alt

সম্পাদকীয়

অনলাইন শিক্ষা যেন কোন বৈষম্য তৈরি না করে

: সোমবার, ০৩ মে ২০২১

টানা ১৮ মাস দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের পর থেকেই প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ক্লাস সংসদ টেলিভিশনে প্রচার শুরু হয়। যদিও সেসব ক্লাস শিক্ষার্থীদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারেনি। সম্প্রতি প্রকাশিত এডুকেশন ওয়াচ রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে দূরশিক্ষণে (সংসদ টিভি, অনলাইন, রেডিও ও মোবাইল ফোন) ৩১.৫ শতাংশ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। অর্থাৎ ৬৯.৫ শতাংশ শিক্ষার্থী কোনো ধরনের অনলাইন শিক্ষার আওতায় আসেনি। যেসব শিক্ষার্থী দূরশিক্ষণ প্রক্রিয়ার বাইরে রয়েছে, তাদের মধ্যে ৫৭.৯ শতাংশ ডিভাইসের অভাবে অংশগ্রহণ করতে পারছে না। আর গ্রামীণ এলাকায় এই হার ৬৮.৯ শতাংশ।

কভিডের এই পরিস্থিতিতে আমাদের কারও বাস্তবতার বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। কোনো ধরনের পূর্বপ্রস্তুতি ছাড়া দেশের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা যেভাবে অনলাইন ক্লাস করছে, সেটা অবশ্যই প্রশংসনীয়। তবে এটাও অস্বীকার করার উপায় নেই যে, এ শিক্ষায় নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে শহর ও গ্রামে বৈষম্য তৈরি হচ্ছে। বিচ্ছিন্নভাবে অনলাইনে যে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রয়েছে তা সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করতে পারছে না। গ্রামপর্যায়ের শিক্ষার্থীদের বড় অংশ অনলাইন শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেনি। ফলে শহরের শিক্ষার্থীদের চেয়ে পিছিয়ে পড়েছে গ্রামের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষা নিশ্চিত করা বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়েছে।

এই মুহূর্তে করোনার যে পরিস্থিতি তাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা খুবই কঠিন। এজন্য অনলাইন ক্লাসকেই আরও আধুনিক ও সবার অংশগ্রহণ উপযোগী করতে হবে। ভাবতে হবে, আমাদের কতজন শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছে আর কত জন বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে। সুবিধাবঞ্চিতদের শিক্ষার ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার জন্য পরিকল্পনা প্রয়োজন এবং সময়মতো সেই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন জরুরি। অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থায় গ্রামের যেসব শিক্ষার্থী পিছিয়ে পড়ছে তাদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ-সংযোগ, ডিভাইস ও কম মূল্যের ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষকদের আইসিটি বিষয়ে অভিজ্ঞ করে তুলতে হবে।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

tab

সম্পাদকীয়

অনলাইন শিক্ষা যেন কোন বৈষম্য তৈরি না করে

সোমবার, ০৩ মে ২০২১

টানা ১৮ মাস দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের পর থেকেই প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ক্লাস সংসদ টেলিভিশনে প্রচার শুরু হয়। যদিও সেসব ক্লাস শিক্ষার্থীদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারেনি। সম্প্রতি প্রকাশিত এডুকেশন ওয়াচ রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে দূরশিক্ষণে (সংসদ টিভি, অনলাইন, রেডিও ও মোবাইল ফোন) ৩১.৫ শতাংশ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। অর্থাৎ ৬৯.৫ শতাংশ শিক্ষার্থী কোনো ধরনের অনলাইন শিক্ষার আওতায় আসেনি। যেসব শিক্ষার্থী দূরশিক্ষণ প্রক্রিয়ার বাইরে রয়েছে, তাদের মধ্যে ৫৭.৯ শতাংশ ডিভাইসের অভাবে অংশগ্রহণ করতে পারছে না। আর গ্রামীণ এলাকায় এই হার ৬৮.৯ শতাংশ।

কভিডের এই পরিস্থিতিতে আমাদের কারও বাস্তবতার বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। কোনো ধরনের পূর্বপ্রস্তুতি ছাড়া দেশের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা যেভাবে অনলাইন ক্লাস করছে, সেটা অবশ্যই প্রশংসনীয়। তবে এটাও অস্বীকার করার উপায় নেই যে, এ শিক্ষায় নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে শহর ও গ্রামে বৈষম্য তৈরি হচ্ছে। বিচ্ছিন্নভাবে অনলাইনে যে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রয়েছে তা সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করতে পারছে না। গ্রামপর্যায়ের শিক্ষার্থীদের বড় অংশ অনলাইন শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেনি। ফলে শহরের শিক্ষার্থীদের চেয়ে পিছিয়ে পড়েছে গ্রামের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষা নিশ্চিত করা বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়েছে।

এই মুহূর্তে করোনার যে পরিস্থিতি তাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা খুবই কঠিন। এজন্য অনলাইন ক্লাসকেই আরও আধুনিক ও সবার অংশগ্রহণ উপযোগী করতে হবে। ভাবতে হবে, আমাদের কতজন শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছে আর কত জন বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে। সুবিধাবঞ্চিতদের শিক্ষার ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার জন্য পরিকল্পনা প্রয়োজন এবং সময়মতো সেই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন জরুরি। অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থায় গ্রামের যেসব শিক্ষার্থী পিছিয়ে পড়ছে তাদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ-সংযোগ, ডিভাইস ও কম মূল্যের ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষকদের আইসিটি বিষয়ে অভিজ্ঞ করে তুলতে হবে।

back to top