alt

সম্পাদকীয়

গণটিকাদান শুরু : ‘হার্ড ইমিউনিটি’র লক্ষ্য অর্জন হবে কি

: সোমবার, ১২ জুলাই ২০২১

আজ থেকে দেশে আবার গণটিকাদান শুরু হয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দেয়া হচ্ছে চীনের সিনোফার্মের টিকা। ১২টি মহানগরে আগামিকাল থেকে মডার্নার টিকা দেয়া শুরু হবে। সিনোফার্ম, ফাইজার এবং মডার্না- এই তিন কোম্পানির ৫৮ লাখ ৫৪ হাজারের কিছু বেশি টিকা দেশে এখন মজুদ আছে। সরকার বলেছে, চীন থেকে কেনা বাকি টিকা আসবে সেপ্টেম্বরের মধ্যে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩৫ লাখ টিকা আসবে আগস্টের শুরুর দিকে।

ভ্যাকসিনেশনের মাধ্যমে মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ‘হার্ড ইমিউনিটি’ গড়ে তুলতে হলে দেশের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষকে দুই ডোজ করে টিকা দিতে হবে। আর টিকা দিতে হবে এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে। কারণ মানুষের শরীরে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা অ্যান্টিবডি সক্রিয় থাকে কমবেশি এক বছর।

সরকার দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে চায়। দেশের জনসংখ্যা কমবেশি ১৭ কোটি। সেই হিসাবে ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে হলে সাড়ে ১৩ কোটিরও বেশি মানুষকে ২ ডোজ করে মোট ২৭ কোটিরও বেশি ডোজ টিকা দিতে হবে। দেশে টিকা দেয়া শুরু হয়েছে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে। এখন পর্যন্ত ১ কোটি ডোজের চেয়ে কিছু বেশি টিকা দেয়া হয়েছে। টিকাদানের শুরুর সময় থেকে হিসাব করলে দেখা যায়, হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করতে হলে আগামী বছর ফেব্রুয়ারি, বড়জোর আগস্টের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে বাকি ২৬ কোটি ডোজ টিকা দিতে হবে। অর্থাৎ প্রতি মাসে টিকা লাগবে প্রায় ২ কোটি ডোজ।

প্রশ্ন হচ্ছে, যে গতিতে টিকা দেয়া হচ্ছে তাতে এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে ৮০ শতাংশ মানুষকে দুই ডোজ করে টিকা দেয়া সম্ভব হবে কিনা। টিকা দেয়ার সক্ষমতায় দেশ পিছিয়ে নেই। সরকারি কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, দিনে ৭ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে। সমস্যা হচ্ছে টিকার জোগান নিয়ে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি হিসাব করে দেখেছে যে, দেশে প্রতি মাসে গড়ে ৫০ লাখ টিকা আনা হতে পারে। এই গতিতে টিকা এলে দেশের বেশির ভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে ২০২৪ সাল লেগে যাবে। করোনাভাইরাসের টিকা আমদানির অগ্রগতি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সন্তুষ্ট নয়। এ বিষয়ে কমিটি আগেও অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল।

তিন-চার বছর ধরে টিকা দেয়া হলে হার্ড ইমিউনিটি অর্জন সম্ভব হবে কীভাবে সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রয়োজন অনুযায়ী টিকার সংস্থান করা বড় একটি চ্যালেঞ্জ। একাধিক উৎস থেকে টিকা সংগ্রহ করা হলেও তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। টিকা কেনা বা আমদানির ক্ষেত্রে বাস্তবায়নযোগ্য বিশদ পরিকল্পনা থাকতে হবে। দেশে টিকা উৎপাদন করার যে ঘোষণা দিয়েছে সরকার তা বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে হবে। মহামারীকে মোকাবিলা করতে হলে যেভাবেই হোক হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করতে হবে।

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

গণটিকাদান শুরু : ‘হার্ড ইমিউনিটি’র লক্ষ্য অর্জন হবে কি

সোমবার, ১২ জুলাই ২০২১

আজ থেকে দেশে আবার গণটিকাদান শুরু হয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দেয়া হচ্ছে চীনের সিনোফার্মের টিকা। ১২টি মহানগরে আগামিকাল থেকে মডার্নার টিকা দেয়া শুরু হবে। সিনোফার্ম, ফাইজার এবং মডার্না- এই তিন কোম্পানির ৫৮ লাখ ৫৪ হাজারের কিছু বেশি টিকা দেশে এখন মজুদ আছে। সরকার বলেছে, চীন থেকে কেনা বাকি টিকা আসবে সেপ্টেম্বরের মধ্যে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩৫ লাখ টিকা আসবে আগস্টের শুরুর দিকে।

ভ্যাকসিনেশনের মাধ্যমে মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ‘হার্ড ইমিউনিটি’ গড়ে তুলতে হলে দেশের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষকে দুই ডোজ করে টিকা দিতে হবে। আর টিকা দিতে হবে এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে। কারণ মানুষের শরীরে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা অ্যান্টিবডি সক্রিয় থাকে কমবেশি এক বছর।

সরকার দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে চায়। দেশের জনসংখ্যা কমবেশি ১৭ কোটি। সেই হিসাবে ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে হলে সাড়ে ১৩ কোটিরও বেশি মানুষকে ২ ডোজ করে মোট ২৭ কোটিরও বেশি ডোজ টিকা দিতে হবে। দেশে টিকা দেয়া শুরু হয়েছে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে। এখন পর্যন্ত ১ কোটি ডোজের চেয়ে কিছু বেশি টিকা দেয়া হয়েছে। টিকাদানের শুরুর সময় থেকে হিসাব করলে দেখা যায়, হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করতে হলে আগামী বছর ফেব্রুয়ারি, বড়জোর আগস্টের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে বাকি ২৬ কোটি ডোজ টিকা দিতে হবে। অর্থাৎ প্রতি মাসে টিকা লাগবে প্রায় ২ কোটি ডোজ।

প্রশ্ন হচ্ছে, যে গতিতে টিকা দেয়া হচ্ছে তাতে এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে ৮০ শতাংশ মানুষকে দুই ডোজ করে টিকা দেয়া সম্ভব হবে কিনা। টিকা দেয়ার সক্ষমতায় দেশ পিছিয়ে নেই। সরকারি কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, দিনে ৭ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে। সমস্যা হচ্ছে টিকার জোগান নিয়ে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি হিসাব করে দেখেছে যে, দেশে প্রতি মাসে গড়ে ৫০ লাখ টিকা আনা হতে পারে। এই গতিতে টিকা এলে দেশের বেশির ভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে ২০২৪ সাল লেগে যাবে। করোনাভাইরাসের টিকা আমদানির অগ্রগতি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সন্তুষ্ট নয়। এ বিষয়ে কমিটি আগেও অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল।

তিন-চার বছর ধরে টিকা দেয়া হলে হার্ড ইমিউনিটি অর্জন সম্ভব হবে কীভাবে সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রয়োজন অনুযায়ী টিকার সংস্থান করা বড় একটি চ্যালেঞ্জ। একাধিক উৎস থেকে টিকা সংগ্রহ করা হলেও তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। টিকা কেনা বা আমদানির ক্ষেত্রে বাস্তবায়নযোগ্য বিশদ পরিকল্পনা থাকতে হবে। দেশে টিকা উৎপাদন করার যে ঘোষণা দিয়েছে সরকার তা বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে হবে। মহামারীকে মোকাবিলা করতে হলে যেভাবেই হোক হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করতে হবে।

back to top