজপাত রোধের উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। বজ্রপাতপ্রবণ স্থানে তালগাছ লাগানো জরুরি।

বজ্রপাত সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোও জরুরি। কখন বজ্রপাতের আশঙ্কা থাকে, বজ্রাপাতের সময় কী সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, কোথায় আশ্রয় নিতে হবে সেসব বিষয়ে মানুষকে বিশেষ করে বজ্রপাতপ্রবণ এলাকার বাসিন্দাদের ব্যাপক হারে জানাতে হবে।

back to top