রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণ নিয়ে নতুন একটি গবেষণা প্রকাশ করেছে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউট। বিশ্ববিদ্যালয়টির ‘এয়ার কোয়ালিটি লাইফ ইনডেক্স’ শীর্ষক গবেষণায় দেখা গেছে, গত কয়েক বছর যাবত রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণের মাত্রা বিপজ্জনক পর্যায়ে অবস্থান করছে। যার সর্বাধিক প্রভাব পড়ছে রাজধানীর বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যের ওপর। নানা ধরনের কঠিন অসুখে ভুগছে তারা। বিশেষ করে এখানকার শিশু ও বয়স্করাই বায়ুদূষণের সবচেয়ে বড় শিকার হচ্ছে।
রাজধানী ঢাকায় গত ১০ বছরে বায়ুদূষণ বেড়েছে ৮৬ শতাংশ। দীর্ঘমেয়াদি এ বায়ুদূষণের কারণে এখানাকার বাসিন্দাদের গড় আয়ু কমেছে প্রায় সাত বছর সাত মাস। গবেষণার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বায়ুদূষণের কারণে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু কমেছে প্রায় পাঁচ বছর চার মাস।
গবেষণাটি নতুন, কিন্তু রাজধানীর বায়ুদূষণ নতুন নয়। বায়ুদূষণকে বলা চলে রাজধানীর ক্রণিক রোগ, যা নিয়ে অতীতেও দেশে-বিদেশে বহু গবেষণা হয়েছে। এই রোগের উপশম কী- সেটাও এসব গবেষণায় উঠে আসছে। রাজধানীতে দূষণের রোগ কেবল এই একটিই নয়। এর সাথে রয়েছে শব্দ, পানি ও মাটিদূষণ। আর নদীদূষণ ও দখল তো আছেই। এমন অসংখ্য রোগে ধুঁকছে রাজধানী, ভুগছে মানুষ।
রোগই শেষ কথা নয়। রোগ হলে নিরাময়ের পথও থাকে। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় রাজধানীর দূষণের রোগের কোন নিরাময় নেই, মানুষের মুক্তি নেই। বরং দিন দিন এই রোগ প্রকট আকার ধারণ করছে। বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে রাজধানী। বিশ্বের শহরগুলোর বাসযোগ্যতা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো যে জরিপ করে তাতে ঢাকার অবস্থান তলানিতেই থাকে।
নানান দূষণে ধূঁকতে থাকা রাজধানীকে রক্ষা করার কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেয়া হবে কি না- সেটা একটা প্রশ্ন। দূষণ বন্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আইনি ক্ষমতার পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার করতে দেখা যায় না। রোগ নিরাময়ের দায়িত্ব যাদের তারা যদি হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকে তাহলে রাজধানীবাসী রক্ষা পাবে কীভাবে।
শুক্রবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণ নিয়ে নতুন একটি গবেষণা প্রকাশ করেছে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউট। বিশ্ববিদ্যালয়টির ‘এয়ার কোয়ালিটি লাইফ ইনডেক্স’ শীর্ষক গবেষণায় দেখা গেছে, গত কয়েক বছর যাবত রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণের মাত্রা বিপজ্জনক পর্যায়ে অবস্থান করছে। যার সর্বাধিক প্রভাব পড়ছে রাজধানীর বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যের ওপর। নানা ধরনের কঠিন অসুখে ভুগছে তারা। বিশেষ করে এখানকার শিশু ও বয়স্করাই বায়ুদূষণের সবচেয়ে বড় শিকার হচ্ছে।
রাজধানী ঢাকায় গত ১০ বছরে বায়ুদূষণ বেড়েছে ৮৬ শতাংশ। দীর্ঘমেয়াদি এ বায়ুদূষণের কারণে এখানাকার বাসিন্দাদের গড় আয়ু কমেছে প্রায় সাত বছর সাত মাস। গবেষণার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বায়ুদূষণের কারণে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু কমেছে প্রায় পাঁচ বছর চার মাস।
গবেষণাটি নতুন, কিন্তু রাজধানীর বায়ুদূষণ নতুন নয়। বায়ুদূষণকে বলা চলে রাজধানীর ক্রণিক রোগ, যা নিয়ে অতীতেও দেশে-বিদেশে বহু গবেষণা হয়েছে। এই রোগের উপশম কী- সেটাও এসব গবেষণায় উঠে আসছে। রাজধানীতে দূষণের রোগ কেবল এই একটিই নয়। এর সাথে রয়েছে শব্দ, পানি ও মাটিদূষণ। আর নদীদূষণ ও দখল তো আছেই। এমন অসংখ্য রোগে ধুঁকছে রাজধানী, ভুগছে মানুষ।
রোগই শেষ কথা নয়। রোগ হলে নিরাময়ের পথও থাকে। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় রাজধানীর দূষণের রোগের কোন নিরাময় নেই, মানুষের মুক্তি নেই। বরং দিন দিন এই রোগ প্রকট আকার ধারণ করছে। বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে রাজধানী। বিশ্বের শহরগুলোর বাসযোগ্যতা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো যে জরিপ করে তাতে ঢাকার অবস্থান তলানিতেই থাকে।
নানান দূষণে ধূঁকতে থাকা রাজধানীকে রক্ষা করার কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেয়া হবে কি না- সেটা একটা প্রশ্ন। দূষণ বন্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আইনি ক্ষমতার পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার করতে দেখা যায় না। রোগ নিরাময়ের দায়িত্ব যাদের তারা যদি হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকে তাহলে রাজধানীবাসী রক্ষা পাবে কীভাবে।