বজ্রপাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায়ই মানুষ মারা যাচ্ছে, আহত হচ্ছে। গতকাল শনিবার বজ্রপাতে কক্সবাজারে মারা গেছে একজন। একইদিন নীলফামারীতে মারা গেছে একজন ও আহত হয়েছে তিন জন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এক হিসাব অনুযায়ী, ২০১১ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বজ্রপাতে দেশে মারা গেছে ১৪শ’ মানুষ। কত মানুষ আহত হয়েছে, গবাদি পশু মারা গেছে কতগুলো, কত গাছ ধ্বংস হয়েছে সেসব হিসাব জানা যায় না।
দুর্যোগ বিশেষজ্ঞ ও আবহাওয়াবিদরা বলছেন, মূলত বায়ুদূষণ বাড়ার কারণে দেশে বজ্রপাত বাড়ছে। নদী বা জলাভূমি শুকিয়ে যাওয়া, বনভূমি ধ্বংস করাও বজ্রপাত বাড়ার কারণ। বজ্রপাত বাড়া মানে মানুষের হতাহত হওয়ার ঝুঁকি বাড়া। বজ্রপাতের ক্রমবর্ধমান বিপদ সম্পর্কে সরকারও সজাগ। ২০১৬ সালে বজ্রপাতকে দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। বজ্রপাত প্রতিরোধে এক কোটি তালগাছ লাগানোর কথা রয়েছে। লাইটনিং অ্যারেস্টার যন্ত্র বসানোর কথাও ছিল। এর অগ্রগতি সম্পর্কে জানা যায় না।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় তালগাছ লাগাচ্ছে। এটা একটি ভালো উদ্যোগ। তবে তালগাছগুলোকে বজ্রপাত প্রতিরোধের মতো সক্ষম বা বড় হতে কমবেশি ১০ বছর সময় লাগবে বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন। এজন্য তারা জরুরি ভিত্তিতে লাইটনিং অ্যারেস্টার বসানোর ওপর জোর দিচ্ছেন। আমরা চাইব, দ্রুত লাইটনিং অ্যারেস্টার যন্ত্র বসানোর ব্যবস্থা করা হবে। হাওরাঞ্চলসহ যেসব এলাকায় বেশি বজ্রপাত হয় সেসব এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করতে হবে।
তালগাছ লাগানো হলেও এর স্থান নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে। বজ্রপাতে সাধারণত চাষাবাদের কাজে নিয়োজিত কৃষক মাঠে বা জলাধারের পাশে অবস্থানরত মানুষ মারা যায়। কিন্তু তালগাছগুলো লাগানো হয়েছে মূলত রাস্তার পাশে। এতে ব্রজপাত রোধের উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। বজ্রপাতপ্রবণ স্থানে তালগাছ লাগানো জরুরি।
বজ্রপাত সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোও জরুরি। কখন বজ্রপাতের আশঙ্কা থাকে, বজ্রাপাতের সময় কী সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, কোথায় আশ্রয় নিতে হবে সেসব বিষয়ে মানুষকে বিশেষ করে বজ্রপাতপ্রবণ এলাকার বাসিন্দাদের ব্যাপক হারে জানাতে হবে।
রোববার, ০২ মে ২০২১
বজ্রপাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায়ই মানুষ মারা যাচ্ছে, আহত হচ্ছে। গতকাল শনিবার বজ্রপাতে কক্সবাজারে মারা গেছে একজন। একইদিন নীলফামারীতে মারা গেছে একজন ও আহত হয়েছে তিন জন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এক হিসাব অনুযায়ী, ২০১১ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বজ্রপাতে দেশে মারা গেছে ১৪শ’ মানুষ। কত মানুষ আহত হয়েছে, গবাদি পশু মারা গেছে কতগুলো, কত গাছ ধ্বংস হয়েছে সেসব হিসাব জানা যায় না।
দুর্যোগ বিশেষজ্ঞ ও আবহাওয়াবিদরা বলছেন, মূলত বায়ুদূষণ বাড়ার কারণে দেশে বজ্রপাত বাড়ছে। নদী বা জলাভূমি শুকিয়ে যাওয়া, বনভূমি ধ্বংস করাও বজ্রপাত বাড়ার কারণ। বজ্রপাত বাড়া মানে মানুষের হতাহত হওয়ার ঝুঁকি বাড়া। বজ্রপাতের ক্রমবর্ধমান বিপদ সম্পর্কে সরকারও সজাগ। ২০১৬ সালে বজ্রপাতকে দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। বজ্রপাত প্রতিরোধে এক কোটি তালগাছ লাগানোর কথা রয়েছে। লাইটনিং অ্যারেস্টার যন্ত্র বসানোর কথাও ছিল। এর অগ্রগতি সম্পর্কে জানা যায় না।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় তালগাছ লাগাচ্ছে। এটা একটি ভালো উদ্যোগ। তবে তালগাছগুলোকে বজ্রপাত প্রতিরোধের মতো সক্ষম বা বড় হতে কমবেশি ১০ বছর সময় লাগবে বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন। এজন্য তারা জরুরি ভিত্তিতে লাইটনিং অ্যারেস্টার বসানোর ওপর জোর দিচ্ছেন। আমরা চাইব, দ্রুত লাইটনিং অ্যারেস্টার যন্ত্র বসানোর ব্যবস্থা করা হবে। হাওরাঞ্চলসহ যেসব এলাকায় বেশি বজ্রপাত হয় সেসব এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করতে হবে।
তালগাছ লাগানো হলেও এর স্থান নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে। বজ্রপাতে সাধারণত চাষাবাদের কাজে নিয়োজিত কৃষক মাঠে বা জলাধারের পাশে অবস্থানরত মানুষ মারা যায়। কিন্তু তালগাছগুলো লাগানো হয়েছে মূলত রাস্তার পাশে। এতে ব্রজপাত রোধের উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। বজ্রপাতপ্রবণ স্থানে তালগাছ লাগানো জরুরি।
বজ্রপাত সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোও জরুরি। কখন বজ্রপাতের আশঙ্কা থাকে, বজ্রাপাতের সময় কী সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, কোথায় আশ্রয় নিতে হবে সেসব বিষয়ে মানুষকে বিশেষ করে বজ্রপাতপ্রবণ এলাকার বাসিন্দাদের ব্যাপক হারে জানাতে হবে।