করোনা চিকিৎসা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেশের ৯৬টি সরকারি হাসপাতালের তথ্য প্রতিদিন বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তিতে হাসপাতালগুলোর সাধারণ ও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) শয্যা, ভর্তি রোগী, হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলাসহ কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থার তথ্য থাকে। কিন্তু তাদের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে দেশের মাঠপর্যায়ের হাসপাতালগুলোর দেওয়া তথ্যের মিল পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে- ভোলা, কুষ্টিয়া, বাগেরহাট, পটুয়াখালী এবং জামালপুর জেলার হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগীদের জন্য ২০টি আইসিইউ রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এসব হাসপাতালে গত রোববার পর্যন্ত সচল কোনো আইসিইউ শয্যাই ছিল না। রাজধানীর মহাখালীর ডিএনসিসি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে ৫৫৪টি সাধারণ শয্যার সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ না থাকায় প্রতিদিনই প্রায় ৫০০টি শয্যা খালি থাকছে। গত রোবাবার সেখানেও ৪৮২টি শয্যা খালি দেখানো হয়েছে। তাছাড়া উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগী ভর্তির তথ্যও নেই বিজ্ঞপ্তিতে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যে তথ্য জানাচ্ছে বাস্তবতার সঙ্গে তার কোন মিল পাওয়া যাচ্ছে না। এটা কী সংশ্লিষ্টদের অনিচ্ছাকৃত ভুল, নাকি ইচ্ছাকৃতভাবে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে তথ্য উপস্থাপন করা হচ্ছে- সেটা জানা জরুরি। তারা যদি জেনে-শুনে তথ্য বিকৃত করে থাকে, তাহলে এর পেছেনের কারণও জানতে হবে। খুঁজে দেখতে হবে তারা কী নিজেদের পিঠ বাঁচানোর জন্য এমন অসত্য তথ্য উপস্থাপন করছে, নাকি সরকার বা সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য করছে।
কাগজে-কলমে উপস্থাপিত তথ্যের সঙ্গে বাস্তবের মিল না থাকলে স্বাস্থ্যখাত নিয়ে সরকারের কর্মপরিকল্পনা বা কাজ করার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে। কাগজে-কলমে আইসিইউ শয্যা খালি দেখানো হয়েছে। কিন্তু কেন খালি, সেটা কি তারা দেখিয়েছে? এ তথ্য দেখে নীতি-নির্ধারকরা ভাবতে পারেন যে, রোগীর চাপ নেই, তাই শয্যা খালি।
অনেক হাসপাতালে চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও লোকবল দেওয়া হয়নি। আবার সরঞ্জাম দিলেও তা নষ্ট হয়ে আছে, মোরামত করা হচ্ছে না। কুষ্টিয়া করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ৩৪টি হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলার ১২টি বিকল, আর দুটি স্থাপনই করা হয়নি।
হাসপাতালের আইসিইউ শয্যা থাকলেও রোগী ভর্তির উপযোগী নয়, সাধারণ শয্যা রোগী রাখার মতো না, হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা থাকলেও বিকল, অক্সিজেন ট্যাংক স্থাপন করা হলেও তা শূন্য-এমন নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি দিনের পর দিন চলতে পারে না। দেশে করোনা মহামারীর সংকটকালে সংশ্লিষ্ট সব তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও উপস্থাপন করতে হবে বাস্তবতার সঙ্গে মিল রেখে। নির্দিষ্ট সময় পর পর তা হালনাগাদ করতে হবে; যাতে পরিস্থিতি বুঝে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়া যাবে। অবাধ তথ্যপ্রবাহের যুগে এটা কোন কঠিন কাজ নয়। সমস্যা দ্রুত চিহ্নিত করে সমাধান করা কোভিড-১৯-এর মতো সংক্রামক রোগের চিকিৎসার জন্য খুবই জরুরি।
