alt

সম্পাদকীয়

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কার নিরাপত্তা দিচ্ছে?

: মঙ্গলবার, ২৭ জুলাই ২০২১

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে চলতি বছরের ১১ জুলাই পর্যন্ত দেশে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অন্তত ৪৩৩ জনকে। লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের করা এক গবেষণা প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এই তথ্য। সংগঠনটি বলছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অনলাইনে ‘ভুয়া ও আক্রমণাত্মক’ বক্তব্য প্রকাশের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন সাংবাদিক, অধিকারকর্মী, উদ্যোক্তা, কার্টুনিস্ট, গায়ক, শিক্ষার্থী প্রভৃতি শ্রেণী-পেশার মানুষ। এমনকি লিখতে-পড়তে না জানা একজন কৃষককেও উক্ত আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সংগঠনটির হিসাব অনুযায়ী, ২০১৮ সালের অক্টোবরে আইনটি প্রবর্তনের পর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে ২ হাজার ব্যক্তির বিরুদ্ধে ১ হাজার ৩০০টি মামলা করা হয়েছে।

মানুষকে সাইবার অপরাধের হাত থেকে রক্ষা করার লক্ষ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়। আইনে পুলিশকে অসীম ক্ষমতা দেয়া হয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, এই অসীম ক্ষমতা ব্যবহার করা হয় দুর্বলের বিরুদ্ধে এবং সবলের পক্ষে। কিশোরগঞ্জে অক্ষরজ্ঞানহীন একজন কৃষকের বিরুদ্ধে এই আইনের অধীনে মামলা করা হয়েছে। কৃষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে, তার পরামর্শে অন্য আরেক ব্যক্তি ফেইসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছে। যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মতো বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমের অপব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে হয়তো আইনটি নিয়ে প্রশ্ন উঠতো না।

বাস্তবক্ষেত্রে দেখা যায়, ফেইসবুক বা অন্য কোন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষমতাধর কোন ব্যক্তির সমালোচনা করা এমনকি কোন পোস্টে লাইক দেয়া, কমেন্ট করা বা শেয়ার করার অভিযোগে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের ওপর নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এই আইনে পরোয়ানা ছাড়াই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তল্লাশি চালাতে এবং ডিজিটাল ডিভাইস জব্দ করতে পারে। এসব কারণে আইনটি সাধারণ মানুষের রক্ষাকবচ হওয়ার পরিবর্তে স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর নির্যাতন-নিপীড়নের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কোন গণতান্ত্রিক দেশে আইনের সিলেক্টিভ প্রয়োগ কাম্য নয়।

সাইবার জগতে মানুষের নিরাপত্তা দেয়ার প্রয়োজন রয়েছে। মানুষের ‘নিরাপত্তাকে’ আইনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যে পরিণত করতে হবে। আইনকে মত দমন বা মত প্রকাশের জন্য পীড়ন করার যন্ত্রে পরিণত করলে চলবে না। আমরা মনে করি, দেশে এমন কোন আইন থাকা উচিত নয় যা মানুষের মত প্রকাশের সাংবিধানিক অধিকারকে খর্ব করে।

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

tab

সম্পাদকীয়

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কার নিরাপত্তা দিচ্ছে?

মঙ্গলবার, ২৭ জুলাই ২০২১

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে চলতি বছরের ১১ জুলাই পর্যন্ত দেশে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অন্তত ৪৩৩ জনকে। লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের করা এক গবেষণা প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এই তথ্য। সংগঠনটি বলছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অনলাইনে ‘ভুয়া ও আক্রমণাত্মক’ বক্তব্য প্রকাশের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন সাংবাদিক, অধিকারকর্মী, উদ্যোক্তা, কার্টুনিস্ট, গায়ক, শিক্ষার্থী প্রভৃতি শ্রেণী-পেশার মানুষ। এমনকি লিখতে-পড়তে না জানা একজন কৃষককেও উক্ত আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সংগঠনটির হিসাব অনুযায়ী, ২০১৮ সালের অক্টোবরে আইনটি প্রবর্তনের পর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে ২ হাজার ব্যক্তির বিরুদ্ধে ১ হাজার ৩০০টি মামলা করা হয়েছে।

মানুষকে সাইবার অপরাধের হাত থেকে রক্ষা করার লক্ষ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়। আইনে পুলিশকে অসীম ক্ষমতা দেয়া হয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, এই অসীম ক্ষমতা ব্যবহার করা হয় দুর্বলের বিরুদ্ধে এবং সবলের পক্ষে। কিশোরগঞ্জে অক্ষরজ্ঞানহীন একজন কৃষকের বিরুদ্ধে এই আইনের অধীনে মামলা করা হয়েছে। কৃষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে, তার পরামর্শে অন্য আরেক ব্যক্তি ফেইসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছে। যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মতো বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমের অপব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে হয়তো আইনটি নিয়ে প্রশ্ন উঠতো না।

বাস্তবক্ষেত্রে দেখা যায়, ফেইসবুক বা অন্য কোন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষমতাধর কোন ব্যক্তির সমালোচনা করা এমনকি কোন পোস্টে লাইক দেয়া, কমেন্ট করা বা শেয়ার করার অভিযোগে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের ওপর নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এই আইনে পরোয়ানা ছাড়াই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তল্লাশি চালাতে এবং ডিজিটাল ডিভাইস জব্দ করতে পারে। এসব কারণে আইনটি সাধারণ মানুষের রক্ষাকবচ হওয়ার পরিবর্তে স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর নির্যাতন-নিপীড়নের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কোন গণতান্ত্রিক দেশে আইনের সিলেক্টিভ প্রয়োগ কাম্য নয়।

সাইবার জগতে মানুষের নিরাপত্তা দেয়ার প্রয়োজন রয়েছে। মানুষের ‘নিরাপত্তাকে’ আইনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যে পরিণত করতে হবে। আইনকে মত দমন বা মত প্রকাশের জন্য পীড়ন করার যন্ত্রে পরিণত করলে চলবে না। আমরা মনে করি, দেশে এমন কোন আইন থাকা উচিত নয় যা মানুষের মত প্রকাশের সাংবিধানিক অধিকারকে খর্ব করে।

back to top