কোভিড-১৯ রোগের সংক্রমণ প্রতিরোধের লক্ষ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার নানান শর্ত দিয়ে কথিত লকডাউন তুলে দেয়া হয়েছে। কিন্তু গণপরিবহনে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। পর্যটন বা বিনোদন কেন্দ্রেও তা মানা হচ্ছে না। কলকারখানা, সরকারি-বেসরকারি অফিসে উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ন্যূনতম চেষ্টা দেখা যায় না। হাত ধোয়া শিকেয় উঠেছে আরো আগেই। এখন বাকি আছে শুধু মাস্ক। অনেকে সেই মাস্কও পরেন না। যারা মাস্ক পরেন সেটা তাদের অনেকেরই নাকের নিচে, থুঁতনিতে বা গলায় ঝোলানো থাকে।
দেশে করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণ ধীরে ধীরে কমলেও স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রশ্নে উদাসীন হওয়ার সুযোগ নেই। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করা হলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তথাকথিত কঠোর লকডাউন বেশিরভাগ মানুষ মানতে চাইছে না। সিংহভাগ জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনা যায়নি। এ অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সর্বাবস্থাতেই স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
দুই ডোজ টিকা নেয়া মানুষকেও মাস্ক পরতে হবে। কারণ দুই ডোজ টিকা নিলেও করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। যারা মাস্ক পরছেন না তাদের কারণে অন্যরা সংক্রমিত হতে পারেন। একজনের উদাসীনতা-অবহেলার কারণে আরেকজনকে দুর্ভোগ পোহাতে হবে- এটা কাম্য নয়। এক ব্যক্তির কাছ থেকে অন্য ব্যক্তির মধ্যে যেন ভাইরাস ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য সবাইকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে, মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যবিধি।
ঘরের বাইরে বের হলে অবশ্যই নিয়ম মেনে মাস্ক পরতে হবে। নাকের নিচে, থুঁতনিতে বা গলায় ঝুলিয়ে রাখলে চলবে না। ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া ঘর বা কর্মস্থলের বাইরে অবস্থান না করাই উত্তম। ঘন ঘন হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানলে করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধ করার পাশাপাশি অন্যান্য অনেক সংক্রামক রোগ থেকেও নিজেদের রক্ষা করা সম্ভব হবে।
সর্বত্র যাতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হয় সেজন্য সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে। মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরির কাজ অব্যাহত রাখতে হবে। কেউ স্বাস্থ্যবিধি না মানলে তাকে সেটা মানানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এক্ষেত্রে শৈথিল্যের কোন সুযোগ নেই। স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে উদাসীনতা দেশের মানুষকে আবার বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিক- সেটা আমরা চাই না।
বুধবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২১
কোভিড-১৯ রোগের সংক্রমণ প্রতিরোধের লক্ষ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার নানান শর্ত দিয়ে কথিত লকডাউন তুলে দেয়া হয়েছে। কিন্তু গণপরিবহনে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। পর্যটন বা বিনোদন কেন্দ্রেও তা মানা হচ্ছে না। কলকারখানা, সরকারি-বেসরকারি অফিসে উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ন্যূনতম চেষ্টা দেখা যায় না। হাত ধোয়া শিকেয় উঠেছে আরো আগেই। এখন বাকি আছে শুধু মাস্ক। অনেকে সেই মাস্কও পরেন না। যারা মাস্ক পরেন সেটা তাদের অনেকেরই নাকের নিচে, থুঁতনিতে বা গলায় ঝোলানো থাকে।
দেশে করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণ ধীরে ধীরে কমলেও স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রশ্নে উদাসীন হওয়ার সুযোগ নেই। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করা হলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তথাকথিত কঠোর লকডাউন বেশিরভাগ মানুষ মানতে চাইছে না। সিংহভাগ জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনা যায়নি। এ অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সর্বাবস্থাতেই স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
দুই ডোজ টিকা নেয়া মানুষকেও মাস্ক পরতে হবে। কারণ দুই ডোজ টিকা নিলেও করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। যারা মাস্ক পরছেন না তাদের কারণে অন্যরা সংক্রমিত হতে পারেন। একজনের উদাসীনতা-অবহেলার কারণে আরেকজনকে দুর্ভোগ পোহাতে হবে- এটা কাম্য নয়। এক ব্যক্তির কাছ থেকে অন্য ব্যক্তির মধ্যে যেন ভাইরাস ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য সবাইকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে, মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যবিধি।
ঘরের বাইরে বের হলে অবশ্যই নিয়ম মেনে মাস্ক পরতে হবে। নাকের নিচে, থুঁতনিতে বা গলায় ঝুলিয়ে রাখলে চলবে না। ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া ঘর বা কর্মস্থলের বাইরে অবস্থান না করাই উত্তম। ঘন ঘন হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানলে করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধ করার পাশাপাশি অন্যান্য অনেক সংক্রামক রোগ থেকেও নিজেদের রক্ষা করা সম্ভব হবে।
সর্বত্র যাতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হয় সেজন্য সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে। মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরির কাজ অব্যাহত রাখতে হবে। কেউ স্বাস্থ্যবিধি না মানলে তাকে সেটা মানানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এক্ষেত্রে শৈথিল্যের কোন সুযোগ নেই। স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে উদাসীনতা দেশের মানুষকে আবার বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিক- সেটা আমরা চাই না।