মঙ্গলবার, ০৩ আগস্ট ২০২১
করোনা চিকিৎসা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেশের ৯৬টি সরকারি হাসপাতালের তথ্য প্রতিদিন বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তিতে হাসপাতালগুলোর সাধারণ ও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) শয্যা, ভর্তি রোগী, হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলাসহ কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থার তথ্য থাকে। কিন্তু তাদের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে দেশের মাঠপর্যায়ের হাসপাতালগুলোর দেওয়া তথ্যের মিল পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে- ভোলা, কুষ্টিয়া, বাগেরহাট, পটুয়াখালী এবং জামালপুর জেলার হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগীদের জন্য ২০টি আইসিইউ রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এসব হাসপাতালে গত রোববার পর্যন্ত সচল কোনো আইসিইউ শয্যাই ছিল না। রাজধানীর মহাখালীর ডিএনসিসি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে ৫৫৪টি সাধারণ শয্যার সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ না থাকায় প্রতিদিনই প্রায় ৫০০টি শয্যা খালি থাকছে। গত রোবাবার সেখানেও ৪৮২টি শয্যা খালি দেখানো হয়েছে। তাছাড়া উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগী ভর্তির তথ্যও নেই বিজ্ঞপ্তিতে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যে তথ্য জানাচ্ছে বাস্তবতার সঙ্গে তার কোন মিল পাওয়া যাচ্ছে না। এটা কী সংশ্লিষ্টদের অনিচ্ছাকৃত ভুল, নাকি ইচ্ছাকৃতভাবে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে তথ্য উপস্থাপন করা হচ্ছে- সেটা জানা জরুরি। তারা যদি জেনে-শুনে তথ্য বিকৃত করে থাকে, তাহলে এর পেছেনের কারণও জানতে হবে। খুঁজে দেখতে হবে তারা কী নিজেদের পিঠ বাঁচানোর জন্য এমন অসত্য তথ্য উপস্থাপন করছে, নাকি সরকার বা সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য করছে।
কাগজে-কলমে উপস্থাপিত তথ্যের সঙ্গে বাস্তবের মিল না থাকলে স্বাস্থ্যখাত নিয়ে সরকারের কর্মপরিকল্পনা বা কাজ করার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে। কাগজে-কলমে আইসিইউ শয্যা খালি দেখানো হয়েছে। কিন্তু কেন খালি, সেটা কি তারা দেখিয়েছে? এ তথ্য দেখে নীতি-নির্ধারকরা ভাবতে পারেন যে, রোগীর চাপ নেই, তাই শয্যা খালি।
অনেক হাসপাতালে চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও লোকবল দেওয়া হয়নি। আবার সরঞ্জাম দিলেও তা নষ্ট হয়ে আছে, মোরামত করা হচ্ছে না। কুষ্টিয়া করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ৩৪টি হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলার ১২টি বিকল, আর দুটি স্থাপনই করা হয়নি।
হাসপাতালের আইসিইউ শয্যা থাকলেও রোগী ভর্তির উপযোগী নয়, সাধারণ শয্যা রোগী রাখার মতো না, হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা থাকলেও বিকল, অক্সিজেন ট্যাংক স্থাপন করা হলেও তা শূন্য-এমন নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি দিনের পর দিন চলতে পারে না। দেশে করোনা মহামারীর সংকটকালে সংশ্লিষ্ট সব তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও উপস্থাপন করতে হবে বাস্তবতার সঙ্গে মিল রেখে। নির্দিষ্ট সময় পর পর তা হালনাগাদ করতে হবে; যাতে পরিস্থিতি বুঝে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়া যাবে। অবাধ তথ্যপ্রবাহের যুগে এটা কোন কঠিন কাজ নয়। সমস্যা দ্রুত চিহ্নিত করে সমাধান করা কোভিড-১৯-এর মতো সংক্রামক রোগের চিকিৎসার জন্য খুবই জরুরি।