জাতিসংঘে নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য বিলোপ (সিডও) সনদ গ্রহণ করা হয় ১৯৭৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর। বাংলাদেশ এতে স্বাক্ষর করে ১৯৮৪ সালে। এরপর পেরিয়ে গেছে ৩৭ বছর, কিন্তু সনদের ২ ও ১৬.১-এর (গ) ধারা দুটির ওপর থেকে সংরক্ষণ তুলে নেয়া হয়নি।
সিডও সনদের ২ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে- নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য নিরসনে শরিক দেশগুলো আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবে এবং আইনের সংস্কার করবে। আর ১৬.১ (গ) ধারায় বিয়ে ও বিয়েবিচ্ছেদের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান অধিকার ও দায়িত্বের কথা বলা হয়েছে।
সিডও সনদের ধারা দুটির ওপর থেকে সংরক্ষণ তুলে নেয়ার দাবি দীর্ঘদিনের। তবে সরকার বিভিন্ন সময় বলেছে, দেশের সমাজবাস্তবতার প্রেক্ষিতে সংরক্ষণ তুলে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ বিষয়ে ধর্মীয় নেতাদের মতকেও আমলে নিতে হচ্ছে সরকারকে। প্রশ্ন হচ্ছে, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ধর্মীয় নেতাদের দিকে মুখ চেয়ে থাকবে কেন। সরকারকে কেবল কি বিশেষ একটি ধর্মের নেতাদের নাকি দেশের সকল ধর্মের নেতাদের দিকে মুখ চেয়ে থাকতে হচ্ছে- সেটা জানা জরুরি।
‘সমাজবাস্তবতার’ গণ্ডিতে আবদ্ধ থাকলে নারী-পুরুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে না। বর্তমান বিশ্বে যেসব রাষ্ট্র ‘সমাজবাস্তবতা’ আর ধর্মীয় নেতাদের মুখাপেক্ষী হয়ে চলছে সেসব দেশের নারীরা অবর্ণনীয় দুর্গতি পোহাচ্ছেন, সমান অধিকার তো পরের কথা। অভিযোগ রয়েছে, ভোটের রাজনীতির কারণে সরকারগুলো নারী-পুরুষের সমান অধিকারের ইস্যুকে এড়িয়ে চলছে। আমরা বলতে চাই, ভোট কেবল বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীই দেয় না, নারীরাও ভোট দেন। কাজেই নারীর কোন ন্যায্য দাবিকে নির্বাচিত সরকার উপেক্ষা করতে পারে না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংরক্ষণ তুলে নিয়ে সিডও সনদের ধারা দুটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দেশের সংবিধানে বা আইনে কোন বাধা নেই। জরুরি হচ্ছে সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা। উক্ত দুটি ধারা থেকে সরকার সংরক্ষণ তুলে নিচ্ছে- সেটাই আমরা দেখতে চাই। নারীর রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অগ্রগতির জন্য এটা অত্যন্ত জরুরি।
সোমবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
জাতিসংঘে নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য বিলোপ (সিডও) সনদ গ্রহণ করা হয় ১৯৭৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর। বাংলাদেশ এতে স্বাক্ষর করে ১৯৮৪ সালে। এরপর পেরিয়ে গেছে ৩৭ বছর, কিন্তু সনদের ২ ও ১৬.১-এর (গ) ধারা দুটির ওপর থেকে সংরক্ষণ তুলে নেয়া হয়নি।
সিডও সনদের ২ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে- নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য নিরসনে শরিক দেশগুলো আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবে এবং আইনের সংস্কার করবে। আর ১৬.১ (গ) ধারায় বিয়ে ও বিয়েবিচ্ছেদের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান অধিকার ও দায়িত্বের কথা বলা হয়েছে।
সিডও সনদের ধারা দুটির ওপর থেকে সংরক্ষণ তুলে নেয়ার দাবি দীর্ঘদিনের। তবে সরকার বিভিন্ন সময় বলেছে, দেশের সমাজবাস্তবতার প্রেক্ষিতে সংরক্ষণ তুলে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ বিষয়ে ধর্মীয় নেতাদের মতকেও আমলে নিতে হচ্ছে সরকারকে। প্রশ্ন হচ্ছে, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ধর্মীয় নেতাদের দিকে মুখ চেয়ে থাকবে কেন। সরকারকে কেবল কি বিশেষ একটি ধর্মের নেতাদের নাকি দেশের সকল ধর্মের নেতাদের দিকে মুখ চেয়ে থাকতে হচ্ছে- সেটা জানা জরুরি।
‘সমাজবাস্তবতার’ গণ্ডিতে আবদ্ধ থাকলে নারী-পুরুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে না। বর্তমান বিশ্বে যেসব রাষ্ট্র ‘সমাজবাস্তবতা’ আর ধর্মীয় নেতাদের মুখাপেক্ষী হয়ে চলছে সেসব দেশের নারীরা অবর্ণনীয় দুর্গতি পোহাচ্ছেন, সমান অধিকার তো পরের কথা। অভিযোগ রয়েছে, ভোটের রাজনীতির কারণে সরকারগুলো নারী-পুরুষের সমান অধিকারের ইস্যুকে এড়িয়ে চলছে। আমরা বলতে চাই, ভোট কেবল বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীই দেয় না, নারীরাও ভোট দেন। কাজেই নারীর কোন ন্যায্য দাবিকে নির্বাচিত সরকার উপেক্ষা করতে পারে না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংরক্ষণ তুলে নিয়ে সিডও সনদের ধারা দুটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দেশের সংবিধানে বা আইনে কোন বাধা নেই। জরুরি হচ্ছে সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা। উক্ত দুটি ধারা থেকে সরকার সংরক্ষণ তুলে নিচ্ছে- সেটাই আমরা দেখতে চাই। নারীর রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অগ্রগতির জন্য এটা অত্যন্ত জরুরি।