alt

সম্পাদকীয়

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে

: রোববার, ১৮ জুলাই ২০২১

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাইয়ের ১৬ তারিখ পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছে হয়েছেন ১ হাজার ৫৮ জন। শুধু জুলাইয়ের প্রথম ১৫ দিনেই আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮৬ জন, যা গত ৬ মাসে আক্রান্তের প্রায় দ্বিগুণ। জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৬ মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭২ জন। তাছাড়া ডেঙ্গু সন্দেহ দুজনের মৃত্যুর কথাও জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

আশঙ্কা করা হচ্ছিল যে, বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গু হয়তো বাড়তে পারে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সিটি করপোরেশন ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলছে। তবে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যায় লাগাম টানা যাচ্ছে না। দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমণ ও মৃত্যু ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এই সময় ডেঙ্গুজ্বরের প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে। যদিও এই প্রবণতা এখন পর্যন্ত রাজধানীতেই বেশি। মশা নিধন কার্যক্রম জোরদার করতে না পারলে পরিস্থিতি আরও গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশে জুন থেকে সেপ্টেম্বর অর্থাৎ বর্ষা মৌসুমেই এ জ্বরের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়। তবে সারা বছরই যে কেউ আক্রান্ত হতে পারেন। বর্ষা মৌসুম এখনও শেষ হয়নি। কাজেই ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশার যে বংশবিস্তার ঘটবে সেটি অনুমেয়। করোনা সংক্রমণের কারণে এমনিতেই দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর চাপ বাড়ছে। বাস্তবতা হচ্ছে করোনা রোগীদের ভিড়ের কারণে অন্যান্য রোগীদের চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে। এরপর যদি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়, তাহলে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার পক্ষে সেই চাপ সামলানো কঠিন হয়ে যাবে।

ডেঙ্গুজ্বর রোধ করার একমাত্র উপায় এডিস মশার বংশ বিস্তার রোধ করা। তাই সিটি করপোরেশনকে নিয়মিত মশা নিধন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে। লোক দেখানো নিধন বা অভিযান চালালেই শুধু হবে না। তবে এডিস মশার বংশবিস্তারের যে ধরন তাতে সিটি করপোরেশনের চেয়ে নগরের বাসিন্দাদের দায়িত্ব বেশি। বৃষ্টিপাতের কারণে ঘরের ভেতরে ও বাইরে দুই জায়গায়ই এ মশা জন্মাতে পারে। ঘরের ভেতরে খালি পাত্রে জমে থাকা পানি এবং ঘরের বাইরে ডাবের খোসা, নির্মাণাধীন ভবনে জমা পানিতে এ মশা বংশ বিস্তার করে। এজন্য নগরবাসীর দায়িত্ব অনেক। তাদের সতর্কতা ও সচেতনা জরুরি। এডিস মশার আবাসস্থল ধ্বংসে তাদের এগিয়ে আসতে হবে।

আমরা আশা করব, বর্ষার বাকিটা সময় সিটি করপোরেশন ও নগরবাসী সম্মিলিতভাবে ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে। এডিস নির্মূল করতে না পারলে কোভিড মহামারীর সময় ডেঙ্গু আক্রান্তদের চিকিৎসা দেয়া কঠিন হবে বলে চিকিৎসকরা সতর্ক করেছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

tab

সম্পাদকীয়

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে

রোববার, ১৮ জুলাই ২০২১

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাইয়ের ১৬ তারিখ পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছে হয়েছেন ১ হাজার ৫৮ জন। শুধু জুলাইয়ের প্রথম ১৫ দিনেই আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮৬ জন, যা গত ৬ মাসে আক্রান্তের প্রায় দ্বিগুণ। জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৬ মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭২ জন। তাছাড়া ডেঙ্গু সন্দেহ দুজনের মৃত্যুর কথাও জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

আশঙ্কা করা হচ্ছিল যে, বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গু হয়তো বাড়তে পারে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সিটি করপোরেশন ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলছে। তবে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যায় লাগাম টানা যাচ্ছে না। দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমণ ও মৃত্যু ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এই সময় ডেঙ্গুজ্বরের প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে। যদিও এই প্রবণতা এখন পর্যন্ত রাজধানীতেই বেশি। মশা নিধন কার্যক্রম জোরদার করতে না পারলে পরিস্থিতি আরও গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশে জুন থেকে সেপ্টেম্বর অর্থাৎ বর্ষা মৌসুমেই এ জ্বরের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়। তবে সারা বছরই যে কেউ আক্রান্ত হতে পারেন। বর্ষা মৌসুম এখনও শেষ হয়নি। কাজেই ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশার যে বংশবিস্তার ঘটবে সেটি অনুমেয়। করোনা সংক্রমণের কারণে এমনিতেই দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর চাপ বাড়ছে। বাস্তবতা হচ্ছে করোনা রোগীদের ভিড়ের কারণে অন্যান্য রোগীদের চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে। এরপর যদি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়, তাহলে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার পক্ষে সেই চাপ সামলানো কঠিন হয়ে যাবে।

ডেঙ্গুজ্বর রোধ করার একমাত্র উপায় এডিস মশার বংশ বিস্তার রোধ করা। তাই সিটি করপোরেশনকে নিয়মিত মশা নিধন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে। লোক দেখানো নিধন বা অভিযান চালালেই শুধু হবে না। তবে এডিস মশার বংশবিস্তারের যে ধরন তাতে সিটি করপোরেশনের চেয়ে নগরের বাসিন্দাদের দায়িত্ব বেশি। বৃষ্টিপাতের কারণে ঘরের ভেতরে ও বাইরে দুই জায়গায়ই এ মশা জন্মাতে পারে। ঘরের ভেতরে খালি পাত্রে জমে থাকা পানি এবং ঘরের বাইরে ডাবের খোসা, নির্মাণাধীন ভবনে জমা পানিতে এ মশা বংশ বিস্তার করে। এজন্য নগরবাসীর দায়িত্ব অনেক। তাদের সতর্কতা ও সচেতনা জরুরি। এডিস মশার আবাসস্থল ধ্বংসে তাদের এগিয়ে আসতে হবে।

আমরা আশা করব, বর্ষার বাকিটা সময় সিটি করপোরেশন ও নগরবাসী সম্মিলিতভাবে ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে। এডিস নির্মূল করতে না পারলে কোভিড মহামারীর সময় ডেঙ্গু আক্রান্তদের চিকিৎসা দেয়া কঠিন হবে বলে চিকিৎসকরা সতর্ক করেছেন।

back to top