দেশের বিভিন্ন স্থানে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত রোগীদের জাতীয় ও স্থানীয় স্বোচ্ছাসেবী সংগঠন, রাজনৈতিক সংগঠন, স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ বিভিন্ন ব্যক্তি-গোষ্ঠী নিজেদের উদ্যোগে বিনামূলে অক্সিজেন ও অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জাম দিচ্ছে। এনিয়ে গণমাধ্যমে প্রায়ই সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে। বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাসে পীড়িত মানুষের সেবায় বিভিন্ন ব্যক্তি-গোষ্ঠীর এগিয়ে আসার খবরগুলো আমাদের উদ্দীপ্ত করে, অনুপ্রাণিত করে।
মহামারী করোনার শুরু থেকেই দেশে চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার ঘাটতি দেখা দিয়েছে। চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণে অক্সিজেনের আকাল পড়েছে, দামও বেড়েছে কয়েকগুণ। অনেক রোগীকে হাসপাতালে নেয়ার আগে জরুরি ভিত্তিতে অক্সিজেন দেয়ার দরকার হয়। দেশের অনেক হাসপাতালে জরুরি ভিত্তিতে অক্সিজেন দিতে না পারায় করোনা আক্রান্ত রোগী মারা গেছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। হাসপাতালে নেয়ার আগেও অনেকের অক্সিজেন প্রয়োজন হয়। করোনা আক্রান্তদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে হতদরিদ্র। যাদের অক্সিজেন কেনারও সামর্থ্য নেই। তথ্য পাওয়া মাত্রই তাদের কাছে এসব সংগঠন ও ব্যক্তি বিনামূল্যে পৌঁছে দিচ্ছে অক্সিজেন।
সংক্রামক রোগ কোভিড-১৯-এর ভয়াবহতা পৃথিবী জুড়ে মানুষ প্রত্যক্ষ করছে। করোনাকে বলা হচ্ছে, বিশ্বের শতবর্ষের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্যোগ। বিশ্বে এই রোগে মারা গেছে ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ, আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ১৯ কোটি মানুষ। ২০২০ সালের মার্চে করোনা প্রথম সংক্রমণের পর দেশে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে ১৬ হাজার ১৮৯ জন, শনাক্ত হয়েছে ১০ লাখ নয় হাজার ৩১৫ জন। দেশে আক্রান্ত ও মৃত্যুর নতুন নতুন রেকর্ড হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার সকাল আটটা থেকে শুক্রবার রাত আটটা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২১২ জনের মৃত্যুর সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়েছে। এ ভয়াবহ বিপর্যয়ের মধ্যে মানুষ মানুষের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছে, মানবতার জয়গান গাচ্ছে। অদৃশ্য এক শত্রুর বিরুদ্ধে মানুষ যুতবদ্ধ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
অতীতে আমরা দেখেছি বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হোক, আর রানা প্লাজা ধসের মতো মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগই হোক- মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। মানুষের পাশে মানুষের দাঁড়ানোর দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে আমাদের। পারস্পারিক সহযোগিতায় একএকটি বিপর্যয় মোকাবিলা করেছে। যেখানে শেষ পর্যন্ত মানুষই জয়ী হয়েছে, পরাজিত হয়েছে দুর্যোগ। আমরা আশা করবো, মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়েও মানুষের জয় হবে, মানবতার জয় হবে, মহামারী পরাস্ত হবে। মানুষের জন্য মানুষের অবদান কখনও বিফলে যায় না।
শনিবার, ১০ জুলাই ২০২১
দেশের বিভিন্ন স্থানে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত রোগীদের জাতীয় ও স্থানীয় স্বোচ্ছাসেবী সংগঠন, রাজনৈতিক সংগঠন, স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ বিভিন্ন ব্যক্তি-গোষ্ঠী নিজেদের উদ্যোগে বিনামূলে অক্সিজেন ও অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জাম দিচ্ছে। এনিয়ে গণমাধ্যমে প্রায়ই সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে। বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাসে পীড়িত মানুষের সেবায় বিভিন্ন ব্যক্তি-গোষ্ঠীর এগিয়ে আসার খবরগুলো আমাদের উদ্দীপ্ত করে, অনুপ্রাণিত করে।
মহামারী করোনার শুরু থেকেই দেশে চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার ঘাটতি দেখা দিয়েছে। চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণে অক্সিজেনের আকাল পড়েছে, দামও বেড়েছে কয়েকগুণ। অনেক রোগীকে হাসপাতালে নেয়ার আগে জরুরি ভিত্তিতে অক্সিজেন দেয়ার দরকার হয়। দেশের অনেক হাসপাতালে জরুরি ভিত্তিতে অক্সিজেন দিতে না পারায় করোনা আক্রান্ত রোগী মারা গেছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। হাসপাতালে নেয়ার আগেও অনেকের অক্সিজেন প্রয়োজন হয়। করোনা আক্রান্তদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে হতদরিদ্র। যাদের অক্সিজেন কেনারও সামর্থ্য নেই। তথ্য পাওয়া মাত্রই তাদের কাছে এসব সংগঠন ও ব্যক্তি বিনামূল্যে পৌঁছে দিচ্ছে অক্সিজেন।
সংক্রামক রোগ কোভিড-১৯-এর ভয়াবহতা পৃথিবী জুড়ে মানুষ প্রত্যক্ষ করছে। করোনাকে বলা হচ্ছে, বিশ্বের শতবর্ষের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্যোগ। বিশ্বে এই রোগে মারা গেছে ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ, আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ১৯ কোটি মানুষ। ২০২০ সালের মার্চে করোনা প্রথম সংক্রমণের পর দেশে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে ১৬ হাজার ১৮৯ জন, শনাক্ত হয়েছে ১০ লাখ নয় হাজার ৩১৫ জন। দেশে আক্রান্ত ও মৃত্যুর নতুন নতুন রেকর্ড হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার সকাল আটটা থেকে শুক্রবার রাত আটটা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২১২ জনের মৃত্যুর সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়েছে। এ ভয়াবহ বিপর্যয়ের মধ্যে মানুষ মানুষের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছে, মানবতার জয়গান গাচ্ছে। অদৃশ্য এক শত্রুর বিরুদ্ধে মানুষ যুতবদ্ধ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
অতীতে আমরা দেখেছি বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হোক, আর রানা প্লাজা ধসের মতো মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগই হোক- মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। মানুষের পাশে মানুষের দাঁড়ানোর দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে আমাদের। পারস্পারিক সহযোগিতায় একএকটি বিপর্যয় মোকাবিলা করেছে। যেখানে শেষ পর্যন্ত মানুষই জয়ী হয়েছে, পরাজিত হয়েছে দুর্যোগ। আমরা আশা করবো, মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়েও মানুষের জয় হবে, মানবতার জয় হবে, মহামারী পরাস্ত হবে। মানুষের জন্য মানুষের অবদান কখনও বিফলে যায় না।