alt

সম্পাদকীয়

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সরকারের অঙ্গীকারের বাস্তবায়ন চাই

: বুধবার, ২৮ জুলাই ২০২১

সব মহামারীই দিন দিন ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। করোনা মহামারীতে মৃত্যু ও সংক্রমণে প্রতিদিন অনাকাক্সিক্ষত রেকর্ড হচ্ছে। রেকর্ড ভাঙা-গড়ার প্রশ্নে আরেক মহামারী সড়ক দুর্ঘটানাও পিছিয়ে নেই।

এবারের ঈদযাত্রার ১১ দিনে সারাদেশে ১৫৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২০৭ জন নিহত এবং ৩৮৯ জন আহত হয়েছেন। গড়ে প্রতিদিন নিহত হয়েছেন ১৮.৮১ জন। গত সোমবার রোড সেফটি ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা লাগামহীনভাবে বেড়েই চলেছে। গত বছরের ঈদুল আজহার আগে-পরে ১৪ দিনে ১৮৭টি দুর্ঘটনায় ২২৯ জন নিহত হয়েছিলেন। গড়ে প্রতিদিন নিহত হয়েছিলেন ১৬ দশমিক ৩৫ জন। সে হিসাবে এ বছর প্রাণহানি বেড়েছে ১৫.০৪ শতাংশ। করোনা মহামারীতে গণপরিবহনগুলো মোট আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। তারপরেও এবার সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৯৬ জন হতাহতের শিকার হয়েছে। যদি স্বাভাবিক সময়ের মতো পূর্ণসংখ্যক বা ওভার লোডেড যাত্রী নিয়ে গণপরিহন চলাচল করত, তাহলে পরিস্থিতি হয়তো আরও ভয়াবহ হতো।

প্রশ্ন হচ্ছে, সড়ক দুর্ঘটনার এ মহামারী দিন দিন কি বাড়তেই থাকবে; না কোন এক সময় নিয়ন্ত্রণে আসবে। বৈশ্বিক মহামারী করোনার এক একটি ঢেউ পূর্বের তুলনায় ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করছে। তারপরেও এটি এক সময় নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলে বিজ্ঞানীরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান টিকা আবিষ্কার করেছে। টিকা দেয়া শুরু হয়েছে, এর সুফলও মিলছে। আমাদের দেশেও টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে, এর সুফলও হয়তো একসময় পাওয়া যাবে, করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা করা যায়।

কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনার মহামারী কবে নিয়ন্ত্রণে আসবেÑ তা কারও জানা নেই। এর বড় কারণ হচ্ছেÑ যা যা করলে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভর তার কোনটাই ঠিকমতো করা হয় না। সড়ক দুর্ঘটনা কেন ঘটে, নিয়ন্ত্রণ করতে কী কী করণীয়, তার সবই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জানা আছে।

রোগ নিয়ন্ত্রণে টিকা আবিষ্কারই যথেষ্ট না, যথা সময়ে, যথা নিয়মে তার প্রয়োগ করা জরুরি। সড়ক দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে, এর কোন প্রতিষেধক বা টিকা যথাযথভাবে প্রয়োগ হয় না। শুধু বিচ্ছিন্নভাবে লোক দেখানো কিছু কাজ হয়। এ কারণে সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধ হচ্ছে না।

সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ হতাহতের ঘটনা কাম্য নয়। সরকার বিভিন্ন সময় সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনার অঙ্গীকার করেছে। আমরা সরকারের অঙ্গীকারের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দেখতে চাই।

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

tab

সম্পাদকীয়

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সরকারের অঙ্গীকারের বাস্তবায়ন চাই

বুধবার, ২৮ জুলাই ২০২১

সব মহামারীই দিন দিন ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। করোনা মহামারীতে মৃত্যু ও সংক্রমণে প্রতিদিন অনাকাক্সিক্ষত রেকর্ড হচ্ছে। রেকর্ড ভাঙা-গড়ার প্রশ্নে আরেক মহামারী সড়ক দুর্ঘটানাও পিছিয়ে নেই।

এবারের ঈদযাত্রার ১১ দিনে সারাদেশে ১৫৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২০৭ জন নিহত এবং ৩৮৯ জন আহত হয়েছেন। গড়ে প্রতিদিন নিহত হয়েছেন ১৮.৮১ জন। গত সোমবার রোড সেফটি ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা লাগামহীনভাবে বেড়েই চলেছে। গত বছরের ঈদুল আজহার আগে-পরে ১৪ দিনে ১৮৭টি দুর্ঘটনায় ২২৯ জন নিহত হয়েছিলেন। গড়ে প্রতিদিন নিহত হয়েছিলেন ১৬ দশমিক ৩৫ জন। সে হিসাবে এ বছর প্রাণহানি বেড়েছে ১৫.০৪ শতাংশ। করোনা মহামারীতে গণপরিবহনগুলো মোট আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। তারপরেও এবার সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৯৬ জন হতাহতের শিকার হয়েছে। যদি স্বাভাবিক সময়ের মতো পূর্ণসংখ্যক বা ওভার লোডেড যাত্রী নিয়ে গণপরিহন চলাচল করত, তাহলে পরিস্থিতি হয়তো আরও ভয়াবহ হতো।

প্রশ্ন হচ্ছে, সড়ক দুর্ঘটনার এ মহামারী দিন দিন কি বাড়তেই থাকবে; না কোন এক সময় নিয়ন্ত্রণে আসবে। বৈশ্বিক মহামারী করোনার এক একটি ঢেউ পূর্বের তুলনায় ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করছে। তারপরেও এটি এক সময় নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলে বিজ্ঞানীরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান টিকা আবিষ্কার করেছে। টিকা দেয়া শুরু হয়েছে, এর সুফলও মিলছে। আমাদের দেশেও টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে, এর সুফলও হয়তো একসময় পাওয়া যাবে, করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা করা যায়।

কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনার মহামারী কবে নিয়ন্ত্রণে আসবেÑ তা কারও জানা নেই। এর বড় কারণ হচ্ছেÑ যা যা করলে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভর তার কোনটাই ঠিকমতো করা হয় না। সড়ক দুর্ঘটনা কেন ঘটে, নিয়ন্ত্রণ করতে কী কী করণীয়, তার সবই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জানা আছে।

রোগ নিয়ন্ত্রণে টিকা আবিষ্কারই যথেষ্ট না, যথা সময়ে, যথা নিয়মে তার প্রয়োগ করা জরুরি। সড়ক দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে, এর কোন প্রতিষেধক বা টিকা যথাযথভাবে প্রয়োগ হয় না। শুধু বিচ্ছিন্নভাবে লোক দেখানো কিছু কাজ হয়। এ কারণে সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধ হচ্ছে না।

সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ হতাহতের ঘটনা কাম্য নয়। সরকার বিভিন্ন সময় সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনার অঙ্গীকার করেছে। আমরা সরকারের অঙ্গীকারের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দেখতে চাই।

back to top