সব মহামারীই দিন দিন ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। করোনা মহামারীতে মৃত্যু ও সংক্রমণে প্রতিদিন অনাকাক্সিক্ষত রেকর্ড হচ্ছে। রেকর্ড ভাঙা-গড়ার প্রশ্নে আরেক মহামারী সড়ক দুর্ঘটানাও পিছিয়ে নেই।
এবারের ঈদযাত্রার ১১ দিনে সারাদেশে ১৫৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২০৭ জন নিহত এবং ৩৮৯ জন আহত হয়েছেন। গড়ে প্রতিদিন নিহত হয়েছেন ১৮.৮১ জন। গত সোমবার রোড সেফটি ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা লাগামহীনভাবে বেড়েই চলেছে। গত বছরের ঈদুল আজহার আগে-পরে ১৪ দিনে ১৮৭টি দুর্ঘটনায় ২২৯ জন নিহত হয়েছিলেন। গড়ে প্রতিদিন নিহত হয়েছিলেন ১৬ দশমিক ৩৫ জন। সে হিসাবে এ বছর প্রাণহানি বেড়েছে ১৫.০৪ শতাংশ। করোনা মহামারীতে গণপরিবহনগুলো মোট আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। তারপরেও এবার সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৯৬ জন হতাহতের শিকার হয়েছে। যদি স্বাভাবিক সময়ের মতো পূর্ণসংখ্যক বা ওভার লোডেড যাত্রী নিয়ে গণপরিহন চলাচল করত, তাহলে পরিস্থিতি হয়তো আরও ভয়াবহ হতো।
প্রশ্ন হচ্ছে, সড়ক দুর্ঘটনার এ মহামারী দিন দিন কি বাড়তেই থাকবে; না কোন এক সময় নিয়ন্ত্রণে আসবে। বৈশ্বিক মহামারী করোনার এক একটি ঢেউ পূর্বের তুলনায় ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করছে। তারপরেও এটি এক সময় নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলে বিজ্ঞানীরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান টিকা আবিষ্কার করেছে। টিকা দেয়া শুরু হয়েছে, এর সুফলও মিলছে। আমাদের দেশেও টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে, এর সুফলও হয়তো একসময় পাওয়া যাবে, করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা করা যায়।
কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনার মহামারী কবে নিয়ন্ত্রণে আসবেÑ তা কারও জানা নেই। এর বড় কারণ হচ্ছেÑ যা যা করলে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভর তার কোনটাই ঠিকমতো করা হয় না। সড়ক দুর্ঘটনা কেন ঘটে, নিয়ন্ত্রণ করতে কী কী করণীয়, তার সবই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জানা আছে।
রোগ নিয়ন্ত্রণে টিকা আবিষ্কারই যথেষ্ট না, যথা সময়ে, যথা নিয়মে তার প্রয়োগ করা জরুরি। সড়ক দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে, এর কোন প্রতিষেধক বা টিকা যথাযথভাবে প্রয়োগ হয় না। শুধু বিচ্ছিন্নভাবে লোক দেখানো কিছু কাজ হয়। এ কারণে সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধ হচ্ছে না।
সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ হতাহতের ঘটনা কাম্য নয়। সরকার বিভিন্ন সময় সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনার অঙ্গীকার করেছে। আমরা সরকারের অঙ্গীকারের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দেখতে চাই।
বুধবার, ২৮ জুলাই ২০২১
সব মহামারীই দিন দিন ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। করোনা মহামারীতে মৃত্যু ও সংক্রমণে প্রতিদিন অনাকাক্সিক্ষত রেকর্ড হচ্ছে। রেকর্ড ভাঙা-গড়ার প্রশ্নে আরেক মহামারী সড়ক দুর্ঘটানাও পিছিয়ে নেই।
এবারের ঈদযাত্রার ১১ দিনে সারাদেশে ১৫৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২০৭ জন নিহত এবং ৩৮৯ জন আহত হয়েছেন। গড়ে প্রতিদিন নিহত হয়েছেন ১৮.৮১ জন। গত সোমবার রোড সেফটি ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা লাগামহীনভাবে বেড়েই চলেছে। গত বছরের ঈদুল আজহার আগে-পরে ১৪ দিনে ১৮৭টি দুর্ঘটনায় ২২৯ জন নিহত হয়েছিলেন। গড়ে প্রতিদিন নিহত হয়েছিলেন ১৬ দশমিক ৩৫ জন। সে হিসাবে এ বছর প্রাণহানি বেড়েছে ১৫.০৪ শতাংশ। করোনা মহামারীতে গণপরিবহনগুলো মোট আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। তারপরেও এবার সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৯৬ জন হতাহতের শিকার হয়েছে। যদি স্বাভাবিক সময়ের মতো পূর্ণসংখ্যক বা ওভার লোডেড যাত্রী নিয়ে গণপরিহন চলাচল করত, তাহলে পরিস্থিতি হয়তো আরও ভয়াবহ হতো।
প্রশ্ন হচ্ছে, সড়ক দুর্ঘটনার এ মহামারী দিন দিন কি বাড়তেই থাকবে; না কোন এক সময় নিয়ন্ত্রণে আসবে। বৈশ্বিক মহামারী করোনার এক একটি ঢেউ পূর্বের তুলনায় ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করছে। তারপরেও এটি এক সময় নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলে বিজ্ঞানীরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান টিকা আবিষ্কার করেছে। টিকা দেয়া শুরু হয়েছে, এর সুফলও মিলছে। আমাদের দেশেও টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে, এর সুফলও হয়তো একসময় পাওয়া যাবে, করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা করা যায়।
কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনার মহামারী কবে নিয়ন্ত্রণে আসবেÑ তা কারও জানা নেই। এর বড় কারণ হচ্ছেÑ যা যা করলে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভর তার কোনটাই ঠিকমতো করা হয় না। সড়ক দুর্ঘটনা কেন ঘটে, নিয়ন্ত্রণ করতে কী কী করণীয়, তার সবই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জানা আছে।
রোগ নিয়ন্ত্রণে টিকা আবিষ্কারই যথেষ্ট না, যথা সময়ে, যথা নিয়মে তার প্রয়োগ করা জরুরি। সড়ক দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে, এর কোন প্রতিষেধক বা টিকা যথাযথভাবে প্রয়োগ হয় না। শুধু বিচ্ছিন্নভাবে লোক দেখানো কিছু কাজ হয়। এ কারণে সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধ হচ্ছে না।
সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ হতাহতের ঘটনা কাম্য নয়। সরকার বিভিন্ন সময় সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনার অঙ্গীকার করেছে। আমরা সরকারের অঙ্গীকারের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দেখতে চাই।