alt

সম্পাদকীয়

সাম্প্রদায়িক হামলা : এখন আর রাতের আঁধারের অপেক্ষায় থাকতে হয় না

: বৃহস্পতিবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২১

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে একটি হিন্দু পরিবারের বসতভিটা দখল করার অপচেষ্টা করছে স্থানীয় একটি চক্র। দখলে বাধা দেয়ায় গত সোমবার জমির মালিক পুষ্পরানী মন্ডলের ওপর (৫১) হামলা চালিয়েছে দখলকারীরা। স্থানীয় প্রশাসন দখলদারদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়নি বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে আজ সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

দেশে যেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, তাদের সম্পদ দখলের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। গণমাধ্যমে নিয়মিতই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় স্থাপনা, ঘরবাড়ি ভাঙচুরের খবর ছাপা হয়। ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের সম্পদ আত্মসাতের অপচেষ্টা চলমান আছে। স্বাধীনতার এত বছর পরও তাদের জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে সবসময় শঙ্কিত থাকতে হয়। স্বাধীনতার পক্ষের বা অসাম্প্রদায়িক শক্তি বলে নিজেদের দাবি করে যে রাজনৈতিক দল তাদের শাসন আমলেও এই শঙ্কা দূর হয়নি।

একটি উগ্র ধর্মীয় গোষ্ঠী বরাবরই প্রকাশ্যে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়ায়। মসজিদ-মাদ্রাসা থেকে মাইকে ঘোষণা দিয়ে সাম্প্রদায়িক হামলা চালানোর নজির দেশে রয়েছে। এর পাশাপাশি একটি চক্র সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সম্পদ দিন-দুপুরেই দখল করে নেয়, রাতের আঁধারের জন্য তারা অপেক্ষা করে না। প্রশাসনের নাকের ডগার ওপর দিয়ে জনসম্মুখেই হামলা আর দখলের মচ্ছব চলে। সুচতুর এই চক্র কখনও কখনও হামলা-দখলের মচ্ছবে অংশ নিতে স্থানীয় বাসিন্দাদেরকেও উসকানি দেয়।

সাম্প্রদায়িক হামলা বন্ধে সরকারগুলো কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেয় না বলেই দেশে হিন্দু সম্প্রদায় বারবার নানা ভাবে নানা মাত্রায় হামলার শিকার হচ্ছে। আশ্বাস আর তদন্তের মধ্যে সাম্প্রদায়িক হামলা বা সহিংসতার ঘটনার বিচার আটকে থাকে। বাস্তবে বিচার হয় না বললেই চলে। বিচারহীনতার অপসংস্কৃতি আর রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশয়ের কারণে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর বাড় বাড়ন্ত হয়েছে।

সিরাজদিখানে কারা হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালিয়েছে তাদের সম্পদ দখলের অপচেষ্টা করছে সেটা অজানা নয়। জরুরি হচ্ছে তাদের গ্রেপ্তার করে উপযুক্ত শাস্তি দেয়া। শাস্তি দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা গেলে সাম্প্রদায়িক হামলা বন্ধ হতে পারে। সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে মদদ দেয়া বা রাজনৈতিক প্রশ্রয় দেয়া বন্ধ করাও জরুরি। স্থানীয় প্রশাসন হিন্দু পরিবারটির জমি দখলের অপচেষ্টা রুখতে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি বলে যে অভিযোগ উঠেছে সেটাও খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

সাম্প্রদায়িক হামলা : এখন আর রাতের আঁধারের অপেক্ষায় থাকতে হয় না

বৃহস্পতিবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২১

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে একটি হিন্দু পরিবারের বসতভিটা দখল করার অপচেষ্টা করছে স্থানীয় একটি চক্র। দখলে বাধা দেয়ায় গত সোমবার জমির মালিক পুষ্পরানী মন্ডলের ওপর (৫১) হামলা চালিয়েছে দখলকারীরা। স্থানীয় প্রশাসন দখলদারদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়নি বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে আজ সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

দেশে যেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, তাদের সম্পদ দখলের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। গণমাধ্যমে নিয়মিতই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় স্থাপনা, ঘরবাড়ি ভাঙচুরের খবর ছাপা হয়। ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের সম্পদ আত্মসাতের অপচেষ্টা চলমান আছে। স্বাধীনতার এত বছর পরও তাদের জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে সবসময় শঙ্কিত থাকতে হয়। স্বাধীনতার পক্ষের বা অসাম্প্রদায়িক শক্তি বলে নিজেদের দাবি করে যে রাজনৈতিক দল তাদের শাসন আমলেও এই শঙ্কা দূর হয়নি।

একটি উগ্র ধর্মীয় গোষ্ঠী বরাবরই প্রকাশ্যে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়ায়। মসজিদ-মাদ্রাসা থেকে মাইকে ঘোষণা দিয়ে সাম্প্রদায়িক হামলা চালানোর নজির দেশে রয়েছে। এর পাশাপাশি একটি চক্র সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সম্পদ দিন-দুপুরেই দখল করে নেয়, রাতের আঁধারের জন্য তারা অপেক্ষা করে না। প্রশাসনের নাকের ডগার ওপর দিয়ে জনসম্মুখেই হামলা আর দখলের মচ্ছব চলে। সুচতুর এই চক্র কখনও কখনও হামলা-দখলের মচ্ছবে অংশ নিতে স্থানীয় বাসিন্দাদেরকেও উসকানি দেয়।

সাম্প্রদায়িক হামলা বন্ধে সরকারগুলো কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেয় না বলেই দেশে হিন্দু সম্প্রদায় বারবার নানা ভাবে নানা মাত্রায় হামলার শিকার হচ্ছে। আশ্বাস আর তদন্তের মধ্যে সাম্প্রদায়িক হামলা বা সহিংসতার ঘটনার বিচার আটকে থাকে। বাস্তবে বিচার হয় না বললেই চলে। বিচারহীনতার অপসংস্কৃতি আর রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশয়ের কারণে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর বাড় বাড়ন্ত হয়েছে।

সিরাজদিখানে কারা হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালিয়েছে তাদের সম্পদ দখলের অপচেষ্টা করছে সেটা অজানা নয়। জরুরি হচ্ছে তাদের গ্রেপ্তার করে উপযুক্ত শাস্তি দেয়া। শাস্তি দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা গেলে সাম্প্রদায়িক হামলা বন্ধ হতে পারে। সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে মদদ দেয়া বা রাজনৈতিক প্রশ্রয় দেয়া বন্ধ করাও জরুরি। স্থানীয় প্রশাসন হিন্দু পরিবারটির জমি দখলের অপচেষ্টা রুখতে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি বলে যে অভিযোগ উঠেছে সেটাও খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top