বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে আজ গাজীপুরের লক্ষ্মীপুরায় পোশাক শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছেন। স্টাইল ক্র্যাফট লিমিটেড নামক তৈরি পোশাক কারখানার আন্দোলনরত শ্রমিকরা অভিযোগ করেছেন যে, তাদের ৮ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। ঈদের আগে একাধিকবার প্রতিশ্রুতি দিলেও মালিকপক্ষ বেতন-ভাতা পরিশোধ করছে না।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে, দেশের সাড়ে পাঁচশ’র বেশি রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক ও বস্ত্র কারখানা এখনও জুনের বেতন পরিশোধ করেনি। সাব-কন্ট্রাক্টিংয়েয় কাজ করে এমন কারখানা হিসাবে নিলে বেতন না দেয়া কারখানার সংখ্যা হবে প্রায় এক হাজার।
শিল্পপুলিশের হিসাব অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিজিএমইএর ৩৪৬, বিকেএমইএর ১৫২ ও বিটিএমএর ৮১ কারখানা শ্রমিকদের জুনের বেতন-ভাতা দেয়নি। শিল্পপুলিশ বলছে, বিজিএমইএর ১ হাজার ৩৮২, বিকেএমইএর ৪৯৫ ও বিটিএমএর ২৪২টি কারখানা এখনও ঈদ বোনাস দেয়নি। তবে বিজিএমইএ দাবি করছে যে, ৯০ শতাংশ কারখানা বেতন পরিশোধ করেছে।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের জুনের বেতন ও ঈদ-বোনাস আগামী ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে পরিশোধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে এ সময়ের মধ্যে সব পোশাক কারখানায় বেতন-বোনাস পরিশোধ করা সম্ভব হবে কিনা সেটা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এবারই প্রথম নয়, প্রতি ঈদের আগেই এক শ্রেণীর পোশাক কারখানা বেতন-বোনাস পরিশোধ করা নিয়ে নানা টালবাহানা করে। বিশেষ করে সাব-কন্ট্রাক্টে কাজ করা কারখানাগুলো যথাসময়ে বেতন-বোনাস পরিশোধ করে না। শেষ সময়ে বেতন-বোনাস না পেয়ে অনেক শ্রমিককে ফিরতে হয় শূন্য হাতে।
ঈদুল আজহার বাকি আছে আর মাত্র ২ দিন। ঈদ উৎসবেও শ্রমিকদের যথাসময়ে বেতন-বোনাস না দেয়া অমানবিক। আমরা এ অমানবিকতার অবসান চাই। শ্রম আইনের বিধান হচ্ছে, এক মাসের বেতন পরের মাসের ৭ কর্মদিবস বা ১০ তারিখের মধ্যে দিতে হবে। সেটা মানেনি বহু কারখানা। শ্রম প্রতিমন্ত্রী ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে জুনের বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধের আহ্বান জানিয়েছেন। আমরা আশা করব, সংশ্লিষ্টরা এ আহ্বানে ইতিবাচকভাবে সাড়া দেবে।
যথাসময়ে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস না দেয়ার সমস্যা শুধু পোশাক কারখানার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। অন্যান্য অনেক শিল্পকারখানায়ও বেতন বকেয়া আছে। এসব কারখানার শ্রমিকদের বকেয়াও পরিশোধ করতে হবে। যেসব কারখানার বেতন-বোনাস ঝুলিয়ে রেখেছে সেগুলোকে নজরদারির মধ্যে রাখতে হবে। শ্রমিকদের পাওনা বুঝিয়ে না দিয়ে কেউ যেন পার না পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
শনিবার, ১৭ জুলাই ২০২১
বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে আজ গাজীপুরের লক্ষ্মীপুরায় পোশাক শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছেন। স্টাইল ক্র্যাফট লিমিটেড নামক তৈরি পোশাক কারখানার আন্দোলনরত শ্রমিকরা অভিযোগ করেছেন যে, তাদের ৮ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। ঈদের আগে একাধিকবার প্রতিশ্রুতি দিলেও মালিকপক্ষ বেতন-ভাতা পরিশোধ করছে না।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে, দেশের সাড়ে পাঁচশ’র বেশি রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক ও বস্ত্র কারখানা এখনও জুনের বেতন পরিশোধ করেনি। সাব-কন্ট্রাক্টিংয়েয় কাজ করে এমন কারখানা হিসাবে নিলে বেতন না দেয়া কারখানার সংখ্যা হবে প্রায় এক হাজার।
শিল্পপুলিশের হিসাব অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিজিএমইএর ৩৪৬, বিকেএমইএর ১৫২ ও বিটিএমএর ৮১ কারখানা শ্রমিকদের জুনের বেতন-ভাতা দেয়নি। শিল্পপুলিশ বলছে, বিজিএমইএর ১ হাজার ৩৮২, বিকেএমইএর ৪৯৫ ও বিটিএমএর ২৪২টি কারখানা এখনও ঈদ বোনাস দেয়নি। তবে বিজিএমইএ দাবি করছে যে, ৯০ শতাংশ কারখানা বেতন পরিশোধ করেছে।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের জুনের বেতন ও ঈদ-বোনাস আগামী ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে পরিশোধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে এ সময়ের মধ্যে সব পোশাক কারখানায় বেতন-বোনাস পরিশোধ করা সম্ভব হবে কিনা সেটা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এবারই প্রথম নয়, প্রতি ঈদের আগেই এক শ্রেণীর পোশাক কারখানা বেতন-বোনাস পরিশোধ করা নিয়ে নানা টালবাহানা করে। বিশেষ করে সাব-কন্ট্রাক্টে কাজ করা কারখানাগুলো যথাসময়ে বেতন-বোনাস পরিশোধ করে না। শেষ সময়ে বেতন-বোনাস না পেয়ে অনেক শ্রমিককে ফিরতে হয় শূন্য হাতে।
ঈদুল আজহার বাকি আছে আর মাত্র ২ দিন। ঈদ উৎসবেও শ্রমিকদের যথাসময়ে বেতন-বোনাস না দেয়া অমানবিক। আমরা এ অমানবিকতার অবসান চাই। শ্রম আইনের বিধান হচ্ছে, এক মাসের বেতন পরের মাসের ৭ কর্মদিবস বা ১০ তারিখের মধ্যে দিতে হবে। সেটা মানেনি বহু কারখানা। শ্রম প্রতিমন্ত্রী ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে জুনের বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধের আহ্বান জানিয়েছেন। আমরা আশা করব, সংশ্লিষ্টরা এ আহ্বানে ইতিবাচকভাবে সাড়া দেবে।
যথাসময়ে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস না দেয়ার সমস্যা শুধু পোশাক কারখানার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। অন্যান্য অনেক শিল্পকারখানায়ও বেতন বকেয়া আছে। এসব কারখানার শ্রমিকদের বকেয়াও পরিশোধ করতে হবে। যেসব কারখানার বেতন-বোনাস ঝুলিয়ে রেখেছে সেগুলোকে নজরদারির মধ্যে রাখতে হবে। শ্রমিকদের পাওনা বুঝিয়ে না দিয়ে কেউ যেন পার না পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।