alt

সম্পাদকীয়

সিডও সনদের ধারা দুটির ওপর থেকে সংরক্ষণ তুলে নিন

: সোমবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

জাতিসংঘে নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য বিলোপ (সিডও) সনদ গ্রহণ করা হয় ১৯৭৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর। বাংলাদেশ এতে স্বাক্ষর করে ১৯৮৪ সালে। এরপর পেরিয়ে গেছে ৩৭ বছর, কিন্তু সনদের ২ ও ১৬.১-এর (গ) ধারা দুটির ওপর থেকে সংরক্ষণ তুলে নেয়া হয়নি।

সিডও সনদের ২ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে- নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য নিরসনে শরিক দেশগুলো আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবে এবং আইনের সংস্কার করবে। আর ১৬.১ (গ) ধারায় বিয়ে ও বিয়েবিচ্ছেদের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান অধিকার ও দায়িত্বের কথা বলা হয়েছে।

সিডও সনদের ধারা দুটির ওপর থেকে সংরক্ষণ তুলে নেয়ার দাবি দীর্ঘদিনের। তবে সরকার বিভিন্ন সময় বলেছে, দেশের সমাজবাস্তবতার প্রেক্ষিতে সংরক্ষণ তুলে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ বিষয়ে ধর্মীয় নেতাদের মতকেও আমলে নিতে হচ্ছে সরকারকে। প্রশ্ন হচ্ছে, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ধর্মীয় নেতাদের দিকে মুখ চেয়ে থাকবে কেন। সরকারকে কেবল কি বিশেষ একটি ধর্মের নেতাদের নাকি দেশের সকল ধর্মের নেতাদের দিকে মুখ চেয়ে থাকতে হচ্ছে- সেটা জানা জরুরি।

‘সমাজবাস্তবতার’ গণ্ডিতে আবদ্ধ থাকলে নারী-পুরুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে না। বর্তমান বিশ্বে যেসব রাষ্ট্র ‘সমাজবাস্তবতা’ আর ধর্মীয় নেতাদের মুখাপেক্ষী হয়ে চলছে সেসব দেশের নারীরা অবর্ণনীয় দুর্গতি পোহাচ্ছেন, সমান অধিকার তো পরের কথা। অভিযোগ রয়েছে, ভোটের রাজনীতির কারণে সরকারগুলো নারী-পুরুষের সমান অধিকারের ইস্যুকে এড়িয়ে চলছে। আমরা বলতে চাই, ভোট কেবল বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীই দেয় না, নারীরাও ভোট দেন। কাজেই নারীর কোন ন্যায্য দাবিকে নির্বাচিত সরকার উপেক্ষা করতে পারে না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংরক্ষণ তুলে নিয়ে সিডও সনদের ধারা দুটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দেশের সংবিধানে বা আইনে কোন বাধা নেই। জরুরি হচ্ছে সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা। উক্ত দুটি ধারা থেকে সরকার সংরক্ষণ তুলে নিচ্ছে- সেটাই আমরা দেখতে চাই। নারীর রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অগ্রগতির জন্য এটা অত্যন্ত জরুরি।

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

সিডও সনদের ধারা দুটির ওপর থেকে সংরক্ষণ তুলে নিন

সোমবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

জাতিসংঘে নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য বিলোপ (সিডও) সনদ গ্রহণ করা হয় ১৯৭৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর। বাংলাদেশ এতে স্বাক্ষর করে ১৯৮৪ সালে। এরপর পেরিয়ে গেছে ৩৭ বছর, কিন্তু সনদের ২ ও ১৬.১-এর (গ) ধারা দুটির ওপর থেকে সংরক্ষণ তুলে নেয়া হয়নি।

সিডও সনদের ২ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে- নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য নিরসনে শরিক দেশগুলো আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবে এবং আইনের সংস্কার করবে। আর ১৬.১ (গ) ধারায় বিয়ে ও বিয়েবিচ্ছেদের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান অধিকার ও দায়িত্বের কথা বলা হয়েছে।

সিডও সনদের ধারা দুটির ওপর থেকে সংরক্ষণ তুলে নেয়ার দাবি দীর্ঘদিনের। তবে সরকার বিভিন্ন সময় বলেছে, দেশের সমাজবাস্তবতার প্রেক্ষিতে সংরক্ষণ তুলে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ বিষয়ে ধর্মীয় নেতাদের মতকেও আমলে নিতে হচ্ছে সরকারকে। প্রশ্ন হচ্ছে, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ধর্মীয় নেতাদের দিকে মুখ চেয়ে থাকবে কেন। সরকারকে কেবল কি বিশেষ একটি ধর্মের নেতাদের নাকি দেশের সকল ধর্মের নেতাদের দিকে মুখ চেয়ে থাকতে হচ্ছে- সেটা জানা জরুরি।

‘সমাজবাস্তবতার’ গণ্ডিতে আবদ্ধ থাকলে নারী-পুরুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে না। বর্তমান বিশ্বে যেসব রাষ্ট্র ‘সমাজবাস্তবতা’ আর ধর্মীয় নেতাদের মুখাপেক্ষী হয়ে চলছে সেসব দেশের নারীরা অবর্ণনীয় দুর্গতি পোহাচ্ছেন, সমান অধিকার তো পরের কথা। অভিযোগ রয়েছে, ভোটের রাজনীতির কারণে সরকারগুলো নারী-পুরুষের সমান অধিকারের ইস্যুকে এড়িয়ে চলছে। আমরা বলতে চাই, ভোট কেবল বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীই দেয় না, নারীরাও ভোট দেন। কাজেই নারীর কোন ন্যায্য দাবিকে নির্বাচিত সরকার উপেক্ষা করতে পারে না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংরক্ষণ তুলে নিয়ে সিডও সনদের ধারা দুটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দেশের সংবিধানে বা আইনে কোন বাধা নেই। জরুরি হচ্ছে সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা। উক্ত দুটি ধারা থেকে সরকার সংরক্ষণ তুলে নিচ্ছে- সেটাই আমরা দেখতে চাই। নারীর রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অগ্রগতির জন্য এটা অত্যন্ত জরুরি।

back to top