alt

সম্পাদকীয়

দূষণের ক্রনিক রোগে ধুঁকছে রাজধানী, ভুগছে মানুষ

: শুক্রবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণ নিয়ে নতুন একটি গবেষণা প্রকাশ করেছে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউট। বিশ্ববিদ্যালয়টির ‘এয়ার কোয়ালিটি লাইফ ইনডেক্স’ শীর্ষক গবেষণায় দেখা গেছে, গত কয়েক বছর যাবত রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণের মাত্রা বিপজ্জনক পর্যায়ে অবস্থান করছে। যার সর্বাধিক প্রভাব পড়ছে রাজধানীর বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যের ওপর। নানা ধরনের কঠিন অসুখে ভুগছে তারা। বিশেষ করে এখানকার শিশু ও বয়স্করাই বায়ুদূষণের সবচেয়ে বড় শিকার হচ্ছে।

রাজধানী ঢাকায় গত ১০ বছরে বায়ুদূষণ বেড়েছে ৮৬ শতাংশ। দীর্ঘমেয়াদি এ বায়ুদূষণের কারণে এখানাকার বাসিন্দাদের গড় আয়ু কমেছে প্রায় সাত বছর সাত মাস। গবেষণার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বায়ুদূষণের কারণে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু কমেছে প্রায় পাঁচ বছর চার মাস।

গবেষণাটি নতুন, কিন্তু রাজধানীর বায়ুদূষণ নতুন নয়। বায়ুদূষণকে বলা চলে রাজধানীর ক্রণিক রোগ, যা নিয়ে অতীতেও দেশে-বিদেশে বহু গবেষণা হয়েছে। এই রোগের উপশম কী- সেটাও এসব গবেষণায় উঠে আসছে। রাজধানীতে দূষণের রোগ কেবল এই একটিই নয়। এর সাথে রয়েছে শব্দ, পানি ও মাটিদূষণ। আর নদীদূষণ ও দখল তো আছেই। এমন অসংখ্য রোগে ধুঁকছে রাজধানী, ভুগছে মানুষ।

রোগই শেষ কথা নয়। রোগ হলে নিরাময়ের পথও থাকে। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় রাজধানীর দূষণের রোগের কোন নিরাময় নেই, মানুষের মুক্তি নেই। বরং দিন দিন এই রোগ প্রকট আকার ধারণ করছে। বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে রাজধানী। বিশ্বের শহরগুলোর বাসযোগ্যতা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো যে জরিপ করে তাতে ঢাকার অবস্থান তলানিতেই থাকে।

নানান দূষণে ধূঁকতে থাকা রাজধানীকে রক্ষা করার কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেয়া হবে কি না- সেটা একটা প্রশ্ন। দূষণ বন্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আইনি ক্ষমতার পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার করতে দেখা যায় না। রোগ নিরাময়ের দায়িত্ব যাদের তারা যদি হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকে তাহলে রাজধানীবাসী রক্ষা পাবে কীভাবে।

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

রায়গঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাবতে হবে

জলাশয় দূষণের জন্য দায়ী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

বহরবুনিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণে আর কত বিলম্ব

মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিন

সিলেট ‘ইইডি’ কার্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

পাহাড় কাটা বন্ধ করুন

স্বাধীনতার ৫৪ বছর : মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা কতটা পূরণ হলো

চিকিৎসক সংকট দূর করুন

tab

সম্পাদকীয়

দূষণের ক্রনিক রোগে ধুঁকছে রাজধানী, ভুগছে মানুষ

শুক্রবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণ নিয়ে নতুন একটি গবেষণা প্রকাশ করেছে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউট। বিশ্ববিদ্যালয়টির ‘এয়ার কোয়ালিটি লাইফ ইনডেক্স’ শীর্ষক গবেষণায় দেখা গেছে, গত কয়েক বছর যাবত রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণের মাত্রা বিপজ্জনক পর্যায়ে অবস্থান করছে। যার সর্বাধিক প্রভাব পড়ছে রাজধানীর বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যের ওপর। নানা ধরনের কঠিন অসুখে ভুগছে তারা। বিশেষ করে এখানকার শিশু ও বয়স্করাই বায়ুদূষণের সবচেয়ে বড় শিকার হচ্ছে।

রাজধানী ঢাকায় গত ১০ বছরে বায়ুদূষণ বেড়েছে ৮৬ শতাংশ। দীর্ঘমেয়াদি এ বায়ুদূষণের কারণে এখানাকার বাসিন্দাদের গড় আয়ু কমেছে প্রায় সাত বছর সাত মাস। গবেষণার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বায়ুদূষণের কারণে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু কমেছে প্রায় পাঁচ বছর চার মাস।

গবেষণাটি নতুন, কিন্তু রাজধানীর বায়ুদূষণ নতুন নয়। বায়ুদূষণকে বলা চলে রাজধানীর ক্রণিক রোগ, যা নিয়ে অতীতেও দেশে-বিদেশে বহু গবেষণা হয়েছে। এই রোগের উপশম কী- সেটাও এসব গবেষণায় উঠে আসছে। রাজধানীতে দূষণের রোগ কেবল এই একটিই নয়। এর সাথে রয়েছে শব্দ, পানি ও মাটিদূষণ। আর নদীদূষণ ও দখল তো আছেই। এমন অসংখ্য রোগে ধুঁকছে রাজধানী, ভুগছে মানুষ।

রোগই শেষ কথা নয়। রোগ হলে নিরাময়ের পথও থাকে। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় রাজধানীর দূষণের রোগের কোন নিরাময় নেই, মানুষের মুক্তি নেই। বরং দিন দিন এই রোগ প্রকট আকার ধারণ করছে। বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে রাজধানী। বিশ্বের শহরগুলোর বাসযোগ্যতা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো যে জরিপ করে তাতে ঢাকার অবস্থান তলানিতেই থাকে।

নানান দূষণে ধূঁকতে থাকা রাজধানীকে রক্ষা করার কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেয়া হবে কি না- সেটা একটা প্রশ্ন। দূষণ বন্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আইনি ক্ষমতার পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার করতে দেখা যায় না। রোগ নিরাময়ের দায়িত্ব যাদের তারা যদি হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকে তাহলে রাজধানীবাসী রক্ষা পাবে কীভাবে।

back to top