কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সমাজসেবা অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দুস্থদের ভাতা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সমাজসেবা দপ্তরসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একাধিকবার অভিযোগ দিয়ে কোনো প্রতিকার পায়নি ভুক্তভোগীরা। এ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত মঙ্গলবার উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের একবছর ধরে ভাতাবঞ্চিত বিভিন্ন বয়সী প্রায় অর্ধশত নারী-পুরুষ উপজেলা সমাজসেবা অফিসে অবস্থান নিয়ে অনশন শুরু করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা ভাতাবঞ্চিতদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে তারা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে। কুষ্টিয়া সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক জানান, অভিযোগগুলো তদন্ত করা হচ্ছে, কিছুটা সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
দুস্থদের ভাতা বা ত্রাণ আত্মসাতের ঘটনা প্রায়ই ঘটে। স্থানীয় প্রশাসনের একশ্রেণীর কর্তাব্যক্তি ও অনেক ক্ষেত্রে একশ্রেণীর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এর সঙ্গে জড়িত থাকে। বন্যার ত্রাণই হোক আর দুস্থদের বিভিন্ন ধরনের ভাতাই হোক তা আত্মসাতে তাদের কোন বাছ-বিচার নাই। এমনকি করোনা মহামারীর মধ্যে যখন সরকার ত্রাণ দিয়েছে তখনও এমনটা দেখা গেছে।
মহামারীকালে অনিয়ম-দুর্নীতি প্রতিরোধ করার জন্য ও প্রকৃত ভুক্তভোগীদের কাছে সহায়তা পৌঁছানোর জন্য সরকার মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নগদ সহায়তা দিয়েছে। তাতে দুর্নীতির ঘটনা কমলেও সম্পূর্ণ বন্ধ করা যায় নি। তখনওএকটি গোষ্ঠী নানা কায়দা-কৌশলে সেই অর্থ আত্মসাৎ করেছে। এর মাধ্যমে বোঝা যায় যে, দুর্নীতি কতটা অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। এভবে অনিয়ম-দুর্নীতি চলতে থাকলে উন্নয়নের সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো কঠিন হয়ে যাবে।
মানুষের কল্যাণে সরকার অনেক ভালো ভালো উদ্যোগ নিচ্ছে। কিন্তু দুর্নীতিবাজদের কারণে অনেক মানুষ তার সুফল ভোগ করতে পারছে না। জনগণের কল্যাণে যাদের কাজ করার কথা তারাই যদি ভাতা আত্মসাৎ করে তাহলে সাধারণ মানুষের আশ্রয় মিলবে কোথায়?
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে দুস্থদের ভাতা আত্মসাৎ করার যে অভিযোগ পাওয়া গেছে সেটা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে। আমরা আশা করব, তদন্ত সুষ্ঠু হবে। সুষ্ঠু তদন্ত শেষে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হয়েছেÑএমনটা আমরা দেখতে চাই।
শুক্রবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সমাজসেবা অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দুস্থদের ভাতা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সমাজসেবা দপ্তরসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একাধিকবার অভিযোগ দিয়ে কোনো প্রতিকার পায়নি ভুক্তভোগীরা। এ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত মঙ্গলবার উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের একবছর ধরে ভাতাবঞ্চিত বিভিন্ন বয়সী প্রায় অর্ধশত নারী-পুরুষ উপজেলা সমাজসেবা অফিসে অবস্থান নিয়ে অনশন শুরু করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা ভাতাবঞ্চিতদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে তারা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে। কুষ্টিয়া সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক জানান, অভিযোগগুলো তদন্ত করা হচ্ছে, কিছুটা সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
দুস্থদের ভাতা বা ত্রাণ আত্মসাতের ঘটনা প্রায়ই ঘটে। স্থানীয় প্রশাসনের একশ্রেণীর কর্তাব্যক্তি ও অনেক ক্ষেত্রে একশ্রেণীর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এর সঙ্গে জড়িত থাকে। বন্যার ত্রাণই হোক আর দুস্থদের বিভিন্ন ধরনের ভাতাই হোক তা আত্মসাতে তাদের কোন বাছ-বিচার নাই। এমনকি করোনা মহামারীর মধ্যে যখন সরকার ত্রাণ দিয়েছে তখনও এমনটা দেখা গেছে।
মহামারীকালে অনিয়ম-দুর্নীতি প্রতিরোধ করার জন্য ও প্রকৃত ভুক্তভোগীদের কাছে সহায়তা পৌঁছানোর জন্য সরকার মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নগদ সহায়তা দিয়েছে। তাতে দুর্নীতির ঘটনা কমলেও সম্পূর্ণ বন্ধ করা যায় নি। তখনওএকটি গোষ্ঠী নানা কায়দা-কৌশলে সেই অর্থ আত্মসাৎ করেছে। এর মাধ্যমে বোঝা যায় যে, দুর্নীতি কতটা অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। এভবে অনিয়ম-দুর্নীতি চলতে থাকলে উন্নয়নের সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো কঠিন হয়ে যাবে।
মানুষের কল্যাণে সরকার অনেক ভালো ভালো উদ্যোগ নিচ্ছে। কিন্তু দুর্নীতিবাজদের কারণে অনেক মানুষ তার সুফল ভোগ করতে পারছে না। জনগণের কল্যাণে যাদের কাজ করার কথা তারাই যদি ভাতা আত্মসাৎ করে তাহলে সাধারণ মানুষের আশ্রয় মিলবে কোথায়?
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে দুস্থদের ভাতা আত্মসাৎ করার যে অভিযোগ পাওয়া গেছে সেটা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে। আমরা আশা করব, তদন্ত সুষ্ঠু হবে। সুষ্ঠু তদন্ত শেষে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হয়েছেÑএমনটা আমরা দেখতে চাই।